Tag: নৌকাডুবি

  • সাগরে নৌকা ডুবে ১৮০ রোহিঙ্গার মৃত্যুর আশঙ্কা

    সাগরে নৌকা ডুবে ১৮০ রোহিঙ্গার মৃত্যুর আশঙ্কা

    সাগরে কয়েক সপ্তাহ ভেসে থাকার রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা ডুবে অন্তত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। নৌকায় থাকা সবাই মারা গেছেন বলে ধারণা করছে সংস্থাটি।

    অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে ইউএনএইচসিআর জানায়, নৌকাটি সমুদ্রযাত্রায় ‘অনুপযোগী’ হওয়ার কারণেই সম্ভবত ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়ার আগে নৌকাটি পথ হারিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নৌকায় থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাঁদের আত্মীয়স্বজনদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

    ইউএনএইচসিআর টুইটারে এক পোস্টে জানায়, ‘আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সবাই ডুবে মারা গেছেন বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।’

    ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা কয়েক লাখসহ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয়শিবিরে বসবাস করছে।

    বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব তো দূরের কথা, উল্টো তাদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে নির্যাতন নিপীড়ন চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা।

    বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশে থাকাদের কাজের সুযোগ কম হওয়ায় উন্নত জীবনের আশায় দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যাওয়ার চেষ্টা করে রোহিঙ্গারা। এর সুযোগ নিয়ে মানবপাচারকারীরা তাদের মালয়েশিয়ার মতো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কাজ দেওয়ার কথা বলে সাগরে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় নিয়ে যায়। ওই রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগেরই ক্ষুধা-তৃষ্ণা ও রোগে ভুগে যাত্রার ইতি ঘটে আন্তর্জাতিক জলসীমায়।

    গত সপ্তাহে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা দুটি সংগঠন জানায়, ভারত উপকূলে দুই সপ্তাহ ভেসে থাকা একটি রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকার ২০ জনের মতো যাত্রী মারা গেছে। অন্তত ১০০ লোক নিয়ে নৌকাটি বর্তমানে মালয়েশিয়ার জলসীমায় আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  • বোদায় নৌকাডুবিতে নিহত বেড়ে ৬৬

    বোদায় নৌকাডুবিতে নিহত বেড়ে ৬৬

    পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় বেড়েই চলছে লাশের মিছিল। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আরও পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬ জনে।

    অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কমিটির প্রধান দীপঙ্কর রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী- উপ-পরিচালক শেখ মো. মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় আমাদের উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ ভোরে আবারো অভিযান শুরু হয়। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এখনো যারা নিখোঁজ আছেন তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলবে।

    নৌকাডুবিতে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে হাশেম আলী (৭০), শ্যামলী রানি (১৪), লক্ষ্মী রানি (২৫), অমল চন্দ্র (৩৫), শোভা রানি (২৭), দিপঙ্কর (৩), পিয়ন্ত (আড়াই বছর), রুপালি ওরফে খুকি রানি (৩৫), প্রমিলা রানি (৫৫), ধনবালা (৬০), সুনিতা রানি (৬০), ফাল্গুনী (৪৫), প্রমিলা দেবী, জ্যোতিশ চন্দ্র (৫৫), তারা রানি (২৫), সানেকা রানি (৬০), সফলতা রানি (৪০), বিলাশ চন্দ্র (৪৫), শ্যামলী রানি ওরফে শিমুলি (৩৫), উশোশি (৮), তনুশ্রী (৫), ব্রজেন্দ্র নাথ (৫৫), ঝর্ণা রানী (৪৫), দীপ বাবু (১০), সুচিত্রা (২২), কবিতা রানী (৫০), বেজ্যে বালা (৫০), দিপশিখা রানী (১০), সুব্রত (২), জগদীশ (৩৫), যতি মৃন্ময় (১৫), গেন্দা রানী, কনিকা রানী, আদুরী (৫০), পুষ্পা রানী, প্রতিমা রানী (৫০), সূর্যনাথ বর্মন (১২), হরিকেশর বর্মন (৪৫), নিখিল চন্দ্র (৬০), সুশীল চন্দ্র (৬৫), যুথি রানী (১), রাজমোহন অধিকারী (৬৫), রূপালী রানী (৩৮), প্রদীপ রায় (৩০) এবং পারুল রানীর (৩২) নাম জানা গেছে। তাদের সবার বাড়ি পঞ্চগড়ে।

