Tag: নৌ প্রতিমন্ত্রী

  • বিএসসির বহরে যুক্ত হবে আরও ২১ জাহাজ : নৌ প্রতিমন্ত্রী

    বিএসসির বহরে যুক্ত হবে আরও ২১ জাহাজ : নৌ প্রতিমন্ত্রী

    নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) চেয়ারম্যান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের মধ্যে ২৬টি সমুদ্রগামী জাহাজ বিএসসির জাহাজ বহরে সংযোজনের ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বিএসসির উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালে বিএসসির বহরে ৬টি নতুন জাহাজ যুক্ত হয়েছে। আরো ৪টি নতুন জাহাজ সংযোজনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিএসসি বর্তমানে আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় নিজস্ব অর্থে জাহাজ কেনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ফলে বিএসসির বহরে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ২১টি জাহাজ যুক্ত হবে।

    বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামে হোটেল রেডিসন ব্লুতে বিএসসির ৪৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক নৌপথে নিরাপদ, দক্ষ শিপিং সেবা প্রদান ও বাংলাদেশের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি পণ্য নিজস্ব জাহাজ বহরে পরিবহন করার উদ্দেশ্যে বিএসসি প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী নৌ-বাণিজ্যের সহায়ক পরিবহন নেটওয়ার্কের ভিত গড়ে তোলার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে সরাসরি তার অধীনে রেখেছিলেন। কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা লাভের মাত্র ৪ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম সমুদ্রগামী জাহাজ “বাংলার দূত” এবং এর পরপরই “বাংলার সম্পদ” নামক অপর একটি জাহাজ কর্পোরেশনের বহরে সংযোজিত হয়।

    বিএসসি চেয়ারম্যান ও নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ হচ্ছে। কয়লা, এলএনজি এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পরিশোধিত ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিবহন ছাড়াও রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন এবং আর্থিকভাবে লাভজনক বিবেচনায় বিভিন্ন সাইজ ও ধরনের জাহাজ ক্রয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব পরিকল্পনাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদে দ্য বাংলাদেশ ফ্লাগ ভেসেলস (প্রটেকশন অব ইন্টারেস্ট) এ্যাক্ট ২০১৯ পাশ হয়েছে। যার ফলে সরকারি তহবিলে আমদানি বা রপ্তানিকৃত পণ্য সমুদ্রপথে পরিবহনের ক্ষেত্রে বিএসসি অগ্রাধিকার পাবে।

    তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বাঙালির আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট কালরাতে বর্বর হত্যাকাণ্ডের কারণে সে স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন করা হয়েছে, মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

    ‘বিএসসি দীর্ঘদিন পর চট্টগ্রামের কৈবল্যধামে তাদের নিজস্ব জায়গায় আনসার ক্যাম্প ও পাহাড়া চৌকি প্রতিষ্ঠা করেছে। ফলে ১২ দশমিক ৭৭ একর জায়গাটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা যাবে। সেখানে বিএসসির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ জায়গাটি যেহেতু কর্মচারীদের আবাসনের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে; তাই জায়গাটিতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। এছাড়া খুলনার কেডিএ এভিনিউ এলাকায় ১১ দশমিক ৭৩ কাঠা জমির সমস্যা সমাধান করে সেখানে বিএসসির শপিং কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে দোকান ভাড়া দিয়ে বর্তমানে মাসিক তিন লাখ টাকা আয় হচ্ছে। খুলনার বয়রা আবাসিক এলাকায় ৪০ কাঠা জমিতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে বাউন্ডারি ওয়াল দেওয়া হয়েছে। জায়গাটির বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।’

    তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিএসসির নীট মুনাফা হয়েছে ২৪৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। কর্পোরেশনের উক্ত লাভের ওপর ভিত্তি করে এবং শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ বিবেচনা করে পরিচালনা পর্ষদের ৩১৮তম সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে। আশা করি বিএসসির লাভের ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে এ লভ্যাংশের পরিমান আরও বৃদ্ধি পাবে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএসসি বাণিজ্যিক কার্যক্রম ছাড়াও সরকারি সংস্থা হিসেবে জাতীয় স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে। দেশের স্বার্থে পণ্য পরিবহণ করাসহ প্রয়োজনে অলাভজনক রুটেও কর্পোরেশন জাহাজ পরিচালনা করে থাকে। মেরিটাইম শিল্পে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএসসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিএসসির জাহাজে বাংলাদেশ মেরিন অ্যাকাডেমির ক্যাডেটদের প্রতি বছর নিয়োগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়া কেবলমাত্র সংস্থার জাহাজে মেরিন অ্যাকাডেমির মহিলা ক্যাডেটদের এক বছরের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, যারা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাহাজে যোগদানের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনসহ দেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

    সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল ও বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মো. জিয়াউল হক।

  • বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমোদন ছাড়া কোনো সেতু নয় : নৌ প্রতিমন্ত্রী

    বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমোদন ছাড়া কোনো সেতু নয় : নৌ প্রতিমন্ত্রী

    বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমোদন ছাড়া কোনো সেতু নির্মাণ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী।

    বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    খালেদ মাহমুদ বলেন, আমাদের নদীগুলোতে বিভিন্ন ধরনের জাহাজ চলাচল করে। এ ক্ষেত্রে কোন নদীতে কোন জাহাজ চলাচল করবে, সেটি মাথায় রেখেই সেতুগুলো নির্মাণ করতে হবে। সেটির ক্লিয়ারেন্স দেয় বিআইডব্লিউটিএ। এ ক্ষেত্রে তাদের অনুমোদন ছাড়া রোডস, এলজিইডি, সেতু বিভাগ কেউ-ই যেন কোনো ব্রিজ নির্মাণ করতে না পারে, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের তদারকি করতে বলেছি।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের নৌপ্রবাহ যেন ঠিক থাকে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিরার মধ্যে যদি রক্ত প্রবাহিত না হয় তাহলে মানুষ থেমে যাবে। তেমনি নদীমাতৃক বাংলাদেশেও পানি প্রবাহিত না হলে থেমে যাবে, দুর্বল হয়ে যাবে।

    তিনি বলেন, আজকের সম্মেলনে আমরা জেলা প্রশাসকদের আরেকটি নির্দেশনা দিয়েছি। প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস ভারত থেকে ১৩ জানুয়ারি যাত্রা করেছে। ভারত থেকে বাংলাদেশ হয়ে আবার ভারতে যাবে। ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখে মোংলায় আমরা স্বাগত জানাব। জেলা প্রশাসকদের স্বাগত জানাতে বলেছি।

    উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

  • ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

    ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

    নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌপরিবহন খাতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এরই অংশীদার হিসাবে শিপিং সেক্টরও জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।

    প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার চট্টগ্রামে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউিট (এনএমআই) চট্টগ্রাম এর ২৪ তম এবং এনএমআই, মাদারীপুর এর ১৩ তম ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থী রেটিংসদের পাসিং আউট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিশ্বনৌবহর দ্রুতগতিতে উন্নত থেকে উন্নতর হচ্ছে। সে সাথে তাল মিলিয়ে জাহাজি অফিসার ও রেটিংদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।

    তিনি বলেন, দিন বদলের পালায় বর্তমান সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে দেশের সকল সেক্টর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নিম্নমধ্য আয়ের দেশ (এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল (ডেভলপিং) দেশে এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে।

    তিনি আরও উল্লেখ করেন, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণে মাদারীপুর শাখার স্থাপনাদির নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। শিঘ্রই উদ্বোধন করে মাদারীপুর ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে। সেখানে প্রতি ব্যাচে ৩০০ জন করে ২টি ব্যাচে প্রতি বছর ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা সম্ভব হবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রামে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, কুড়িগ্রাম শাখা স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটটি, চট্টগ্রামকে মেরিটাইম কর্মকান্ডের কেন্দ্র হিসাবে পরিণত করার সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসাবে সরকার ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটে ‘শেখ রাসেল সিমুলেটর ভবন’ নির্মাণ করেছে। যার মধ্যে ফুল মিশন ব্রীজ সিমুলেটর, ফুল মিশন ইঞ্জিন সিমুলেটর এবং হাই ভোল্টেজ সিমুলেটরসহ অন্যান্য আধুনিক প্রশিক্ষণ যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। এরফলে বাংলাদেশের শিপিং সেক্টরের সংশ্লিষ্ট অফিসার ও রেটিংদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণ প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশী অফিসার ও রেটিং (নাবিক)দেরকে আর বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান।

