Tag: নির্যাতন

  • বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ১

    বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ১

    ২৪ ঘণ্টা, ডেস্ক নিউজ : নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় স্বামীকে বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেছে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। সম্প্রতি উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

    নির্যাতনের সময় ধারণ করা সেই ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ফেসবুকে। রবিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

    জানা গেছে, ৩২ দিন আগে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা নির্যাতিতার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ফলে পুরো ঘটনা থেকে যায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে।

    এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের নজরে আসলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

    এসপি আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ নির্যাতিতাকে তার বাবার বাড়ি থেকে সন্ধ্যায় উদ্ধার করেছে। তিনি জানিয়েছেন, ৩০-৩২ দিন আগে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের পাঁচটি ইউনিট অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

    স্থানীয়রা জানায়, গত ২ সেপ্টেম্বর উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    তাদের অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ভয়ে তিনি এবং তার পরিবার এ নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তাই ঘটনার ৩২ দিন অতিবাহিত হলেও ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি।

    বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুন অর রশিদ চৌধুরী বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবদুর রহিমকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/আবরার

  • কুপ্রস্তাবে রাজি হয়নি মা/ইউপি মেম্বারের নির্মম নির্যাতনের শিকার দুই কিশোর

    কুপ্রস্তাবে রাজি হয়নি মা/ইউপি মেম্বারের নির্মম নির্যাতনের শিকার দুই কিশোর

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলা সংবাদ : কুপ্রস্তাব (অবৈধ মেলামেশা) করতে মা রাজি না হওয়ায় তার দুই কিশোর সন্তানকে হাত পা বেধে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। গত ২২ মে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এরপর পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

    সুযোগ পেয়ে গত শুক্রবার (৫ জুন) পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার সুমনের মা ও কামরুলের ফুফু সরিফা খাতুন। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হয়।

    পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলায় সেনগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, মোতালেব আলীসহ আরও সাত জনকে আসামি করা হয়েছে।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মোতালেব আলী তার প্রতিবেশী গৃহবধূ সরিফা খাতুনকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া না দেওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে গত ২২ মে স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, মোতালেব আলীসহ আরও সাত জন মিলে সরিফা খাতুনের ছেলে সুমন ও তার ভাতিজা কামরুল ইসলামকে আটক করে।

    এরপর তারা একটি শালিস বৈঠকের আয়োজন করে। শালিস বৈঠকে হাত-পা বেঁধে ওই দুই কিশোরকে ব্যাপক মারধর করে ইউপি সদস্যসহ তার সহযোগীরা। সেই ঘটনা মোবাইলেও ধারণ করে রাখে তারা। পরে ভিডিওটি গৃহবধূ সরিফা খাতুনকে দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

    চাঁদা না পেয়ে ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীরা গৃহবধূকেও মারধর করে ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়। সেসময় তারা গৃহবধূর বাড়ি থেকে একটি গরু নিয়ে যায়। এরপর তারা ওই পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

    এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য সদস্য জহিরুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এক পর্যায়ে তিনি ফোনটি বন্ধ করে রাখেন।

    সেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। এটি খুবই নিন্দনীয় কাজ। এর বিচার হওয়া দরকার। তবে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। আমি নিজ উদ্যোগে ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামকে কয়েকবার ফোন দিয়েছি।

    তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। লোক পাঠিয়ে তাকে যোগাযোগ করতে বলেছি, এরপরও তিনি যোগাযোগ করেননি বা ফোন ব্যাক করেননি।’

    নির্যাতিত পরিবারটির সাথে যোগাযোগ করেছিলেন কি না জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘থানায় মামলা হয়েছে। তাই পরিবারটির সাথে যোগাযোগের আর কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনি।’ এদিকে মামলা দায়েরে সাত দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

    পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ‘মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। অচিরেই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • চবি’র হলে বহিরাগত যুবককে আটকে নির্যাতনের চেষ্টা : ৩ বহিরাগত আটক

    চবি’র হলে বহিরাগত যুবককে আটকে নির্যাতনের চেষ্টা : ৩ বহিরাগত আটক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)’র সোহরাওয়ার্দী হলের ১০৪ নম্বর কক্ষটিতে ২ বহিরাগত যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের চেষ্টা চালিয়েছে অপর এক বহিরাগত যুবক। এমন খবর পেয়ে বুধবার রাতে কক্ষটিতে অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    এসময় নির্যাতনকারী বহিরাগত যুবক আসাদ পালিয়ে গেলেও নির্যাতনের শিকার দুই যুবক মোহাম্মদ আয়াজ ও মোহাম্মদ নাসিমকে উদ্ধার করে প্রশাসন। এসময় ইয়াসিন আরাফাত নামে আরো এক বহিরাগতকে ওই কক্ষ থেকে আটক করা হয়। পরে তিনজনকে হাটহাজারী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফ খান শুভর বন্ধু আসাদ কয়েকদিন ধরে সোহরাওয়ার্দী হলের ১০৪ কক্ষে অবস্থান করছিলো। অবস্থানকালে ওই কক্ষে আয়াজ ও নাসিম নামে অপর দুই বহিরাগত যুবককে আটকে রেখে চাঁদা দাবিতে তাদের নির্যাতনের চেষ্টা চালায়।

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই কক্ষে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে আয়াজ ও নাসিমকে উদ্ধার করে। এসময় একই কক্ষে ইয়াসিন আরাফাত নামে আরো এক বহিরাগত যুবককে পাওয়া যায়। সে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সম্রাট শিকদারের অতিথি হিসেবে ওই কক্ষে অবস্থান করছিলেন।

    তবে কক্ষটিতে দুই যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের চেষ্টা করা আসাদকে পাওয়া যায়নি। সে অভিযানের খবর পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে বলে চবি সূত্রে জানিয়েছে।

    ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, বহিরাগত কয়েকজন যুবক চবির সোহরাওয়ার্দী হলের ১০৪ কক্ষে অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে বুধবার রাত ৮টার সময় কক্ষটি পরিদর্শণে যায়। এসময় কক্ষটিতে অবস্থান করা তিন বহিরাগত যুবককে আটক করে ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসাদ নামে অপর এক বহিরাগত আয়াজ ও নাসিমকে আটকে রেখে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে নির্যাতনের চেষ্টা চালিয়েছে।

    পরে দুজনকে উদ্ধার করে একই কক্ষে অবস্থা করা অপর যুবক ইয়াসিনসহ তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বহিরাগতদের আশ্রয় দেয়া শিক্ষার্থীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে হলে অবৈধভাবে বসবাসরতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর।