Tag: পজেটিভ

  • সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের এবার স্ত্রীরও করোনা পজেটিভ

    সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের এবার স্ত্রীরও করোনা পজেটিভ

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনার নমুনা পরীক্ষার পর এবার পজেটিভ রিপোর্ট আসে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানার। 

    সোমবার (১২ অক্টোবর) করোনা টেস্টে করার পর একই দিন রাতে প্রকাশিত ফলাফলে তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।

    বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং সুস্থ আছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুবুর রহমান রুহেল।

    স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, ৮ অক্টোবর আমার আব্বার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) আমার আম্মার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

    আম্মা এখন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং আল্লাহ পাকের অসীম কৃপায় ভালো আছেন। সবার প্রতি আমার আব্বা-আম্মার জন্য দোয়ার আর্জি থাকলো।

    দয়া করে সবাই করোনা প্রতিরোধে সচেতন হোন এবং করোনা বিস্তার রোধে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিন, যেমন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা ইত্যাদি| আমরা সচেতন থাকলে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।

    উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) বিআইটিআইডি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা শেষে রাত ১০টায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

    ওদিন রাতেই চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরের দিন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচে) পাঠানো হয় তাঁকে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ। বর্তমানে শারীরিক অবস্থা ভালো বলেই তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • করোনা পজেটিভ জেনেও শহরময় ঘুরেছেন ৪দিন/ সেলুনে কেটেছেন চুল, চায়ের দোকানে ছিল আড্ডা

    করোনা পজেটিভ জেনেও শহরময় ঘুরেছেন ৪দিন/ সেলুনে কেটেছেন চুল, চায়ের দোকানে ছিল আড্ডা

    ২৪ ঘণ্টা জেলা সংবাদ : মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় করোনা পজেটিভ এক সিএনজি চালকের কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে সাধারণ মানুষজন থেকে শুরু করে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ক্ষোদ প্রশাসনও।

    করোনা পজেটিভ জেনেও ওই চালক গত চারদিন ধরে নিজের সিএনজিতে যাত্রী নিয়ে দিব্ব্যি ঘুরে বেড়িয়েছেন শহরময়। ঘুরেছেন জেলা থেকে উপজেলা।

    তাছাড়া নিজের বাড়ি ছাড়াও শহরের বিভিন্ন চায়ের দোকানে দিয়েছেন আড্ডা। সেলুনে গিয়ে চুল দাঁড়ি পর্যন্ত কেটেছেন সদ্য করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি।

    জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যাক্তির প্রাণঘাতী করোনা শনাক্ত হয়েছে চারদিন আগে গত ১৬ জুন। চালকের করোনা সন্দেহে নমুনা কালেকশন করা হয়ে গত ১০ জুন।

    করোনা পজেটিভ রিপোর্ট জানানোর পর ওই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয় এবং মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়।

    কিন্তু তিনি আইসোলেশনে না থেকে পজেটিভ রিপোর্ট আসার আগে ও রিপোর্ট জানার দিন থেকেই সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে যাত্রী পরিবহন করেছেন গত শুক্রবার পর্যন্ত।

    পরে বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে এই ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করে প্রশাসন। লকডাউন করা হয় তার বাড়ি, সে সেলুনে চুল দাড়ি কেটেছেন সেটি এবং আড্ডা দেওয়া চায়ের দোকান।

    এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ৫০ বছর। ঘরে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে রয়েছে তার। এক সপ্তাহ আগে করোনা পজিটিভ জানা সত্ত্বেও গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সেলুন, চায়ের দোকান ও বিভিন্ন স্থানে সিএনজি চালিয়েছেন তিনি।

    স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে ওই ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করেছি। সেই সঙ্গে তার বাড়ি, সেলুন ও চায়ের দোকান লকডাউন করেছি।

    সংক্রমণ আইনে তাকে কোনো শাস্তি দেয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে ইউএনও শরীফুল ইসলাম বলেন, তার এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ আমাদের অবাক করেছে। আমরা তাকে সতর্ক করে দিয়ে এসেছি। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি যাতে করে বাড়ির বাহিরে বের না হতে পারেন সে ব্যাপারে নজরদারী করতে আমরা স্থানীয় কাউন্সিলারের সহযোগিতায় ভলেন্টেরিয়ান নিয়োগ করেছি।

    মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. তৌউহীদ আহমদ জানান, এই রকম দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করোনা বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধকে কঠিন করে দিচ্ছে। এই রকম ঘটনা যেনো আর না ঘটে তাই প্রশাসনের কঠোর হওয়া প্রয়োজন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনায় গ্রাস পটিয়া/নতুন ৪৯ জনসহ আক্রান্ত ২শ ছুঁই ছুঁই, মারা গেছে বীমা কর্মকর্তা

    করোনায় গ্রাস পটিয়া/নতুন ৪৯ জনসহ আক্রান্ত ২শ ছুঁই ছুঁই, মারা গেছে বীমা কর্মকর্তা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। রাজীব সেন প্রিন্স : চট্টগ্রাম জেলার উপজেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে করোনায় হটস্পট এখন পটিয়া। গত ১২ এপ্রিল ৬ বছরের এক শিশুর আক্রান্তের পর ১৩ এপ্রিল তার মৃত্যুর খবর দিয়ে উপজেলায় করোনার সংখ্যা গোনা শুরু হয়।

    চট্টগ্রামের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যায় মাঝে বেশ কিছুদিন স্বস্থিতে থাকলেও ফের আতঙ্কের উপজেলায় রুপ নিয়েছে পটিয়া।

    পৌরসভা সদর-গ্রাম সবখানেই এখন ছড়িয়ে পড়েছে মরণঘাতী এ করোনা সংক্রমণ। উপজেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের হার। ছোট শিশু থেকে বয়স্করাও বাদ পড়ছেন না আক্রান্ত হওয়া থেকে।

    চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী জানান, মঙ্গলবার (২ জুন) চারটি ল্যাবে মোট ৬২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার মোট ২০৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

    এর মধ্যে ১১৯ জন মহানগরের এবং ৮৭ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এর মধ্যেই একদিনে পটিয়া উপজেলায় নতুন করে ৪৯ জন আক্রান্তের ভয়ানক তথ্য জানায় জেলা সিভিল সার্জন। এর আগে গত ১ জুন একই উপজেলায় একদিনে সর্বাধিক ৫২ জন আক্রান্তের তথ্যও জানা গেছে প্রশাসন সূত্রে।

    গত ১ জুন ও ২ জুনের প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা যায় এ দুদিনে আক্রান্তের সেঞ্চুরি করেছে পটিয়া উজেলা। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পটিয়ার চার লাখ বাসিন্দা।

    জানা যায়, গত দুইদিনে উপজেলার মোট ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এর মধ্যে গত ১ জুন সোমবার একদিনে ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫২ জন এবং ২ জুন মঙ্গলবার ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৯ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

    সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন সম্প্রতি ঈদের সময় দেশের বিভিন্নস্থানে কর্মরতরা ছুটিতে গ্রামের বাড়ি পটিয়াতে ঈদ করতে আসে। তাদের মাধ্যমেই করোনার বিস্তার ঘটতে পারে।

    পটিয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নমুনা সংগ্রহের চাপও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনোলজিষ্ট রবিউল হোসেন। তিনি বলেন তারা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের ল্যাবগুলোতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

    দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে উদ্বেগ প্রকাশ করে উপজেলার সকল বাসিন্দাদের আরো সচেতন ও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পটিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা।

    তিনি বলেন, দক্ষিণ চট্রগ্রামের প্রাণকেন্দ্র পটিয়া। চট্টগ্রাম শহর থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা খুব সহজতর হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন আসা যাওয়া করে। অন্যান্য উপজেলার লোকজনেরও যাতায়াত রয়েছে এ উপজেলায়। সব মিলিয়ে রোগী বাড়ছে। একটাই উপায় আমাদের আরো অনেক সতর্ক হতে হবে, সচেতন হতে হবে।

    এনিয়ে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুইশ ছুঁতে চলেছে। উপজেলায় মোট আক্রান্ত সংখ্যা এখন ১৯০ জন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের তালিকায় ১৪৪ জন শনাক্তের তথ্য মিলেছে। উপজেলায় মৃত্যুবরণ করেছে এ পর্যন্ত ৩ জন।