    অনুষ্ঠানে দুজন রেটিংসকে গোল্ড মেডেল ও সিলভার মেডেল পদক প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের সৌজন্যে প্রদত্ত গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত হন অল রাউন্ড রেটিং মোঃ আতিকুর রহমান টুটুল এবং মেসার্স হক এন্ড সন্স লিমিটেডের সৌজন্যে প্রদত্ত বেস্ট গ্রাউন্ড ড্রিল সিলভার মেডেল প্রাপ্ত হন প্যারেড কমান্ডার মো. ইসমাইল হোসেন। দুজনই চট্টগ্রাম এনএমআই এর। উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে ২৯৭জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৬৮ জন মাদারীপুর এন এম আই’র।

    প্রতিমন্ত্রী পাসিং আউট রেটিংদের মার্চ পাস্ট পরিদর্শন করেন। তিনি শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রতিমন্ত্রী পরে ইন্সটিটিউটের নবনির্মিত মসজিদ ও ‘শেখ রাসেল সিমুলেটর ভবনের’ উদ্বোধন করেন।

  • বিএম ডিপোতে মালিকপক্ষের গাফিলতি থাকলেও আইনের আওতায় আসবে

    বিএম ডিপোতে মালিকপক্ষের গাফিলতি থাকলেও আইনের আওতায় আসবে

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিকপক্ষের গাফিলতি থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

    মঙ্গলবার (৭ জুন) সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনা সন্দেহজনক। মালিকপক্ষও বলছে, এটি নাশকতা হতে পারে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে বলা হচ্ছে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড। এটা কোনো বিস্ফোরক আইটেম নয়। এটি অনুমোদিত রপ্তানি পণ্য। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রপ্তানি করছে। এই ডিপো আইএসপিএস কোড (আন্তর্জাতিক জাহাজ, বন্দর সুবিধা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোড) অনুসরণ করেছে। যে কমপ্লায়েন্সগুলো ছিল, সবগুলো মেনেছে। সেখানে অগ্নিনির্বাপক যে ব্যবস্থা থাকা দরকার, সবই ছিল। তারপরও ঘটনাটা ঘটে গেল।

    তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিপদজনক পণ্য পরিবহনের যে নীতিমালা আছে, সেটাও সেখানে মানা হয়েছে। বলা হয়েছে, কনটেইনার ডিপোগুলোর মধ্যে বিএম কনটেইনার ডিপোর ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে ভালো। আমরা গতকাল পরিদর্শন করে যা দেখলাম, আগুনের যে চিত্রটা, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের যে কনটেইনারগুলো ছিল, কিছু কনটেইনারে আগুন ধরে গেছে, বিস্ফোরিত হয়ে গেছে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, কীভাবে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, বিস্ফোরণ হয়ে গেল। এটা অস্বাভাবিক আগুন। একটা স্তর বাদ দিয়ে আরেকটা স্তরে আগুনটা ধরেছে। এটা একটা সন্দেহ হচ্ছে। মালিকপক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটা নাশকতা কি না?

    তিনি বলেন, এটা কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য নয়। যেহেতু এটা বিস্ফোরক নয়, তাই তাদের এটা ডিক্লেয়ার করার কিছু নেই। ব্যাপারটা এ রকমই। আমরা যাওয়ার আগে এক ধরনের চিন্তা করেছিলাম। যাওয়ার পরে আমরা আরেক ধরনের ব্যবস্থা দেখলাম।

    হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড বিস্ফোরক না হলে সেখানে বিস্ফোরণ কেন ঘটল- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অক্সিজেন নিজে জ্বলে না কিন্তু অন্যকে জ্বলতে সহায়তা করে। এই ধরনের কোনো একটা ঘটনা হয়তো ঘটেছে। সেজন্য এখানে বলা হচ্ছে, এটা নাশকতা কি না। এই মুহূর্তে এটা বলা খুব কঠিন, তদন্তের আগে।

    তিনি বলেন, গতকাল একটা ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। এই উদ্বোধনের সঙ্গে এই ঘটনাটা জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনের যে আয়োজন এতে যে অর্থটা খরচ হবে, সেটা ন্যূনতম। (উদ্বোধন অনুষ্ঠান না করে) এই অর্থ দিয়ে আগুন মোকাবিলায় হেলিকপ্টার কেনা হবে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে। মিলিয়ন ডলার এখানে ব্যয়, সেটার সঙ্গে এটা খুবই যৎসামান্য। এটা পপুলার একটি গুজব।

    এই যে মিলিয়ে দেওয়া হলো, পাশাপাশি নাশকতার ধারণা করা হচ্ছে। এটাতে খুবই যোগসূত্র পাওয়া যায়, জানান প্রতিমন্ত্রী।

