Tag: নেদারল্যান্ডস

  • নেদারল্যান্ডসের কাছে লজ্জার হার বাংলাদেশের

    নেদারল্যান্ডসের কাছে লজ্জার হার বাংলাদেশের

    আরও এক পরাজয়ের গল্প। আরও এক হতাশার গল্প বাংলাদেশের। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরর পর টানা চার হার। জয়ের আশায় শক্তির বিচারে পিছিয়ে থাকা নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে হতাশর ষোলকলা পূর্ণ করলো সাকিব আল হাসানের দল। ডাচদের কাছে ৮৭ রানে হেরে টানা পঞ্চম ম্যাচে হারের তেঁতো স্বাদ পেলো বাংলাদেশ।

    শনিবার (২৮ অক্টোবর) কলকাতার ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ডাচরা। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের ফিফটিতে ভর করে ২৩০ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ড। ৮৯ বলে ৬৮ রান করে এডওয়ার্ডস।

    ২৩১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চরম ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৪৫ রানের মধ্যে তিন ব্যাটারকে হারায় তারা। লিটন দাস ১২ বলে ৩, তানজিদ হাসান তামিম ১৬ বলে ১৫ ও নাজমুল হাসান শান্ত ১৮ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।

    শুরুর ধাক্কা সামাল দিতে ব্যর্থ সাকিব আল হাসান ও মেহেদি মিরাজ। স্কোর বোর্ডে ২৫ রান যোগ করতে আরও তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

    সাকিব ১৪ বলে ৫, মিরাজ ৪০ বলে ৩৫ ও মুশফিকুর রহিম ৫ বলে ১ রান করে আউট হন। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ লড়াই চালিয়েও ব্যর্থ হয়।

    দলীয় ১১৩ রানে ৪১ বলে ২০ রান করে রিয়াদ আউট হলে ম্যাচ থেকে একেবারে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এরপর দ্রুতই আরও হারিয়ে ৪২ ওভার ২ বলে ১৪২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ডাচদের পক্ষে পল ভ্যান মিকিরিন নেন ৪টি উইকেট।

     

  • দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্তম্ভিত করে ধর্মশালায় ডাচ রূপকথা

    দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্তম্ভিত করে ধর্মশালায় ডাচ রূপকথা

    ধর্মশালা থেকে অ্যাডিলেডের দূরত্ব কত হতে পারে? দূরত্ব যতই হোক দুটি শহরকে আজ যেন একসূতোয় গাঁথল নেদারল্যান্ডস। প্রায় বছর খানেক আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্তম্ভিত করে ম্যাচ জিতেছিল ডাচরা। এবার ফরম্যাটটা ভিন্ন। কিন্তু ফলাফলটা একই। ১২ বছর পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে নেমে ধর্মশালায় রূপকথা লিখল ডাচরা। অথচ প্রোটিয়ারা আগের দুই ম্যাচে দুই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়াকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়ের পর আরেকটি বড় অঘটনের সাক্ষী হলো চলতি বিশ্বকাপ।

    মঙ্গলবার ধর্মশালার হিমাচল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে বৃষ্টি বাধায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪৩ ওভারে। যেখানে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান তুলে নেদারল্যান্ডস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন স্কট এডওয়ার্ডস। জবাবে খেলতে নেমে ৪২ ওভার ৫ বলে ২০৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে ৩৮ রানের জয় পায় ডাচরা।

    ২৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দেখে-শুনে করেছিলেন টেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি কক। আগের দুই ম্যাচে টানা সেঞ্চুরি করা ডিক কক আজ দ্রুতই ফিরেছেন। অবশ্য শুরুটা ভালোই করেছিলেন এই ওপেনার। তবে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না। ২২ বলে করেছেন ২০ রান।

    ডি কক ফেরার পর বাভুমাও টিকতে পারেননি। ফন ডার মারউইয়ের লেন্থ ডেলিভারীতে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে প্রোটিয়া অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৩১ বলে ১৬ রান।

    এরপর এইডেন মার্করাম-রাসি ফন ডার ডুসেনরাও সুবিধা করতে পারেননি। দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ফিরেছেন এই দুই ইনফর্ম ব্যাটার। তাতে দলীয় অর্ধশতক পূরণের আগেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