    উপজেলায় নতুন একজনের মৃত্যু : গতকাল ২ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলার এক বীমা কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

    করোনায় মৃত্যু হওয়া বীমা কর্মকর্তার নাম গাজী সারোয়ার আলম টুকু (৫৫)। তিনি পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের গাজীর বাড়ির বাসিন্দা মরহুম মাহমুদুল হকের পুত্র। পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন মারা যাওয়া টুকু।

    তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোফরান রানা। তিনি বলেন, চট্টগ্রামমেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তার এলাকায় পাইনিয়র ইন্সুরেন্স কোম্পানীর সাবেক জিএম টুকু। মৃত্যুর আগে তার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

    জানা গেছে, বিকাল ৪টায় প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক পটিয়ার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে দাফন করা হয়। দাফন-কাপন ও জানাজায় নিয়োজিত ছিলেন আল মানাহিল ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।

    এর আগে একই ওয়ার্ডে করোনায় মারা গেছেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের বড় ভাই ও ওই গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল আলম। তিনি গত ২২ মে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

    গত ১৩ মে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম চাফড়া গ্রামের এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। ওইদিন ফিল্ড হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে ৫৮ বছর বয়েসী ওই ব্যক্তি মারা যান। এর আগে গত ১১ মে নমুনায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়।

    এর একমাস আগে ১৩ এপ্রিল রাত আড়াইটার সময় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ছয় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু দিয়ে পটিয়া উপজেলায় শুরু হয় মৃত্যুর খাতা। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দশ বছরের নিচে কোন শিশুর প্রথম মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামের এ পটিয়ায়।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব সেন প্রিন্স

  • কক্সবাজারে একদিনে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু

    কক্সবাজারে একদিনে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে একদিনে পৃথকভাবে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১জুন) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃৃথকভাবে এসব রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে কক্সবাজার জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৬জন।

    মৃত্যু হওয়া রোগীরা হলেন- কক্সবাজার শহরের পূর্ব পাহাড়তলী ইছুলুর ঘোনা এলাকার মো: এছারুল করিম (৩৫), শহরের মধ্যম নুনিয়াছড়া এলাকার মোহাম্মদ করিম (৩০) ও টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কবিরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৫)।

    কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার (১জুন) ভোর ৫টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মারা যান মো: এছারুল করিম (৩৫), সে কক্সবাজার শহরের পূর্ব পাহাড়তলি ইছুলুরঘোনার বাসিন্দা। সেখানে ব্যবসা করতেন।

    তাদের পরিবারে ৩ সদস্য করোনায় আক্রান্ত। ইতিমধ্যে এক সদস্য সুস্থ হয়ে গেছেন। মো. এছারুল করিমের করোনা লক্ষণ দেখা দিলে তিনি স্যাম্পল জমা দেন। রবিবার (৩১ মে) তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রাতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয় এবং সেখানেই তিনি আজ সোমবার আনুমানিক ভোর ৫টা নাগাদ মৃত্যুবরণ করেন।

    কক্সবাজার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মধ্যম নুনিয়ারছড়ার তরুণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ করিম (৩০) করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। সোমবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    করোনার উপসর্গ নিয়ে দুই দিন আগে তাকে হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই তার স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। তবে এখনো রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। মোহাম্মদ করিম মধ্যম নুনিয়াছড়া এলাকার শামসুল আলম প্রকাশ শামসু মাঝির ছেলে।

    একইভাবে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মনোয়ারা বেগম (৫৫) নামের এক নারী মারা গেছে। সে টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কবিরের স্ত্রী। একই দিন বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান। এর তিনদিন আগে তার করোনার লক্ষণ দেখা দিলে রবিবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।

    কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা: মাহবুবুর রহমান জানান, ‘কক্সবাজার জেলায় গত ৬১টি দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে ১৩জন মারা গেছে। আজকের তিনজন সহ মোট ১৬জন নারী পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৭জন। মারা যাওয়া ১৬জনই করোনায় আক্রান্ত।

    মৃত্যু হওয়া রোগীদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১১জন, রামু ১জন, টেকনাফে ২জন, উখিয়া ১জন ও চকরিয়া ১জন রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম মাহমুদ/রাজীব প্রিন্স