    এর মানে কি আপনারা নাশকতার ধারণা করছেন- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি যেটা দেখেছি, আপনি যদি প্র্যাকটিক্যালি যান, আপনারও এমনটা হতে পারে।

    তিনি বলেন, সবকিছু তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। যেহেতু আমাদের আশঙ্কাটা এখানে এসেছে। যারা তদন্ত করছেন, তারা হয়ত এই বিষয়টাও আমলে নেবেন। বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, সেই এগিয়ে যাওয়ায় অনেকে ঈর্ষান্বিত। সেই জায়গাগুলোতে অনেকে যুক্ত হচ্ছে কি না, সেটাও একটা ব্যাপার।

    ডিপো একটি সেনসিটিভ জায়গা। আপনি যেটি সন্দেহ করছেন বা অনেকেই করছে, নাশকতা। তাহলে তো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমেরিকার মতো শতভাগ সিকিউরড জায়গায় টুইন টাওয়ারে কিন্তু হামলা করা হয়েছিল। ইংল্যান্ডে বাসা থেকে বের হলে ৩০-৪০টা ক্যামেরার মধ্যে আপনি চলে যাবেন। সেখানেও হামলা হয়েছে। নাশকতা যারা করে, তারা তো সেভাবেই করে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার ফোন দুইবার হ্যাক হয়ে গেছে, শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্যাম্পেইনিং করার জন্য। তো এটা কি নাশকতা না? এটাওতো নাশকতা। কীভাবে হয়েছে আমিও তো জানি না। দেখা যাচ্ছে আমার আইডি হ্যাকিং করে পাকিস্তানি এক লোকের নামে চালানো হচ্ছে, একজন হিন্দু মহিলার নাম দিয়ে। আমার এটি উদ্ধার করতে প্রায় ২০-৩০ দিন লেগেছে। এটা তো বেশিদিন আগের ঘটনা না, ২০১৯ সালের ঘটনা। কাজেই যারা নাশকতা করবে, যারা বেড গেইম প্লে করে তারা আরও বেশি স্কিলড। তারা আরও বেশি মেধাবী।

    যেহেতু সেখানে ক্ষতিকর কিছু ছিল না। মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে তাহলে ব্যবস্থার সুযোগ নেই-এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তদন্তের মধ্যে বেরিয়ে আসবে। যদি মালিকপক্ষ তদন্তের মধ্যে আসে, গাফিলতি আছে, ডেফিনেটলি আইনের আওতায় আসবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

    এটার মালিক সেখানকার আওয়ামী লীগের একজন নেতা। অনেকেই বলছেন তাকে ছাড় দেওয়ার একটা ব্যবস্থা হতে পারে। আপনি কি বলবেন- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে রাজনীতির সঙ্গে তো কোনো সম্পর্ক নেই। সেখানে তো দেখলাম জামায়াতের আমিরও গেছেন।

  • দেশের ৯৮ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন হয় নিজস্ব অর্থায়নে : নৌ প্রতিমন্ত্রী

    দেশের ৯৮ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন হয় নিজস্ব অর্থায়নে : নৌ প্রতিমন্ত্রী

    নিজস্ব অর্থায়নে দেশের ৯৮ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন হয় মন্তব্য করে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নিজের টাকায় সরকার বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দেশের যেকোনো মানুষ বিশ্বের যে প্রান্তে অবস্থান করুক না কেন গর্ব করে বলে, আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে। আমরাও গর্ব অনুভব করি। আমরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাবো।

    রবিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মুন্সী ফজলুর রহমান অডিটোরিয়ামে বন্দরের ১৪ তম উপদেষ্টা কমিটির সভায় স্বাগত বক্তব্যে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

    নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন হয় নিজস্ব অর্থায়নে। বাংলাদেশ নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু করছে। পারমাণবিক ক্লাবে যুক্ত হয়েছি। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল হচ্ছে। আগে দেশে মহাসড়ক ছিল না, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল কত কিছু হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন হচ্ছে।

    নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ছে। করোনায়ও বন্দর সার্বক্ষণিক সচল ছিলো। চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

    উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, করোনার সংকটকালে চট্টগ্রাম বন্দর সচল রেখেছেন। এটা চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে লেখা থাকবে। আপনারা নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। আপনারা বন্দর সচল রাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ করে এনবিআর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি আমাদের দ্বিতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভা।

