Tag: নৌকার মাঝি

  • খুলনা-বরিশালে নৌকার মাঝি হচ্ছেন যারা

    খুলনা-বরিশালে নৌকার মাঝি হচ্ছেন যারা

    আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক আজ দ্বিতীয় দিনের মত অব্যাহত রয়েছে। আজ দিনের শুরুতেই খুলনা এবং বরিশালের মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা হয় এবং এই মনোনয়ন গুলো চূড়ান্ত হয়।

    খুলনা এবং বরিশাল মোট ৫৬ টি আসনের মধ্যে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কারা পাবে তা চূড়ান্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায়। রোববার যারা মনোনীত হয়েছেন তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংসদ সদস্য আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি বলে জানা গেছে। ৫৬ টি আসনের মধ্যে অন্তত ৮ জন বর্তমান সংসদ সদস্য মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন।

    আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যে, যাদের মনোনয়ন এই আসনগুলোতে চূড়ান্ত হয়েছে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাদের মধ্যে রয়েছেন-

    ফরহাদ হোসেন মেহেরপুর-১

    মাহবুবুউল আলম হানিফ কুষ্টিয়া-৩

    শেখ আফিল উদ্দিন যশোর-১

    সাইফুজ্জামান শিখর মাগুরা-১

    মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইল-২

    শেখ হেলাল উদ্দিন বাগেরহাট-১

    শেখ তন্ময় বাগেরহাট-২

    পঞ্চানন বিশ্বাস খুলনা-১

    শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল খুলনা-২

    নারায়ণ চন্দ্র চন্দ খুলনা-৫

    আ স ম ফিরোজ পটুয়াখালী-২

    তোফায়েল আহমেদ ভোলা-১

    নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ভোলা-৩

    আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ভোলা-৪

    আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১

    আমির হোসেন আমু ঝালকাঠি-২

    শ ম রেজাউল করিম পিরোজপুর-১

    এছাড়াও এই আসনে আরও কয়েকজনের নামও চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই আসনে বেশ কিছু চমক রয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র গুলো জানিয়েছে।

    বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই দুটি বিভাগের কয়েকটি আসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সভাপতির হাতে সরাসরি অর্পণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বিভিন্ন জরিপ এবং অন্যান্য বাস্তবতা বিবেচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।

    উল্লেখ্য, খুলনা-৩ আসনে বর্তমান শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান একাধিক জরিপে পিছিয়ে রয়েছেন। তিনি আদৌ মনোনয়ন পাবেন কি না বা তার বদলে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে অর্পণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা-৩ আসনে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল আমিনের বার্ধক্য এবং এলাকায় তার জনপ্রিয়তা কমে গেছে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও বরিশাল-৪ আসনের পঙ্কজ দেবনাথ আবার মনোনয়ন পাবেন কিনা এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। এই সিদ্ধান্তের দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে অর্পণ করা হয়েছে।

    বরিশাল-৫ আসনে জাহিদ ফারুক শামীমের স্থানে আওয়ামী লীগের একজন হেভিওয়েট নেতাকে দেওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় কোন রকম আলোচনাই হয়নি।

  • চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নৌকার মাঝি হতে চায় ২২১ জন

    চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নৌকার মাঝি হতে চায় ২২১ জন

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও জমা দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শেষদিনে ২৩ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। চার দিনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নৌকা প্রতীকের ২৩০টি ফরম বিক্রি করা হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকজন একাধিক আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। ২২১ জন নৌকা-প্রত্যাশী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

    আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সালাউদ্দিন সাকিব বলেন, গতকাল শেষদিনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ২৩ জন। গত চার দিনে ২৩০টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে।

    আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, চার দিনে চট্টগ্রামের ১৬ টি আসনে আওয়ামী লীগের ফরম কিনেছেন ২২১ জন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন চট্টগ্রাম- ৮ (বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ) আসনে।

    চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই):
    মাহবুব উর রহমান, মো. গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ মোস্তফা।

    চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি):
    মোহাম্মদ শাহজাহান, সাদাত আনোয়ার সাদী, খদিজাতুল আনোয়ার, বেলাল মোহাম্মদ নূরী, সাবরিনা চৌধুরী, হাসিবুন সুহাদ, মোহাম্মদ গোলাম নওশের আলী, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, হোসাইন মো. আবু তৈয়ব, ফখরুল আনোয়ার, সৈয়দ রাজিয়া মোস্তফা, মোহাম্মদ হারুন, তৌহিদ মু. ফয়সল কামাল, সরোয়ার উদ্দিন চৌধুরী, এমআর আজিম, মোহাম্মদ ছালামত উল্লাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, খোরশেদ আহমদ জুয়েল, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, কাজী মো. তানজীবুল আলম, আব্দুল নাসের।

    চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ):

    মো. রাজিবুল আহসান, মাহফুজুর রহমান, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. জাফর উল্লাহ, মানিক মিয়া তালুকদার, একেএম বেলায়েত হোসেন, মহিউদ্দিন আহমেদ, মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, সরোয়ার হাসান জামিল, রুমানা নাসরিন, রফিকুল ইসলাম, মো. ইউনুছ আলী জীবন।

    চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড ও চসিক আংশিক):

    মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, মোহাম্মদ পারভেজ উদ্দীন, ড. নিছার উদ্দীন আহমদ মঞ্জু, মোহাম্মদ ইমরান, এসএম আল মামুন, দিদারুল আলম, চৌধুরী মোহাম্মদ জিন্নাত আলী, রতেন্দু ভট্টচার্য্য, আবু মনির মোহাম্মদ শহীদুল হক চৌধুরী, মহিউদ্দিন।

    চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও চসিক আংশিক):

    মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ শামীম, মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, মনজুরুল আলম চৌধুরী, এড. মো. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, ইউনুস গনি চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন, মোহাম্মদ ইউনুছ, বাসন্তী প্রভা পালিত, মো. নাছির হায়দার করিম, ডা. নূরউদ্দিন জাহেদ, মাহমুদ সালাহউদ্দিন চৌধুরী, মাসুদুল আলম।

    চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান):

    এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী, মো. মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী, ইমরানুল কবির, মোহাম্মদ আবুল কালাম, দেবাশীষ পালিত, বখতেয়ার উদ্দিন খান, মো. ছালামত আলী।

    চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক):

    মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, মো. ওসমান গনি চৌধুরী।

    চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চসিক আংশিক) :

    মো. খোরশেদ আলম, মো. মনছুর আলম পাপ্পী, এটিএম আলী রিয়াজ খান রক্সি, জিনাত সোহানা চৌধুরী, মো. এমরান, জাবেদুল আজম মাসুদ, মো. আরশাদুল আলম, মো. সাইফুল ইসলাম, কফিল উদ্দিন খান, নোমান আল মাহমুদ, মোহাম্মদ আবদুল কাদের, মো. মোবারক আলী, মো. বেলাল হোসেন, সেলিনা খান, আবদুচ ছালাম, এসএম কফিল উদ্দিন, মো. দিদারুল আলম, কাজী শারমিন সুমি, এসএম নুরুল ইসলাম, বিজয় কুমার চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মো. দিদারুল আলম, মুজিবুর রহমান, মো. নুরুল আনোয়ার, মো. আবু তাহের, আশেক রসুল খান, এম.এ সুফিয়ান সিকদার, শেখ আমেনা খাতুন।

    চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী):

    মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, আমিনুল হক, শাহাজাদা মোহাম্মদ ফৌজল মুবিন খান, এড. মো. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, শফিক আদনান, শেখ ইফতেখার সাইফুল চৌধুরী, আ জ ম নাছির উদ্দীন, শফর আলী, মো. রাশেদুল হাসান, মহিবুল হাসান চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, মো. দিদারুল আলম, মো. শহিদুল আলম, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, মশিউর রহমান চৌধুরী, মো. জালাল উদ্দীন।

    চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং):

    মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম, আ জ ম নাছির উদ্দীন, শফর আলী, কেবিএম শাহজাহান, মো. খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ ইউনুছ, সৈয়দ মাহমুদুল হক, মো. দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, মো. আসলাম হোসেন, সাইফুদ্দিন খালেদ, জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, আব্দুস সবুর লিটন, মো. ছালামত আলী, একেএম বেলায়েত হোসেন, মো. ফয়সল আমীন, মোহাম্মদ অহিদ সিরাজ চৌধুরী, মো. সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, মো. এরশাদুল আমীন, আবুল ফজল কবির আহমদ।

    চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা):

    শেখ মাহমুদুল ইসহাক, মোহাম্মদ এনামুল হক, মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আ জ ম নাছির উদ্দীন, শফর আলী, জিয়াউল হক সুমন, মো. রাশেদুল হাসান, মো. খোরশেদ আলম, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, এম. আবদুল লতিফ, দেবাশীষ পাল, রেখা আলম চৌধুরী, মো. জাবেদ ইকবাল, সওগাতুল আনোয়ার খান, মশিউর রহমান চৌধুরী, ইকবাল আলী, মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, মোজাফ্ফর আহমদ, হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মো. ইলিয়াছ, ইমরান ফাহিম নূর, সায়রা বানু রুশনী, মো. মাহবুবুর রহমান, নওশাদ সরোয়ার, ছালেহ আহমদ চৌধুরী, আকবর হোসেন, এম.এনামুল হক চৌধুরী।

    চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া):

    মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, মো. আবদুর রশীদ, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ, সামশুল হক চৌধুরী, চেমন আরা বেগম, সত্যজিৎ দাশ রুপু, হাজী মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ, জুলকারনাইন চৌধুরী, মো. হাবিবুল হক চৌধুুরী, মো. মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ ফারুক, রাশেদ মনোয়ার, মো. আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী, প্রদীপ কুমার দাশ।

    চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী):

    শাহজাদা মহিউদ্দিন, সমীরন নাথ, সাইফুজ্জামান চৌধুরী, মুহাম্মদ বদিউল আলম।

    চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক):

    মফিজুর রহমান, নাছির উদ্দীন, আফতাব মাহমুদ, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, এম. মাসুদ আলম চৌধুরী, ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমদ আসিফ, রফিকুল ইসলাম, মোহা. কায়কোবাদ ওসমানী, মোহাম্মদ আবদুল কৈয়ম চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী, মো. জাহিদুল ইসলাম, মীর মো, মহিউদ্দিন, মো. আবুল বশর ভূঁইয়া, মাহবুবুর রহমান, মামুন উল হক চৌধুরী, শাহিদা আক্তার জাহান, আবু আহমেদ চৌধুরী।

    চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া):

    আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, সৈয়দ মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, আব্দুল মোতালেব, সাজেদা সুরাত, মো. মইনুল ইসলাম মামুন, কামরুন নাহার, মোহাম্মদ আমান উল্লাহ জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, আ. ম. ম মিনহাজুর রহমান, মো. এরশাদুল হক, মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী, মো. আমিনুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান, মোহাম্মদ অহিদ সিরাজ চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন।

    চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী):

    চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী, আরেফ উল হক, মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. আলমগীর চৌধুরী, আবদুল্লাহ কবির, মোহাম্মদ জমির উদ্দিন সিকদার, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, আবু নাছের মো. সরওয়ার আলম, এড. মুজিবুল হক, শেখর দত্ত, সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি, আবুল হোসেন মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (শামস্), মোসলেহ উদ্দিন মনসুর, মো. ছৈয়দুল মোস্তফা রাজু, নাজমা আক্তার।

  • বোয়ালখালী পৌর নির্বাচনে নৌকার মাঝি জহুর

    বোয়ালখালী পৌর নির্বাচনে নৌকার মাঝি জহুর

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : আসন্ন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন পৌরসভা আওয়ামী লীগের আহবায়ক জহুরুল ইসলাম জহুর।

    পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম বাবুল, মো. শফিউল আলম, মনছুর আলম পাপ্পী, সাবেক চেয়ারম্যান এম এ ঈছা, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. ওয়াসিম মুরাদ, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক জহুরুল ইসলাম (জহুর), উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল আলম, যুবলীগ নেতা সেলিম উদ্দিন ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল মান্নান রানা।

    আজ শনিবার (১৩ মার্চ) আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পৌরসভার মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভা শেষে বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জহুরকে মনোনীত করা হয়।

    দলীয় মনোনয়ন পেয়ে জহুর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।

  • রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মাঝি পারভেজ

    রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মাঝি পারভেজ

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) : রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও দলের দুঃসময়ের নির্যাতিত ছাত্রনেতা জমির উদ্দিন পারভেজ।

    শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডে রাউজানে দলীয় প্রার্থী হিসেবে জমির উদ্দিন পারভেজকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়।

    কেন্দ্র থেকে জমির উদ্দিন পারভেজকে দলের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার সংবাদে রাউজান পৌর এলাকাজুড়ে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে দলীয় নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সর্বস্থরের জনতাকে। এ সময় খুশিতে একে অপরকে মিষ্টি মুখ করান কর্মী-সমর্থকরা। দুপুর নাগাদ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ও দলীয় নেতা-কর্মীসহ নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন উপজেলা আ.লীগের কার্যালয়ের সামনে। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে মুন্সিরঘাটা চত্বর । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় অভিনন্দনের জোয়ার।

    উল্লেখ্য, রাউজান পৌরসভায় আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি ইভিএমের মাধ্যমে ১৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন করা হবে। মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি,যাচাই-বাছাই ৪ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১১ ফেব্রুয়ারি।

    জানা যায়, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা-৫০ হাজার ৫ শত ৮৪জন। সর্বশেষ রাউজান পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর।

    দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত মেয়র পদ প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, সকল মানুষের আন্তরিক ভালোবাসা ও দোয়ায় আমার প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি দলীয় প্রতীক পাওয়া আমার প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ও পৌরবাসীর প্রতি আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

  • সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে আবারো নৌকার মাঝি বদিউল আলম

    সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে আবারো নৌকার মাঝি বদিউল আলম

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র পদে সাধারণ নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন বর্তমান মেয়র বীর মুক্তিযুদ্ধা মোঃ বদিউল আলম।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া।

    তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি বিশাল দল। এখানে দলের মনোনয়ন পেতে প্রার্থী বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে দলের হাইকমান্ড বিচার বিশ্লেষণ করে পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলমকে যোগ্য মনে করে পূনরায় উনাকে আওয়ামীলীগ দলীয় নৌকার টিকিট দিয়েছেন। এখন আমরা যারা আওয়ামীলীগ করি সবার একটাই কাজ আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থীকে দলমত নিবিশেষে বিজয়ী করে নিয়ে আসা।”

    জানা যায়, এবার পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী মেয়র পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান মেয়র ও সীতাকুণ্ড পৌর আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব বদিউল আলম, সীতাকুণ্ড আ.লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য গোলাম রব্বানী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রোটারিয়ান ও সাপ্তাহিক চাঁটগার বাণী পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ, পৌরসভার কাউন্সিলর মাইমুন উদ্দিন মামুন, কাউন্সিলর জুলফিকার আলী শামিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো.শাহজাহান, পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহ কামাল চৌধুরী,ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহেদ চৌধুরী ফারুক ও ভুইয়া সামি আল মুজতবাসহ ১৬জন প্রার্থী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের কাছে প্রার্থীতা ঘোষণা করেন।

    দল যাচাই-বাচাই পরবর্তী ৯ জনের নাম প্রস্তাব পাঠান কেন্দ্রে। কেন্দ্র বিচার বিশ্লেষণ করে বর্তমান মেয়রকে পুনরায় নৌকার মাঝি হিসেবে টিকেট প্রদান করেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আসন্ন পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় একক প্রার্থী আলহাজ্ব বদিউল আলম বলেন, “আমার গত ৫ বছরের কাজকে দল মূল্যায়ন করেছে। আমিও দলের সুখে-দুখে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। পুনরায় দল আমাকে মনোনয়ন দিয়ে আরো বেশি বেশি পৌরবাসির সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছে। আমাকে পুনরায় দলীয় টিকিট দেওয়ায় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় এমপি দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম আল মামুনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে কৃতজ্ঞ।

    উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ১ এপ্রিল ২৮ বর্গমাইল আয়তনের সীতাকুণ্ড পৌরসভা গঠিত হয়। এ পৌরসভায় ভোটার রয়েছেন প্রায় ২৮ হাজারের মতো। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ২৮ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড পৌরসভাসহ দেশের ২৫টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

  • আরও ৪ সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি যারা

    আরও ৪ সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি যারা

    দেশের বিভিন্ন এলাকায় আবারও নির্বাচনী হাওয়া। মৃত্যু ও পদত্যাগ জনিত কারণে পাঁচটি সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। ওই পাঁচ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

    শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সংসদীয় মনোনয় বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সভায় সভাপতিত্ব করেন।

    পাঁচটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা, তারা হলেন- ঢাকা-১০ আসনে এফবিসিআই’র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, গাইবান্ধা-৩ আসনে কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বাগেরহাট-৪ আসেন আমিরুল ইসলাম মিলন, যশোর-৬ আসনে শাহীন চাকলাদার, বগুড়া-১ আসনে সাহাদারা মান্নান।

    চারটি আসনের উপ নির্বাচনে ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়, ২৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই, ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৮ ফেব্রুয়ারি। ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহার। প্রতীক বরাদ্দ ১ মার্চ আর ভোটগ্রহণ হবে ২১ মার্চ।

  • চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকার মাঝি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ

    চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকার মাঝি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। ১৯ জন প্রার্থী দলের মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

    মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড এই ঘোষণা দেন।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোকারম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, দল তৃণমূলে সিদ্ধান্তকে মূল্যায়ন করেছে। উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে দলের অন্যতম নেতা মোছলেম উদ্দিনকে মনোনয়নের প্রয়োজন ছিলো। আসন্ন নির্বাচনে এলাকাবাসী নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।

    এদিকে মোছলেম উদ্দিন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় বোয়ালখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা উপজেলা সদরে এক আনন্দ মিছিল বের করেন।

    এছাড়া নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানান। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের মিষ্টিমুখ করানো হয়।