Tag: নুরুল আজিম রনি

  • নুরুল আজিম রনির বিরুদ্ধে “চাঁদা দাবির” অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

    নুরুল আজিম রনির বিরুদ্ধে “চাঁদা দাবির” অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

    চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন ইউনিএইড কোচিংয়ের পরিচালকের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে চাঁদা দাবির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।

    সোমবার (১০ জুলাই) দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ, চট্টগ্রাম এর বিচারক মোঃ আমিরুল ইসলাম অভিযোগ গঠন সংক্রান্ত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এ সময় দুই অভিযুক্ত আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

    অভিযুক্ত নুরুল আজিম রনির পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী এড. মোশারফ হোসেন জানান, “দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনীত দন্ডবিধির ৩৮৫ ধারার অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাদের চাঁদা দাবির অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন”।

    রনির অপর আইনজীবী এড.মিঠুন বিশ্বাস জানান, “রাষ্ট্রপক্ষ নুরুল আজিম রনি ও নোমান চৌধুরী রাকিবের বিরুদ্ধে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে দন্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা চাঁদা দাবির অভিযোগের সত্যতা পায়নি। তবে তাদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠন করার আদেশ দিয়েছেন আদালত”।

    উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৯শে এপ্রিল ইউনিএইড কোচিং এর পরিচালক রাশেদ মিয়া মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

  • হত্যার হুমকি বিএমএ নেতা ডা. ফয়সালের বিরুদ্ধে রনি’র জিডি

    হত্যার হুমকি বিএমএ নেতা ডা. ফয়সালের বিরুদ্ধে রনি’র জিডি

    খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।

    মঙ্গলবার (২৩ জুন) রাতে রনি পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ জমা দেন। পুলিশ অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে গ্রহণ করেছে। জিডির নম্বর- ৯১০/২০।

    পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, নুরুল আজিম রনি একটি অভিযোগ দিয়েছেন। সেটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

    তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ওসি।

    করোনা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রামের উদ্যোক্তা মো. সাজ্জাত হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে কথোপকথনের সময় রনি’র লাশ ফেলার হুমকি দিয়েছেন মর্মে কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে সংবাদ পরিবেশিত হয়।

    নুরুল আজিম রনি বলেন, মামলা দায়েরের জন্য থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম। পুলিশ সেটি জিডি আকারে গ্রহণ করেছে। আদালতের নির্দেশনা সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

    নুরুল আজিম রনিকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।

    ফয়সল ইকবাল চৌধুরী বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক।

    কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা না দেওয়ার নেপথ্যে এই বিএমএ নেতার মদদের অভিযোগ ওঠে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মনিটরিংয়ে স্থানীয় প্রশাসনের গঠিত কমিটির সদস্য করা হয়েছিল ফয়সল ইকবাল চৌধুরীকে। পরে বিতর্কের মুখে তাকে বাদ দেওয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ছাত্রলীগ নেতা রনির বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের মামলায় অস্ত্র ও চাঁদাবাজির সত্যতা পায়নি পুলিশ!

    ছাত্রলীগ নেতা রনির বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের মামলায় অস্ত্র ও চাঁদাবাজির সত্যতা পায়নি পুলিশ!

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ করে অস্ত্র ঠেকিযে চাঁদাবাজি ও হত্যার উদ্দ্যেশে মারধরের অভিযোগে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষের দায়ের করা একটি মামলার চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।

    এতে অভিযুক্ত চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক নুরুল আজিম রনিসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। সোমবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিমের আদালতে চার্জশিটটি দাখিল করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই বদিউল আলম।

    তবে প্রেরিত চার্জশিটে পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগের কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর হাকিমের আদালতে চার্জশিটটি দাখিল করা হয় সোমবার (২৮ অক্টোবর)। চার্জশিটে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের আরো ৬ নেতাকর্মীসহ মোট ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

    পুলিশের দেয়া চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খানের দায়ের করা অভিযোগে নুরুল আজিম রনির নির্দেশে তানভীর মেহেদি ও নেওয়াজ শরীফ তার ঘাড়ে পিস্তল ঠেকিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়ার যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে অনুমতি না নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে অনুপ্রবেশের সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ জব্দ করা হয়। এতে কলেজটির অধ্যক্ষের কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে তাকে থাপ্পড় ও মারধরের সত্যতা পাওয়া যায়।

    ভিডিও ফুটেজ ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের পর শিক্ষককে মারধর, অপরাধমূলক ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কলেজে অনধিকার প্রবেশের অপরাধে তিন ধারায় নুরুল আজিম রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়্ অন্যান্য আসামিদের শুধু একটি ধারায় (কলেজে অনধিকার প্রবেশ করার) অভিযোগ আনা হয়েছে।

    নুরুল আজিম রনি ছাড়া চার্জশিটে উল্লেখ থাকা অন্য ৬ আসামি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ, কলেজ ও বিভিন্ন ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কমিটির বিভিন্ন দায়িত্বে রয়েছেন। এরা হলেন তানভীর মেহেদি মাসুদ, নেওয়াজ শরীফ অমি, মজিবুর রহমান রাসেল, আরিফুর রহমান মাসুদ,নুরুল হুদা মিঠু ও কিরণ।

    অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি একজন মাদকাসক্ত দাবী করে রনির ডোপ টেস্ট করানোর জন্য আদালতে আবেদন করার কথা জানিয়েছেন মামলার বাদি চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ ড. জাহেদ।

    প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চে বিজ্ঞান কলেজের তিন শতাধিক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে উন্নয়ন ফি আদায়ের জন্য প্রবেশপত্র আটকে রেখেছিলেন অধ্যক্ষ জাহেদ খান। সেই প্রবেশপত্র আদায়ের জন্য নগর ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি আন্দোলনে নেমেছিলেন।

    ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ দুপুরে মহানগর ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ বিজ্ঞান কলেজে যায়। আন্দোলনের মুখে প্রবেশপত্র ফেরত দিতে বাধ্য হন জাহেদ খান। পরে সেই আন্দোলনের সময় জাহেদ খানকে ঘুষি দেয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিতর্কের মুখে পড়েন রনি।

    ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল রনিসহ তার কয়েকজন অনুসারীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে নগরীর চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন কলেজ অধ্যক্ষ জাহেদ খান।

    এদিকে ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষা বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম এবং মারধরের অভিযোগে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খানের বিরুদ্ধেও আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেম মো. নোমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ওই কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা ছাত্র জাকারিয়া হোসেন নাহিদ।

    মামলার আরজিতে নাহিদ উল্লেখ করেন, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর এইচএসসি পরীক্ষার সনদ ও ছাড়পত্রের জন্য বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে যান নাহিদ। তখন অধ্যক্ষ তার কাছে ছাড়পত্রের জন্য দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এ সময় নাহিদ টাকা ছাড়া ছাড়পত্র দিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ বাধ্য জানিয়ে টাকা দিতে অস্বকীকৃতি জানান।

    এতে অধ্যক্ষ ক্ষেপে গিয়ে নাহিদকে মারধর শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ তার গলা টিপে ধরে তাকে খুন করার হুমকি দেন। এ ঘটনায় নাহিদ চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে ওসি আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন বলে আরজিতে উল্লেখ করেন নাহিদ। ওই মামলার বাদী তখন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।