    বিরাট সম্ভাবনার বাংলাদেশ নেতিবাচক সংবাদ চায় না মন্তব্য করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক উন্নয়নে, দেশের সুনাম মর্যাদা রক্ষার জন্য অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। আপনাদের লিখনী, সংবাদ পরিবেশন আমাদের প্রেরণা, সাহস জুগিয়েছে। আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশে একটা সময় ছিল নেতিবাচক সংবাদই বড় সংবাদ। বাংলাদেশ এখন সে জায়গায় নেই। এদেশের মানুষ, পাঠক নেতিবাচক সংবাদে বেশি দৃষ্টি দেয় না।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলমের সঞ্চলনায় সভায় ১৩তম সভার সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি তুলে ধরেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ।

    উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, ওয়াসিকা আয়েশা খান, কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি একেএম আলতাফ হোসেন, নুরুল কাইয়ুম খান, বিজিএমইএর নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।

    জুম অ্যাপে সভায় অংশ নেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএর মো. হাতেম, রেজাউল করিম, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক রফিক আহমেদ প্রমুখ।

  • স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে, ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের নদী খনন কাজ উদ্বোধন

    স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে, ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের নদী খনন কাজ উদ্বোধন

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃনৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উদ্বোধন করলেন ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের নদী খনন কাজ।

    লক্ষীপুরের মজুচৌধুরীরহাটে শনিবার দুপুরে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল এবং ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে ফেরিসহ নৌযোগাযোগ দ্রুত ও নিরাপদ করতে মেঘনা নদীর লোয়ার অংশে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর দক্ষিণ দিকের চ্যানেলের ২৫ কিলোমিটার নৌপথের খনন কাজ শুরু হয়েছে।

    খনন কাজটি সম্পন্ন হলে ভোলা-লক্ষ্মীপুর এবং ঢাকা-লক্ষ্মীপুর উভয় নৌপথের দুরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার কমবে। ঢাকা হতে লক্ষ্মীপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চ ৬ ঘন্টায় যেতে পারবে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি শনিবার লক্ষ্মীপুরে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের উল্লেখিত ২৫ কিলোমিটারের খনন কাজের উদ্বোধন করেন।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের আলোকবর্তিকা। তাঁর আলোয় আলোকিত হচ্ছে দেশ। তিনি পদ্মা সেতু, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, চার লেন- ছয় লেনের মহাসড়ক, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছেন।প্রতিমন্ত্রী আজ লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট বাস টার্মিনালে ঢাকা-লক্ষীপুর নৌপথের ড্রেজিং কাজের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃকায় এসব কথা বলেন।

    বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল, জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মিয়া মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু এবং সাধারণ সম্পাক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ পুনরুদ্ধারের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রতিমন্ত্রী পরে মজুচৌধুরীরহাট হতে চররমণী এলাকায় মেঘনার লোয়ার চ্যানেলে ড্রেজিং কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

    উল্লেখ্য, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী এবং মেঘনা (লোয়ার) নদীর ওপর দিয়ে ঢাকা হতে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত নৌপথের দুরত্ব ১২৫ কিলোমিটার। বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীতে বর্তমানে কোন নাব্যতা সংকট নেই। মেঘনা (লোয়ার) নদীতে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট সংলগ্ন এলাকায় কিছু স্থানে নাব্যতা সংকট রয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) মেঘনা (লোয়ার) নদীর উক্ত চ্যানেলে ২৫ কিলোমিটার নৌপথ খনন করবে। এ বছরের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে খনন কাজ শেষ হবে। দু’বছরে ৩১ লক্ষ ঘনমিটার খনন কাজে ব্যয় হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এবং বিআইডব্লিউটিএ’র নিজস্ব ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ সম্পন্ন করা হবে।

  • গণপরিবহন চলবে,ঈদের ৯ দিন পণ্য পরিবহন বন্ধ,আগের সিদ্ধান্ত ভুল বোঝাবুঝি:নৌ প্রতিমন্ত্রী

    গণপরিবহন চলবে,ঈদের ৯ দিন পণ্য পরিবহন বন্ধ,আগের সিদ্ধান্ত ভুল বোঝাবুঝি:নৌ প্রতিমন্ত্রী

    করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে আসন্ন ঈদুল আজহার পাঁচ দিন আগে থেকে এবং ঈদের তিন দিন পর পর্যন্ত মোট ৯ দিন গণপরিবহন নয়, বন্ধ থাকবে যেকোনো ধরনের পণ্যবাহী যানবাহন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রথমে গণপরিবহন বন্ধের কথা জানালেও পরে পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন।

    নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ঈদুল আজহার পাঁচ দিন আগে ও তিন দিন পর গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে সরকারের নির্দেশনা পেয়েছেন জানালেও সভা শেষে বললেন ভিন্ন কথা। ঈদুল আজহার আগে গণপরিবহন বন্ধের নির্দেশনাকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণপরিবহন নয়, বন্ধ থাকবে পণ্য পরিবহন।

    বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি, স্টিমার চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ কর্মপন্থা নির্ধারণ সংক্রান্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন প্রতিমন্ত্রী। সভার শুরুতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে এবং ঈদের পরে তিন দিন গণপরিবহন বন্ধ রাখার বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন আমরা পেয়েছি। মিটিং করে সেই আলোকেই আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

    তিনি আরও বলেন, ‘যারা ঈদে বাড়ি যেতে চায় তাদের ঈদের পাঁচ দিন আগেই যেতে হবে। যারা আসতে চায় তাদের তিন দিন পরেই আসতে হবে।’

    বৈঠক শেষে আবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজ বৈঠকের আগেও আমরা বলেছিলাম ঈদের আগের পাঁচ দিন এবং পরে তিন দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সেটা একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে পণ্যবাহী যেকোনো পরিবহন বন্ধ থাকবে।’

    এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে তার কথা হয়েছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখানে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা হচ্ছে ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরে তিন দিন পণ্যবাহী যে কোনো ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকবে। কিন্তু আমাদের গণপরিবহন, গণপরিবহনের একটা অংশ যাত্রীবাহী লঞ্চ বা ফেরি চালু থাকবে।’

    ট্রেন বা বাসও কি চলাচল করবে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটার সমন্বয় করে নেব। আমি যতটুকু বুঝতে পারছি ট্রেন-বাসও চলবে।’

    জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।

    করোনা বিস্তাররোধে সব সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের সরকারি বা ঐচ্ছিক ছুটিতে আবশ্যিকভাবে কর্মস্থলে অবস্থানের জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    এবার ঈদুল আজহার ছুটি বাড়ছে না, ছুটি তিন দিনই থাকছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রাম বন্দরকে দক্ষতায় ৩০তম অবস্থানে দেখতে চাই: নৌ প্রতিমন্ত্রী

    চট্টগ্রাম বন্দরকে দক্ষতায় ৩০তম অবস্থানে দেখতে চাই: নৌ প্রতিমন্ত্রী

    নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘১০ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের সেরা ১০০ কনটেইনার হ্যান্ডলিংকারী বন্দরের তালিকায় ৬৪তম অবস্থানে আছে। এই দক্ষতা অব্যাহত রেখে আমরা চাই ৩০-৫০ তম অবস্থানের মধ্যে চলে আসতে।’

    চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালে সমুদ্রবন্দরের কর্মীদের করোনা চিকিৎসার জন্য ৬০ শয্যার বিশেষায়িত ইউনিট ও নতুন হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী এই আশাবাদের কথা ব্যক্ত করেন।

    আজ বুধবার (১ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম বন্দরকে বাংলাদেশের লাইফ-লাইন বলে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বন্দর চট্টগ্রামের মানুষের প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে চট্টগ্রামবাসীর পাশে থাকবে বলেও জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী।

    তিনি বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, লঞ্চডুবির ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। দোষীদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

    চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ এ সময় বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: দেড় লাখ টাকা করে পাবে মৃতদের পরিবার

    বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: দেড় লাখ টাকা করে পাবে মৃতদের পরিবার

    ঢাকার শ্যামবাজার এলাকায় ১৫০ জনের অধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে দেয়া হবে।

    এছাড়া লাশ দাফনের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ।

    তিনি জানান, এছাড়া সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় হয়েছে।

    রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লাইটারেজ শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নিতে নৌ প্রতিমন্ত্রীর প্রতি চেম্বার সভাপতির আহবান

    লাইটারেজ শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নিতে নৌ প্রতিমন্ত্রীর প্রতি চেম্বার সভাপতির আহবান

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম লাইটারেজ শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী এমপি’র প্রতি ২৭ নভেম্বর এক পত্রের মাধ্যমে আহবান জানিয়েছেন।

