Tag: পটিয়া

  • পটিয়ায় গলাকেটে হত্যার ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার

    পটিয়ায় গলাকেটে হত্যার ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার

    পটিয়া প্রতিনিধি:পটিয়ায় হত্যা কান্ডের ঘটনায় রাতের আঁধারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিমান ধরকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার দুই আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।

    আটককৃতরা হলেন, জিল্লুর রহমান (২৬) ও বাপ্পু ধর (২৮) কে গ্রেপ্তার করে, তাদেরকে আদালতে নেয়া হলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পটিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় ঘোষ। পরে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পটিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়।

    এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ত পটিয়ার গৈড়লা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। জিল্লুর রহমান জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ফরিদ চেয়ারম্যান বাড়ির মৃত ওবায়দুল হকের ছেলে। বাপ্পু ধর উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বনিকপাড়া এলাকার সোনা রাম ধরের ছেলে।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় ঘোষ বলেন, সাত দিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়।

    উল্লেখ্য গত (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিমান ধর চট্টগ্রাম শহরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে যাওয়ার পথে তাকে উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের লড়িহারা এলাকায় জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

  • পটিয়ায় বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৬

    পটিয়ায় বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৬

    পটিয়ায় রিলাক্স গ্রুপের একটি বাসচাপায় অটোরিকশার ৬ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। সোমবার রাত ৮ টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার জলুর দিঘীর পাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা গেছেন। তাদের মরদেহ এখনও ঘটনাস্থলে রাখা হয়েছে। আর আহত একজন পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পর মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও একজন নারী। তবে তাদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

    পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন আহতকে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। অন্যদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  • সাংবাদিক রাজীব সেন’র পিতার পরলোকগমন

    সাংবাদিক রাজীব সেন’র পিতার পরলোকগমন

    চট্টগ্রাম রিপোটার্স ফোরামের সদস্য সাংবাদিক রাজীব সেন প্রিন্সের পিতা সাবেক আইনজীবি সহকারী সত্যব্রত সেন (যদু) বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাসায় পরলোকগমন করেছেন। 

    আজ সকাল দশটা ৩৫ মিনিটে তিনি পটিয়ায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন যাবত শয্যাশায়ী ছিলেন।

    তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও ছেলে বউ, এক মেয়ে, নাতি-নাতনি এবং অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

    অদ্য দুপুর ১ ঘটিকায় গ্রামের বাড়ী পটিয়ার পশ্চিম মুজাফরাবাদ সেন বাড়ীতে পারিবারিক শ্মশানে তার অন্ত্যষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ পরিবার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে প্রয়াতের আত্মার সদগতি কামনা করেন।

  • মাটি খেকোদের রাজত্বে অহসায় পটিয়ার মুজাফরাবাদের জনগণ

    মাটি খেকোদের রাজত্বে অহসায় পটিয়ার মুজাফরাবাদের জনগণ

                 রাতারাতি কৃষি জমি হচ্ছে পুকুর

    চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার পশ্চিম মুজাফরাবাদ সেন বাড়ির আশে পাশে মাটি খেকোদের আনা গোনা বেড়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই শুরু হয় মাটি খেকোদের হৈচৈ আর মাটি কাটার মহোৎসব। দুর থেকে আলো আঁধারি স্কেভেটরের বাতি দেখে যে কারো মনে হতে পারে যেন সরকারি বড় কোন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে।

    কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় পরিবেশ আইন অমান্য করে কৃষিজমি ও টিলার উপরিভাগের মাটি কেটে ইটভাটাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কারখানা তৈরির কাজে সরবরাহ করা হচ্ছে। আগের দিন যেখানে কৃষি জমি ছিলো সকালে উঠে দেখা যায় চিত্র বদলে গেছে। রাতারাতি পরিণত হয়েছে পুকুরে।

    এভাবে কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ফেলায় জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়েছে। তাছাড়া পুকুরের পাড় ঘেষে কৃষি জমি থেকে প্রায় ৩০ ফুটেরও বেশি নিচের অংশে মাটি কেটে ফেলায় যেকোন সময় পুকুরের পাড় বিলীন হয়ে মাছ ভেসে যাওয়ার আশংকা করছেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা।