    রোববার দুপুরে উপজেলার বদ্বেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া উৎসবে যোগ দিতে নৌকায় যাচ্ছিলেনে দেড় শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় নৌকাটি করতোয়া নদীর আওলিয়াঘাট এলাকায় ডুবে যায়। এ পরপরই এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    ২৪ঘণ্টা/বিআর

  • বোদায় নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত বেড়ে ৫৫

    বোদায় নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত বেড়ে ৫৫

    পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ জনে।

    মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে দুটি ও বোদার করতোয়ায় দুটি মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করা মরদেহগুলোর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অ‌ফিসার তুষার কা‌ন্তি রায়। তিনি বলেন, আজ সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের করতোয়ায় দুটি, বোদায় আরও দুটি মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আমাদের জানালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

    তিনি আরও বলেন, পঞ্চগড়সহ আশপাশের জেলার ফায়ার সার্ভিসের আট ইউনিট উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী থেকে আসা তিনটি দলের ৯ ডুবুরি উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।

    এদিকে জেলা প্রশাসনের জরুরি তথ্য কেন্দ্রের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৫১ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে কতজন যাত্রী ছিল, তার সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা প্রশাসনের কাছে রোববার রাতে ৬৬ জনের তালিকা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৪০ জন।

    এর আগে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট এলাকায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে মহালয়া দেখতে আউলিয়া ঘাট থেকে নৌকায় বদশ্বেরী ঘাটে যাচ্ছিলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীর প্রায় শতাধিক মানুষ। নৌকাটি ছাড়ার শুরুতেই দুলতে থাকে। এক পর্যায়ে দুলতে দুলতে মাঝ নদীতে গিয়ে ডুবে যায়।

    মৃতরা হলেন- হাশেম আলী (৭০), শ্যামলী রানী (১৪), লক্ষ্মী রানী (২৫), অমল চন্দ্র (৩৫), শোভা রানী (২৭), দীপঙ্কর (৩), প্রিয়ন্ত (২.৫), রুপালি ওরফে খুকি রানী (৩৫), প্রমিলা রানী (৫৫), ধনবালা (৬০), সুনিতা রানী (৬০), ফাল্গুনী (৪৫), প্রমিলা দেবী, জ্যোতিশ চন্দ্র (৫৫), তারা রানী (২৫), সানেকা রানী (৬০), সফলতা রানী (৪০), বিলাশ চন্দ্র (৪৫), শ্যামলী রানী ওরফে শিমুলি (৩৫), উষশী (৮), তনুশ্রী (৫), শ্রেয়সী, প্রিয়ন্তী (৮), সনেকা রানী (৬০), ব্রজেন্দ্র নাথ (৫৫), ঝর্ণা রানী (৪৫), দীপ বাবু (১০), সূচিত্রা (২২), কবিতা রানী (৫০), বেজ্যে বালা (৫০), দিপশিখা রানী (১০), সুব্রত (২), জগদীশ (৩৫), যতি মিম্রয় (১৫), গেন্দা রানী, কনিকা রানী, সুমিত্রা রানী, আদুরী (৫০), পুষ্পা রানী, প্রতিমা রানী (৫০), সূর্যনাথ বর্মন (১২), হরিকেশর বর্মন (৪৫), নিখিল চন্দ্র (৬০), সুশীল চন্দ্র (৬৫), যুথি রানী (০১), রাজমোহন অধিকারী (৬৫), রুপালী রানী (৩৮), প্রদীপ রায় (৩০), পারুল রানী (৩২), প্রতিমা রানী (৩৯) ও শৈলবালা। বাকি চারজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

