Tag: পতেঙ্গা

  • পতেঙ্গায় ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় যুবক নিহত

    পতেঙ্গায় ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় যুবক নিহত

    নগরীর পতেঙ্গার ৭ নাম্বার সাইলো গেটের সামনে ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ৭ নাম্বার রেল লাইন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত ব্যক্তির নাম আবদুর রহিম (৩৫)। তিনি আনোয়ারা উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড পূর্ব বরৈয়া গ্রামের সুবেদার বাড়ির মৃত আমির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ রহিম বলে জানা যায়।

    তিনি পতেঙ্গা এলাকায় একটি চায়ের দোকানে চাকুরী করেন। বর্তমানে পতেঙ্গা থানায় তার লাশ পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে তার পরিবার পতেঙ্গা থানায় লাশ আনতে গিয়েছে।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জয়নাল আবেদীন বলেন, নিহত আবদুর রহিম হয়তো মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় পিছন থেকে রেলের ইঞ্জিনের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

  • পতেঙ্গায় ভূমি দস্যুদের কবলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সুষ্ঠু বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

    পতেঙ্গায় ভূমি দস্যুদের কবলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সুষ্ঠু বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

    জীবনের সঞ্চয় ও ধার-কর্জ করে ২৭/০৬/২০০৬ সালে ৭৯৯ নং সাফ কবলা দলিল মূলে ০২ গন্ডা ০৩ কড়া ভিটি ভূমি খরিদ করেন আমার স্বামী আবদুল হাই। নজর পড়ে ভূমি দস্যুদের, প্রথম থেকে জায়গার দখল ছেড়ে দিতে হুমকি দমকি দিয়ে আসছে। গত ১০ বছর ধরে মানসিক নির্যাতন, হুমকি দমকি, একের পর এক অতর্কিত হামলা চালিয়ে আসছে। শেষ সম্বল ভিটি ভূমিটাও আমার কাছ থেকে কেঁড়ে নিতে চাইছে স্হানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল বারেক, জহুর আলম, ইসমাইল সওদাগর, মনসুর,বাল্লা’র সাঙ্গপাঙ্গরা।

    বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর)  চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এস রহমান হল কক্ষে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে কাঁদতে কাঁদতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোস্তাফিজুর রহমানের কন্যা মনোয়ারা বেগম।

    তাহার পিতার বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং -৩৬৩৪। আমার স্বামী – আবদুল হাই,তৎপিতা- হাজী আবদুর মোনাফ,তৎমাতা- আম্বিয়া খাতুন, সাকিন- চর পাড়া, দক্ষিণ পতেঙ্গা, থানা – পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।

    গত ১৫/০৯/২০ ইং তারিখে কাউন্সিলরের লোকজন প্রকাশ্য বলেন জমির দখল ছেড়ে দিয়ে অন্যত্রে চলে যেতে নচেৎ আমার স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলবে, আমি স্হানীয় পতেঙ্গা থানায় জিডি করতে গেলেও ভুমি দস্যুদের প্রভাবের কারণে ওসি জিডি গ্রহণ করেননি।

    পরবর্তী ২৯/০৯/২০ ইং তারিখে আমরা আমাদের জায়গার সীমানা দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে ৪০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল বাকেরর নির্দেশে ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী অস্ত্র -শস্ত্র নিয়ে আমার স্বামী ও আমার দেবরের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। উক্ত জমিতে থাকা সাইনবোর্ড ও উপরে ফেলে দেয়। ঘটনা সময় আমরা উপায়ন্তর না পেয়ে ৯৯৯ এ কল করলে এস আই মোঃ বাবুল আক্তার সরজমিনে পরিদর্শনে এসে আমাদেরকে থানায় জিডি করার পরামর্শ দেয়।থানায় গেলে ক্রমিক নং ১৪৪৬ তাং ২৯/৯/২০২০ ইং সম্বলিত একটা টোকেন প্রদান করে। আমাদের কোনো জিডি কপি প্রদান করা হয়নি এবং তৎপরবর্তী সময় হতে অদ্যাবধি উক্ত জিডি সংক্রান্তে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি।