    আর মোটা অংকের টাকা নিয়ে পুরো এলাকায় এ মাটি কাটায় মাটি খেকোদের মদদ দিচ্ছেন পশ্চিম মুজাফরাবাদ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ি হিসেবে চিহ্নিত একটি চক্র। সেন বাড়ি ও আশেপাশের এলাকার লোকজন তাদের ভয়ে কেউই মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

    কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তারা পাশের ইউনিয়ন থেকে উশৃঙ্খল কিছু লোকজন ডেকে এনে ভয়ভীতি দেখায়। এমনকি প্রাণে মেরে ফেলা ও বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে জেলের ঘানি টানানোর হুমকি প্রদান করে। ফলে ঝামেলার ভয়ে কেউই আর এগিয়ে আসতে সাহস পাই না।

    নাম প্রকাশ না করা সর্তে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, বিগত প্রায় দেড় মাস ধরে প্রায় প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মাটিকাটার যন্ত্র স্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে তা বিক্রি করছেন চক্রটি। মাটি কাটার কাজে জড়িতদের শোরগোল ও স্কেভেটরের শব্দে একদিকে ঘুম হারাম হচ্ছে অন্যদিকে বাড়িতে চুরি ডাকাতির ভয়ে অস্থির দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।

    এ বিষয়ে তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে সে উল্টো ঝারি মেরে বলেন, আমার জমি আমি যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই কাটবো। তাতে কার বাপের কি? বেশি বাড়াবাড়ি করলে মাটি কাটার ওই গর্তেই পুতে ফেলবো। তাছাড়া উল্টো মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেন। তাই সেন বাড়ির অসহায় সদস্যগণ একত্রিত হয়ে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করেন এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতে জমির মালিক পলাশ সেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্ধত হয়।

    পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, পরিবেশ আইন অনুযায়ী কৃষিজমি ও টিলার মাটি কাটা দন্ডনীয় অপরাধ। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১২ এর ৬ ধারায়) অনুযায়ী, প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট নিধন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

    অন্যদিকে ১৯৮৯ সালের ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধিত ২০০১) অনুযায়ী, কৃষিজমির টপ সয়েল বা উপরিভাগের মাটি কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করাও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে।

    দুই আইনে শাস্তির বিধান একই রকম। এসব কাজে জড়িত ব্যক্তিদের দুই লাখ টাকার জরিমানা ও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। একই কাজ দ্বিতীয়বার করলে দায়ী ব্যক্তির ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও ১০ বছরের কারাদন্ড হবে। এ ক্ষেত্রে এ কাজের সঙ্গে জড়িত জমি মালিক ও কর্তন কাজে জড়িত উভয়ের জন্যই সমান শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

    কৃষিবিদদের মতে, জমির উপরিভাগের চার থেকে ছয় ইঞ্চি গভীরের মাটিতেই মূলত পুষ্টিগুণ থাকে। মাটির এই স্তর কেটে নেওয়ায় জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করেও কাঙ্খিত ফলন পাওয়া যাবে না। এতে সারের পেছনে কৃষকের অতিরিক্ত খরচ গুনতে হবে।

    উপজেলা কৃষি অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, এক কানি জমিতে প্রায় ৩৫ কেজি ইউরিয়া সার দিতে হয়। কিন্তু টপ সয়েল কেটে নেওয়া জমিতে এর প্রায় দ্বিগুণ সার দিতে হবে। ফলনও স্বাভাবিকের চেয়ে কম হবে। এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

    তিনি বলেন, টাকার লোভে জমির মাটি বিক্রয় করে কৃষকেরা নিজেদেরই ক্ষতি করছেন। জমির হারানো পুষ্টিগুণ ফিরে পেতে প্রায় ১৫-২০ বছর সময় লাগে। এ জমি কার্যত আর তেমন কোন কাজেই আসবে না।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুল মামুন জানিয়েছেন ফসলি জমির মাটি কাটা অপরাধ। যে জমির মাটি বিক্রি করে এবং যারা কেটে নিয়ে দুপক্ষই সমান অপরাধী। কৃষি জমিতে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে।

  • পটিয়ায় আ’লীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় লিও মেম্বার গ্রেফতার

    পটিয়ায় আ’লীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় লিও মেম্বার গ্রেফতার

    পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধরের ঘটনার মূল হোতা ইন্দ্রজিত চৌধুরী লিও ওরফে লিও মেম্বারকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    পুলিম জানায়, ঘটনার পর থেকে লিও চট্টগ্রাম মহানগরীর আসকার দিঘীর পাড় এলাকার তার এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

