Tag: নিষিদ্ধ পলিথিন

  • চট্টগ্রামে পলিথিন কারখানায় সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা

    চট্টগ্রামে পলিথিন কারখানায় সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা

    সারাদেশে নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (৩ নভেম্বর) এ অভিযান চালানো হয়।

    এ সময় চট্টগ্রামের আকবর শাহ বিশ্বকলোনী কাঁচাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি কারখানার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

    এছাড়াও কর্নেল হাট কাঁচাবাজারে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১১৬ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রামের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাফিল জাহান।

    এ বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাফিল বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধ করতে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে।

  • চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ থেকে ১৭০০ কেজি পলিথিন জব্দ : ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

    চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ থেকে ১৭০০ কেজি পলিথিন জব্দ : ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

    চট্টগ্রাম নগরীর ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকায় নিষিদ্ধ পলিথিনের গোডাউনে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় ওসমানিয়া গলির নামহীন একটি গোডাউন ও রহমান এন্ড ব্রাদার্সেরএকটি গোডাউন থেকে আনুমানিক ১৭০০ কেজি উৎপাদন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। এগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। একইসাথে উভয় প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    আজ ২ অক্টোবর সোমবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষে এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল মালেক জানান, আমরা পলিথিনমুক্ত নগরী গড়ার জন্য বদ্ধপরিকর। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • চট্টগ্রামে ৩ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ, গোডাউন সিলগালা

    চট্টগ্রামে ৩ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ, গোডাউন সিলগালা

    চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পলিথিন বিরোধী অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় বিভিন্ন কারখানা ও প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৯৭৬ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া একটি গোডাউন সিলগালা ও ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) নগরীর জেল রোড, আছাদগঞ্জ, রিয়াজউদ্দীন বাজার, চাক্তাই এবং বাকলিয়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা, এসএমএন জামিউল হিকমা ও হুছাইন মুহাম্মদ।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা জেল রোডের ১০টি দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় দোকানগুলোতে কোন নিষিদ্ধ পলিথিন পাওয়া না গেলেও একটি গোডাউনে তালাবদ্ধ অবস্থায় ব্যাপক পলিথিনের মজুদের সন্ধান মেলে। ছোট ছোট ১১টি কক্ষের তালা ভেঙে প্রায় দুই টন পলিথিন জব্দ করা হয়। এছাড়া গোডাউনের মালিক পালিয়ে যাওয়ায় গোডাউনের সবগুলো কক্ষে তালা লাগিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে দোকানে পলিথিন রাখার দায়ে এক ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    রিয়াজউদ্দীন বাজার এলাকার বেশ কিছু দোকান থেকে ৬০০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয় এবং মাহফুজ সালাম ও মো. আব্দুর রহমান নামে দুইজনকে ৩ হাজার করে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএমএন জামিউল হিকমা।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএমএন জামিউল হিকমা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বেশ কিছু দোকান থেকে ৬০০ কেজি পলিথিন জব্দ করেন এবং মাহফুজ সালাম ও মো. আব্দুর রহমান নামে ২ জন ব্যাক্তিকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    অন্যদিকে, নগরীর আছাদগঞ্জ, চাকতাই ও বাকলিয়া এলাকায় ৭টি কারখানা ও ২০টি মজুদকারি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ। এদের মধ্যে বিসমিল্লাহ পলি ইন্ডাস্ট্রিজ, সামরিন এন্টারপ্রাইজ, শাহজালাল প্যাকেজিং এন্ড প্রিন্টিং, মিজান পলিথিন মার্ট, যমুনা পলি, প্রাইম পলি, চিটাগং এক্সেসরিজ অন্যতম। পরিদর্শনের সময় নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদ রাখার দায়ে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং ৩৭৬ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।

    জব্দকৃত সকল পলিথিন ধ্বংস করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তিনজন সহাকারী পরিচালক, পাট উন্নয়ন সহকারী ও সিএমপি পুলিশ অভিযানে সহায়তা করেন।

    জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীকে পলিথিনমুক্ত করার লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে প্রশাসন আরও কঠোর হবে।’

  • পলিথিনজাত দ্রব্যের বিক্রয় ও মজুদ বন্ধ না হলে শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট

    পলিথিনজাত দ্রব্যের বিক্রয় ও মজুদ বন্ধ না হলে শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট

    বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। পলিথিন, শপিং ব্যাগ বা পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরী সামগ্রীর বহুল ব্যবহারের কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হয়ে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অপচনশীল পলিথিনের যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে ভরাট হচ্ছে মহানগরীর নালা-নর্দমা ও খাল-বিল। এতে করে দূষিত হচ্ছে পানি আর ভেঙ্গে পড়ছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা। পরিবেশ বাঁচাতে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে এবং বিকল্প হিসেবে পাট, কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সকল প্রকার পলিথিন ব্যাগ ও পলিইথাইলিনজাত দ্রব্য ব্যবহার, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, প্রদর্শন ও মজুদ বন্ধ করতে ব্যবসায়ীদেরকে আন্তরিক হতে হবে। অন্যথায় জেলা প্রশাসন কর্তৃক শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নেতৃত্বে আমরা সকলে মিলে দ্রুততম সময়ে পলিথিনমুক্ত নগরী গড়তে চাই।

    চট্টগ্রাম জেলা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসান স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

    তিনি জানান, দূষণ ও পলিথিনমুক্ত নগরী গড়তে হলে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পরিবেশ বান্ধব পাটজাত ব্যাগ কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এসব বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, দপ্তর, সংস্থা ও ব্যবসায়ীগণকে অবহিত করা হয়েছে।

    এডিএম রাকিব হাসান আরও জানান, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (২০১০ সনের ৫০নং আইন সংশোধিত) এর ৬ক ধারা ‘পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সামগ্রী উৎপাদন, বিক্রয় ইত্যাদিও উপর বিধিনিষেধ’-এর নির্দেশনা মোতাবেক কোন প্রকার পলিথিন, শপিং ব্যাগ, পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরী সামগ্রী আমদানী, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন নিষিদ্ধ। উক্ত আইনের বিধান অনুযায়ী মহানগরীর সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বিপনী বিতানে পলিথিন বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, বিক্রয়, বিতরণ ও ব্যবহার না করার জন্য বলা হলো। অন্যথায় বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (২০১০ সনের ৫০নং আইন সংশোধিত) এর ১৫(১) এর ৪ এর ৬(ক) ধারা মোতাবেক পলিথিন উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণের অপরাধে ০২ (দুই) বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক ০২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড এবং বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহণ বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের ফলে অনধিক ০১ (এক) বৎসরের কারাদন্ড বা ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড আদায় বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।

  • পরিবেশ অধিদপ্তর : পাহাড় কাটায় জরিমানা, রেয়াজউদ্দিন বাজারে জব্দ নিষিদ্ধ পলিথিন

    পরিবেশ অধিদপ্তর : পাহাড় কাটায় জরিমানা, রেয়াজউদ্দিন বাজারে জব্দ নিষিদ্ধ পলিথিন

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীতে পরিবেশের ক্ষতি করে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অপরাধে ৬ ব্যাক্তিকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর।

    এদিকে নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারে অধিদপ্তরের পৃথক অপর অভিযানে জব্দ করা হয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত প্রায় ১ টন পলিথিন ব্যাগ। এ সময় পলিথিন রাখার দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মকর্তার কাছ থেকে পনের হাজার পাঁচশ’ টাকা জরিমানা েআদায় করেন ম্যাজিস্ট্রেট।

    আজ ১১ নভেম্বর সোমবার সকালে অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে এক শুনানিতে পাহাড় কাটার দায়ে এ জরিমানার টাকা ধার্য্য করা হয়।

    পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মো. আজাদুর রহমান মল্লিক ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী স্টারশিপ নামীয় এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে মাটির টপ সয়েল নষ্ট ও পরিবেশের ক্ষতিসাধন করার অপরাধে ছয় ব্যক্তিকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    একই দিন দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শাহরীন ফেরদৌসীর নেতৃত্বে নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারের সুবর্ণ মার্কেট (পান বাজার) এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত প্রায় ১ টন পলিথিন ব্যাগ জব্দ করার পাশাপাশি নিষিদ্ধ এসব পলিথিন মজুদ রাখার অপরাধে মের্সাস আদিবা স্টোরের মালিক সারোয়ার ও তৌহিদুলকে ১৫ হাজার টাকা এবং মেসার্স আমেনা স্টোরের মালিক মো. আজাদকে ৫’শ টাকা জরিমানা করা হয়।

    অভিযানের বিষয়টি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেন পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশ গুপ্তা।