    দলকে এমন অবস্থা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ডেভিড মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেন। তবে ২৮ রান করে ক্লাসেন ফিরলে ভাঙে ৪৫ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। এরপর মিলারকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মার্কো জানসেন। এই অলরাউন্ডার ৯ রান করে ফিরেছেন।

    বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনেও এক প্রান্তে সাবলীল ছিলেন মিলার। তবে ৩১তম ওভারে এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ডাচরা। ফল ভেকের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫২ বলে ৪৩ রান। এরপর জেরাল্ড কোয়েটজে চেষ্টা করেছেন। তবে তার ২২ রানের ইনিংস কেবলই ব্যবধান কমিয়েছে।

    এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ২২ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। সেখান থেকে ৮২ রানেই ৫ উইকেট হারায় তারা। তবে ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মাঝে ব্যতিক্রম ছিলেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। প্রোটিয়া বোলারদের চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে দলকে টেনে তুলেছেন একাই।

    শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৪৩ ওভার শেষে ৮ উইকেট ২৪৫ রানে থামে নেদারল্যান্ডস। শেষ দিকে ৯ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন আরিয়ান দত্ত। এছাড়া ১৯ বলে ২৯ রান করেন রোয়েলফ ভ্যান ডের মেরওয়ে। ২৫ বলে ২০ রান করেন তেজা নিদামানুরু।

    দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন লুঙ্গি এনগিদি, কাগিসো রাবাদা ও মার্কো জানসেন। তাছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন জেরাল্ড কোয়েটজে ও কেশব মাহারাজ।

  • টাইব্রেকারে ডাচদের কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

    টাইব্রেকারে ডাচদের কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

    আবারও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা। ২০১৪ বিশ্বকাপের পর ফের সেমিফাইনালে উঠলো দলটি। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে সমতায় থেকে শেষ হয়৷ অতিরিক্ত সময়েও গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজের দৃঢ়তায় ৪-৩ ব্যবধানের জয়ে সেমিফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ ব্যবধানে সমতায় শেষ হয়।

    ম্যাচে দুই পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজান আর্জেন্টাইন কোচ স্কালোনি। ৪-৩-৩ ফরমেশন থেকে সরে এসে ৩-৫-২ ফরমেশনে এদিন খেলান তিনি।

    ডাচদের বিপক্ষে শুরু থেকে বল দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। ম্যাচের ১৪ মিনিটে বাম পাশ থেকে আকুনার জোরালো ক্রসে ম্যাকএলিস্টার বল মাথা ছোঁয়াতে পারলে এগিয়ে যেতে পারতো আর্জেন্টিনা।

    ২৩ মিনিটে আবারও সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। এবার ডি বক্সের বাইরে থেকে মেসি তার নিজস্ব জায়গা থেকে বল পেয়ে দূরপাল্লার শট নিলে বল চলে যায় গোলবারের ওপর দিয়ে। এর ২ মিনিট পরে সুযোগ পেয়েছিল ডাচরাও। কিন্তু বারুইনের শট চলে যায় গোলবারের বাইরে দিয়ে।

    ৩৪ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ডি পলের দুর্বল শট রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক। এর ঠিক ১ মিনিট পরেই আসে কাঙ্ক্ষিত সেই গোল। মাঝমাঠ থেকে বল একাই টেনে নিয়ে যান মেসি। ডি বাইরে বাইরে থেকে তিন ডিফেন্ডারের পায়ের মাঝ দিয়ে দর্শনীয় এক পাস দিলে মলিনা সেটিকে কোন রকম কার্পণ্য না করে গোলে পরিণত করেন।

    এক গোলে এগিয়ে দুর্বার খেলতে থাকে স্কালোনির দল। ৪১ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন মেসিও। কিন্তু ডিবক্সের ভেতর থেকে মেসির ডান পায়ের শট সোজা চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে। শেষের দিকে ডাচরা গোলের চেষ্টা করলেও আর গোল পায়নি তারা। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

    বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় ডাচরা। ৬৪ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। মেসির বা পায়ের বুলেট গতির শট গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়।