    আজ শনিবার (১৪ মে) ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। লিও পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মৃত নেপাল চন্দ্র চৌধুরীর ছেলে।

    গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম।

    তিনি জানান, গ্রেফতার লিও আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন কান্তি গুহকে মারধরের ঘটনায় থানায় দায়ের করা একটি মামলায় অভিযুক্ত আসামি।

    শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দিঘীর পার এলাকার একটি বাসায় তার অবস্থান নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের সহায়তায় নিয়ে অভিযান চালানো হয়।

    পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে পালিযে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় লিও। তাকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে জানিয়ে বলে তিনি জানান।

    এর আগে গত ২৯ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে একটি ইফতার পার্টিতে চেয়ারম্যান জসিমকে দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিতেন কান্তি গুহকে মারধর করে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।

    এ ঘটনায় থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে জিতেন গুহের ভাই তাপস গুহ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ হামলার একটি ছবি তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

    মামলা দায়েরের পরদিন শনিবার ভোরে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বি এম জসিম (৫৫) ও তার পুত্র মুসফিক উদ্দিন ওয়াসি (২৫)কে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপতার করা হয়।

    এই ঘটনায় সর্বশেষ গ্রেফতার হওয়া ইন্দ্রজিত চৌধুরী লিওসহ এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    ২৪ ঘন্টা/রাজীব

  • পটিয়ায় জমি বিরোধের জেরে মারামারি মামলায় দুই ভাইয়ের কারাদণ্ড

    পটিয়ায় জমি বিরোধের জেরে মারামারি মামলায় দুই ভাইয়ের কারাদণ্ড

    নিজস্ব প্রতিবেদক: পটিয়ায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামাররি করায় আবদুল হাকিম রানা ও মাহবুবুর রহমান নামে দুই ভাইকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

    গত সোমবার বিকালে পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহ এ রায় দেন। আবদুল হাকিম রানা ও মাহবুবুর রহমান পটিয়া থানার উত্তর গোবিন্দারখীল এলাকার মৃত আব্দুস ছত্তারের ছেলে।

    মামলা সুত্রে জানা যায়, বাদী শামসুল আলম ও আসামীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তার জের ধরে ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামীসহ অজ্ঞাত আরো ৪/ ৫ জন মিলে দেশীয় অস্ত্রসহ বাদীর বসত ভিটায় প্রবেশ করে, বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক মারধর ও হুমকি প্রদর্শন করে। এতে বাদীসহ পরিবারের সদস্যরা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে শামসুল আলম বাদি হয়ে সি.আর. মামলা-৩৪৭/১৫ দায়ের করলে দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিচারিক আদালত রায় প্রদান করেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদির আইনজীবী এডভোকেট জসিম উদ্দিন জানান, বাদী শামসুল আলমের দায়ের করা মামলায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালত (পটিয়া) ৩২৩ ও ৪২৭ ধারায় আসামী আবদুল হাকিম রানা ও মাহবুবুর রহমানকে ২ মাসের কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা আপন দুই ভাই।

  • সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে পটিয়ায় হিন্দু-যুব ও ছাত্র মহাজোটের বিক্ষোভ

    সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে পটিয়ায় হিন্দু-যুব ও ছাত্র মহাজোটের বিক্ষোভ

    সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু-যুব ও ছাত্র মহাজোট পটিয়া উপজেলা শাখার উদ্দ্যেগে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    এতে সংহতি প্রকাশ করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ব্যানার ফেস্টুনসহ শত শত সনাতনী ধর্মপ্রাণ নারী পুরুষ বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন।

    উপজেলা পরিষদ চত্তর মাঠ থেকে শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টার সময় বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পৌর সদরের থানার মোড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

    পরে বিকেল সাড়ে ৪টার সময় একইদিনে উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের উদ্দ্যেগে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মৌন মিছিলে যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু-যুব ও ছাত্র মহাজোট পটিয়া উপজেলা শাখার নের্তৃবৃন্দরা।

    বিক্ষোভ মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নের্তৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক দেশ চায়। তাই সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতের তদন্ত শেষে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

    কারণ অতীতে ঘটে যাওয়া সহিংসতার আজও বিচার হয়নি। এ ঘটনায় রাজনৈতিক দোষারোপ না করে প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানান বক্তারা।