    মৃতদের মধ্যে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ৩০ জন, দেবীগঞ্জের ১৮ জন, আটোয়ারীর একজন, পঞ্চগড় সদরের একজন ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার একজন রয়েছেন। ৫১ জনের মধ্যে নারী ২৬ জন এবং পুরুষ ১২ জন। বাকি ১৩টি শিশু রয়েছে।

    এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ও পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপঙ্কর রায় বলেন, এখন পযর্ন্ত ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের কাছে থাকা তথ্য মতে আরও ৪০ জনের মতো লোক নিখোঁজ রয়েছে। তবে নিখোঁজের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা বলা যাচ্ছে না। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজ সকাল থেকে ৪ জনের লাশ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ বাকিদের উদ্ধারে কাজ চলছে।

    ২৪ঘণ্টা/বিআর

  • করতোয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত বেড়ে ৫১

    করতোয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত বেড়ে ৫১

    পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে নিহতের সংখ‌্যা বে‌ড়ে ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে।

    সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়।

    তিনি জানান, বিকেলে নতুন করে আটজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রশাসন এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের নাম প্রকাশ করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

    এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- দীপঙ্কর (৩), পিয়ন্ত (২.৫), রূপালী ওরফে খুকি রানী (৩৫), প্রমিলা রানী (৫৫), ধনবালা (৬০), সুনিতা রানী (৬০), ফাল্গুনী (৪৫), প্রমিলা দেবী (৭০), জ্যোতিশ চন্দ্র (৫৫), শোভা রানী (২৭), লক্ষী রানী (২৫), অমল চন্দ্র (৩৫), শ্যামলী রানী (১৪), তারা রানী (২৫), সনেকা রানী (৬০), সফলতা রানী (৪০), হাশেম আলী (৭০), বিলাস চন্দ্র (৪৫), তনুশ্রী (৫), শ্রেয়শী, প্রিয়ন্তী (৮), ব্রজেন্দ্রনাথ (৫৫), শ্যামলী রানী ওরফে শিমুলি (৩৫), উষশী (৮) ও সনেকা রানী (৬০)।

    উল্লেখ্য, রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মহালয়া উপলক্ষে পাঁচপীর, বোদা, মাড়েয়া, ব্যাঙহারি এসব এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় করে বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। এ কারণে মাঝ নদীতে পৌঁছানোর পর যাত্রীর চাপে নৌকা ডুবে যায়। এ সময় কিছু মানুষ সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বেশির ভাগ যাত্রীই নিখোঁজ হন।

    এ ঘটনায় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    ২৪ঘণ্টা/বিআর

  • তিউনিশিয়ায় অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি, ৩৯ জনের মৃত্যু

    তিউনিশিয়ায় অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি, ৩৯ জনের মৃত্যু

    ভূমধ্যসাগরের তিউনিশিয়া উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ১৬৫ জনকে।

    মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

    এক বিবৃতিতে তিউনিশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপের দেশ ইতালির লাম্পেপুসা দ্বীপে যাওয়ার সময় অভিবাসীবাহী দুটি নৌকা তিউনিশিয়া উপকূলে ডুবে যায়।

    উদ্ধারকারীরা এখন পর্যন্ত ১২২ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। যাদের অধিকাংশই আফ্রিকা অঞ্চলের মানুষ। এছাড়া ওই এলাকায় থাকা মাছ ধরার নৌকাগুলো আরও ১৯ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

    আরও অনেকে নিখোঁজ থাকতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে দেশটির কোস্টগার্ড। গত দুই মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশ করেছে প্রায় চার হাজার অভিবাসী। এর মধ্যে তিউনিশিয়া দিয়েই ঢুকেছে এক হাজার।

    তিউনিসিয়ার বন্দর নগরী সফ্যাক্সের নিকটবর্তী সমুদ্র উপকূলরেখা দিয়ে আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা এসব অভিবাসী ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    ২০১৯ সালে প্রতিবেশী লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে প্রায় ৯০ জন আফ্রিকান অভিবাসী মারা গিয়েছিল।

