কামরুল ইসলাম দুলু,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না, কিন্তু সে আইন যে সব ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না, তা বোঝা যায় সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায়। স্থানীয় কেশবপুর এলাকার রাজা মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন নামের এক সাবেক ইউপি সদস্য রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে সড়ক ও জনপথের (সওজ) ৬৫৬ নং দাগের প্রায় ১শত ৩০ শতাংশ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নিমার্ণ করেছে ” খাজা আজমিরি চিশতিয়া কম্পিউটার স্কেল ” এবং লোহার ডিপু।
এলাকায় ভূমিদস্যু নামে পরিচিত জসিম মেম্বার একদিকে সরকারী জায়গা দখল করে নির্মাণ করেছে গাড়ির ওজন মাপা স্কেল অন্যদিকে আশে পাশের অনেক গরীব,অসহায় মানুষের জায়গা জমিও জোর পূর্বক দখল করেছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
জানাযায়, কদমরসুল এলাকায় সরকারী জায়গাতে ওজন স্কেল নির্মাণ করতে সড়ক ও জনপদ (সওজ) থেকে কোন প্রকার লীজ নেওয়া হয়নি। রাতের অন্ধকারে মাটি ভরাট করে জায়গা দখল করে উক্ত জসিম মেম্বার নির্মাণ করেছে ওজন স্কেল।
এব্যাপারে জানতে চাইলে জসিম মেম্বার উত্তেজিত হয়ে বলেন, সারা দেশেই সরকারী জায়গা দখল করে আছে মানুষ, আমিও দখল করেছি। সরকার চাইলে তা ছেড়ে দেবো।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন বলেন, সওজ এর জায়গা দখল করে স্কেল নির্মাণ করেছে স্থানীয় এক ব্যক্তি, এমন অভিযোগের ভিক্তিতে আমি সরজমিনে গিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দেওয়া হবে এবং অবৈধভাবে সরকারী জায়গা দখল করে গড়ে তোলা ওজন স্কেলটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে জসিম মেম্বারের বিরুদ্ধে এলাকার নিরীহ মানুষের জায়গা দখল করে নেওয়ার অভিযোগে ভূক্তভোগী পরিবার কিছুদিন আগে তার বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে।
ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর হতে স্থানীয় মুন্সি মিয়ার জায়গায় ২০১৪ সাল থেকে দখল সত্ব হিসেবে বসবাস করে। পরে ২০১৭ সালে সড়ক ও জনপদ বিভাগে বন্দোবস্তির জন্য আবেদন করলে ২৪/৮/২০১৭ সালে ৩১২ নং স্মারকে বন্দোবস্তি দেয়। ২০১৪ সালে বসবাসকৃত জায়গার দক্ষিণ পূর্বে অবৈধভাবে নিমার্ণ করা হয়েছে খাজা আজমিরি চিশতিয়া কম্পিউটার স্কেল। যার মালিক স্থানীয় কেশবপুর এলাকার রাজা মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন মেম্বার। স্কেল প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা ভাবে জুলুম ও অত্যাচার করে আসছে।
২০১৩ সালে জমির আলীর জমি জবর দখল করে স্কেলটি নির্মাণ করে। এর পরেও সে থেমে থাকেনি। বর্তমানে আমাদেরকেও উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে। ১০ ফুট উঁচু করে বালু ফেলার কারণে ভিটার পানি আমাদের ঘরে ঢুকছে। রাতে ঘুমানো যায় না। বালু, পুরাতন জাহাজ ভাঙার ভাইভার পিচ রাখায় তা আমাদের গায়ের উপর গড়িয়ে পড়ে। যে কারণে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সীতাকুণ্ডের এই ভূমি দস্যু ও জবর দখলবাজ জসিম মেম্বারের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পেতে ভূক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের সুুদৃষ্টি কামনা করেন।