    আমার বর্তমান ভিটি রক্ষায় মাননীয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ( মহানগর) চট্টগ্রাম এর আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে ১৪৫ ধারামতে প্রতিকার পাওয়ার আবেদন করে একটা মামলা করেন আমার স্বামী, যাহার মামলা নং ১২১৮/২০২১।

    সুষ্ঠ ভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার আশায় গত ১৮ মার্চ ২১ চট্টগ্রাম র‍্যাব-৭ অধিনায়ক, ২৪ মার্চ ২১ উপ- পুলিশ কমিশনার (বন্দর), ১৮ মার্চ ২১ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরেও আবেদন করি।

    উপরন্তু ভূমি দস্যুগণ কিছুদিন নিরব থাকলেও আবারও জায়গায় দখলের পায়তারা শুরু করছে এবং হুমকি প্রদানের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে শেষ গত ২৩/১১/২০২১ ইং তারিখ পতেঙ্গা থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি,যাহার নাম্বার -১০৪১/২১।

    তিনি বলেন, আপনাদের ( সাংবাদিক ভাইদের) মাধ্যমে আমি সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় ভূমিমন্ত্রী, পুলিশ আইজিপি, র‍্যাব মহাপরিচালক, ও চট্টগ্রামের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে সুষ্ঠু বিচারের প্রার্থনা করছি।

  • কর্মজীবনের তিন বছরের মাথায় মায়ের বুকে লাশ হয়ে ফিরল রাউজানের নেওয়াজ

    কর্মজীবনের তিন বছরের মাথায় মায়ের বুকে লাশ হয়ে ফিরল রাউজানের নেওয়াজ

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গায় একটি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপুতে গাড়ির তেলের ট্যাংক ওয়েল্ডিং করার সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় রাউজানের যুবক সৈয়্যদ মোহাম্মদ নেওয়াজ উদ্দিন (২৩) নিহত হয়েছে।

    বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে পতেঙ্গার লালদিয়ার চর এলাকায় ব্যবসায়ী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের মালিকানাধীন ইনকনট্রেন্ড ডিপোতে গাড়ির গ্যারেজে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় নেওয়াজসহ ৩ শ্রমিক নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়।

    নিহত নেওয়াজ রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের বদুপাড়া গ্রামের মৃত জানে আলমের পুত্র। সে দুই ভাই এক বোনের মধ্যে পরিবারের কনিষ্ট সন্তান।

    নিহতের মামাত ভাই কাজী শিহাব উদ্দিন ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত ১০ বছর পূর্বে বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের হাল ধরতে গত তিন বছর পূর্বে গাড়ীর কর্মজীবন শুরু করেন নেওয়াজ। সেখানে গাড়ীর মেকানিক হিসেবে কাজ করতো সে। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।

    তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে আহাজারিতে ফেটে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা। বাবার মৃত্যুর পর লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে পরিবারের অভাব মোচনের যেই স্বপ্ন নিয়ে তিন বছর পূর্বে কর্মজীবনে পা রেখেছিল কে জানতো! মাত্র তিন বছরের মাথায় ছেলেটি মায়ের বুকে ফিরবে লাশ হয়ে। এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত নেওয়াজের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকে আচ্ছন্ন তার গ্রাম।

    পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পতেঙ্গায় কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত ৩

    পতেঙ্গায় কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত ৩

    চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা এলাকায় একটি বেসরকারি কন্টেনার ডিপুতে গাড়ির তেলের ট্যাংক ওয়েল্ডিং করার সময় বিস্ফোরণে ৩ শ্রমিক নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে।

    বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে পতেঙ্গার লালদিয়ার চর এলাকায় ব্যবসায়ী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের মালিকানাধীন ইনকনট্রেন্ড ডিপোতে গাড়ির গ্যারেজে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

    বিস্ফোরণে নিহতরা হলেন- নেওয়াজ(২৯), মুক্তার (৩৪) ও আরমান (৩০)। এদের একজন একটি প্রাইম মোভারের সহকারী, একজন মিস্ত্রি এবং আরেকজন কনটেইনার ডিপোর কর্মচারী।

    পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, কর্ণফুলী নদীর ১৪ নম্বর ঘাটের কাছে ডিপোর ভেতরে গ্যারেজে প্রাইম মোভারের ইঞ্জিন পরিষ্কারের সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হয়েছেন তিনজন। এদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লকডাউনে থাকা পরিবারদের ইফতার ও ঈদ উপহার পৌঁছে দিলেন যুবদল নেতা ইকবাল