    ২০২০ সালে তিউনিসিয়াতে অভিবাসীদের সংখ্যা পাঁচগুণ বেড়ে ১৩ হাজারে পৌঁছেছে। এতে করে তিউনিসিয়ায় অর্থনৈতিক সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি মানবাধিকার সংস্থা।

  • নেত্রকোনায় হাওরে নৌকাডুবিতে ১৭ লাশ উদ্ধার

    নেত্রকোনায় হাওরে নৌকাডুবিতে ১৭ লাশ উদ্ধার

    নেত্রকোনার মদন উপজেলায় পর্যটনকেন্দ্র মিনি কক্সবাজার নামে খ্যাত উচিতপুরের হাওরে ঘুরতে এসে নৌকাডুবিতে ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন একজন।

    বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উচিতপুরের সামনে হাওর গোবিন্দশ্রী রাজালীকান্দা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলো দুই বোন লুবনা আক্তার (১০) ও জুলফা আক্তার (৭)। তারা চরশিরতা ইউনিয়নের ওয়ারেছ উদ্দিনের মেয়ে।

    অন্যদের পরিচয় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ময়মনসিংহ সদর থানার ৫নং চরশিরতা ইউনিয়ন ও আটপাড়া তেলিগাতী থেকে ৪৮ জন উচিতপুরে ঘুরতে আসেন।

    পরে ঘুরতে গেলে হাওরের উত্তাল ঢেউয়ে গোবিন্দশ্রী রাজালীকান্দা নামক স্থানে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

    মদন থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রমিজুল হক জানান, মদন উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র ‘মিনি কক্সবাজার’ খ্যাত উচিতপুর হাওরে নৌকাডুবিতে ১৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চারজন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার কাজ চলছে।

    তিনি বলেন, ময়মনসিংহ শহরের একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী–শিক্ষকেরা উচিতপুরের হাওরে ঘুরতে যান। উচিতপুর ঘাটে বুধবার বেলা দুইটার দিকে তাদের বহনকারী নৌকাটি ডুবে যায়। সেখান থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বাবার গলা জড়িয়ে ধরা অবস্থায় পানির নিচ থেকে উদ্ধার হল বাবা-মেয়ের লাশ

    বাবার গলা জড়িয়ে ধরা অবস্থায় পানির নিচ থেকে উদ্ধার হল বাবা-মেয়ের লাশ

    রোশনি (৭) বাবার গলা জড়িয়ে ধরে ছিল। হয়তো বাঁচার জন্যই বাবাকে জড়িয়ে ধরে ছিল অথবা নৌকায় থাকা অবস্থায় বাবার গলা জড়িয়ে ধরে কোলেই বসা ছিল। আজ শনিবার উদ্ধারকারী দল পানির নিচ থেকে গলা জড়িয়ে ধরে রাখা অবস্থায় বাবা শামীম ও মেয়ে রোশনির লাশ উদ্ধার করে।

    বিয়ের পর বউভাতের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গতকাল শুক্রবার পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যাঁদের লাশ উদ্ধার হয়েছে, তাঁরা হলেন কনের বড় বোন শাহীনুর বেগমের স্বামী রতন আলী (৩০), তাঁদের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৮), চাচা শামীম (৩৫), চাচি মিনরা বেগম (২৮), চাচাতো বোন রোশনি (৭) ও খালাতো ভাই এখলাস হোসেন (২২)।

    এই দুর্ঘটনায় বর বেঁচে গেছেন। তবে আজ শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত কনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুধু কনে নন, তাঁর ফুপাতো বোন রুবাইয়া খাতুন (১২) ও খালা আঁখি খাতুন (২৫) নিখোঁজ।

    আজকের উদ্ধার অভিযান

    কনে সুইটি খাতুনের বাবা শাহীন আলী একজন ট্রাকশ্রমিক। বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙ্গেরহাট গ্রামে। বর রুমন আলী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন ওয়ার্ড বয়। তাঁর বাড়ি উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামে। গ্রামটি পদ্মা নদীর ওপারে। গতকাল শুক্রবার বরের বাড়িতে বউভাতের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    আজ সকালে উপজেলার বসুয়া গ্রামে মরিয়মকে দাফনের পর বাবা রতনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকেও মেয়ের কবরের পাশেই দাফন করা হয়।