    ৭২ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর আকুনাকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। স্পট কিক থেকে পেনাল্টিতে গোল করে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। এবারের বিশ্বকাপে এটি তার ৪র্থ গোল এবং সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে এটি তার ১০ম গোল।

    দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও আক্রমণের ধার কমায়নি নেদারল্যান্ডস। ৮৪ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে ডাচদের হয়ে হেডে গোল করেন বদল হিসেবে নামা উইঘোর্স্ট।

    এক গোল শোধ দিয়ে আরও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ডাচরা৷ ৮৬ মিনিটে উইঘোর্স্ট বা পায়ের শট জাল ঘেষে বের হয়ে যায়। ম্যাচের শেষ দিকে যেন নাটকের প্লট নতুন করে লেখে নেদারল্যান্ডস।

    বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল হতে আর মাত্র ১ মিনিট দূরে আর্জেন্টিনা। এমন সময়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক অয়ায় নেদারল্যান্ডস। দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি কিক থেকে গোল করব ডাচদের ঐতিহাসিকভাবে ম্যাচে ২-২ গোলে সমতায় ফেরান উইঘোর্স্ট। ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে।

    অতিরিক্ত সময়ের ১০৫ মিনিটে মেসির ফ্রি কিক থেকে ডি বক্সের ভেতর বাড়ানো বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হন ওটামেন্ডি। ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে এনজো ফার্নান্দেজের দূরপাল্লার শট বার পোস্টে লেগে প্রতিহত হলে হতাশায় মুষড়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

    টাইব্রেকারে ডাচদের প্রথম ২ টি শটই রুখে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। মেসির প্রথম ৩টা স্পট কিক থেকে গোল করলেও ৪র্থ শটে মিস করেন এনজো ফার্নান্দেজ। একদম শেষ শটে লাউতারো মার্টিনেজ গোল করে আর্জেন্টিনাকে ৪-৩ ব্যবধানের জয় এনে দেন পেনাল্টি থেকে।

  • যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস

    যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস

    ম্যাচের সবে শুরু। ঘড়ির কাটা দুই মিনিটও ঘোরেনি। এর মধ্যেই গোল করে এগিয়ে যাওয়া সুযোগ হারান যুক্তরাষ্ট্রের নাম্বার টেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক। তিনি ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ হতে না পারলেও ডাচম্যান মেম্পিস ডিপাই নিঁখুত শট নিতে ভুল করেননি। ম্যাচের ১০ মিনিটে তার এনে দেওয়া শুরুয় ৩-১ গোলের জয়ে মাঠ ছেড়েছে নেদারল্যান্ডস। মার্কিনদের বিদায় করে উঠে গেছে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে।

    তরুণ প্রজন্মের যুক্তরাষ্ট্রকে সমীহ করে তিন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার নিয়ে কৌশল সাজান কিংবদন্তি ডাচ কোচ লুইস ভ্যান গাল। মার্কিনরা আক্রমণে উঠলেও যাতে দেয়াল ভাঙতে না পারে, কোনঠাসা হলে যাতে দুই ফুলব্যাক আক্রমণ শানাতে পারেন এটাই ছিল তার তত্ত্ব। তার ওই থিওরি ভুল হয়নি। প্রথমার্ধেই ফেবারিট হয়ে আসা ডাচরা ২-০ গোলের লিড নেয়।

    ডিপাইয়ের প্রথম গোলের পর দলকে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় লিড এনে দেন ডেভি ব্লাইন্ড। ম্যাচের শুরুতে ডিপাইকে গোল করান ইন্টার মিলানে খেলা রাইট ব্যাক ডেঞ্জেল ডামফ্রাইস। ব্লাইন্ডকে দিয়েও গোল করান ২৬ বছর বয়সী এই ফুলব্যাক। যেন ডাচ কোচের কষা ছকে পা দিয়ে পিছিয়ে পড়া।

    প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণ ভিন্ন পথ খোলা ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের। বলের দখল নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে গোল পোস্টে ছয়টি ভালো শট নেয় মার্কিনরা। কিন্তু ডাচ গোলরক্ষক নোপার্টে আটকে যাচ্ছিল অ্যাটাক। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে হাজি রাইট গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। ব্যবধান কমিয়ে করেন ২-১। তাদের সামনে তখন কামব্যাকের স্বপ্ন।