    বক্তারা আরো বলেন,দেশের কয়েকটি এলাকায় মন্দির, পূজামণ্ডপ এবং হিন্দুদের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলার প্রতিবাদে সনাতনী সমাজ আজ জেগে উঠেছে। বাংলার মানুষ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করবে।

    তাঁরা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও নৈরাজ্য বন্ধ, এর সঙ্গে জড়িত ও মদদদাতাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান।

    বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট পটিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি দুলাল কান্তি দেব এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক সুমন দাশের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজয়ানন্দ চৈতন্য ব্রহ্মচারী ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইসকন্ ভক্তি বৃক্ষের কোর কমিটির সদস্য শ্রী ভবেশ দাস।

    বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলার উপদেষ্টা দিপক কুমার পালিত, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সজল মজুমদার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিজন দে মুন্না, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহ সভাপতি গৌতম দে পলাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনি চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট পটিয়া উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি উত্তম সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিষ দেব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক রাজীব সেন প্রিন্স,সদস্য কাজল সেন।

    প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পটিয়া উপজেলা হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি লিটন মজকুরী, সাধারণ সম্পাদক রতন দত্ত, দক্ষিণ জেলা হিন্দু মহিলা মহাজোটের যুগ্ম আহব্বায়ক বাপ্পি দাশ, যুগ্ম আহব্বায়ক রোপি দাশ, যুব জোট খরনা ইউনিয়নের আহ্বায়ক রানা সেন।

    এছাড়াও ছাত্র মহাজোট পটিয়া শাখার সভাপতি জয় শিকদার, নির্বাহী সভাপতি ছোটন পান্থ, সাধারণ সম্পাদক অন্তু দাশ,অর্থ সম্পাদক অনিক চৌধুরীসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নের্তৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।

  • শাল্লায় হামলার প্রতিবাদে পটিয়া হিন্দু মহাজোটের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ

    শাল্লায় হামলার প্রতিবাদে পটিয়া হিন্দু মহাজোটের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ

    সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সনাতনী পরিবারের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন হয়েছে চট্টগ্রামের পটিয়ায়।

    “সুনামগঞ্জের হামলা বহন করছে বাংলা শ্লোগানে” বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট পটিয়া উপজেলা শাখা, যুব মহাজোট ও ছাত্র মহাজোটের যৌথ উদ্দ্যেগে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

    দিনব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির মধ্যে ছিল কালো ব্যাচ ধারণ, মোমবাতি প্রজ্জলন, আলোর মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি।

    এদিন সন্ধ্যা ৭.০১ মিনিটে পটিয়া উপজেলাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে কর্মসূচির শুরুতে সকল নেতাকর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে সনাতনী পরিবারের উপর হামলার প্রতিবাদ জানায়।

    এরপর সোয়া ৭টার দিকে সকলের হাতে মোমবাতি প্রজ্জলন করে ৩ মিনিট নিরবতা পালন শেষ বের করা হয় আলোর মিছিল।

    বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট পটিয়া উপজেলা শাখা, যুব মহাজোট ও ছাত্র মহাজোট নেতাদের যৌথ উদ্দ্যেগে আয়োজিত আলোর মিছিলটি পটিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু করে আদালত সড়ক ও রামকৃষ্ণ মিশন সংলগ্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।

    সবশেষে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সনাতনী পরিবারের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট পটিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি দুলাল কান্তি দেব। সমাবেশের সঞ্চালনায় ছিলেন জোটের পটিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক সুমন দাশ।

    বক্তব্য রাখেন জাতীয় হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিজন দে মুন্না, দক্ষিণ জেলা মহাজোটের সিনিয়র সহ সভাপতি পলাশ দে গৌতম, পটিয়া উপজেলা শাখার সহ সভাপতি বাদল কুমার দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুপন কুমার দে, অর্থ সম্পাদক রাজীব ধর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজীব সেন প্রিন্স, আপ্যায়ন সম্পাদক দামোধর গৌর হরি দাশ ও মহিলা সম্পাদিকা ঝিনু মল্লিক।

    হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনী চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি লিটন মজকুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক পাইলট দাশগুপ্ত সুমন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রিটন ঘোষ বাবলু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাসেল সেন, মহিলা সম্পাদিকা শিউলি দাশগুপ্তা ও সহ মহিলা সম্পাদিকা বাপ্পী দাশ।