    আর ডাঙ্গেরহাট গ্রামে কনে সুইটির বাড়ির পাশে পরপর চারটি কবর খোঁড়া হচ্ছে। এগুলোতে কনের চাচা, চাচি ও চাচাতো বোনকে দাফন করা হবে। আর একটি কবর সুইটির জন্য। কবর খুঁড়ছিলেন প্রতিবেশী সাদ্দাক আলী। তিনি বলেন, যাঁরা নিখোঁজ আছেন, তাঁরা আর কেউ বেঁচে থাকতে পারেন না। তবে তাঁদের লাশ পাওয়া যাবে, এই আশায় পাশাপাশি চারটি কবর খুঁড়ছেন। পাশের বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কাটা হচ্ছে। একদল লোক বাঁশ চিরে বাতা তৈরি করছেন। আরেক দল কবর খুঁড়ছেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে বাজানোর জন্য যে সাউন্ডবক্স নিয়ে আসা হয়েছিল, সেগুলো এখনো সুইটিদের বাড়ির এক কোনায় পড়ে রয়েছে। পাশের বারান্দায় বসে তাঁর মা বিলাপ করছেন। বলছেন, ‘আমি একা কয়জনের বাড়ি যাব, কয়জনের শোক সামাল দিব। এখুনি নাতিকে মাটি দিয়ে এলাম, আবার জামাইকে মাটি দিতে যাব।’ একপর্যায়ে আর কথা বলতে পারছেন না তিনি। কান্নায় ভেঙে পড়েন।

    নববধূর শোকে কাঁদছেন বর

    গ্রামে এক দৃশ্য পদ্মা নদীর ধারে আরেক দৃশ্য। পদ্মা নদীর শ্রীরামপুর এলাকার স্বজনদের সঙ্গে হাজারো উৎসুক মানুষকে সারা দিন তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে যখন বাবা-মেয়ের লাশ পাওয়া গেল তখন আর কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ বাবা-মেয়েকে একসঙ্গে পাওয়ার বর্ণনা দিতেই গিয়ে বলেন, সন্তানের প্রতি বাবার যে ভালোবাসা কত, তা এই জোড়া লাশ দেখেই বোঝা যায়। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়েই বাবা হয়তো নিজে বাঁচতে পারেননি।

    যেভাবে কনে ডুবে গেলেন

    কনে সুইটি খাতুনের সঙ্গে একই নৌকায় ছিলেন তাঁর আত্মীয় টুলু বেগম (৩০)। তিনি গায়ের শাড়ি খুলে ফেলে একটি চরাট ধরে ভাসছিলেন। এ সময় তিনি দেখেন সুইটি হাবুডুবু খাচ্ছেন। তার কপালের টিকলি দেখে তিনি তাঁকে চিনতে পারেন। বাঁচার জন্য তিনি সুইটিকে তাঁর কাপড় খুলে ফেলতে বলেন। সুইটি কাপড় খোলার চেষ্টা করতে যাচ্ছিলেন। পরক্ষণেই তাকিয়ে দেখেন সুইটি আর নেই। টুলু বেগমের স্বামী আবদুর রাজ্জাকও নৌকায় ছিলেন। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী ছোট নৌকায় যাত্রী বেশি ছিল। ঢেউয়ে নৌকায় পানি উঠে যাচ্ছিল। তাঁরা কয়েকজন পুরুষ যাত্রী পানিতে নেমে নৌকা জাগিয়ে রাখার চেষ্টা করেও পারেননি।

    নৌকাডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটির সদস্য পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেনও নৌকা ডোবার কারণ হিসেবে একই কথা বলেন, ছোট নৌকায় যাত্রী বেশি ছিল, বাতাস উঠেছিল নদীতে। ঢেউ ছিল। এই অবস্থায় কিছু যাত্রী এক নৌকা থেকে লাফিয়ে আরেক নৌকায় যাওয়ার সময় দোল খেয়ে নৌকা ডুবে যায়।

