Tag: নোবিপ্রবি

  • নোবিপ্রবিতে শিক্ষকদের দেড় মাস ক্লাস পরীক্ষা বর্জনে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

    নোবিপ্রবিতে শিক্ষকদের দেড় মাস ক্লাস পরীক্ষা বর্জনে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

    নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি সমাধান। দেড় মাস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত থাকায় ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

    করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে সারাদেশে সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্যাহত হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। এতে সেশনজটসহ নানা ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গত ২৫ জুন ইউজিসির সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে সম্মতি জানান। পরবর্তীতে ৩০ জুন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

    এরপর বিভিন্ন বিভাগে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলতে শুরু করলেও গত ১ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু থাকলেও গত দেড় মাস ধরে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

    শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যদি শিক্ষার্থী বান্ধব হতো তাহলে নিজেদের স্বার্থের জন্য এভাবে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে থাকতেন? এভাবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আস্থার জায়গা হারিয়ে ফেলতেছি।

    আবিরুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাস না করাতে চাইলে আমাদের ক্লাসের উপাদানগুলো দিয়ে দেওয়া হোক। পরবর্তীতে ক্যাম্প্যাস খুললে আমরা পরীক্ষা দিয়ে দিবো।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের ক্লাস, সিটি, এ্যাসাইনমেন্ট, সব কিছু এই বর্ষের মধ্যেই শেষ করতে হবে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সাথে সাথে পরীক্ষা দিতে পারি। আমাদের জীবন থেকে ১ টা বছর নষ্ট হয়ে গেছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস হয় কিন্তু আামদের ক্লাস হচ্ছে না। আবার পরীক্ষা ও ফলাফল দিতে বিলম্ব হবে এবং চাকরির বাজারেও আমরা পিছিয়ে পড়ছি। হয়তো উনারা আমাদের কথা চিন্তা করছে নাহ কিন্তু দিন দিন আমরা মানসিক ভাবে ভেঙে পরছি।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করলেতো হয়না। ক্লাস এর ব্যবস্থা অবশ্যই করা উচিত অথবা যেন খুলে দিলে পরীক্ষা নিতে পারে সে ব্যবস্থা করা উচিত। প্রশাসন ফাইনাল ইয়ার এর স্টুডেন্ট এর ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে দিতে পারবে? এভাবে হয়না। যেখানে অন্য জায়গায় আমাদের জুনিয়র ব্যাচ এর শিক্ষার্থীরা বের হয়ে যাচ্ছে আবার আমাদের সাথে অন্য ব্যাচের সবারই কোর্স শেষ। সেখানে এভাবে ক্লাস বন্ধ রেখে স্টুডেন্ট দের বসিয়ে রাখার অর্থ হয় না!

    মহিউদ্দিন খন্দকার সজীব নামে এক শিক্ষার্থী স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, আমার সম্মানিত শিক্ষকরা কি আমার কিংবা আমাদের কথা ভাবছেন? তারা কি আমাদের ভালবাসছেন, যেভাবে আমরা তাদের ভালবাসি? আমার সম্মানিত শিক্ষকরা চাইছেন শিক্ষক নিয়োগ যাতে চালু হয়। কেন চাইছেন? যাতে করে যেসকল ডিপার্টমেন্টে শিক্ষক কম সেসকল ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষার্থীরা ঠিক ভাবে ক্লাস করতে পারেন। এইজন্য উনারা কি করছেন? বর্তমান ক্লাস বয়কট করে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। ব্যাপারটা কেমন আইরনিকাল হয়ে গেলো না?

    এইদিকে ২০১৬ সালে ৭ ফেব্রুয়ারী ১৪ টি বিভাগের ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। অনেক বিভাগের ইতিমধ্যে অনার্সের সকল একাডেমিক কার্যক্রম ও চূড়ান্ত ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। কোনো কোনো বিভাগের মাস্টার্সের ক্লাসের ১ম সেমিষ্টার ও প্রায় শেষের পথে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বর্ষের শিক্ষার্থী হয়েও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যস্থাপনা বিভাগ, ইংরেজী বিভাগ, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগ এবং জৈবপ্রযুক্তি ও জীন প্রকৌশল বিভাগের ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় নি।

