Tag: নৌযান শ্রমিক

  • নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

    নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

    খোরাকিভাতার দাবি মেনে নেয়ায় পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নৌযান শ্রমিক-মালিকদের সঙ্গে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।

    বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ধর্মঘট প্রত্যাহার ঘোষণা দেন।

    বৈঠকে শ্রমিকদের খাদ্যভাতা (খোরপোশ) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছোট নৌযানের জন্য ১০০০ টাকা, ১০০০-১৫০০ টনের নৌযানের জন্য ১২০০ টাকা এবং ১৫০০ টনের বেশি ওজনের নৌযানের জন্য ১৫০০ হাজার টাকা খাদ্য ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা।

    এর আগে সোমবার খোরাকি ভাতাসহ ১১ দফা দাবিতে শ্রমিক ধর্মঘটে সারা দেশের নৌপথে পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। এতে সমুদ্রবন্দরগুলোতে খালাস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ঘাটে ঘাটে পণ্য নিয়ে অলস বসেছিল লাইটার জাহাজ।

    পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘নৌ শ্রমিকরা যে দাবি করেছেন, তাদের মূল দাবি হচ্ছে খোরাকি ভাতা। এটা অবশ্যই তাদের ন্যায্য দাবি, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। গত এক বছরে তারা দুবার এই ধরনের ধর্মঘটে গেছেন। আমরা আলোচনা করে এটার একটা সমাধান করেছি।

    প্রসঙ্গত, সোমবার মধ্যরাত থেকে পণ্য ও তেলবাহী নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার এ ধর্মঘট শুরু করে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।

    শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবিগুলো ছিল-
    ১. বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে চাঁদাবাজি-ডাকাতি বন্ধ করা
    ২. ২০১৬ সালে ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী নৌযানের সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন প্রদান
    ৩. ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস এবং মালিক কর্তৃক খাদ্যভাতা প্রদান
    ৪. সব নৌযান শ্রমিকের সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ
    ৫. এনডোর্স, ইনচার্জ, টেকনিক্যাল ভাতা পুনর্নির্ধারণ
    ৬. কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ
    ৭. প্রত্যেক নৌশ্রমিককে মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান
    ৮. নদীর নাব্য রক্ষা ও প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন
    ৯. মাস্টার/ড্রাইভার পরীক্ষা, সনদ বিতরণ ও নবায়ন, বেআইনি নৌচলাচল বন্ধ করা
    ১০. নৌপরিবহন অধিদফতরে সব ধরনের অনিয়ম ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধ এবং
    ১১. নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ধর্মঘটে অচল চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গর, মূল জেটি স্বাভাবিক দাবি কর্তৃপক্ষের

    ধর্মঘটে অচল চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গর, মূল জেটি স্বাভাবিক দাবি কর্তৃপক্ষের

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে কর্মবিরতিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গর। ঘাট থেকে খালাসের জন্য সাগরে যায়নি কোন লাইটার জাহাজ। বন্ধ রয়েছে নৌপথের পরিবহণও। 

    ফলে বহির্নোঙ্গরে অলস বসে আছে বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য নিয়ে আসা ৭৮টি মাদার ভ্যাসেল। এছাড়া কর্ণফুলী নদীতে অলস বসে আছে এক হাজারেরও বেশি লাইটারেজ জাহাজ। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।

    শনিবার ভোর ৬ টা থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ রেখে কর্মবিরতি শুরু করে নৌযান শ্রমিকরা। সকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর নৌঘাটে কোনো লাইটারেজ জাহাজে পণ্য উঠানামা করেনি। সারিবদ্ধভাবে লাইটারেজ জাহাজগুলো নদী বয়াতে বাধা রয়েছে।

    তবে বন্দরের মূল জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।

    জানা যায়,  দেশের ৭৫ শতাংশ পণ্য পরিবহন হয় নৌ পথে। মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য নিয়ে লাইটারেজ জাহাজগুলো ঘাটে এবং নদী বন্দরে পৌঁছে দিয়ে আসে।

