Tag: নির্বাচন কমিশন

  • গাইবান্ধা উপনির্বাচন: এডিসিসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল ইসি

    গাইবান্ধা উপনির্বাচন: এডিসিসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল ইসি

    বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তকাসহ ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়া অন্য সংস্থা বা বিভাগ থেকে নির্বাচনে দায়িত্বে আসা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্ব স্ব নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে একমাসের মধ্যে ইসিকে জানাতে হবে।

    কাজী হাবিবুল আউয়াল তার কমিশনের লিখিত সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

    সিদ্ধান্তগুলো হলো- ১. তদন্তে প্রমাণিত যে ১২৫টি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন, সে সব কর্মকর্তার নামের তালিকা সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৫ অনুযায়ী তাদের স্ব-স্ব নিয়ন্ত্রণকারী/নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে। নিয়ন্ত্রণকারী/নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপালনে অবহেলা তথা অসদাচারণের কারণে তাদের বিরুদ্ধে চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে কমিশনকে এক মাসের মধ্যে জানাবে।

    ২. কেন্দ্র নম্বর ৯৪ এর প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, প্রভাষক উদয়ন ডিগ্রী কলেজকে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৫(৩) অনুযায়ী চাকরি থেকে ২ মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্থ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে। সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে তার বিরুদ্ধে অসাদাচরণের জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে এক মাসের মধ্যে কমিশনকে জানাবে মর্মে পত্র দেবে।

    ৩. একইভাবে সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কেন্দ্র নম্বর ২ (তরুণ কুমার, এসআই. গোবিন্দগঞ্জ থানা), কেন্দ্র নম্বর ৫৪ (মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, এসআই গোবিন্দগঞ্জ থানা), কেন্দ্র নম্বর ৫৯ (মো. আনিছুর রহমান, এসআই গোবিন্দগঞ্জ থানা), কেন্দ্র নম্বর ৬২ (কনক রঞ্জন বর্মন, এসআই সাদুল্যাপুর থানা) ও কেন্দ্র নম্বর ১০৫ (মো. দুলাল হোসেন, এএসআই, আটোয়ারী থানা, পঞ্চগড়) এর পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে -দায়িত্বপালনে অবহেলা তথা অসদাচারণের কারণে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৫ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে পত্র দেবে। কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে কমিশনকে এক মাসের মধ্যে জানাবে।

    ৪. অতিরিক্ত জেলা প্রশাশক (সার্বিক) সুশান্ত কুমার সাহার বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৫ অনুসারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অসাদাচরণের জন্য ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে এক মাসের মধ্যে জানানোর জন্য সচিব নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক পত্র দিতে হবে।

    ৫. নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সহকারী কমিশনারের নাম জেনে (এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল নম্বর ০১……..৭৭ । তদন্ত প্রতিবেদনে নাম উল্লেখ করা হয়নি) তাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবৈধ আদেশ পালনের জন্য ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেবে।

    ৬. রিটানিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের (আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, রাজশাহী) বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৫ অনুযায়ী দায়িত্বপালনে অবহেলার জন্য তার বিরুদ্ধে সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন।

    ৭. এক মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়ে কমিশনকে না জানালে কমিশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৬(২) অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

    ৮. সব কেন্দ্রের দায়িত্বপালনকারী নির্বাচনী এজেন্টদের তালিকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কর্তৃক সীলকৃত ব্যাগে রয়েছে, যেহেতু নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ের ওপর আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই তাই যে সব কেন্দ্রের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে সে সব কেন্দ্রের ব্যাগ খুলে দায়ী এজেন্টদের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, গাইবান্ধা এই তালিকা করবেন। দোষী নির্বাচনী এজেন্টদেরকে পরবর্তী নির্বাচনে এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না।

    ৯. ভবিষ্যতে নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম করা হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোরতম ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সিইসি বলেন, যারা বিভিন্ন প্রার্থীদের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের শনাক্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১-এ যা উল্লেখ আছে-

    ৫। (১) কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো ব্যাপারে প্রদত্ত কমিশন বা ক্ষেত্রমত রিটার্নিং অফিসারের কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালনে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হইলে বা অস্বীকৃতি প্রকাশ করলে বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করিলে বা উহার অধীন কোনো অপরাধ করিলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলিয়া গণ্য হবেন এবং ওই অসদাচরণ তার চাকরি বিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে৷