    এ সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানেও না তারা কবে পরীক্ষায় বসতে পারবে, আর কবেই বা চুড়ান্ত ফলাফল হাতে পাবে। এদিকে ১ বছরের জুনিয়র হওয়ার পরও শিক্ষাবর্ষ ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ একই সেমিষ্টারে অবস্থান করছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ বর্ষের অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা আটকা পড়ে আছে। কারো সেমিস্টার ফাইনাল বাকি কারো প্রজেক্ট, থিসিসের ডিফেন্স বাকি। এইভাবে দ্বিমুখী সমস্যায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরাও দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন।

    দেড় মাস ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, যেহেতু সবকিছু অনলাইনেই তাই পরবর্তীতে ক্লাস বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে। অতিদ্রুত বিষয়টি সমাধান হয়ে গেলে শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

    এবিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হচ্ছে সেটি খুবই দুঃখজনক। আগামীকাল এবিষয়ে শিক্ষকদের ডেকে বিষয়টি সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ হয়েছে। শিক্ষা সচিব অসুস্থ থাকায় বিষয়টি সমাধান হতে দেরী হচ্ছে। আশা করি আগামী দু-একদিনের মধ্যে শিক্ষা সচিব অফিস কার্যক্রমের ফিরবে এবং নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যাটি সমাধান করবে।

    অনার্স এবং মাস্টার্সের লাস্ট সেমিস্টারে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে আসলে এমতাবস্থায় কি করা যায় আমরা বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করব।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/অনামিকা

  • নোবিপ্রবির ৫টি বিভাগ সেশনজটের কবলে, অনিশ্চয়তায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা

    নোবিপ্রবির ৫টি বিভাগ সেশনজটের কবলে, অনিশ্চয়তায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : এক বুক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ৪ বছরের অনার্স পড়াশোনা শেষে চাকরি বাজারে প্রবেশ করে পরিবারের হাল ধরার স্বপ্ন থাকে অনেক শিক্ষার্থীর। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সেশনজটে মধ্যে আটকা পড়ে সে স্বপ্ন এখন কেবলই স্বপ্নই রয়ে গেছে। ফলে,শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি হয়েছে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম হতাশা ও অনিশ্চয়তা।

    এমনই ঘটনা দেখা গিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ৫ বিভাগে। খবর নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের বেশিরভাগ বিভাগের ইতিমধ্যে অনার্সের সকল একাডেমিক কার্যক্রম ও চূড়ান্ত ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। কোনো কোনো বিভাগের মাস্টার্সের ক্লাসের ১ম সেমিষ্টার ও প্রায় শেষের পথে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সেশনে শিক্ষার্থী হয়েও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যস্থাপনা বিভাগ,ইংরেজী বিভাগ, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগ এবং জৈবপ্রযুক্তি ও জীন প্রকৌশল বিভাগের ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় নি। এ সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানেও না তারা কবে পরীক্ষায় বসতে পারবে, আর কবেই বা চুড়ান্ত ফলাফল হাতে পাবে।এদিকে ১ বছরের জুনিয়র হওয়ার পরও শিক্ষাবর্ষ ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ একই সেমিষ্টারে অবস্থান করছে।

    অনেক শিক্ষার্থী পরিবার এর মুখ্য ব্যক্তি হওয়াতে তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছে। গ্রাজুয়েশন শেষ না হওয়ায় সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা গুলোতে অংশ নিতে পারছেন না হতভাগ্য এ সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি, বেসরকারি চাকরিতে নিয়োগের বেলায় বিশ্বববিদ্যালয়ের এ সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েছে।

    ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বিন ইসলাম নাদিম বলেন,
    বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক মাননীয় উপাচার্য মহোদয় প্রফেসর ড. মো.দিদার উল আলম স্যার সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। স্যার দয়া করে দ্রুত এই অচল অবস্থা থেকে আমাদের উদ্ধার করুন। আমরা সাধারন শিক্ষার্থীরা আশা রাখছি আপনারা অবশ্যই আমাদের জন্য সুন্দর একটি সমাধান ব্যবস্থা করে দিবেন যেখানে দ্রুতই আমরা আমাদের অনার্স কার্যক্রম টি শেষ করতে পারি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/অনামিকা

  • নোবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু ম্যুরালকে অবমাননা, ফেসবুকে নিন্দার ঝড়

    নোবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু ম্যুরালকে অবমাননা, ফেসবুকে নিন্দার ঝড়

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু ম্যুরালকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিকৃত করা হয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধুর ছবির স্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূরের ছবি বসিয়ে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) ফেসবুকের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ নামক গ্রুপে মুহম্মদ মুমিন আদদ্বীন নামক একটি একাউন্ট থেকে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালকে অবমাননা করে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। এতে নোবিপ্রবির প্রধান ফটকে থাকা বঙ্গবন্ধু ম্যুরালকে উদ্দেশ্য করে দুই শিশুর বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের চিত্রে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি পরিবর্তন করে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ছবি দিয়ে বিকৃত করে প্রচার করা হয়।

    এই নেক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে নোবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থী সহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা- কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় তোলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমহল থেকে উক্ত ছবি বিকৃতকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার এবং উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবী জানানো হয়েছে।

    এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম রবিন বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী কর্তৃক বিকৃতির বিষয়টি খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এমন বিকৃত চিত্র সম্পাদনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ছবি এডিটের মাধ্যমে বিকৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।”

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ছবি পরিবর্তন করে নূরুর ছবি দেওয়া অনেক বড় অন্যায়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শৃংখলা বোর্ডের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/অনামিকা

     

  • যথাযোগ্য মর্যাদায় নোবিপ্রবিতে শোক দিবস পালিত

    যথাযোগ্য মর্যাদায় নোবিপ্রবিতে শোক দিবস পালিত

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।

    শনিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম নেতৃত্বে শোক র‍্যালী বের হয়। র‍্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্তর প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড মো. ফারুক উদ্দিন, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক মাজনুর রহমান, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ এবং ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট আনিসুজ্জামান রিমনসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, “জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রুপকল্প সামনে নিয়ে নোবিপ্রবিকেও নিয়ে যেতে চাই সাফল্যর স্বর্ণ শিখরে। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফারুক উদ্দিন এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ এবং সাংবাদিক সমিতির সদস্যসহ আরো অনেকে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/অনামিকা

  • নোবিপ্রবিতে মৎস্য সপ্তাহ ২০২০ উদযাপিত

    নোবিপ্রবিতে মৎস্য সপ্তাহ ২০২০ উদযাপিত

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২০ উদযাপন করা হয়েছে।

    এ উপলক্ষে নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিনের উপস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে (২৩ জুলাই ২০২০) ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অংশগ্রহণে র‍্যালি বের করা হয়।

    ‘মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করি, সুখি সমৃৃদ্ধ দেশ গড়ি ’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে অনুষ্ঠিত র‍্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে নোবিপ্রবি নীল দীঘিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে নীল দীঘিতে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সরকার, সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ-আল মামুনসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/অনামিকা

  • নিজস্ব ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করায় নোবিপ্রবির প্রশংসায় ইউজিসি

    নিজস্ব ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করায় নোবিপ্রবির প্রশংসায় ইউজিসি

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে মহামারী পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে থাকায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম ও নোবিপ্রবি পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

    মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসাইন। ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

    স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয় , মরণব্যাধি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী যে তাণ্ডব চালাচ্ছে, তা থেকে রক্ষা পায়নি আমাদের বাংলাদেশ। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।

    গত ২৪ জুন তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ১৫৮তম সভায় আপনার এই ধরনের কার্যক্রম আনন্দিত ও প্রশংসিত হয়েছে। এমন কাজের জন্য পূর্ণ কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাকে ও আপনার বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

    উল্লেখ্য, নোবিপ্রবির নিজস্ব পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে গত এপ্রিল মাস থেকে কোভিড-১৯ শনাক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। মূলত, নোয়াখালী, লক্ষীপুর ও চাঁদপুর জেলার সংগ্রহীত নমুনাসমূহ নোবিপ্রবি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/অনামিকা

  • সিসি ক্যামেরা না থাকায় বাড়ছে অপরাধ প্রবনতা,নোবিপ্রবিতে অফিস ভাঙচুর

    সিসি ক্যামেরা না থাকায় বাড়ছে অপরাধ প্রবনতা,নোবিপ্রবিতে অফিস ভাঙচুর

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) প্রক্টর অফিস সংলগ্ন নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির দপ্তরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতেও সিসি টিভি ক্যামেরা না থাকায় প্রত্যেক ছুটিতেই বাড়ছে অপরাধ প্রবনতা।

    বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামের ২য় তলায় দপ্তর ভাঙচুর অবস্থায় পান সংগঠনের সদস্যরা। তারা জানান, করোনা সংক্রমণের শুরুতে মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় দপ্তরে কারো আসা হয় নি। বিশেষ কাজে দপ্তরে গেলে আজ ভাঙচুর অবস্থায় পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই দপ্তর।

    সংগঠন সূত্র জানায়, ভাঙচুরের এই ঘটনায় দপ্তরের মূল ফটকে থাকা সংগঠনের নাম সম্বলিত সাইনবোর্ডটি ভেঙ্গে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দরজার উপরে থাকা গ্রীলের ভিতর দিয়ে ইট-কণা ছুঁড়া হয়েছে। এতে দপ্তরে থাকা যন্ত্রপাতির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

    এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের দপ্তরে ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি এই ভাঙচুরের ঘটনায় যথাযথ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

    তিনি আরো বলেন, এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিস ও ছাত্র পরামর্শ নির্দেশনা বিভাগ সহ গুরুত্বপূর্ণ অফিস রয়েছে। এসময় অতিশীঘ্রই সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের জোর দাবী জানান নোবিপ্রবিসাস সভাপতি।

    সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা প্রহরী থাকলেও ভাঙচুরের এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। নোবিপ্রবি আনসার পিপিই জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা এই ভাঙচুর সম্পর্কে অবগত নই।

    এই ভাঙচুরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন নোবিপ্রবি প্রক্টর প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আনসারদের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এবং অতি শীঘ্রই এই ভাঙচুরের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম এম আর/অনামিকা

  • নোবিপ্রবিতে করোনা শনাক্তকরণের প্রশিক্ষণ

    নোবিপ্রবিতে করোনা শনাক্তকরণের প্রশিক্ষণ

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : করোনাভাইরাসের মহামারীতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই অবস্থা মোকাবেলায় প্রয়োজন করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ। সেই শনাক্তকরণ পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) এর অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের করোনা শনাক্তকরণের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে গ্র‍্যাজুয়েট মাইক্রোবায়োলজিস্ট সোসাইটি (জিএমএস)।

    নোবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে ৩ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয় ১৩ জুলাই এবং শেষ হয় ১৫ জুলাই। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থী ৩১ শিক্ষার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় ও নোবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে করোনা শনাক্তকরণের কাজে নিয়োজিত ১৭ জন ভলান্টিয়ারকেও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

    ৩ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন নোবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিএমএস এর সভাপতি প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ,যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবির জাহিদ ও যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শোভন লাল সরকার।

    প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থীদের নমুনা সংগ্রহ ও পরিবহনের পদ্ধতি, ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা,করোনাভাইরাসের আরএনএ আলাদাকরণ পদ্ধতি, পিপিই ব্যবহারের পদ্ধতি,করোনা শনাক্তকরণে আরটি পিসিআর এর ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

    ২৫ ঘণ্টা/এম আর/অনামিকা

  • নোবিপ্রবিতে গ্রীন ভয়েস’র নতুন কমিটি

    নোবিপ্রবিতে গ্রীন ভয়েস’র নতুন কমিটি

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) পরিবেশবাদী যুব সংগঠন ‘গ্রীণ ভয়েস’র ৮৮ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার গ্রীন ভয়েস’র প্রধান সমন্বয়ক মোঃ আলমগীর কবির উক্ত কমিটির অনুমোদন দেন।

    এতে পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জিদান আজ্বীন সভাপতি ও একই বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইদা সানজিদা লোপা সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন।

    গ্রীন ভয়েস মূলত পরিবেশবাদী যুব সংগঠন। পুরো বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে ছড়িয়ে থাকা সংগঠনটির কার্যক্রম চলেছে। পরিবেশবাদী সংগঠন হলেও পরিবেশ রক্ষা থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি সমস্যা নিরসনে এই সংগঠটি নিরলসভাবে কাজ করে এবং অনন্য ভূমিকা পালনে অবদান রাখে।