  • কক্সবাজার ল্যাবে চট্টগ্রামের ২জনসহ একদিনে নতুন করে ৯২ জনের করোনা শনাক্ত

    কক্সবাজার ল্যাবে চট্টগ্রামের ২জনসহ একদিনে নতুন করে ৯২ জনের করোনা শনাক্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ২৮৩ জন নমুনা পরীক্ষায় ৯৬ জন পজেটিভ এসেছে। এতে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৯২ জন। অপর ৪ জন আক্রান্ত রোগীর ফলোআপ রিপোর্ট।

    নতুন শনাক্তের মধ্যে কক্সবাজার জেলার রয়েছে ৫ রোহিঙ্গা সহ ৯০ জন। এতে কক্সবাজার সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত রয়েছে। কক্সবাজার সদরে রয়েছে ৩৫ জন।

    এছাড়া রামু উপজেলার ২২ জন, উখিয়া উপজেলার ৭ জন, চকরিয়া উপজেলার ১৪ জন, টেকনাফ উপজেলার ৪ জন, পেকুয়া উপজেলার ২ জন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ১ জন এবং চাঁদগাঁও’র ১ জন রয়েছে।

    সোমবার সন্ধ্যায় এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া।

    গত ৬১ দিনে মোট ৭০৪৮ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা ভাইরাস টেষ্ট করা হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে। তারমধ্যে ৮৭৩ জনের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ পাওয়া গেল। এতে কক্সবাজার জেলার রয়েছে ৭৯৫ জন।

    এর মধ্যে মহেশখালীতে ৩২ জন, টেকনাফে ৩৬ জন, উখিয়ায় ১০৫ জন, রামু ৪৯ জন, চকরিয়ায় ১৭৩ জন, কক্সবাজার সদরে ৩২১ জন, কুতুবদিয়ায় ২ জন এবং পেকুয়ায় ৪১ জন রয়েছে। এর সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৩৫ জন রোহিঙ্গা।

    অন্যান্যরা কক্সবাজার জেলার নিকটবর্তী বান্দরবান জেলার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রামের চাঁদগাঁও, সীতাকুঞ্জ, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার বাসিন্দা।

    কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, ইতিমধ্যে করোনায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন কক্সবাজার জেলায় মোট ১৪২ জন। আর মৃত্যু বরণ করেছেন ১২ জন।

    এর মধ্যে সদর উপজেলায় সুস্থ হয়েছেন ২২ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১০ জন, রামু উপজেলায় সুস্থ ২ জন, মৃত্যু ১ জন, চকরিয়ায় সুস্থ ৭০ জন, মৃত্যু ১ জন, পেকুয়ায় সুস্থ ২১ জন, মহেশখালীতে ২জন, উখিয়া ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সুস্থ ৭ জন ও টেকনাফে সুস্থ ৮ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম মাহমুদ/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে নবজাতক শিশুর করোনা পজেটিভ/এটাই দেশের সবচেয়ে কম বয়সী করোনা রোগী

    চট্টগ্রামে নবজাতক শিশুর করোনা পজেটিভ/এটাই দেশের সবচেয়ে কম বয়সী করোনা রোগী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪ দিনের নবজাতক শিশু। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী এ করোনা রোগীটিও চট্টগ্রামের।

    করোনায় আক্রান্ত মায়ের নবজাতক শিশুটি জন্ম নেওয়ার একদিন পরই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গতকাল ২৮ মে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবের ফলাফলে তার করোনা পজেটিভ আসে।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব। তিনি বলেন, বর্তমানে মা ও ৪ দিনের শিশু পুত্র দুজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং সুস্থ আছেন।

    হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, প্রসব বেদনা নিয়ে গত ২৪ মে রবিবার ৩২ বছর বয়সী এক গর্ভবতী নারী চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে গত ২০ মে ওই নারীর করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে।

    শুরুতে তিনি বাসায় আইসোলেশনে থাকলেও গত ২৪ মে তার প্রচণ্ড প্রসব বেদনা উঠলে তাকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। করোনা আক্রান্ত ওই নারীকে সেদিনই অস্ত্রোপচার করলে তার একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন।

