Tag: পতাকা বৈঠক

  • রোববার বিজিবি-বিজিপি পতাকা বৈঠক

    রোববার বিজিবি-বিজিপি পতাকা বৈঠক

    সীমান্তে চলমান উত্তেজনা নিরসনে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে মিয়ানমার। রোববার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কক্সবাজারের টেকনাফে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ’র (বিজিপি) ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

    শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, গত কয়েকমাস ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান গোলাগুলিকে কেন্দ্র করে সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে বাংলাদেশ সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। সীমান্তের এ পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে নানা পর্যায়ে যোগাযোগ চলছিল। একাধিকবার বিজিপির কাছে চিঠি পাঠানোও হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে। তবে কি কি বিষয়ে আলোচনা হবে এবং দু’দেশের কতজন করে সদস্য অংশ নেবেন তা বিস্তারিত জানাননি বিজিবির এ কর্মকর্তা।

    প্রসঙ্গত, সীমান্তে উত্তেজনার রেশ শুরু হয় চলতি বছরের আগস্টে। প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণ। এর মধ্যে ২৮ আগস্ট মিয়ানমারে ছোড়া দুটি মর্টার শেল এসে পড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। তবে বিস্ফোরিত না হওয়ায় কেউ হতাহত হয়নি। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ বিমান থেকে ছোঁড়া আরও দুটি মর্টার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ে। একইদিন বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে উড়ে যায় মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার। যার কারণে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ে আতঙ্ক। এরপর আরও কয়েকবার সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটিয়েছে মিয়ানমারের বিজিপি।

    সবশেষ গত ২৩ অক্টোবর নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নতুন করে শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি ও গোলা বর্ষণ। যা দু’দিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকে। তবে এরপর থেকে আর শোনা যায়নি গোলাগুলির শব্দ। এই উত্তেজনা কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর এবার মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষিতে অবশেষে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে সম্মত হয় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি।

  • পতাকা বৈঠকের পর র‌্যাবের তিন সদস্যসহ ৫ জনকে হস্তান্তর

    পতাকা বৈঠকের পর র‌্যাবের তিন সদস্যসহ ৫ জনকে হস্তান্তর

    কুমিল্লার ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের আশাবাড়ি এলাকার ভারত সীমান্তের ২০৫৯ পিলারের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় র‌্যাবের তিন সদস্য ও দুই মহিলা সোর্সসহ ৫ জনকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।

    পরে বিকাল চারটায় ওই সীমান্তের ভারত-বাংলাদেশের বিএসএফ-বিজিবি’র এক ঘন্টা পতাকা বৈঠকের পর ফেরত দেয়া হয়।

    তিন র‌্যাব সদস্য হলেন, র‌্যাব-১১ এর কনস্টেবল আবদুল মজিদ, কনস্টেবল রিগেন বড়–য়া এবং সৈনিক ওয়াহিদ মিয়া ও র‌্যাবের দুই মহিলা সোর্স কুমিল্লা মহানগরীর শুভপুরের খুকি লিজা ও সুজানগরের মনি আক্তার।

    বিজিবি,পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের আশাবাড়ি এলাকায় র‌্যাব-১১,সিপিসি-২ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এ.এস.পি) মহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল বৃহস্পতিবার সকালে মাদক উদ্ধার অভিযান চালায়। সকাল আনুমানিক সোয়া সাতটায় অভিযান চলাকালীন সময়ে র‌্যাব এর তিন সদস্যসহ দুইজন সোর্স ভারত সীমান্তবর্তী আশাবাড়ি এলাকার ২০৫৯ নং আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের কাছে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের আবুল খায়ের মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে আটকের চেষ্টা চালায়।

    এ সময় তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে র‌্যাব সদস্যদের আটকে তাদের উপর পাল্টা হামলা চালিয়ে মারধোর করে। পরে তাদের ভারতীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিএসএফ’র সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর তাদেরকে বিএসএফ ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়।

    খবর পেয়ে বিজিবির সংকুচাইল ক্যাম্পের সুবেদার নুরুল ইসলাম র‌্যাবের তিন সদস্যসহ একটি পিস্তল, বুলেট ৭টা, ম্যাগজিন একটা এবং তিনজনের পরিচয়নপত্রসহ তাদেরকে ফেরত পেতে বিএসএফকে চিঠি দেন। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে বেলা চারটার দিকে আশাবাড়ি এলাকায় ২০৫৯ পিলারের কাছে নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় বিএসএফ-বিজিবি পতাকা বৈঠক করেন। ৫টা পর্যন্ত চলে এ বৈঠক। বৈঠক শেষে র‌্যাবের তিন সদস্যসহ ৫জনকে ফেরত দিয়েছেন বিএসএফ।

    পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নের্তৃত্ব দিয়েছেন সংকুচাইল বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলাম এবং ভারতের বিএসএফ এর পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের ৭৪ বিএসএফ পরিদর্শক আর কে মিঠু।