    নবনিযুক্ত সভাপতি জিদান আজ্বীন বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো যাতে অন্তত আমাদের মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষা, অহেতুক কোথাও ময়লা আবর্জনা না ফেলতে সবাইকে উৎসাহী করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে সবুজ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সর্বপোরী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যেন সর্বদা পরিচ্ছন্ন থাকে সেক্ষেত্রে অবদান রাখতে চাই৷ পাশাপাশি দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ত্রান দেওয়া থেকে শুরু করে আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করেছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখব।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/অনামিকা

  • নোবিপ্রবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি

    নোবিপ্রবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে লক্ষ্যে ২০০৬ সালে নোয়াখালী তে প্রতিষ্ঠা করা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সালের ২২ জুন ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষের ১৮০ জন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ২৭ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

    বাংলাদেশের প্রধানতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) বিশ্ববিদ্যালয় দিবস প্রত্যক্ষ করলে দেখা যায় তাদের সবাই শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর দিনটিকেই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করে। একই কারণে ২২ জুনকেই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পালন করা হয়।

    বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০০৮ সালের নিবার্চনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পরেও নোবিপ্রবির ২য় এবং ৩য় ভিসির মেয়াদকালেও ২২ জুনকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করা হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছরের ২২ জুন এই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। কিন্তু গত ২০১৬ সাল থেকে ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আসলে এ নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন সংক্রান্ত তথ্য থেকে দেখা যায় প্রাক্তন উপাচার্য এ কে এম সাঈদুল হক চৌধুরী স্যারের সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবার অত্যন্ত আড়ম্বর আয়োজনের মাধ্যমে পুরো নোয়াখালী জুড়ে এই দিবসটি পালিত হয়। যা নোয়াখালীবাসির মনে আজও ঠায় নিয়ে আছে। ২০১৫ সালে নোবিপ্রবির ৪র্থ ভিসি অধ্যাপক ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান স্যার দায়িত্বে এলে তিনিও প্রথমবার ২২জুনকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করেন।

    পরবর্তীতে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্তের কারণে ১৫ জুলাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবস ঘোষণা করা হয়। এবং বর্তমানেও সেটি বহাল রয়েছে।

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন তথ্য হতে দেখা যায়, ১৯৯৮ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের ১২টি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যার মধ্যে নোবিপ্রবি অন্তর্ভুক্ত ছিলো।

    পরবর্তীতে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই “নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০১” পাশ হয়, ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সেই আইন কার্যকর হয় এবং ২০০৫ সালের ২৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

    দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোনটিই আইন পাশের দিনকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করে না।

    উপরন্তু সবক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনাকেই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়েছে।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৬ সালে ২২ জুন শুরু হয়েছিল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। ২২ জুনকে নোবিপ্রবি দিবস হিসেবেই পালন করা হচ্ছিল।

    কিন্তু হঠাৎ করে ২০১৬ সালে তৎকালীন ভিসি ড. অহিদুজ্জামান আইন পাশ করলেন, এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ১৫ জুলাই।

    কারণ বা যুক্তি হিসেবে জানালেন, ২০০১ সালের ১৫ জুলাই সংসদে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইন পাশ হয়। অর্থাৎ, ২০০১ সালের ১৫ জুলাই যদি সংসদে এই আইন পাশ না হত তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হত না। তাই ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। কিন্তু, প্রশ্ন এসেছিল তাহলে ২২জুন? তিনি বললেন, ২২ জুন বিশ্ববিদ্যালয় জন্মদিন।

    এই ঘটনা নেপথ্যে কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ড. অহিদুজ্জামান নোবিপ্রবিতে ভিসি হিসেবে যোগ দেন ২০১৫ সালে। ওই বছর ২২ জুন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও বিশ্ববিদ্যালয় জন্মদিন একই ছিল এবং পালন হয়েছে।

    কিন্তু, ওই দিবসে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি তারেক রাশেদ উদ্দিন বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, আমি অনুরোধ করব বর্তমান ভিসিকে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক সংসদে আইন পাশের (২০০১সাল ১৫ জুলাই) দিনকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস করা হোক।”