    পত্রে তিনি বলেন-বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ইং রাত ১২.০১ মিনিট থেকে কর্মবিরতি পালন করছে। এই কর্মবিরতি চলাকালীনসময়ে লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিকরা চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রাখার পাশাপাশি সারাদেশে নৌ-পথে লাইটারেজ জাহাজ, কার্গো ট্রলার, বাল্ক হেড ইত্যাদি চলাচল বন্ধ রেখেছে।

    ফলশ্রুতিতে মাদার ভেসেল, লাইটারেজ জাহাজ ও বন্দরের ডেমারেজ চার্জসহ আমদানিকারকরা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

    পত্রে তিনি উল্লেখ করেন-নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও ভোগ্যপণ্য এবং শিল্পের আমদানিকৃত কাঁচামাল খালাস বন্ধ থাকার কারণে একদিকে যেমন বাজার অস্থিতিশীল হবে, অন্যদিকে তেমনি শিল্প মালিকগণ যথাসময়ে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে ব্যর্থ হবেন। ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকদের কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। ফলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

    সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে কোন ধরণের আলোচনা না করে শ্রমিকদের এ ধরণের কর্মবিরতি অনাকাঙ্খিত ও অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হতে পারে বলে মনে করেন চেম্বার সভাপতি।

    দেশের অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল হওয়া থেকে রক্ষা করতে লাইটারেজ শ্রমিকদের এ কর্মবিরতি প্রত্যাহারে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে নৌ প্রতিমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান মাহবুবুল আলম।

  • আন্তর্জাতিক নৌরুট হবে চিলমারী:নৌ প্রতিমন্ত্রী

    আন্তর্জাতিক নৌরুট হবে চিলমারী:নৌ প্রতিমন্ত্রী

    নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের (বাংলাদেশ) প্রটোকল রয়েছে এবং ভুটানের সঙ্গে একটি প্রটোকলের আলোচনা চলছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিলমারী নৌবন্দরে একটি কাস্টমস অফিসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশনা দিয়েছেন। এই রুটটি একটি আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে চালু করা হবে।’

    শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দর পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

    এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ভোলানাথ দে, জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: জাফর আলী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চিলমারী নদী বন্দর উন্নয়নের জন্য প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করছি আগামি ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকার অনুমোদন হয়ে গেলে, এখানে কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। এখানে মালামাল উঠানোর জন্য একটি বন্দর এবং যাত্রী উঠানামার জন্য দুটি আলাদা বন্দর হবে।‘

    খালিদ মাহমুদ আশা প্রকাশ করে বলেন, এই রুটটি চালু হয়ে গেলে এই এলাকার অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এখন গুজব নির্ভর রাজনীতি করছে। এই পরিবারে যারা রাজনীতি করছে তারা বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চায়। রাজনীতির পথ হারিয়ে তারা কখনো পিঁয়াজ, কখনো লবণ এবং কখনো পরিবহন নিয়ে গুজবের রাজনীতি করছে।’

  • সৈয়দপুর হাসপাতাল আকস্মিক পরিদর্শনে নানক ও নৌ প্রতিমন্ত্রী

    সৈয়দপুর হাসপাতাল আকস্মিক পরিদর্শনে নানক ও নৌ প্রতিমন্ত্রী

    নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল আকস্মিক ভাবে পরিদর্শন করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং বাংলাদেশ সরকারের নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

    বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে আকস্মিক ভাবে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন তারা।

    এসময় তাদের সাথে ছিলেন,নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ রণজিৎ কুমার বর্মণ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল, হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আরিফুল হক সোহেল, সৈয়দপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল হাসনাত ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দিল নেওয়াজ খান প্রমুখ।

    পরিদর্শন কালে বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী হাসপাতালে বিভিন্ন সমস্যাবলী সম্পর্কে অবহিত হন।

    এ সময়ে উপস্থিত স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, এখানে নাক-কান, গলা ও চর্ম-যৌন রোগের চিকিৎসক নেই, এনেসথেসিয়ালিষ্ট না থাকায় অপারেশনের কার্যক্রম বন্ধ, রোগীদের প্রয়োজনীয় বাথরুম নেই। ডিজিটাল এক্সরে মেশিনসহ অত্যাধুনিক জিনিসপত্রের অভাবে ডিজিটাল যুগেও এনালগ রয়ে গেছে।বিষয়গুলো জেনে উনারা প্রয়োজনীয় সহযোগীতার আশ্বাস দেন।