    লকডাউনে থাকা পরিবারদের ইফতার ও ঈদ উপহার পৌঁছে দিলেন যুবদল নেতা ইকবাল

    করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নগরীর পতেঙ্গায় এলাকায় লকডাউন হওয়া দুইটি বাড়ীর অসহায় ২৩ পরিবারের মাঝে ইফতার ও ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন।

    আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরে এ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পতেঙ্গা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সেলিম, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ত্রান ও পূর্ণবাসন বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল, ওর্য়াড় বিএনপি নেতা মোঃ হোসেন, মোঃ ইউছুপ, পতেঙ্গা থানা যুবদল নেতা মুশফিকুর রহমান নয়ন, সাঈদ আনোয়ার, ইব্রাহিমসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পতেঙ্গায় অসহায়দের মাঝে যুবদল নেতা ইকবাল

    পতেঙ্গায় অসহায়দের মাঝে যুবদল নেতা ইকবাল

    করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া সমাজের গরিব, অসহায়, অসচ্ছল ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য জরুরী নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন।

    তিনি শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ে নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল , তেল , আলু , লবণ , পিয়াজ সহ শুকনো খাবার বিতরণ করেন।

    এসময় তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দিন ছুটি থাকায় আমাদের সমাজে যারা দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল রিকশা-ভ্যান চালায়, চা-বিক্রেতা, ফুটপাতের হকার তাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে।

    করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ এখন বাইরে আসছেন না। এতে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে দেশের পাশে থাকা নৈতিক দায়িত্ব। তাই এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। যার যার অবস্থান ও সামর্থ্য অনুযায়ী এ দুর্যোগকালিন সময়ে মানুষদের পাশে দাঁড়াতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত।

    তিনি সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ে নিজেদের সমর্থ অনুযায়ী নগরীর নিম্ন আয় ও দিনমজুরদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান।

    খাদ্য সামগ্রী বিতরণসহ করেনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে‌‌ জীবাণু নাশক ঔষধ ছিটানো ও জনসাধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন তিনি।

  • বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করুন : সুজন

    বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করুন : সুজন

    অবিলম্বে বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করার জন্য সরকারের উর্দ্ধতন মহলের নিকট বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    আজ সোমবার (২ মার্চ) উত্তর কাট্টলীস্থ তার নিজ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

    জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা সুজন বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হচ্ছে সল্টগোলা ক্রসিং থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত। সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, তেল শোধনাগার, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও সিইপিজেড কেইপিজেডসহ বিভিন্ন ভারী এবং হালকা শিল্প কারখানা ঐ অঞ্চলে অবস্থিত।

    স্বাভাবিকভাবেই ঐ এলাকায় বিপুল সংখ্যক জনগনের বসবাস। তাছাড়া প্রায় ৫ লক্ষাধিকের অধিক নারী জীবন ও জীবিকার তাগিদে এখানে বসবাস করে। এতো বিপুল সংখ্যক নারীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় নেই কোন প্রকার হাসপাতাল কিংবা মাতৃসদন।

    ফলত কোন অসুখ বিসুখ কিংবা সন্তান জন্মদানের জন্য ঐ অঞ্চলে বসবাসরত নারীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা নগরীর অন্য কোন বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রসূতি মা’দের রাস্তায় সন্তান প্রসবের মতো আস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখেও পড়তে হয়। দিনের পর দিন এ অবস্থা চলতে থাকলেও বস্তুত ঐ এলাকার জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য কার্যত কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নাই।

    অথচ সল্টগোলা ক্রসিং মোড়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি বিশাল বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে যা মোটেও কাম্য নয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বন্দর এলাকা হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নির্মিত হাসপাতাল এলাকাটিতে সবসময় ট্রাফিক জ্যাম লেগেই থাকে।

    তাই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নিকট সবিনয় আবেদন জানাবো অতিসত্বর উক্ত বাণিজ্যিক স্থাপনাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট হস্তান্তর করা হোক। যাতে ঐ এলাকায় বসবাসরত বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত স্বাস্থ্য সেবার সুফল পেতে পারে। তিনি মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে চট্টগ্রামের বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় একটি মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ জানান।

    তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর ধরে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ২৫০০ আবাসিক এবং ১০০ বানিজ্যিক গ্রাহকের টাকা নিয়ে কাঙ্খিত গ্যাস সংযোগ প্রদান করছে না যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশে এল.এন.জি আমদানি করা হয়েছে।

    চট্টগ্রামের উপর দিয়ে যাওয়া এল.এন.জি’র লাইনের মাধ্যমে ৫০০ মিলিয়নের অধিক গ্যাস সারা দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। অথচ ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন গ্যাস চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হলে চট্টগ্রামবাসী গ্যাসের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতো। তিনি অতিসত্বর চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে আবাসিক এবং বানিজ্যিক খাতে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদান করার জন্য কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষের নিকট বিশেষ আহবান জানান।

    তিনি আরো বলেন, আমরা বারবার ওয়াসা কর্র্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানানোর পরেও এখনো ওয়াসার গড়বিল প্রদান বন্ধ হচ্ছে না। এতে করে গ্রাহকগণ ভোগান্তিতে পড়ছে। তিনি গ্রাহকদের সুবিধার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নগরীতে পূণরায় ওয়াসার প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করার আহবান জানান।

    সুজন আরো বলেন, নগরবাসীর পক্ষে আমাদের একাধিকবার আবেদন সত্বেও বাংলাদেশের একটি অনন্য ঐতিহাসিক ঐতিহ্য সাকির্ট হাউস সংলগ্ন বর্তমান শিশু পার্কটি না সরিয়ে চালু করার পায়তারা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তিনি পূণরায় চসিক মেয়রকে সার্কিট হাউসের সামনে থেকে শিশুপার্কটি সরিয়ে ফেলার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান। নচেৎ চট্টগ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে শিশুপার্ক নামক জঞ্জালটি সরিয়ে ফেলার দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ঘোষণা করা হবে।

    এছাড়া নগরীতে লেখাপড়া ও জীবিকার তাগিদে বসবাসরত উপজাতিদের বসবাসের সুবিধার্থে নগরীতে একটি বিশাল ডরমিটরী চালু এবং সদরঘাট থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত লঞ্চ সার্ভিস চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান জনাব সুজন।

    নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন এর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মোঃ নিজাম উদ্দিন, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, মোঃ শাহজাহান, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, হাফেজ মোঃ ওকার উদ্দিন, শিশির কান্তি বল, শেখ মামুনুর রশীদ, এ.এস.এম জাহিদ হোসেন, অনির্বান দাশ বাবু, সমীর মহাজন লিটন, সোলেমান সুমন, সাইফুল্লাহ আনছারী, জাহাঙ্গীর আলম, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, রকিবুল আলম সাজ্জী, এম ইমরান আহমেদ ইমু, মোঃ ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, মনিরুল হক মুন্না প্রমূখ।

  • পতেঙ্গা সৈকত এলাকার সায়মা শপিং সেন্টারে আগুন : দোকান কর্মচারির মৃত্যু

    পতেঙ্গা সৈকত এলাকার সায়মা শপিং সেন্টারে আগুন : দোকান কর্মচারির মৃত্যু

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর বিনোদনের অন্যতম প্রধান স্পট পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার সায়মা শপিং সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    বুধবার গভীররাতে ওই শপিং সেন্টারের ফারুক স্পিড বোট সার্ভিস নামক একটি প্রতিষ্ঠানে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি মো. জাবেদ (১৮) আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায়।

    নিহত জাবেদ কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।

    চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জসীম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা ও একজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, বুধবার গভীররাত সোয়া ১টার সময় পতেঙ্গার সায়মা শপিং সেন্টারে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পতেঙ্গা ইউনিটের দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। পরে ফারুক স্পিড বোট সার্ভিসিং সেন্টারের ভেতর থেকে এক যুবকের পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    তিনি আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি তাৎক্ষনিক জানাতে না পারলেও নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। নিহত যুবকের নাম মো. জাবেদ। সে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি। রাতে সে প্রতিষ্ঠানের ভেতর ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হয়ে মারা যায়।