    জন্মদাতা মায়ের করোনা পজেটিভ থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরদিন ওই শিশু পুত্রের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শিশুর জন্মের ৪ দিনের দিন গতকাল বৃহস্পতিবার চমেক ল্যাবের ফলাফলে শিশুটির শরীরেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।

    গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রাতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরে ১৩২ জন এবং উপজেলায় ০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    নতুন শনাক্তদের মধ্যে চারদিন বয়সী এক নবজাতক রয়েছে। গত ২৪ মে জেনারেল হাসপাতালে একজন করোনা রোগী শিশুটির জন্ম দেন। বৃহস্পতিবার চমেক ল্যাবে নবজাতকটির করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া পুলিশ সদস্য ১৬ জন এবং সোনালী ব্যাংক হাটহাজারী শাখায় কর্মরত ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৪২৯ জন। যার মধ্যে নগরে ২১৭০ জন এবং উপজেলায় ২৫৯ জন। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৬৫ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১৯৭ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে আরো একজনের মৃত্যুর পর নমুনায় মিলেছে করোনার অস্তিত্ব

    চট্টগ্রামে আরো একজনের মৃত্যুর পর নমুনায় মিলেছে করোনার অস্তিত্ব

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনার ছোবলে দিশেহারা হয়ে পড়ছে চট্টগ্রাম। প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যায় গড়ছে রেকর্ড। করোনার থাবায় মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে একের পর এক নমুন নাম। মৃত্যু ঠেকাতে পারছেনা দেশের শীর্ষ শিল্পপতিরাও।

    করোনায় চট্টগ্রাম জেলায় মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে আরো একটি নাম। তবে গত সোমবার তার মৃত্যুর পর সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার ফলে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গতকাল ২৭ মে বুধবার।

    নাম আরাফাত হোসেন (৩৩)। তিনি গত ২৫ মে সোমবার করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর সংগ্রহ করা নমুনায় বুধবার করোনা পজেটিভ আসে।

    মৃত্যুবরণকারী আরাফাত চট্টগ্রামের স্থানীয় দৈনিক পূর্বকোণ লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান নিউজ ফ্রন্টের হিসাব বিভাগের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে ২৭ মে বুধবারের ফলাফলে পত্রিকাটির ৪২ বছর বয়সী আরো একজন সংবাদকর্মীর শরীরে করোনার জীবাণু মিলেছে। তিনি পত্রিকাটির ফটো সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত।

    এর আগে মঙ্গলবার (২৬ মে) বিআইটিআইডি ল্যাবে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার বার্তা বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক।

    চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ১৪ জন গণমাধ্যমকর্মী প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ জন। ৪ জন আজ-কালকের মধ্যেই করোনা মুক্ত হবেন বলে জানা গেছে।

    প্রসঙ্গত : চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২ হাজার ২শ জনে। এরমধ্যে মৃত্যু বরণ করেছে ৬১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯১ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • মনিরামপুর হাসপাতালের আয়া কোভিড-১৯ পজেটিভ

    মনিরামপুর হাসপাতালের আয়া কোভিড-১৯ পজেটিভ

    যশোর প্রতিনিধি : মণিরামপুর হাসপাতালে আরো ১ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি হাসপাতালের আয়া (খণ্ডকালীন নিয়োগ)।

    শনিবার (২৩ মে) সকালে যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে তার করোনা পজেটিভ রিপোর্টের তথ্য জানানো হয়েছে।

    মণিরামপুর হাসপাতালের ইউএইচও ডা. (শুভ্রারানী দেবনাথ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ডা. শুভ্রা বলেছেন, শনিবার সকালে যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে ওই আয়ার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

    মণিরামপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অনুপ বসু বলেছেন, আক্রান্ত আয়া অ্যাজমার রোগী। কাশি ছাড়া তার দেহে করোনার অন্য কোনো উপসর্গ নেই। গত ১৮ তারিখ তিনি অ্যাজমা সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে পাঠানো হয়।

    ডা. বসু বলেছেন, শনিবার পর্যন্ত মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে ১০৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৮ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জন সুস্থ হয়ে পরিবারের কাছে ফিরেছে। বাকি ৪ জন হাসপাতালে এবং বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নিলয়

