ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় পটিয়া উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ১৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫২টি, মাদ্রাসা ২৩টি ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৭টি প্রস্তুত রয়েছে।
তারমধ্যে ১৮টি মেডিকেল টিম রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় ২ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ৩০জন করে স্বেচ্ছাসেবক টিম এবং প্রত্যেক স্কুলে ২০জন সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক টিম করা হয়েছে। সরকারি ছুটি বাতিল করে সকল শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
![](http://www.24ghonta.news/wp-content/uploads/2019/11/প5-300x171.jpeg)
শুক্রবার সন্ধ্যায় পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসানের নেতৃত্বে এক জরুরি সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
ইউএনও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, স্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার ছাড়াও অস্থায়ী ভিত্তিতে বিভিন্ন স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। সজাগ রাখা হয়েছে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ কমিটির সদস্যদের।
জরুরী সভায় পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাব্বির রহমান সানিসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপজেলায়। পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং শুরু করা হয়েছে। তবে রাতে বুলবুলের মূল গতিপথ জানার পর যদি বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকি দেখা যায় তবে ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে মূল কর্মযজ্ঞ শুরু হবে।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান জানান, পটিয়ায় ১৩টি স্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে ছাড়াও স্কুল, মাদ্রাসার আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির নেতৃত্বে পরিচালনা কমিটি বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ হলে সাথে সাথে যেন সেবা দেয়া যায় সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী কালের জেএসসি-জেডিসি সহ সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।