    চাকরির নিরাপত্তাসহ ১১ দফা দাবিতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দেন নৌযান শ্রমিকরা। এ লক্ষ্যে শ্রমিকরা ১১ দফা দাবীতে ধর্মঘটের পাশাপাশি মিছিল সমাবেশ করছে চট্টগ্রামের ঘাটগুলোতে। ফলে সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের পার্শ্ববর্তী ১৬টি ঘাটে অলস বসে আছে শত শত লাইটারেজ জাহাজ এবং অয়েল ট্যাংকার। অথচ এসব জাহাজের ব্যস্ত থাকার কথা ছিল বন্দরের বহির্নোঙ্গরে মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাসের কাজে।

    চট্টগ্রাম ডব্লিউটিসি’র কো-কনভেনার শফিক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, নৌযান শ্রমিকদের কর্মরিতির ফলে আমদানিকারকদের ড্যামারেজ দিতে হচ্ছে। এক এক মাদারশিপে ১০ থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত ড্যামারেজ আছে। এই মাল আনলোড বন্ধ থাকলে সাধারণ মানুষের অনেক ক্ষতি হবে।

    তবে বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের তথ্যমতে কর্মবিরতি চলাকালেও সচল রয়েছে বন্দর। বহির্নোঙরে অবস্থানরত ৫২টি জাহাজের মধ্যে ৪৭টি জাহাজ থেকে পণ্যবোঝাই চলছে। এসব পণ্যের মধ্যে পাথর, কয়লা, সিমেন্টের ক্লিংকার ও বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যও রয়েছে।

    বন্দরের ভেতরে জেটিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, জাহাজে কনটেইনার ওঠানামা স্বাভাবিক রয়েছে। তাছাড়া ইয়ার্ড থেকেও কনটেইনার নিয়মিত খালাস হচ্ছে।

    নৌযান শ্রমিকদের আটটি সংগঠনের জোট বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন শুক্রবার মধ্যরাতে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। এ নিয়ে গত এক বছরে তিনবার ধর্মঘটের ডাক দিল ফেডারেশন। নেতাদের দাবি, নৌযান মালিক ও সরকার বারবার ওয়াদা ভঙ্গ করায় তারা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এবার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন না।

    তারা বলছেন, ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ১১ দফা উপস্থাপন করা হলেও তাদের মূল দাবি ২০১৬ সালে প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে। অন্য দাবিগুলো হলো নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান, মালিক কর্তৃক খাদ্য ভাতা প্রদান, নৌযান শ্রমিকদের সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ।

  • নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

    নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

    পনেরো দফা দাবিতে ডাকা যাত্রীবাহী লঞ্চে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে নৌযান শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদ।

    নৌযান শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মো. ওমর ফারুক কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, বরিশালে চরমোনাই পীরের মাহফিলে অংশ গ্রহণে সুবিধা এবং শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছি। যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করবে, তবে মালবাহী নৌযানে কর্মবিরতি চলবে।

    কর্মবিরতির কারণে বুধবার সকাল থেকে সদরঘাটে কোনো লঞ্চ চলাচল করেনি। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

    ১৫ দফা দাবি আদায়ে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ কার্গো ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ বাল্কহেড, ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন মিলে ঐক্য পরিষদ গঠন করে। গত ২৪ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে তারা ২৭ নভেম্বর থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করে ঐক্য পরিষদ।

    ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আলমগীর কবির বলেন, সদরঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল, কর্মবিরতি প্রত্যাহার ঘোষণার পর লঞ্চ ঘাটে আসতে শুরু করেছে।

  • কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকরা,লঞ্চ চলাচল বন্ধ

    কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকরা,লঞ্চ চলাচল বন্ধ

    নৌযান শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছে। শতভাগ খাদ্যভাতা ও সুপেয় পানির খরচ আদায়সহ ১৫ দফা দাবিতে তাদের এই কর্মবিরত।

    এর ফলে বুধবার সকাল থেকে ঢাকার সদরঘাট থেকে কোন যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে যায়নি বলে সদরঘাটসূত্রে খবর পাওয়া গেছে।

    গত ২০ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আওতায় সব শ্রেণির জাহাজ, ট্রলার ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানায় তারা।

    মানববন্ধন থেকে শ্রমিকরা নৌ শ্রমিকদের খোরাকি ভাতা চালু, জ্বালানি তেল সরবরাহের পাইপলাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ডিজি শিপিংয়ের হয়রানি বন্ধ, সুনামগঞ্জের ছাতকের ভুয়া ইজারা বাতিল এবং নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবি জানান।