Tag: পটিয়া থানা

  • থানার ভেনটিলেটর ভেঙে হাওয়া নারী ইয়াবা পাচারকারী

    থানার ভেনটিলেটর ভেঙে হাওয়া নারী ইয়াবা পাচারকারী

    চট্টগ্রামের পটিয়া থানা থেকে মোছাম্মৎ লাইজু (৩৬) নামে এক ইয়াবা পাচারকারী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করেছে কর্তৃপক্ষ।

    শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পটিয়া থানার একটি টয়লেটের ভেনটিলেটর ভেঙ্গে সে পালিয়ে গেছে বলে দাবি করেন এএসআই শামসুল ইসলাম।

    লাইজু বরগুনা জেলার ছোট গৌরিচন্না গ্রামের মো. জাকির হোসেনের স্ত্রী।

    উক্ত ঘটনায় পটিয়া থানা পুলিশের তিন সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। তারা হলেন- এএসআই শামসুল ইসলাম, পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজ ও মহিলা কনস্টেবল মমতাজ।

    শুক্রবার সন্ধ্যায় পটিয়ার শান্তিরহাট এলাকা থেকে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোবারক হোসেন অভিযান চালিয়ে নারী পাচারকারী লাইজুকে গ্রেফতার করেন। এক্সরে করে তার শরীরে ইয়াবা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ।

    এরপর ওষুধ খাইয়ে  গোপনাঙ্গ থেকে ৪শ পিচ ও পেটের ভিতর ১৫শ পিচ ইয়াবা বের করা হয়। তার কাছে ‘আমাদের নতুন সময়’ পত্রিকার স্টাফ রির্পোটারের একটি কার্ড পাওয়া গেছে।

    পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, ইয়াবাসহ পুলিশ হেফাজতে থাকা লাইজু নামে ইয়াবা পাচারকারী নারী টয়লেটের ভেনটিলেটর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা দাবি করছে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা। এটি কোনো অবস্থাতে সম্ভব না। ভেনটিলেটর দিয়ে কোনো মানুষ পার হতে পারে না। আমি রাত ২টা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম। অফিস ত্যাগের আগে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ডেকে এ আসামির ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলেছিলাম। তারপরও তারা অবহেলা করেছে।

    পুলিশ হেফাজত থেকে ইয়াবা পাচারকারী পালানোর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরোজুল হক টুটুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের তিন সদস্যকে ক্লোজড করেন।

    এ ‍ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরোজুল হক টুটুল বলেন, ইয়াবা উদ্ধার ও পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর ঘটনায় একজন এএসআই, এক নারী ও পুরুষ কনষ্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে। থানায় পৃথক দুইটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে পুনরায় গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • পটিয়ায় ৭ রোহিঙ্গা আটক

    পটিয়ায় ৭ রোহিঙ্গা আটক

    পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে সাত রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার ভোর রাতে উপজেলার কচুয়াই গ্রামে অভিযান চালিয়ে এসব রোহিঙ্গাদের আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন, মো. ইলিয়াছ (২২), জহির আলম (৩০), মো. রফিক (২৮), আলী হোসেন (২২), মোহাম্মদ রফিক (৩৭), মো. সাকের (২৮) ও সামশুল আলম (৪০)।

    পুলিশ জানায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রোহিঙ্গারা এতদিন বসবাস করলেও সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের টানা অভিযানে তারা গা-ঢাকা দিয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় এখনও রোহিঙ্গারা অবস্তান করছেন। প্রায় দুইশ রোহিঙ্গা পরিবার স্বেচ্ছায় কক্সবাজার ক্যাম্পে ফিরে গেছে।

    পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জাব্বারুল ইসলাম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পটিয়া থানার এসআই মো. জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একটি টিম কচুয়াই এলাকায় অভিযানে যায়। এসময ওই এলাকার বিভিন্ন বাসায় তল্লাশী চালিয়ে সাত রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।

    তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নাগরিক অবৈধভাবে বসবাস করার অপরাধে বৈদেশিক নাগরিক সম্পর্কিত আইন ১৯৪৬ এর ১৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত রাখবেন বলে তিনি জানান।