    উপরোক্ত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, তার মানে আমরা কী ধরে নেব আফিসার্স এসোসিয়েশনের ওই নেতার কথায় ভিসি প্রভাবিত হয়েছেন? এযাবতকাল আমরা দেখে আসছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইন অনুযায়ী ভিসি নয়, ভিসি অনুযায়ী আইন হয়। যা দেখা গিয়েছে আহমদ ছফার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লেখা “গাভি বৃত্তান্ত “আর মুহাম্মদ জাফর ইকবালের “মহব্বত আলির একদিন” দুটি উপন্যাসে। আহমদ ছফার গাভি বৃত্তান্তে ভিসির ইচ্ছায় একটি গাভি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ত্বপূর্ণ জিনিস। আর মুহাম্মদ জাফর ইকবালের মহব্বত আলির একদিনে, ভিসির ইচ্ছায় বিশেষ রাজনীতিক দলের গুণ্ডা দিয়ে শিক্ষককেও লাঞ্ছিত করা হয়েছিল।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/অনামিকা

  • যুক্তরাষ্ট্র থেকে নোবিপ্রবিতে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছেন সাবেক শিক্ষার্থী

    যুক্তরাষ্ট্র থেকে নোবিপ্রবিতে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছেন সাবেক শিক্ষার্থী

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:যুক্তরাষ্ট্রে থেকে নোবিপ্রবিতে ১ হাজার চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছেন সাবেক শিক্ষার্থী

    করোনায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) এক হাজার বিভিন্ন চিকিৎসা ও নিরাপত্তা সামগ্রী উপহার পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর মুরাদ।

    শনিবার (১৩ জুন) যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী তানভীর মুরাদ চিকিৎসা সামগ্রী উপহার পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়া আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চিকিৎসা সামগ্রীগুলো কুরিয়ারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।

    চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ পিস ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পোশাক (পিপিই), ৪০০ পিস K95 মাস্ক, ৫০০ পিস সার্জিক্যাল মাস্ক, ১০০ পিস ফেস শিল্ড।

    তানভীর মুরাদ বলেন, আমি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত। আমার স্বপ্নভূমি নোবিপ্রবি নিজেদের উদ্যোগে র‍্যাপিড টেস্টিং কিট আবিষ্কার করে এবং নোয়াখালী অঞ্চলে করোনা উপসর্গের রোগীদের টেস্টিং শুরু করে যা গণমাধ্যমের সুবাদে জানতে পেরে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। কিন্তু দুঃখের সাথে আমি জানতে পারলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টেস্টিং ল্যাব এ পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব আছে। সুরক্ষা সামগ্রীর অভাব সত্ত্বেও যারা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাহসিকতার সাথে করোনা টেস্ট করে যাচ্ছে। তাদের এই সাহসিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি ক্ষুদ্র মানুষ হয়ে আমার জায়গা থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি জনগণের ট্যাক্স এর টাকায় পড়াশোনা করেছি তাই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রুযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের জন্য আমার এই অতি সামান্য উপহার। আমি চেষ্টা করেছি আমেরিকান FDA অনুমোদিত মেডিকেল সুরক্ষা সামগ্রী প্রেরণ করার জন্য।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/অনামিকা

  • নোবিপ্রবিতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব উদ্বোধন

    নোবিপ্রবিতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব উদ্বোধন

    করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) আরটি-পিসিআর ল্যাবের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (০৭ মে ২০১৯) সকালে একাডেমিক ভবন -০১ এর ৫ম তলায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে এর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. দিদার-উল-আলম।

    অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, অনুজীববিজ্ঞান বিজ্ঞান বিভাগের পিসিআর ল্যাবে আগামী সোমবার থেকে নমুনা পরীক্ষা শুরু করা হবে। একসাথে ৯২ টি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। এইভাবে ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৫০০ নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। ল্যাবের কার্যক্রম ২৪ ঘন্টাই চালু থাকবে । এজন্য যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে প্রশিক্ষিত ৪০ জন ভলান্টিয়ার নেয়া হচ্ছে। যথাযথ সিকিউরিটির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে যাতে কেউ ইনফেক্টেড না হয়। সার্বিক সহযোগিতার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি (কুমিল্লা) কাজী সেলিনা ইসলাম, নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা: মমিনুর রহমান, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমান, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর/অনামিকা