    (২) কোনো নির্বাচন-কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অসদাচরণ করলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্ত করতে পারবে বা বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারবে বা তাহার পদাবনতি করতে পারবে বা তাহার পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখতে পারবে: তবে শর্ত থাকে যে, ওই রকম কোনো শাস্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত ব্যর্থতা, অস্বীকৃতি, লঙ্ঘন বা অপরাধের জন্য অন্য কোনো আইনে নির্ধারিত কোনো দণ্ড প্রদান বা উহার জন্য কোনো আইনগত কার্যধারা গ্রহণ ব্যাহত বা বারিত করবে না৷

    (৩) কোনো নির্বাচন-কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অসদাচরণ করলে কমিশন বা ক্ষেত্রমত কমিশনের সম্মতিক্রমে রিটার্নিং অফিসার তাকে, তার বিরুদ্ধে তার চাকরি বিধি অনুযায়ী শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণ সাপেক্ষে, অনধিক দুই মাসের জন্য সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্তের আদেশ দিতে পারবেন এবং ওই বরখাস্তের আদেশ তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তার চাকরি বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং তদনুযায়ী তা কার্যকর হবে৷

    (৪) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অসদাচরণের জন্য কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণের জন্য কোনো নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে কমিশন বা ক্ষেত্রমত রিটার্নিং অফিসার অনুরোধ করিলে ওই কর্তৃপক্ষ ওই অনুরোধ প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে ওই কার্যধারা গ্রহণ করবে এবং কমিশনকে অবহিত করিবে

    ৬। (২) কোনো ব্যক্তি ধারা ৫(৩) এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ পালন বা কার্যকর না করলে বা ধারা ৫(৪) এর বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ডে, বা অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন৷

    গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণের পর সিইসি প্রথমে ৫০টি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা ঘোষণা করেন। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাও একটি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেন। পরে ভোটগ্রহণের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর গঠিত তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি করে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পায় ওই ৫১ কেন্দ্রে। এছাড়া অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখে অনিয়ম পায় ইসি।

  • আজ থেকে ১৪০ উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু

    আজ থেকে ১৪০ উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু

    আজ থেকে দ্বিতীয় ধাপে ১৪০ উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বিতীয় ধাপের এ হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত।

    ইসি জানায়, এই ধাপে রাজধানীর তিনটি এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। উত্তরা, মতিঝিল ও রমনা এলাকার তথ্য দ্বিতীয় ধাপে নেওয়া হবে।

    এর আগে গত ২০ মে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করে ইসি। প্রথম ধাপেও ১৪০টি উপজেলায় কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট চার ধাপে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

    কর্মকর্তারা জানান, এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটার বৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ৮৪ লাখ ৯৬ হাজার ৫২৬ জন ব্যক্তিকে হালনাগাদের অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। এবারও গতবারের মতো তিন বছরের তথ্য একসঙ্গে নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এদের মধ্যে যাদের বয়স যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তখন তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন।

    সর্বশেষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়েছিল ২০১৯ সালে। সে সময় ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাদের তথ্য নেওয়া হয়েছিল। সে সময়ও তিন বছরের তথ্য একসঙ্গে নেওয়া হয়েছিল।

    উল্লেখ্য, ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে পাঁচবার। ২০০৯-২০১০, ২০১২-২০১৩, ২০১৫-২০১৬, ২০১৭-২০১৮ ও ২০১৯-২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি। বর্তমানে ভোট আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষটির তথ্যভাণ্ডারে মোট ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটারের তথ্য রয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন। হিজড়া ভোটার আছে ৪৫৪ জন।

  • তিন এমপিকে সাবধান করল ইসি

    তিন এমপিকে সাবধান করল ইসি

    দেশের দুই জেলার তিন সংসদ সদস্যকে (এমপি) সাবধান করে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    বৃহস্পতিবার (২ জুন) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের সই করা চিঠিতে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইকবাল হোসেন, ঝিনাইদহ-১ আসনের মো. আবদুল হাই ও ঝিনাইদহ-২ আসনে তাহজীব আলম সিদ্দীকিকে আচরণবিধি প্রতিপালনে সাবধান করা হয়েছে।