  • করোনা আক্রান্ত হলেন মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ

    করোনা আক্রান্ত হলেন মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ (৭০) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

    গতকাল ২০ মে বুধবার রাতে চট্টগ্রামের ১ম ল্যাব ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডির প্রকাশিত ফলাফলে তার করোনা পজেটিভ আসার তথ্যটি জানা যায়।

    রাতে জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিআইটিআইডিতে মোট ২৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩২ জন বাসিন্দা রয়েছে। এদেরই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ (৭০)।

    এর আগে গত ১৯ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিআইটিআইডি’র ল্যাব টেকনিশিয়ান এসে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। ২০ মে তারিখে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

    বর্তমানে তিনি পূর্ব মাদারবাড়ীস্থ বাসায় আইসোলেশনে রযেছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে প্রথম এক সাংবাদিক করোনা আক্রান্ত, নমুনা পরীক্ষার ফল নিয়ে ক্ষোভ ঝারলেন ফেসবুকে

    চট্টগ্রামে প্রথম এক সাংবাদিক করোনা আক্রান্ত, নমুনা পরীক্ষার ফল নিয়ে ক্ষোভ ঝারলেন ফেসবুকে

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে এবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী। যে মানুষটি সবাইকে ঘরে নিরাপদে রেখে বাইরের খবর ঘরে পৌছে দিতেন সে মানুষটি আজ নিজেই খবরের শিরোনাম হলেন।

    সাইফুল ইসলাম শিল্পী চট্টগ্রামের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাঠক ডট নিউজের সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইউএনবি’র চট্টগ্রাম প্রতিনিধি কর্মরত।

    চট্টগ্রামে এই প্রথম কোন সাংবাদিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজেটিভ আসার তথ্যটি সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী নিজেই ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে জ্বর সর্দিসহ করোনা উপসর্গদেখা দিলে সাইফুল ইসলাম শিল্পী নিজেই জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসেন গত ১০ মে। এরপর মঙ্গলবার তার পজেটিভ আসার দুঃসংবাদটি পান।

    এর আগে ১২ মে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা২১ মিনিটে চট্টগ্রামের ল্যাবগুলোতে করোনা পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে নানা অব্যবস্থাপনা ও জট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে স্ট্যাটাস দেন।সাইফুল ইসলাম শিল্পীর স্ট্যাটাস

    এতে তিনি লেখেন, প্রচন্ড জ্বর ও সর্দি কাশি নিয়ে ১০ মে জেনারেল হাসপাতালে সেম্পল দিয়ে এসেছি। বলেছিল ১২ মে রিপোর্ট জানা যাবে। সময় মতো যোগাযোগ করে জানতে পারলাম তাদের হাতে গতকাল রাতে যে রিপোর্ট এসেছে সেটা ৭ মে’র।

    গতরাতের তালিকায় কাজীর দেউড়ির নাম দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। ভাবছিল এটি আমার কিনা। পরে মধ্যে রাতে ওসি কোতোয়ালীকে ফোন করে নিশ্চিত হলামে এটি আমি না। শাহআলম নামে অন্য এক ব্যাক্তি।

    আজ বিকালে সিভিল সার্জনের কাছে জানতে চাইলাম আমার রিপোর্ট কখন পাবো..? তিনিও বললেন গতকাল সোমবার রাতে যে রিপোর্ট এসে তা গত ৭ মে। সে হিসেবে আমার রিপোর্ট পেতে আরো ৩ দিন লাগবে।

    এদিকে আমার অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। প্রতিদিন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছেন অনেকে। অনেকে জানতেও পারছে না কি কারণে মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়ার পর রিপোর্ট পেয়ে কোন লাভ নাই। দ্রুত ‍রিপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করুন। মানুষকে বাঁচান।

    ২৪ ঘণ্টা/ রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রাম করোনার ভয়াবহ ছোবল, একদিনে ৬৫ জন আক্রান্ত, মৃত্যু ১

    চট্টগ্রাম করোনার ভয়াবহ ছোবল, একদিনে ৬৫ জন আক্রান্ত, মৃত্যু ১

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে আজ করোনার ভয়াবহ ছোবল পড়েছে। চট্টগ্রামের করোনা পরীক্ষার তিন ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে।

