যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন নেতৃত্বে সংকট থাকলে কোনো দেশ এগোতে পারে না। বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রীর সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের ধারাবাহিকতার মধ্যে দিয়ে এটি সম্ভব হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস এদেশের আপামর জনগণ। আমাদের জনগণের পাশে থেকে কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। এর পাশাপাশি দেশের বিরোধীতাকারীদের পক্ষে সচেতন ও সর্তক থাকতে হবে।
শনিবার (২৮ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় চট্টগ্রামের পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরশ এসব কথা বলেন।
যুবলীগের চেয়ারম্যান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জীবদ্দশায় বাংলাদেশ তালেবান কিংবা শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতির হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।
সরকারের সুশাসন প্রক্রিয়া বজায় থাকলে এই দশকের মধ্যেই বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে কানাডার মতো উন্নত দেশে পরিণত হবে। তখন বিদেশে কেউ টাকা পাচার করবে না, যারা টাকা পাচার করেছে তারা আবার দেশে নিয়ে আসবে।
পদ্মা সেতুর খরচ নিয়ে বিএনপির সমালোচনার বিষয়টির প্রসঙ্গ টেনে যুবলীগের এই চেয়ারম্যান বলেন, সংকীর্ণ রাজনৈতিক চিন্তা থেকে পদ্মা সেতুর খরচ নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে। কত টাকায় সেতু করা হয়েছে, এর চেয়ে বড় বড় কথা হলো জনগণের সম্পৃক্তা, সহমর্তিতা আছে কিনা।
কেবল আওয়ামী রাজনীতি বিরোধীতা করতে বিষয়গুলো সামনে আনা হচ্ছে। আর কয়েক জন পদ পদবির লোভে মিথ্যা তথ্যেও বুলি আওড়িয়ে যাবে।
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছি, জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি, নারী ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছি।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীরা ছাড় পাচ্ছে না।
সঠিক নেতৃত্বের বাছাইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে কেন্দ্রীয় যুবলীগের এই চেয়ারম্যান বলেন, জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। একটি পরিবারে সঠিক নেতৃত্ব না থাকলে সেই পরিবারকে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নেতৃত্বের সংকটের অভাবে জনগণকে দুঃখ দুর্দশার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সঠিক নেতৃত্বই পারে জনগণকে দিক নির্দেশনা দিতে।
এছাড়াও অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খানম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তার সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম-১২ এর সাংসদ ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সাংসদ মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীসহ প্রমুখ।
এদিকে অনুষ্ঠান শুরুর আগে থেকেই অনুষ্ঠানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ছাড়া অন্য কারো নামে স্লোগান, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া ছিলো।
২৪ ঘন্টা/রাজীব