    ইসি বলছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন চলছে। এসব নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রণীত আচরণ বিধিমালা কার্যকর রয়েছে।

    আচরণ বিধিমালায় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমান অধিকারের বিষয় বর্ণিত রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো এলাকায় আচরণ বিধিমালার ব্যত্যয় ঘটানো হচ্ছে অথবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

    বিশেষ করে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় সংসদ সদস্যরাও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন, যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব সংসদ সদস্যকে নির্বাচন কমিশনের বিধিবিধান সদয় অবগতির জন্য পুনরুল্লেখ করা হলো।

    ইসি আরও বলছে, সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে বা তাদের সংশ্লিষ্টতার কারণে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বটে। এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য এড়াতে পারেন না। এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত আশাবাদী। এক্ষেত্রে কমিশন সংসদ সদস্যদের ঐকান্তিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে। তথাপিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে এরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর অবস্থানে যেতে হতে পারে।

    ইসি আরও জানায়, সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সংসদ সদস্যরা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে তিনি কেবল তার ভোট প্রদানের জন্য নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন এবং ভোট শেষে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করবেন।

  • আয় কমেছে আওয়ামী লীগের, ব্যয় বেড়েছে ২১ শতাংশ

    আয় কমেছে আওয়ামী লীগের, ব্যয় বেড়েছে ২১ শতাংশ

    নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০২০ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গত বছর দলটির আয় কমেছে ৫১ শতাংশ এবং ব্যয় বেড়েছে ২১ শতাংশ। এ নিয়ে টানা তিন বছর দলটির ব্যয় বেড়েছে।

    রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে জমা দেওয়া বার্ষিক আয়-ব্যয় ও লেনদেন প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

    ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।

    হিসাব জমা দেওয়ার পর আবদুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের জানান, ২০২০-এ আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৩ টাকা। যা ২০১৯-এর আয়ের চেয়ে ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭টাকা কম। ২০১৯-এর চেয়ে আয় কমেছে ৫১ শতাংশ। ২০১৯ সালে দলটি আয় করেছিলো ২১ কোটি দুই লাখ ৪১ হাজার ৩৩০ টাকা।

    আয় কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২০-এ মনোনয়নপত্র বিক্রি বাবদ অর্থ আগের বছরের তুলনায় কম হয়েছে। আয়ের প্রধান খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের চাঁদা, মনোনয়নপত্র বিক্রি ও বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের দেওয়া অনুদান।

    তিনি জানান, ২০২০-এ আওয়ামী লীগের ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ টাকা, যা ২০১৯-এর ব্যয়ের চেয়ে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৬ টাকা বেশি। ২০১৯ সালের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে ২১ শতাংশ। ২০১৯ সালে দলটির ব্যয় হয়েছিল ৮ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার ৫৭৫ টাকা।

    ব্যয় সম্পর্কে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা, বিভিন্ন পর্যায়ে দলীয় প্রার্থীদের অনুদান, পত্রিকা-প্রকাশনা ও সংশ্লিষ্ট খরচ বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দলটির ব্যয় বেড়েছে। ব্যয়ের প্রধান খাতের মধ্যে রয়েছে- অফিস রক্ষণাবেক্ষণ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, সংগঠন পরিচালনা ব্যয় ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা ব্যয়। বর্তমানে দলটির তহবিলে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৪ টাকা জমা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

    জানা যায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের বছর ২০১৮-এ আওয়ামী লীগের আয় হয়েছিল ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৭০৭ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৭ টাকা।

  • ৭ এপ্রিল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের ভোট

    ৭ এপ্রিল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের ভোট

    ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম ধাপের ভোট আগামী ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের কারণে মার্চ মাসে নির্বাচন হবে না।

    সিইসি বলেন, ৭ এপ্রিল কিছু ইউনিয়ন পরিষদ ও বাদ পড়া পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে। রোজার ঈদের পর বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভোট হবে। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ আইন সংশোধনের সময় ও সুযোগ নেই।

    বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা জানান।

    সিইসি বলেন, মে মাসে বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভোট করব। তখন বর্ষা থাকবে, কষ্ট হবে তবুও ভোট করতে হবে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভার পর পুরো বিষয়টি জানাতে পারব।

    ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় প্রতীকে ভোটের বিষয়ে আইনে কোনো সংশোধন আসবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন সংশোধন করার সুযোগ নেই। সংশোধন করার দরকারও নেই। আমাদের নির্বাচনে যেসব আইন-বিধি আছে তা যথেষ্ট। এ সময় নির্বাচন আইনের সংশোধনের সুযোগ নেই, সময়ও নেই।

    নির্বাচন কমিশনে সংবাদ সংগ্রহে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডি’ এর নতুন কমিটির অভিষেক ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরএফইডির সভাপতি সোমা ইসলাম ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কাজী জেবেল।

    কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, যে আইনে নির্বাচন করি, সেটা স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রণীত আইন। স্থানীয় সরকার বিভাগ যতক্ষণ পর্যন্ত আইন সংশোধন না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আইনে যা আছে সে অনুযায়ী ভোট করতে হবে।

    কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ও সবদলের প্রার্থী রয়েছে। এটা অত্যন্ত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যত ছোট নির্বাচন হয়, তত প্রার্থীদের পারস্পরিক সংঘাতের বিষয় থাকে। আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বলি। তিনি বলেন, সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

  • নির্বাচন কমিশনের নতুন সচিব হুমায়ুন কবীর

    নির্বাচন কমিশনের নতুন সচিব হুমায়ুন কবীর

    রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। একই প্রজ্ঞাপনে হুমায়ুন কবীর খোন্দকারকে অতিরিক্ত সচিবের পদ থেকে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের বর্তমান সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসরে যাবেন।

    আরেক প্রজ্ঞাপনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব ড. মো হুমায়ুন কবীরকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

  • সিইসিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকে ১০ আইনজীবীর অভিযোগ

    সিইসিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকে ১০ আইনজীবীর অভিযোগ

    প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) ইসির ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ লোপাটের বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।

    বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী অভিযোগ দাখিল করেন। শিশির মনির বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণের নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা ব্যতীত ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচসহ সরকারি অর্থের ক্ষতি করা হয়েছে।

  • চসিক নির্বাচন ২৭ জানুয়ারি

    চসিক নির্বাচন ২৭ জানুয়ারি

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এর স্থগিত থাকা  নির্বাচন আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

    সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এ কথা জানান। তিনি বলেন, নির্বাচন হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

    প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। মেয়র প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীদের নতুন করে মনোনয়ন নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। শুধু সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৭ এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (নতুন প্রার্থীদের) মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। ইসি তাদের সময় দেবে। তবে যারা ইতোমধ্যেই মনোনয়নপত্র দাখিল করছেন তাদের আর দিতে হবে না।

    উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয় গত ৫ আগস্ট। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা ছিল। সে হিসাবে ইসির সিদ্ধান্ত অনুসারে ২৯ মার্চ এই সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল।

    কিন্তু করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে পরে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে জনগণ কিছুটা মানিয়ে ওঠায় নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    নির্ধারিত সময়ে ভোট করতে না পারায় আগস্টের শুরুতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। এখন ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৫৫ পদে ২৬৯ প্রার্থী রয়েছেন ভোটে। তবে প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে চট্টগ্রাম সিটির ৩০, ৩৭ ও ৪০ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড এবং ৬ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের জন্য নতুন করে তফসিল দেওয়া হয়েছে।

    এই চার ওয়ার্ডের আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ৩১ ডিসেম্বর বাছাই হবে এবং ৭ জানুয়ারি র্পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। সব প্রক্রিয়া শেষে অন্য সব ওয়ার্ডের সঙ্গেই ২৭ জানুয়ারি ভোট হবে এই চার ওয়ার্ডে।

    এছাড়া আজ সোমবার তৃতীয় দফায় ৬৪টি পৌরসভা নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সব কয়টিতেই ভোট হবে ব্যালটের মাধ্যমে। তৃতীয় ধাপের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর।

  • প্রথম ধাপে ২৫ পৌরসভায় ভোট ২৮ ডিসেম্বর

    প্রথম ধাপে ২৫ পৌরসভায় ভোট ২৮ ডিসেম্বর

    দেশের তিন শতাধিক পৌরসভার মধ্যে ইভিএমে প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভায় ভোট হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর।