    তিনটি ল্যাবে মোট ৩৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রাম জেলা ও বাইরের জেলায় সর্বমোট ৮০টি পজেটিভ আসে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম শহর ও জেলায় ৬৫ জন এবং চট্টগ্রামের বাহিরের জেলায় ১৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।

    চট্টগ্রামের ১ম ল্যাব ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামে ৩২ জন এবং নোয়াখালী জেলার ৮ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। 

    চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ৮৩ টি নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামে ১৮ ফেনী জেলার ১ এবং নোয়াখালী জেলার ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে চট্টগ্রাম জেলার ১২ টি নমুনা পরীক্ষা করে লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদে একজনের করোনা শনাক্ত হয়।

    আজ সোমবার (১১ মে) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩৮৩টি নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৫ জন। চট্টগ্রামের মোট আক্রান্ত বেড়ে ৩৩৩ জন।

    এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরে ৪১ জন, জেলায় ২৪ জন এবং ফেনী ১ নোয়াখালী জেলায় ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

    নগরীতে আক্রান্তরা হলেন- গ্রীনভিউ সোসাইটি ১, কর্নেলহাট ১, নোয়াপাড়া পাহাড়তলী ১, বাঁচা মিয়া রোড ১, পশ্চিম বাঘঘোনা লালখান বাজার ১, নয়াবাজার মৌসুমি ১, আকবরশাহ ১, চকবাজার ১, পশ্চিম নাসিরাবাদ ১, পাঁচলাইশ ১, ফিল্ড হাসপাতাল ১, দামপাড়া পুলিশ লাইন ১, নন্দন কানন ১, ছোটপুল (আগ্রাবাদ) ১, আগ্রাবাদ ২, সিএমসিএইচ ১, কাজীর দেউরি ১, লালদিঘির পাড় ১, কদমতলী ২, হালিশহর ২, ফিরিঙ্গিবাজার ১, পতেঙ্গা ১, টেরীবাজার ১, এয়ারপোর্ট রোড ১, পশ্চিম গলি চকবাজার ১, রাহাত্তারপুল ২, বিএমএ (BMA) ২, হাজারী গলি ২, বন্দরটিলা (ইপিজেড) ১, বিএনএস (পতেঙ্গা) ১, বায়েজিদ ১, বেপারীপাড়া ১, ডিসি অফিস (ডবলমুরিং) ১, সাকেরপুল ১ এবং ফ্রিপোর্ট বন্দর ১ জন।

    চট্টগ্রাম জেলায় আক্রান্তরা হলেন- পটিয়া উপজেলায় ১২ জন তার মধ্যে পৌরসভায় ২, কাগজীপাড়া ১, কমলমুন্সীরহাট ৯ জন সাতকানিয়া ৫ জন, রাঙ্গুনিয়া ২ জন এবং সীতাকুণ্ড ২ জন।

    এদিকে আজ ১১ মে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৫ বছর বয়সী করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের কর্ণফুলি উপজেলার চরপাথরঘাটা ইছানগর গ্রামের বাসিন্দা। নাম আমেনা বেগম (৬৫)।

    এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২০ জন মারা গেছেন। আজ নতুন ২ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৭ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কক্সবাজার ল্যাবে একদিনে নতুন ১৩ করোনা রোগি

    কক্সবাজার ল্যাবে একদিনে নতুন ১৩ করোনা রোগি

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নতুন করে আরও ১৩ জন করোনা রোগি শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৭ জনের স্যাম্পল টেস্ট করে ১৩ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ আসে।

    বাকী ১৭৪ জনের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ পাওয়া যায়। ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে ১১জন কক্সবাজারের এবং বাকি দু’জন বান্দারবান জেলার।

    কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কক্সবাজার সদরে ২ জন, চকরিয়া উপজেলায় ৫ জন, উখিয়া উপজেলায় ১ জন, কুতুবদিয়া উপজেলায় ১ জন এবং পেকুয়া উপজেলার ২ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে কক্সবাজার জেলায়।

    কক্সবাজারে এ পর্যন্ত করোনা পজেটিভের সংখ্যা দাড়ালো ৯১ জনের। বান্দরবান জেলায় শনাক্ত হল ৯ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম মাহমুদ/আর এস পি