    সমাবেশে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট পটিয়া শাখার নির্বাহী সভাপতি ছোটন পান্থ, সাধারণ সম্পাদক অন্তু দাশ ও সদস্য শুভ দাশ।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, রামু, নাসিরনগর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত কোনো সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার না হওয়ায় উগ্রবাদীরা বারবার একই ঘটনার পুনারাবৃত্তি করার সাহস দেখাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরে এসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনার বদলে যেন সাম্প্রদায়িক চেহারা রুপ পাচ্ছে।

    বক্তারা সুনামগঞ্জের শাল্লায় হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাছাড়া সনাতনী পরিবারের উপর এ ধরণের ঘটনা যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধির জোর দাবি জানান।

    ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পাঞ্চজন্য গীতা সংঘের সভাপতি শিমুল চক্রবর্ত্তী, সহ সভাপতি হারাধন দাশ, সংগঠনের নয়ন চক্রবর্ত্তী, জয়ন্ত দাশ ও রনিসহ হিন্দু ধর্মালম্বীরাও অংশ গ্রহণ করেন।

  • পটিয়ায় সেতু নির্মাণ কাজে দুর্ণীতির আভাস! ৩৫ লাখ টাকার গার্ডারে ফাটল

    পটিয়ায় সেতু নির্মাণ কাজে দুর্ণীতির আভাস! ৩৫ লাখ টাকার গার্ডারে ফাটল

    ২৪ ঘন্টা স্পেশাল : পঞ্চাশ কোটি ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাই পাস সংলগ্ন দ্বিতীয় ইন্দ্রপুল সেতু। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় যাতায়াতের সহজতম যোগাযোগের লক্ষ্যে পুরনো একটি ব্রিজ থাকা অবস্থায় নতুন সেতুটি নির্মিত হচ্ছে।

    তবে এ সেতুটি মানুষের উপকারে আসবে নাকি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হবে তাই নিয়ে এখন থেকেই চিন্তিত স্থানীয় এলাকাবাসী। সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় ব্রিজের জন্য নির্মিত ৭ টি গার্ডারের মধ্যে ১ টি গার্ডারে ফাটল দেখা দিয়েছে।

    প্রয়োজনের তুলনায় কম এবং নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার করায় নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত গার্ডারটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।

    তাছাড়া ব্রীজ নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি ও ঠিকাদারের দুর্নীতি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারী বাড়ানোর দাবী জানান স্থানীয়রা।

    মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সরেজমিনে ইন্দ্রপুল ব্রীজের নির্মাণ কাজের সর্বশেষ অবস্থান জানতে গিয়ে দেখা যায়, পুরাতন একটি ব্রিজের পাশে নতুন ব্রিজটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

    নির্মাণকাজে নিয়োজিত একাধিক শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানা যায় ব্রিজটির নির্মাণ কাজে মোট ২৪টি গার্ডার তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে ৭টি গার্ডারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

    তাছাড়া ব্রিজটির জন্য বর্তমানে তিনটি পিলার নির্মাণ কাজও শেষ। আর ৫টি গার্ডার তৈরি শেষ হলে মোট ১২টি গার্ডার বসানো হবে এ তিন পিলারের উপর। কিন্তু সোমবার সকাল ১০ টার দিকে একটি গার্ডারের লোহা টাইট দিতে গিয়ে সেটি ভেঙ্গে যায়।

    গার্ডারের ফাটল মারাত্মক জানিয়ে সেটি আর কোন কাজে আসবে না বলে জানালেন এ প্রকল্পের প্রকৌশলী তানভীর হাসান খান। ফাটল দেয়া গার্ডারটির নির্মাণে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে জানিয়ে সেটি পুনরায় নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।

    এদিয়ে এ ঘটনায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে। বিষয়টি নিয়ে নানান আলোচনার জন্ম দিচ্ছে।

    অনেকেই বলেন, নির্মান কাজ চলমান থাকতেই গার্ডারের ফাটল দেখেই বুঝা যায় এখানে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া ঠিকাদারের দুর্ণীতির পাশাপাশি গাফিলতি হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

    তবে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি করে কাজ শতভাগ ভালো হয়েছে দাবি করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রার পরিচালক জিয়াউল হক জিয়া।

    নির্মাণ কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম কিংবা গাফিলতি হয়নি জানিয়ে গার্ডারে ফাটলের বিষয়টি তিনি অবগত নয় বললেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক। অন্যদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

    জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের জাইকার যৌথ অর্থায়নে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায় ৭শ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি সেতু নির্মাণের কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা-সিআর ২৪বি জয়েন্ট ভেনচার।

    এর মধ্যে পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতুটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। একই প্রকল্পের বাকি সেতুগুলো হচ্ছে চন্দনাইশ উপজেলার বরগুনি সেতু, দোহাজারী সাঙ্গু সেতু ও কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহরী সেতু।

    ২৪ ঘন্টা/রাজীব সেন প্রিন্স

  • চেতনানাশক ওষুধে পুরো পরিবারকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি

    চেতনানাশক ওষুধে পুরো পরিবারকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি

    পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : পটিয়ায় খাবারে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে স্বর্ণলংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়েছে চোরের দল। সোমবার রাতে উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ঊনাইনপুরা গ্রামের বড়ুয়া পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

    অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয় লোকজন কল্পনা চৌধুরী (৪৫), বিরল চৌধুরী (৫০), প্রিয়া চৌধুরী (২৫), অরুন চৌধুরী (৬০), সাধনা বড়ুয়া (৪০), শুভজোতি বড়ুয়া (১৮) ও সুদীপ চৌধুরী (১৪) কে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    এদের মধ্যে তিনজন পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অসুস্থ আরো ৪ জন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার ঊনাইনপুরা গ্রামের বড়ুয়া গ্রামে প্রতিদিনের মত রাতে বিরল চৌধুরীর পরিবার ও পার্শ্ববর্তী অরুন চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়ে।

    ভোরে ওই দুই পরিবারের সদস্যদের ঘরে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় বিরল ও অরুণ চৌধুরীর ঘরের আলমিরার তালা ভেঙে স্বর্ণলংকার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ।

    পটিয়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার পাপিয়া চৌধুরী জানান, ধারণা করা হচ্ছে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করা হয়েছে।

    অসুস্থ কল্পনা চৌধুরী জানান, রাত ১০টার দিকে তারা প্রতিদিনের মত খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রান্না করা ভাতগুলোতে কিছু একটা মিশিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, মেয়ের বিয়ের জন্য ঘরে রাখা দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণলংকার আলমিরা ভেঙে লুট করে নেওয়া হয়েছে।

    পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে স্বর্ণলংকার ও মালামাল নেওয়া সংক্রান্তে থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

    ২৪ ঘন্টা/সঞ্জয়/রাজীব

  • বিয়ে খাওয়া হলনা তিন বন্ধুর! পথেই দুজনের মৃত্যু-একজন হাসপাতালে

    বিয়ে খাওয়া হলনা তিন বন্ধুর! পথেই দুজনের মৃত্যু-একজন হাসপাতালে

    ২৪ ঘণ্টা নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসদর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে বিয়ে খেতে যাবে তিন বন্ধু। তাই সন্ধ্যা থেকেই ছিল তাদের ব্যস্ততা। সাজ গোজ সারতেই বেজে যায় রাত ৯টা।

    তখনও কি তারা জানতো এই যাত্রাই হবে তাদের শেষ যাত্রা। জানলে হয়তো আরো একটু দেরি করে বের হতো বা বিয়ে খাওয়া আজকের মত বাদ দিতো।

    নানা ব্যস্ততা শেষে তিন বন্ধু এক হতেই সময় তখন প্রায় ১০টা ছুঁই ছুঁই। তিন বন্ধুই এখন প্রস্তুত। পটিয়া পৌরসভার ২নং সুচক্রদন্ডী থেকে মোটর বাইকে উঠে রওনা দেন উপজেলার কমল মুন্সির হাট এলাকাস্থ বিয়ের ক্লাবের উদ্দ্যেশে।

    তবে বিয়ের ক্লাব পর্যন্ত তাদের আর যাওয়া হয়নি। রাত ১০টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন তরী থেমে যায় দুই বন্ধুর। গুরুতর আঘাত পেয়ে হাসপাতালেই কাতরাচ্ছেন অপরজন।

    পটিয়া পৌর সদরের শাহচান্দ আউলিয়া মাজার গেইট এলাকায় যাত্রীবাহী টেম্পুর সাথে তাদের আরোহীত মোটর বাইকের সংঘর্ষ হলে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, তিন বন্ধু মোটর বাইকে করে কমলমুন্সির হাটের দিকে একটি বিয়েতে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি টেম্পুর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই এক যুবক নিহত হন।