    রোববার এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ইসির অনুমোদনের পর জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর পৌরসভা ভোটের তফসিল দেন।

    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১ ডিসেম্বর, বাছাই ৩ ডিসেম্বর, প্রত্যাহারের শেষ সময় ১০ ডিসেম্বর।

    প্রথম ধাপে যেসব পৌরসভায় ভোট হবে সেগুলো হল- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, রাজশাহীর পুঠিয়া ও কাটাখালী, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, পাবনার চাটমোহর, কুষ্টিয়ার খোকসা, চুয়াডাঙ্গা, খুলনার চালনা, বরগুনার বেতাগী, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, বরিশালের উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোণার মদন, মানিকগঞ্জ, ঢাকার ধামরাই, গাজীপুরের শ্রীপুর, সুনাগঞ্জের দিরাই, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড।

    নির্বাচনের দিন সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট চলবে ইভিএম।

    দেশে পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পৌরসভার ভোট করতে হয়।

    স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। সেবার ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়।

    সর্বশেষ ২০১৫ সালে ২৪ নভেম্বর পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৩৬ দিন সময় দিয়ে ভোটের তারিখ দেওয়া হয় ৩০ ডিসেম্বর। এক দিনে ভোট হয় ২৩৪টি পৌরসভায়। বাকিগুলোয় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বিবেচনায় ও বিভিন্ন জটিলতা সেরে ভোট হয়।

    ইসি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে পৌরসভার সংখ্যা ৩২৯টি। নির্বাচন উপযোগী পৌরসভার সংখ্যা ২৫৯টি। আগামী বছরের জানুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হবে ১১টি পৌরসভার। ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেয়াদ শেষ হবে ১৮৫ পৌরসভার। এরমধ্যে ১ ও ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেয়াদ শেষ হবে ৪টি, ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেয়াদ শেষ হবে ৪৬টি এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেয়াদ শেষ হবে ১৩৩ পৌরসভায়। মার্চে শেষ হবে ২৮ পৌরসভার মেয়াদ। এপ্রিল থেকে নভেম্বরে শেষ হবে ৩০টি মেয়াদ। এবার পৌরসভায় মেয়র পদে দলীয় এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হবে।

  • নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন কমিশনে পরিণত হয়েছে: ডা. শাহাদাত

    নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন কমিশনে পরিণত হয়েছে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ঢাকার দুই উপ-নির্বাচনে সরকারের যে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ জাতি দেখে তাতে করে নির্বাচন এখন মানুষের কাছে একটি মঞ্চ নাটকের মতো। বাংলাদেশের মানুষ এখন নির্বাচন মানেই বুঝে শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের জয়জয়কার আর বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের দমন নিপীড়নের হাতিয়ার।

    নির্বাচন কমিশন একটি মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের কমিশনার পরিণত হয়েছে। নির্লিপ্ত নির্বাচন কমিশনার বাংলাদেশে যে ভোট চুরি আর ডাকাতির মহাউৎসব চলে, তার থেকে আমেরিকার অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়ার আছে। একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল পদে থেকে কিভাবে এ ভোট চুরিকে স্বীকৃতি দেয় তা বোধগম্য নয়। আমেরিকার নির্বাচনে জনগণের রায় আর গণতন্ত্রের প্রতিফলন হয়, বাংলাদেশের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র হরণ হয়। নির্বাচনে কোথায় কি ফলাফল হবে তা গণভবন থেকে আগে থেকে তৈরি করে দেওয়া হয়।