    উদ্ধারের জন্য একসঙ্গে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও রাজশাহী মহানগর নৌ পুলিশ।

    নৌকাডুবির ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলামকে আহ্বায়ক করে গতকাল জেলা প্রশাসন সাত সদস্যের এই কমিটি করে দিয়েছে। দুই কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে বলা হয়েছে।

    জেলা প্রশাসক হামিদুল হক জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এখন নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে মরদেহ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করা হচ্ছে।

  • নববধূকে ফিরে পাওয়ার আকুতি নিয়ে পদ্মাপারে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে স্বামী

    নববধূকে ফিরে পাওয়ার আকুতি নিয়ে পদ্মাপারে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে স্বামী

    বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে ঘর বেঁধেছিলেন পদ্মাপারের আসাদুজ্জামান রুমন (২৬)। কিন্তু বিয়ের পরদিনই বৌভাত শেষে শ্বশুর বাড়ী যাওয়ার পথে তার স্বপ্নের সংসার ভেসে গেল সেই পদ্মায় জলে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ না হতেই নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন রুমনের নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণিমা(২০। এ ঘটনায় আরও দুজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সন্ধান মেলেনি পূর্ণিমার। গতকাল শুক্রবার (০৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকার পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটে। একই নৌকায় স্ত্রীর সহযাত্রী ছিলেন রুমন। নৌকাডুবিতে ভাগ্যক্রমে সাতরিয়ে রুমন বেঁচে যান। তার সঙ্গে বেঁচে গেছেন নৌকার আরও ৩১ যাত্রী। এরা সবাই নিখোঁজ কনের স্বজন।

    তবে এখনও নিখোঁজ পূর্ণিমা, তার খালা আঁখি ও ফুফাতো বোনের মেয়ে রুবাইয়া। এরই মধ্যে একে একে পদ্মা নদীতে ভেসে উঠে বাবা-মেয়েসহ ছয়জনের লাশ।

    দুর্ঘটনার পর পদ্মা নদী থেকে নিখোঁজ কনের চাচা শামীম (৪০), চাচি মনি বেগম (৩৫), তাদের মেয়ে রশ্মি (১০), কনের দুলাভাই রতন আলী (২৮), ভাগনি মরিয়ম (৮) এবং খালাতো ভাই এখলাসের (২৮) লাশ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব লাশ উদ্ধার হয়।

    এদিকে পদ্মাপারে বসে থেকে সারাদিন মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা দেখে কাঁদছেন বর রুমন। সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলেনি তার প্রিয়তমার লাশ। এই যাত্রায় বেঁচে ফিরলেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন রুমন। নির্বাক দৃষ্টিতে পদ্মা নদীর দিকে চেয়ে সারাদিন কেটে গেছে তার।

    পদ্মাপারে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে ভিড় জমিয়েছেন। তারাও কথা বলার চেষ্টা করেছেন রুমনের সঙ্গে। উৎসুক জনতার ভিড় তাকে ঘিরে। সারাদিন পদ্মা নদীর দিকে তাকিয়ে শুধু চোখের পানি ফেলেছেন রুমন।

    কান্নাজড়িত কণ্ঠে রুমন বলেন, আমরা যে নৌকায় ছিলাম সেটি হঠাৎ বিকল হয়ে যাই। এরপর দমকা হাওয়ায় উল্টে যায় নৌকাটি। অন্যদের সঙ্গে সাঁতরে তীরে ফিরলেও পূর্ণিমাকে হারিয়ে ফেলেছি আমি। তবে শেষবারের মতো তার মুখ দেখতে চাই আমি।

    নৌকাডুবির ঘটনার পর একদিনের ব্যবধানে বিয়েবাড়িতে এখন কেবল শোকের মাতম। অসীম শূন্যতা ভর করেছে চারপাশে। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পদ্মাপার। নিখোঁজদের লাশের অপেক্ষায় বর ও স্বজনরা।

    বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) পদ্মার ওপারের পবা উপজেলার চরখিদিরপুর এলাকার ইনসার আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান রুমনের সঙ্গে একই উপজেলার ডাঙেরহাট এলাকার শাহীন আলীর মেয়ে সুইটি খাতুন পূর্ণিমার বিয়ে হয়।

    শুক্রবার (০৬ মার্চ) বরের বাড়ি থেকে বর-কনেকে নিয়ে আসছিল কনেপক্ষ। সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর ডিসির বাংলো এলাকায় পদ্মা নদীতে ডুবে যায় নৌকাগুলো। এতে বর-কনেসহ ২৬ জন নিখোঁজ হন।

    আজকের উদ্ধার অভিযান

    এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তদন্ত কমিটির প্রধান রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম বলেন, ডুবে যাওয়া নৌকা দুটি ছিল ডিঙি নৌকা। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ছিল। হঠাৎ একটি নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ওই সময় দমকা হাওয়ায় ডুবে যায় বরযাত্রীবাহী নৌকা দুটি।

    অনুসন্ধান ও উদ্ধার সমন্বয় কেন্দ্রের ফোকাল পয়েন্ট সালাহউদ্দিন আল ওয়াদুদ বলেন, সকাল থেকে যৌথ উদ্ধার অভিযান চলছে। দুপুরে দুর্ঘটনাকবলিত নৌকা দুটির অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে। উজান ও ভাটিতেও উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

    তিনি বলেন, নৌকা দুটিতে ৪১ জন আরোহী ছিলেন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৩২ জনকে। মরদেহ উদ্ধার হয়েছে ছয়জনের। এখনও নিখোঁজ কনেসহ তিনজন। নিখোঁজের স্বজনরা তাদের নাম-পরিচয় জমা দিয়েছেন। বাকি তিনজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।

  • নৌকাডুবে বর কনেসহ নিখোঁজ ১৭, শিশুর লাশ উদ্ধার

    নৌকাডুবে বর কনেসহ নিখোঁজ ১৭, শিশুর লাশ উদ্ধার

    রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় ৩৫ জন বরযাত্রী নিয়ে পদ্মা নদীতে দুটি ইঞ্জিবোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে।

    শুক্রবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটা এ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত একজনকে মৃত এবং ১৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

    মৃক মরিয়ম (৬) বসুয়া এলাকার রতনের মেয়ে।

    এখনো নিখোঁজ রয়েছে ১৭ জন। নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট।

    রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ জানান, চরখিদিরপুর এলাকায় বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে বর কনে নিয়ে পবা উপজেলার ডাইংপাড়ায় যাচ্ছিল। দুটি নৌকায় ৩৫ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১৭ জন নারী ও ৬ জন শিশু। সন্ধ্যায় শ্রীরামপুর এলাকায় দুই নৌকা ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। এদের মধ্যে ১৭ জনকে জীবিত পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে এক শিশু মারা যায়। ঘটনার পর নৌকার মাছি খাদিমুল ইসলাম (২৩), আরোহী রতন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন (২২), সুমন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী নাসরিন বেগম (২২) এবং মেয়ে সুমনা আক্তার (৬) তীরে উঠে আসেন।

    দমকল বাহিনীর ডুবুরি দল ও বিজিবি সদস্যরা স্পিডবোট নিয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, পবা উপজেলার চরখিদিরপুর এলাকার ইনসার আলীর ছেলের সঙ্গে একই উপজেলার ডাঙেরহাট এলাকার শাহীন আলীর মেয়ে সুইটি খাতুনের বিয়ে হয় বৃহস্পতিবার। শুক্রবার বরের বাড়ি থেকে বর-কনেকে নিয়ে আসছিল কনেপক্ষ। ফিরতি পথে দুর্ঘটনার শিকার হয় কনেযাত্রীবাহী নৌকা। এতে নিখোঁজ রয়েছেন বর-কনেও।