    গুরুতর আহত দুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আরো একজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সকলেই পটিয়া পৌরসভার ২নং সুচক্রদন্ডী ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা।

    নিহত দুজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও আহত ব্যাক্তির তাৎক্ষনিক পরিচয় মেলেনি। নিহতরা হলেন, ওই এলাকার রতন সেনের ছেলে অভি সেন (২৩) ও সুজন মিত্র (৩৫)।

    ২৪ ঘন্টা/রাজীব প্রিন্স

  • ড. ধর্মসেন মহাস্থবির সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ধর্মীয় গুরু ছিলেন: আমীর খসরু

    ড. ধর্মসেন মহাস্থবির সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ধর্মীয় গুরু ছিলেন: আমীর খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংঘরাজ ড. ধর্মসেন মহাস্থবির ছিলেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু। তিনি প্রত্যেক ধর্মের মানুষের সাথে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। একজন গ্রহণযোগ্য ধর্মীয় গুরু হিসেবে তিনি সকলের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। চট্টগ্রামে বৌদ্ধ সম্প্রদায়রে কর্মকান্ড সবচেয়ে বেশি। বৌদ্ধ সম্প্রদায়রে সাথে চট্টগ্রামের একটি বিশেষ সম্পর্ক আছে।

    তিনি বলেন, বিএনপি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। দেশের সীমানার মধ্যে ৪৭ টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী বসবাস করে। তাদের নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালা আছে। দেশের সীমানার মধ্যে যারা বসবাস করে তারা সবাই বাংলাদেশী। সেজন্য সবাইকে সমান সুযোগ করে দিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রচলন করেছিলেন। জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের বৌদ্ধবিহার সহ সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন বিহার গঠন করেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চীন থেকে অতীশ দিপংকরের দেহাবশেষ বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিলেন।

    তিনি আজ (২৫ ফেব্রুয়ারী) বৃহস্পতিবার বিকালে পটিয়ার উনাইন পুরাস্থ লংকারাম বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ে সর্ব্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু ড, ধর্মসেন মহাস্থবির’র জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    তিনি বিএনপি’র একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল নিয়ে পটিয়ার লঙ্কারাম বৌদ্ধবিহারে যান। তিনি প্রতিনিধি দল নিয়ে ড, ধর্মসেন মহাস্থবিরের শবদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

    এসময় আমীর খসরু বলেন, দেশে আজকে মানুষের ভোটাধিকার ও কথা বলার অধিকার নাই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নাই। আজকে একটা অনির্বাচিত অবৈধ সরকার দেশ শাসন করছে। আজকে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার অবস্থা নাই। যারা অনির্বাচিত তারা দুর্নীতিবাজ হয়। তারা জনগণের মানব অধিকার কেড়ে নেয়। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে মুক্ত করতে হবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ সালাম বলেন, বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ড, ধর্মসেন মহাস্থবিরকে শ্রদ্ধা জানাতে আমরা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এসেছি। দেশের এই ক্রান্তিকালে এই ধর্মীয় গুরুর মতো মানুষের খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। দেশে যখন কে হিন্দু কে মুসলিম কে বাঙালি কে পাহাড়ি এই নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল তখন শহীদ জিয়াউর রহমান বলেছিলেন আমরা সবাই বাংলাদেশি। দেশে সবার সমান অধিকার আছে। দেশ স্বাধীন করতে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ রক্ত দিয়েছিল।

    বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড, সুকোমল বড়ুয়া বলেন, বিএনপি অসম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে বলেই ড, ধর্মসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে। তিনি আমৃত্যু মানবতার কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি শুধু পটিয়ার নয় ,সারাদেশের জন্য গৌরব। এ ধরনের একজন ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে আমরা সত্যিই মর্মাহত।

    বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়দে বলেন, ড. ধর্মসেন সারা জীবন শান্তি, ঐক্য ও সাম্যের জন্য কাজ করে গেছেন। তাকে সম্মান জানাতে তার অপূর্ণ কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকল ধর্মের মানুষকে অত্যাচার অনাচারের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পটিয়া আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এনামুল হক এনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ সালাম, ড, সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়দে, সদস্য সুশীল বড়ুয়া, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, অধ্যাপক জন্টু বড়ুয়া, চন্দ্র গুপ্ত বড়ুয়া প্রমূখ।