    আজ শনিবার (১৪ নভেম্ব্র) নগরীর ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    সভায় ডা. শাহাদাত হোসেন ঢাকার গাড়ি পোড়ানো মামলায় চট্টগ্রামের তিন যুবদল নেতাকে আসামী করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুর হাশেম বক্কর বলেন, বিগত সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে বজ্রপাতের শব্দকে ককটেল বিস্ফোরণ দাবি করে প্রশাসন বিএনপির নেতাকর্মীদের গায়েবী মামলা দিয়েছে। গায়েবী মামলায় মৃত থেকে প্রবাসী নেতাকর্মীদেরও আসামী করা হয়েছে। একইভাবে ঢাকায় সদ্য সমাপ্ত উপ-নির্বাচনের ভোট কারচুপি ডাকতে সরকার তাদের পোষ্য বাহিনী দিয়ে বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে। আর সেই অগ্নিসংযোগের মামলায় সারাদেশের নেতাকর্মীদের নামে মামলা করেছে। চট্টগ্রামের তিন যুবদল নেতা সেদিন চট্টগ্রামে অবস্থান করলেও গাড়ি পোড়ানো মামলায় তাদেরকেও আসামী করা হয়েছে। চট্টগ্রামে থেকে কিভাবে গাড়ি পোড়ানো যায় তা এই সরকার না থাকলে জানতাম না। গায়েবী মামলা দিয়ে সুসংগঠিত বিএনপিকে আদালতে দৌড়ের উপর রাখতে চাই সরকার।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, নির্বাচন কমিশনারের সহায়তায় সারাদেশে ভোট ডাকাতির মহাউৎসব চলছে। বিগত সময়ের নির্বাচন গুলোতেও একই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। এ আসনের জনগণ বিগম উপ-নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিলেও আওয়ামীলীগ সরকারের ইশারায় জনগণের সে ভোট চুরি করে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। মানুষ দেখছে কিভাবে ভোট কেন্দ্র দখল করে এজেন্টদের বের করে ভোট চুরির উৎসব হয়েছে। এই ভোট চোরদের রুখতে হবে। এদের থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে আমাদের সুসংগঠিত হতে হবে।

    পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুন্সীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী ইস্কান্দার মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনীর চৌধুরী।

    বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপি সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু মুসা, থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মোজাম্মেল হক হাছান, পাঁচলাইশ থানা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী, এনামুল হক ইনু, আবুল বশর, মকবুল হোসেন খোকন, মোহাম্মদ সালামত আলী, শাহাদাত হোসেন ওয়াসিম, জানে আলম , ৪৩ নং আমিন শিল্পাঞ্চল সভাপতি এডভোকেট এফ এ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এম এ হোসেন দিদার, বিএনপির নেতা মোহাম্মদ নাসের, আবুল খায়ের, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, এরশাদ হোসেন, মোহাম্মদ রাসেল, রাজন খান, মোহাম্মদ ফারুক, নগর সেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, নগর যুবদলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আসাদুজ্জামান রুবেল, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আলী সাকি, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন, পাঁচলাইশ থানা মহিলাদলের সভানেত্রী সাইমা হক, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী জিন্নাতুন্নেসা জিনিয়া প্রমুখ।
    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও দুই আসনের উপনির্বাচন স্থগিত

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও দুই আসনের উপনির্বাচন স্থগিত

    করোনা পরিস্থিতির কারণে ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ উপনির্বাচনের ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    আজ শনিবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    করোনাভাইরাসের কারণে জনস্বার্থে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়েছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

    গতকাল চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে নির্বাচন স্থগিতের আবেদন জমা দেন তিনি।

  • রেজাউল-শাহাদাত-শেঠসহ ৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ

    রেজাউল-শাহাদাত-শেঠসহ ৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ

    আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন(চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ,  বিএনপি ও জাতীয়পার্টির প্রার্থীসহ মেয়র পদে সাতজনের মেয়রপ্রার্থী মনোনয়ন বৈধ এবং দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

    রোববার (১ মার্চ) সকালে নগরীর চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চসিক নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। যাচাই বাছাই শেষে চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান সাতজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ও দুইজনের বাতিল ঘোষণা করেন।

    আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন, জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী আল্লামা এমএ মতিন, ইসলামিক ফ্রন্টের অহেদ মুরাদ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জান্নাতুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।

    খোকন চৌধুরী ও মো. তানজির আবেদীন নামে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

    নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটারদের স্বাক্ষরসহ মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এ বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

    এদিকে নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগেরে প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী । আর বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক আছে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকবে বিএনপি। এছাড়া নির্বাচন দুই দিন পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানান তিনি।

    অন্যদিকে জাতীয় পার্টি প্রার্থী নির্বাচনের দিন গাড়ি চলাচলের অনুমতি দাবি করেছেন।

    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৮ মার্চ প্রার্থিতা প্রত্যাহার, পরদিন ৯ মার্চ প্রতীক বরাদ্দ এবং ২৯ মার্চ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।