Tag: নিষিদ্ধ জাল

  • নিষিদ্ধ জালে সয়লাব ঠাকুরগাঁওয়ের গ্রাম-গঞ্জ, বিলুপ্তির পথে দেশীয় মাছ

    নিষিদ্ধ জালে সয়লাব ঠাকুরগাঁওয়ের গ্রাম-গঞ্জ, বিলুপ্তির পথে দেশীয় মাছ

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : রমজান আলী খানের  ফেসবুক সূত্রে জানা যায় ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার গ্রামগুলোতে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে কারেন্ট জালের ফাঁদে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। বর্ষার এই মৌসুমে মাছের প্রজনন কালীন সময়।

    এ উপজেলার গ্রামের বিভিন্ন হাটে চলছে অবৈধ ভাবে কারেন্ট জাল কেনা বেচা, সেগুলো স্থানীয় হাটবাজারে প্রকাশ্যে ও অভিনব কায়দায় বিক্রয় করলেও এখন পর্যন্ত মৎস্য বিভাগকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

    কারেন্ট জাল ক্রয় বিক্রয়ের ফলে আাশেপাশে নদ, নদী,খাল, বিলে কারেন্ট জালদিয়ে অনেক কে মাছ ধরতে দেখা যায়। যার কারণে ধ্বংস হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ, নিধন হচ্ছে দেশীয় মাছ গুলো।

    মাছে ভাতে বাঙালী। বহুল প্রচলিত এই প্রবাদটি বাঙালীর ঐতিহ্য ও জীবন পরিচালনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের প্রধান খাবার ভাত ও মাছ। যা কোনো বাঙালীই অস্বীকার করতে পারবে না। তবে অতীত ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান রেখে কেউ ‘মাছে ভাতে বাঙালীর সত্যতা স্বীকার করলেও বাস্তবতার নিরিখে তা অস্বীকার করার সময় সম্মুখে দাঁড়িয়ে। কারণ দেশীয় প্রজাতি অর্থাৎ আমাদের অতি পরিচিত মাছ গুলো যেভাবে বিলুপ্ত হচ্ছে, তাতে আগামী দিনের বাঙালী খাবার তালিকায় যুক্ত হবে নতুন কিছু। ভাতের সাথে মাছ শব্দটি উধাও হতে আর বেশি দিন বাকি নেই বলে মনে হচ্ছে।

    বর্ষার পানি জমা হতে না হতেই করেন্ট জাল দিয়ে নদী-নালায় চলছে মাছ নিধনের মহা ‘উৎসব’!এসব হাট বাজারে জালের দোকান গুলোতে অবৈধ কারেন্ট জালের ছড়াছড়ি বিক্রি হচ্ছে অভিনব কায়দায়। প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিতে দোকান গুলোর সামনে প্লাষ্টিকের বস্তা বা ব্যাগে করে কয়েকজন জাল নিয়ে বসে থাকে আর জালের দোকান গুলোতে ক্রয় করতে গেলে লোক বুঝে দরদাম করে তাদের লোকের ব্যাগ বা বস্তা থেকে জাল বের করে দেওয়া হয়। প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন এভাবে শতশত অবৈধ কারেন্ট জাল ক্রয় বিক্রি চলছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ কারেন্ট জাল ক্রয়ের জন্য আসে।

    এলাকার সচেতন লোকজন বলেন, এ ভাবে অবৈধ কারেন্ট জাল ক্রয় বিক্রয় বন্ধ না করলে একদিন দেশীয় প্রজাতির মাছ আমাদের খাবার তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাবে যা এখনো কিছুটা হলেও আমরা উপলব্ধি করছি। তাই মৎস বিভাগ ও প্রশাসন কতৃপক্ষের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করে অবৈধ কারেন্ট জাল ক্রয় বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • এসি ল্যান্ডের অভিযানে হালদা নদী হতে ১০০০ মিটার জাল জব্দ

    এসি ল্যান্ডের অভিযানে হালদা নদী হতে ১০০০ মিটার জাল জব্দ

    হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:::আর কয়েক দিন পরে হালদা নদীতে ডিম ছাড়বে মা মাছ। ঠিক এ সময়ে এসেও থেমে নেই এক শ্রেণির অসাধু জেলে সম্প্রদায়ের মা মাছ শিকারের চেষ্টা। কখনো বিষ প্রয়োগ করে আবার কখনো ভাসামান জাল বসিয়ে মাছ শিকার করছে এ স্বার্থন্বেষী চক্র।

    যদিও বা হালদা নিয়ে বেশ সজাগ হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। প্রতিদিনই হালদা পাড়ে চলছে প্রশাসনের অভিযান। অভিযানের পাশাপাশি হালদা নদীতে মাছ না ধরার শর্তে জেলেদের ত্রাণ সামগ্রীও প্রদান করছেন উপজেলা প্রশাসন।

    আজ বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার সময় হাটহাজারী উপজেলার গুমান মর্দন ইউনিয়নের হালদা পাড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাটহাজারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ উল্যাহ।

    এ সময় হালদা নদী হতে ১০০০ মিটার ঘেরাও জাল উদ্ধার করা হয়। অভিযান চলাকালে পুলিশ বাহিনীর সদস্য এবং গুমান মর্দন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য গতকালও ছিপাতলী ইউনিয়নের আলেমের কুম এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন ১৫০০ মিটার জাল জব্দ করেন।

    এ ব্যাপারে হাটহাজারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ উল্যাহ সাংবাদিকদের জানান, হালদায় মা মাছের অবাধ বিচরণ ধরে রাখতে হালদা পাড়ে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/পারভেজ (more…)

  • আনোয়ারায় লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ জাল জব্দ

    আনোয়ারায় লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ জাল জব্দ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। আনোয়ারা প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিশেষ কম্বিং অপরেশন পরিচালনা করে লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ জাল ও জাটকা জব্দ করেছে মোবাইল কোর্ট। নিষিদ্ধ জালের মধ্যে রয়েছে ৫টি বেহুদী জাল।

    বুধবার (৭ জানুয়ারি) দিন ব্যাপী নিষিদ্ধ জাল নির্মূল করণের লক্ষে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এই জাল ও জাটকা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত অবৈধ জালের আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ টাকা। এসময় জব্দকৃত অবৈধ জাল গুলি পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং জাটকা গুলো এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

    বিশেষ কম্বিং অপরেশন পরিচালানা করেন জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা। অপারেশনে সার্বিক সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ডের সদস্য ও নৌ পুলিশের সদস্যরা।