    ওই স্বপ্নে ‘ডালপালা’ গজানোর আগেই ভেঙে দেন ডামফ্রায়েস। তিনি ৮১ মিনিটে গোল করে দলকে বড় জয় এনে দেন। সবার আগে ডাচদের তুলে নেন বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। কমলা জার্সির দলটির এখন প্রতিপক্ষের অপেক্ষা। শনিবার রাতের ম্যাচে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া। ওই ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নামবে ভ্যান গালের শিষ্যরা।

  • গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে নেদারল্যান্ডস

    গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে নেদারল্যান্ডস

    প্রথম ম্যাচে সেনেগালের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারছিল না ফেবারিট হয়ে বিশ্বকাপে আসা নেদারল্যান্ডস। বরং সাদিও মানেবিহীন আফ্রিকার দলটি ভয় ধরাচ্ছিল রক্ষণে। ওই ম্যাচে ডাচদের ২-০ গোলের জয়ের নায়ক ছিলেন ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড কোডি গাকপো। ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১-১ গোলে সমতার ম্যাচে ছয় মিনিটে গোল করেছিলেন তিনি।

    এবার স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও নেদারল্যান্ডসের জয়ের নায়ক তরুণ এই উইঙ্গার। এবারও তিনি দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। দলকে ২-০ গোলের জয় এনে দিতে পরে জালে বল পাঠিয়েছেন ফ্রেঙ্কি ডি জং। এই জয়ে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শেষ ষোলোর পা রেখেছে রাশিয়া বিশ্বকাপে জায়াগা না পাওয়া নেদারল্যান্ডস।

    ম্যাচের ২৬ মিনিটে দলের হয়ে প্রথম গোল করেন কোডি গাকপো। ডাচ লিগে খেলা এই তরুণ গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই গোল করেছেন। দলের অন্য গোলটি আসে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। বার্সায় খেলা মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি জং ৪৯ মিনিটে গোল করে দলকে বড় জয়ের পথে এগিয়ে নেন। পরে স্বাগতিকদের জালে আর বল পাঠাতে পারেনি তিনবার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে শিরোপা জিততে না পারা নেদারল্যান্ডস।

    অন্যদিকে এই হারে কাতার গড়েছে লজ্জার এক রেকর্ড। গ্রুপ পর্বে তো বিদায় হয়েছেই, বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম স্বতন্ত্র স্বাগতিক হিসেবে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই হারের স্বাদ পেয়েছে তারা। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপের স্বাগতিক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা গ্রুপ পর্ব পার হতে না পারলেও গ্রুপের সব ম্যাচে হারেনি।

  • ডাচদের রুখে দিল ইকুয়েডর

    ডাচদের রুখে দিল ইকুয়েডর

    এবারের বিশ্বকাপে যেন চমকের শেষ নেই। সৌদি আরব, ইরান, জাপানের মত মাঝারি সারির দল বিশ্বকাপে বড় দলগুলোর জন্য অভিশাপ হয়ে এসেছে। সেই তালিকায় এবার নাম লেখালো ইকুয়েডরও। শক্তিশালি ডাচদের ১-১ গোলের ব্যবধানে রুখে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল করলো লাতিন আমেরিকার এই দলটি। নেদারল্যান্ডসের হয়ে গাকপো এবং ইকুয়েডরের হয়ে গোল করেন এনার ভ্যালেন্সিয়া।

    ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণ করে গোল তুলে নেয় নেদারল্যান্ডস। গাকপোর ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া বা পায়ের শট খুঁজে পায় গোলের ঠিকানা। মাত্র ৬ মিনিটে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। এবারের টুর্নামেন্টে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত গতির গোল। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছিল লাতিন আমেরিকার দলের বিপক্ষে যেখানে মাত্র দুই বার হারের মুখ দেখেছে ডাচরা।

