Tag: পদত্যাগপত্র

  • পদত্যাগপত্র জমা দিলেন এমপি হারুন

    পদত্যাগপত্র জমা দিলেন এমপি হারুন

    জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য (এমপি) হারুনুর রশীদ। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সংসদে এসে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

    পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার পর হারুনুর রশিদ বলেন, বর্তমানে দেশ আইন ও সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না। জাতীয় সংসদে এখন কোনো বিরোধী দল নেই।

    এদিকে এর মধ্য দিয়ে বিএনপির দলীয় সব সংসদ সদস্যের পদত্যাগ নিশ্চিত হলো। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সদ্য পদত্যাগ করা সাবেক সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন ও জিএম সিরাজ।

    এর আগে, ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন বিএনপির ছয়জন সদস্য। সেদিন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দিলেও এমপি হারুন বিদেশে থাকায় তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি স্পিকার।

    সেসময় স্পিকার বলেছিলেন, এমপি হারুনুর রশিদ বিদেশে থাকায় অনুপস্থিত রয়েছেন এবং এর মধ্যে আব্দুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় সংসদ সচিবালয় তার সই মিলিয়ে দেখবে ও কথা বলবে। সব ঠিক থাকলে তার আবেদনও গৃহীত হবে। তবে ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগ পত্র দেওয়ায় হারুনুর রশীদের আবেদন গ্রহণ হবে না, তাকে পরে এসে জমা দিতে হবে। এরই প্রেক্ষিতে আজ সশরীরে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিলেন এমপি হারুন।

    গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে ই-মেইল যোগে স্পিকারের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠান বলে বিএনপির সাত এমপি। তারা হলেন—আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), হারুনুর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)।

    এরপর ১১ ডিসেম্বর দুপুরে শূন্য ঘোষিত ওই ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটির সদস্য সশরীরে গিয়ে স্পিকারের কাছে ছয়জনের পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে এমপি হারুন ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠানোয় সেদিন তার আবেদন গ্রহণ করেননি স্পিকার।

  • বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ : গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন

    বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ : গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন

    বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। রোববার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

    তিনি বলেন, স্পিকার বা তার অনুপস্থিতিতে যদি ডেপুটি স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দেন, তখন গেজেট হবে। গেজেট হলে তারপর আমাদের কাজ শুরু হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত গেজেট না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ শুরু করার সুযোগ নেই। কোনো মাননীয় সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে- এটাই ইসির দায়িত্ব।

    উপ-নির্বাচন হলে কয়েকমাসের মধ্যেই আবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন, এ বিষয়টি সামনে আনলে এই কমিশনার বলেন, এটা তো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। আসন শূন্য হওয়ার নব্বই দিনের মধ্যে করতেই হবে। নব্বই দিন তো আর যাবে না। গেজেট পাওয়ার পর দেখা যাবে যে দুই মাস লাগতে পারে, দেড় মাসও লাগতে পারে।

    সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ভোট তো ইভিএমেই হবে। কিন্তু সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন হবে কিনা, সেটা নির্ভর করবে সেটা কতটা ভালনারেবল। নির্বাচন করতেই হবে।

    কারণ আসন শূন্য রাখার তো কোনো সুযোগ নেই।
    অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এখন বিষয়টি হলো যে সুষ্ঠু নির্বাচন করাটা যদি মূল উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে আমি বলবো যে ইভিএম ভাল। এদেশের নির্বাচনে যারা হেরে যান, তারাই বলেন যে কারচুপি হয়েছে। কাজেই কেউ যদি হেরে যান বলার সুযোগ থাকবে না, যে কারচুপি হয়েছে। ইভিএমে যতো নির্বাচন করেছি, হেরে যাওয়ার পর দেখেন কোনো অভিযোগ আছে কিনা। কিন্তু যেখানে ব্যালটে নির্বাচন হয়, সেখানে ভোট ঠিকমত করে নাই, ভোট আগে দেয়, পরে দেয়, নানা কথা হয়। ইভিএমের প্রভাব বিস্তার করার কোনো সুযোগ নাই। আমাদের সামর্থ থাকলে ৩০০ আসনেই নির্বাচন করতাম। ইভিএম নিয়ে বিএনপির অনাস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, উনারা আগে থেকেই অনাস্থার কথা বলেছেন। আবার অনেকের আস্থা আছে। আমাদের কাজ হলো সবকিছু বিবেচনা করে যেটা সঠিক মনে হবে সেটাই সিদ্ধান্ত নেবো। ৩৯টি দল আছে। সবাই যদি বাতিল চায় যে প্রক্রিয়া আছে সেটাই হবে। আরা একটা দুইটা যদি না চায় অন্যরা যদি চায় তাহলে গণতান্ত্রিক যেটা হয়, সেটাই তো করতে হবে।

    বিএনপির করা বর্তমান কমিশনের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টা হলো যে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা চাহিদা থাকতে পারে। কোনটা পালন করবেন? এখন সব দল যদি চায় তাহলে তো আমরা। কাজের মাধ্যমে আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবো। আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব আছে কিনা সেটা দেখেন। ইকুয়েল আচরণ করছি কিনা সেটা দেখেন। একটা দল আরেকটা দলের কাছে চাওয়া প্রেক্ষিতে যদি নির্বাচন কমিশনকে টার্গেট করা হয়, সেটা তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমাদের তো উদ্যোগ সব সময় থাকবে, যখন যখন মনে হবে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার দরকার, তখন তো অবশ্যই করবো।

    সাত এমপির পদত্যাগ নিয়ে তিনি আরো বলেন, তাদের পদত্যাগ ভিন্ন একটি ইস্যু। যতটা না নির্বাচন সম্পর্কিত, ততটা রাজনৈতিক। এটা স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছি। একজন সংসদ সদস্য তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। এটা সংবিধানে বলা আছে, যে কিভাবে পদত্যাগ করবেন সেটা বলা আছে। এখানে ইসির উৎসাহ, নিরুৎসাহিত করার কোনো সুযোগ নেই।

    তিনি আরো বলেন, নিবন্ধিত দল হিসেবে আমরা যে কোনো সময় উনাদের সঙ্গে আলোচনা করতেই পারি। উনারাও চাইতে পারে। আমাদের যখন যে দায়িত্ব পালন করার উচিত তখন সেভাবেই দায়িত্ব পালন করবো। রাজনৈতিক বিষয়গুলো রাজনীতিবিদরা দেখবেন সরকার দেখবেন। আমাদের কাজের লিমিট দেওয়া আছে। এটা দল ও সরকারের উপর নির্ভর করে। সরকারের সাথে সভার করে দেয়ার আয়োজন করা বা সংলাপ করা ইসির দায়িত্ব নয়।

  • পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির এমপিরা

    পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির এমপিরা

    স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।

    রোববার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার পর সংসদ সচিবালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।

    সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া–৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।

    এ ছাড়া দেশে বাইরে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ এবং অসুস্থতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার পক্ষে পদত্যাগপত্র জমা দেন রুমিন ফারহানা।

    এদিকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে এসে সংসদ ভবনের সামনে রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপির আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই পদত্যাগ। বর্তমান সংসদ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। বর্তমান সরকার এককভাবে সব আইন পাশ করে। এ সংসদ অকার্যকর।

    এর আগে, শনিবার দুপুরে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. হারুন অর রশিদ অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় তিনি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না।