Tag: নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন

  • হুইপ শামসুল ও এমপি শাওনসহ ৫০ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

    হুইপ শামসুল ও এমপি শাওনসহ ৫০ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

    জাতীয় সংসদের হুইপ পটিয়ার সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী ও ভোলার সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ ৫০ জনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

    দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউতে এই সব চিঠি দেয়া হয়। চলমান শুদ্ধি অভিযানে নাম আসা ঠিকদার জিকে শামীম, হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামসহ অর্ধশত ব্যক্তির নাম তালিকায় রয়েছে।

    দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে এইসব চিঠি পাঠানো হয়। অভিযুক্তদের কয়টি ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে, একাউন্টগুলোতে কত টাকা রয়েছে এবং কবে কার কার সাথে লেনদেন হয়েছে – এসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে

  • হুইপ সামশুল-এমপি শাওনসহ ২২ জনের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা

    হুইপ সামশুল-এমপি শাওনসহ ২২ জনের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা

    চট্টগ্রামের পটিয়ার সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং ভোলা ৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ ২২ জনের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    ক্যাসিনোকাণ্ডে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    বুধবার এ সংক্রান্ত চিঠি পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর পাঠানো হয়েছে।

    সূত্র জানায়, দুদকের এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান দলের প্রধান ও সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এ চিঠি পাঠিয়েছেন।

    যাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময় গ্রেফতার হওয়া কয়েকজনের পাশাপাশি অনুসন্ধান চলমান থাকা ব্যক্তিদের নামও রয়েছে।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দেশে মানিলন্ডারিংসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

    বিশ্বস্ত সূত্রে দুদক জেনেছে, অভিযোগসংশ্লিষ্টরা দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই তারা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    গ্রেফতার হওয়া কথিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম, মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূইয়া, মোহামেডান ক্লাবের ডাইরেক্টর ইনচার্জ মো. লোকমান হোসেন ভূইয়া, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমান, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল আলম (ফিরোজ), অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানের (মিজান) বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

    নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রুপন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগের বহিষ্কৃত দফতার সম্পাদক কাজী কাজী আনিছুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমান, লোকমান হোসেন ভূইয়ার স্ত্রী নাবিলা লোকমান, গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের বিদেশযাত্রায়।

    এ ছাড়া এনামুল হকের সহযোগী ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ (আজাদ রহমান), রাজধানীর কাকরাইলের জাকির এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জাকির হোসেন ও সেগুনবাগিচার শফিক এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শফিকুল ইসলামের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

    অনুসন্ধানে যাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যাবে তাদের সবারই বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।