    গ্রুপ পর্বে টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকা ডাচরা মাঝমাঠের দখল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ইকুয়েডরের রক্ষণভাবে আঘাত হানার চেষ্টা করে। কিন্তু বারবারই ইকুয়েডরের রক্ষণভাবে বল বাধা পেয়ে ফিরে আসে। ম্যাচের ৩২ মিনিটে আগের ম্যাচের জোড়া গোল করা ভ্যালেন্সিয়ার শট দুর্দান্তভাবে রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক নোপার্ট। প্রথমার্ধ শেষের ১ মিনিটে আগে ইকুয়েডরের এস্তোপিনান গোল করলেও সেটি অফসাইডের কারণে বাতিল হলে ১-০ গোলে ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় নেদারল্যান্ডস।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই যেন ডাচদের চেপে ধরে ইকুয়েডর। ৪৯ মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোল আদায় করে নেয় ইকুয়েডর। আবারো দলের হয়ে গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। ডান পাশ থেকে ইস্তুপিনানের বুলেট গতির শট ডাচ গোলরক্ষক রুখে দিলেও রিবাউন্ডে গোল করে দলকে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফেরান এনার ভ্যালেন্সিয়া। কাতার বিশ্বকাপে তার গোল সংখ্যা দাঁড়ালো তিনে।

    গোল দিয়ে যেন আরো উজ্জ্বীবিত হয়ে খেলতে থাকে ইকুয়েডর। ৫৯ মিনিটে ভাগ্য দেবতা যেন মুখ ফিরিয়ে নেয় ইকুয়েডরের থেকে। প্রিসাইডোর দূর পাল্লার শট গোলবারে লেগে ফিরে আসলে নিশ্চিত গোলবঞ্চিত হয় এই লাতিন দলটি। বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ানদের বিপক্ষে ৭ বারের মোকাবেলায় মাত্র ২ বার জয়ের দেখা পাওয়া ইকুয়েডর, ৬৪ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ তৈরি করে। ডান পাশ থেকে ভ্যালেন্সিয়ার বাড়ানো ক্রসে প্লাটা ঠিক সেভাবে গোলমুখে শট নিতে পারেননি।

    ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছু সময় ইকুয়েডরের জন্য দুঃসংবাদ হয়ে আসে ভ্যালেন্সিয়ার ইনজুরি। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় এই ইকুয়েডেরিয়ানকে। শেষ দিকে ডাচরা গোলের চেষ্টা করলেও ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাদেরকে। এই ড্রতে দুই দলেরই সমান ৪ পয়েন্ট হলো এবং বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল স্বাগতিক কাতার।

  • সেনেগালকে হারিয়ে ডাচদের বিশ্বকাপ প্রত্যাবর্তন

    সেনেগালকে হারিয়ে ডাচদের বিশ্বকাপ প্রত্যাবর্তন

    সাদিও মানের বিশ্বকাপে না থাকাটা যে সেনেগালের জন্য কতটা অপূরণীয় ক্ষতি সেটা হারে হারে টের পেলো আফ্রিকান দলটি। নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে লড়াই করেও ডাচদের বিপক্ষে ২-০ গোলের ব্যবধানে হার বরণ করতে হয় তাদের। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে গাকপো এবং খেলা শেষের অতিরিক্ত সময়ের অষ্টম মিনিটে গোল করে দলকে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা এনে দেন ক্লাসেন।

    ম্যাচের ৪ মিনিটেই পিএসভির মিডফিল্ডার গাকপোর করা ব্যাকহিল থেকে বারউনের শট সেনেগালের ডিফেন্স ব্লক করে দেয়। ম্যাচের ৯ মিনিটে বল পায়ে সেনেগালের সার-এর করা শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

    ১৭ মিনিটে আবারো লাইমলাইটে গাকপো। তার বাড়ানো বলে ডেলে ব্লাইন্ডের হেড গোলবারে লেগে বাইরে চলে যায়। ১৯ মিনিটে সহজ সুযোগটি মিস করেন ডি ইয়ং। কর্নার থেকে ডি বক্সের ভেতর বল পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন এই বার্সা মিডফিল্ডার। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ডাচ মিডফিল্ডার বারঘুইসের শট সেনেগালের চেলসির মিডফিল্ডার এডোয়ার্ডো মেন্ডি দুর্দান্তভাবে রুখে দেন। বল পজিশনে সমান অবস্থানে থেকে দুই দলই প্রথমার্ধ শেষ করে।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ধার বাড়ায় দুই দল। ৫৩ মিনিটে গাকপোর কর্নার থেকে ভার্জিল ভ্যান ডাইকের হেড গোলবারের সামান্য ওপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে গায়ার দূরপাল্লার বুলেট গতির শট দুর্দান্তভাবে রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক নোপার্ট। দুই দলই যখন গোলশূন্য ড্র করে ম্যাচ শেষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখনই জলে ওঠেন পিএসভির ফরোয়ার্ড গাকপো। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে বার্সা মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের নজরকাড়া ক্রসে হেড দিয়ে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোলটি করেন গাকপো।

    ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত সময় পার করছেন তিনি। বিশ্বকাপে আসার আগে ক্লাবের হয়ে ১৩ গোল ও ১৮টি এসিস্ট করেছেন পিএসভির হয়ে। গোল শোধে মরিয়া হয়ে পড়ে সেনেগাল। অলআউট ফুটবল খেলতে গিয়ে আরও এক গোল খেয়ে বসে তারা। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষের পর অতিরিক্ত সময়ের অষ্টম মিনিটে ডাচদের হয়ে আরেকটি গোল করেন ক্লাসেন। ফলে ২-০ গোলের ব্যবধানে জয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করলো লুই ভ্যান হালের নেদারল্যান্ডস। অন্যদিকে হেরে কিছুটা বিপাকেই পড়লো সেনেগাল। কারণ এর পরের ম্যাচে জয় না পেলে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের শঙ্কা জাগবে তাদের।

  • ডাচদের কাছে হেরে বিদায় দ. আফ্রিকার

    ডাচদের কাছে হেরে বিদায় দ. আফ্রিকার

    অ্যাডিলেড ওভালে ঘটলো আরেকটি অঘটন। ইতিহাস গড়লো নেদারল্যান্ডস। নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলকে ১৩ রানে হারিয়ে দিয়েছে ডাচরা। সে সঙ্গে প্রোটিয়াদের বিদায় নিশ্চিত করে দিয়েছে তারা এবং সঙ্গে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের জন্য দারুন সুযোগ তৈরি করে দিলো নেদারল্যান্ডস।

    পরের ম্যাচে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যকার বিজয়ী দল‌ই ভারতের সঙ্গে উঠে যাবে সেমিফাইনালে। সাকিব-বাবরদের দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ৪ করে।

    অ্যাডিলেড ওভালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অসাধারণ খেলেছিলো নেদারল্যান্ডস। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৫৮ রান।

    ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৪৫ রানেই থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে গিয়ে সিএমপির দুই কনস্টেবল লাপাত্তা

    নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে গিয়ে সিএমপির দুই কনস্টেবল লাপাত্তা

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আট সদস্যের একটি দল নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে গিয়েছিল গত ৯ মে। কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষ করে ফিরে আসার আগের দিন ২২ মে থেকে দুই কনস্টেবলের খোঁজ মিলছে না। বাকি ছয় সদস্যের দলটি প্রশিক্ষণ শেষ করে গত ২৪ মে দেশে ফিরেছে।

    শুক্রবার (২৭ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) আমির জাফর। নিখোঁজ কনস্টেবলরা হলেন, শাহ আলম ও রাসেল চন্দ্র দে।

    তিনি বলেন, গত ৯ মে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮ সদস্যের একটি দল কুকুরের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও প্রশিক্ষণ শীর্ষক ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডসে যায়। কিন্তু দেশে আসার আগের দিন দুইজন কনস্টেবল ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাইরে যান। এরপর থেকে তাদের খোঁজ মিলছে না। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে পালিয়ে গেছেন নাকি কোনো বিপদে পড়েছেন তা এখনও জানা যায়নি, জানার চেষ্টা চলছে।

    তিনি বলেন, আমরা পুলিশ সদর দপ্তর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি। নিখোঁজ হওয়া দুজনই পুলিশ কনস্টেবল। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার-টেররিজম ইউনিটের অধীনে একটি পূর্ণাঙ্গ ডগ স্কোয়াড ইউনিট খোলা হচ্ছে। আর সেই ইউনিটের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮ সদস্যের দলটি গত ৯ মে বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডসে যায়। ওই দলের বাকি ৬ সদস্য গত ২৪ মে দেশে ফেরেন।