Tag: পরিচ্ছন্ন

  • এক সেনা সদস্যের নেতৃত্বে পরিস্কার করা হল সীতাকুণ্ড কাজলী পাড়া গ্রাম

    এক সেনা সদস্যের নেতৃত্বে পরিস্কার করা হল সীতাকুণ্ড কাজলী পাড়া গ্রাম

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : স্থানীয় যুবকদের সাথে নিয়ে মো. নাছির উদ্দিন খোকন নামে এক সেনা সদস্যের নেতৃত্বে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি পুরো গ্রাম।

    আজ শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার সোনাইছড়ির বার আউলিয়াস্থ কাজলী পাড়ার পুরো গ্রামে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    জানা যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সচেতনতার লক্ষ্যে গ্রামের যুব সংঘের উদ্যেগে জীবানুনাশক ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে গত তিনদিন ধরে এসব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উপজেলার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের রোড থেকে শুরু করে জেলে পাড়ার বিভিন্ন স্থানে ড্রেন, ডোবা, রাস্তা ঘাট পরিস্কার করা হয়।

    এসময় প্রত্যেককে নিজ নিজ বসত বাড়ি ও আশে পাশে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রেখে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে নিজেদেরকে নিরাপদ রাখার আহবান জানান সীতাকুণ্ড উপজেলার কাজলী পাড়া গ্রামের ফুলতলা এলাকার মো. জসিমের ছেলে ও অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া সেনা সদস্য নাছির উদ্দিন

    এছাড়া করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে সবাইকে হ্যান্ড গ্লাভ, মাস্ক ব্যবহার করে সরকারের নির্দেশ মতে ঘরে অবস্থান করার জন্য গ্রামবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

    ২৪ ঘন্টা/ কামরুল দুলু/ আর এস পি

  • পিরিয়ডের পরিচ্ছন্নতা

    পিরিয়ডের পরিচ্ছন্নতা

    পিরিয়ড নারীদেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পিরিয়ড প্রতিমাসে নারীকে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। নারীদের স্পর্শকাতর বিষয়গুলো আমরা সব সময় লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করি। কিন্তু এটি মোটেও ঠিক নয়। কারণ আপনার অজানা থেকে হতে পারে বড় ধরনের বিপত্তি। তাই পিরিয়ড নিয়ে অহেতুক অস্বস্তি না রেখে এই নিয়ে আরও জানার এবং জানানোর চেষ্টা করুন।

    পিরিয়ডের সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা খুবই জরুরি। কারণ পিরিয়ড চলাকালে শরীর থেকে শুধু দূষিত রক্তই নয়, শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ রক্তের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। ফলে এই সময়ে পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। অপরিচ্ছন্নতার কারণে হতে পারে প্রস্রাবে সংক্রমণ। আর বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

    পিরিয়ড কী

    প্রতি চন্দ্র মাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে, তাকেই পিরিয়ড বা ঋতুচক্র বলে। মা‌সি‌ক চলাকালীন পেটব্যথা, পিঠব্যথা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। পিরিয়ডে ভালো মানের ন্যাপকিন ব্যবহার করা জরুরি। এ ছাড়া কোনোভাবেই একই কাপড় পরিষ্কার করে একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে।

    পিরিয়ডের সময় পরিচ্ছন্নতা খুবেই জরুরি। এর আগে পিরিয়ডে অপরিচ্ছন্নতায় হতে পারে প্রস্রাবে সংক্রমণ এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল যুগান্তর অনলাইনে। আজ থাকছে পিরিয়ডে পরিচ্ছন্নতার ৫ উপায়।

    আসুন জেনে নেই পিরিয়ডে পরিচ্ছন্ন থাকার উপায়।

    স্যানিটারি ন্যাপকিন

    পিরিয়ডের সময় অনেকে কাপড় ব্যবহার করেন কিন্তু এটি মোটেই ঠিক নয়। এতে প্রস্রাবে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। তাই উচ্চ শোষণ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং আরামদায়ক স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করুন। প্যান্টি বা বেল্ট দুই ধরনের মধ্য থেকে আপনার পছন্দেরটাই ব্যবহার করুন। ছয়ঘণ্টার বেশি কোনোভাবেই ন্যাপকিন ব্যবহার করা যাবে না। চুলকানি, ফোঁড়া, ইনফেকশন হতে পারে।

    ন্যাপকিন বদলানোর সময় অসতর্কতা

    ন্যাপকিন বদলে নতুন একটি ন্যাপকিন পরার আগে ভালোভাবে হাত ও ওই স্থানটি পরিষ্কার করে ধুয়ে ও মুছে নিন। হাত না ধুয়ে ন্যাপকিন ধরার কারণে হাতে লেগে থাকা জীবাণু প্যাডে লেগে যায় এবং সেখান থেকে জরায়ুতেও প্রবেশ করতে পারে। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।

    বাথরুমে ন্যাপকিন রাখা যাবে না

    টয়লেটে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখা যাবে না। কারণ টয়লেটে থাকা নানা ধরনের জীবাণু দ্বারাও সেটি দ্রুত আক্রান্ত হয়। জীবাণুযুক্ত প্যাড ব্যবহারের ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন আপনি।

    ছয় ঘণ্টার অধিক সময় ন্যাপকিন ব্যবহার নয়

    একটা স্যানিটারি ন্যাপকিন সাধারণত ছয় ঘণ্টার বেশি পড়ে থাকা উচিত না। এ ছাড়া পিরিয়ডের সব সময় ডিসচার্জ এর ফ্লো এক সমান থাকে না। তাই হতে পারে যে পিরিয়ডের শুরুর দিকে বেশি রক্ত যাওয়ার কারনে বারবার পরিবর্তন করতে হচ্ছে। তবে শেষের দিকে ফ্লো একদম কমে গেলেও কোনো অবস্থাতেই একটা ন্যাপকিন সারা দিন ব্যবহার করবেন না।

    নিয়মিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন

    যোনিপথের বাইরের অংশে এবং চামড়া ভাঁজে রক্ত এবং জীবাণু আটকে যায়। তাই দিনে কয়েকবার গরম পানি দিয়ে এই জায়গাগুলো ধুয়ে ফেলুন। বাইরে থাকা অবস্থায় গরম পানি পাওয়া যাবে না, তাই সেক্ষেত্রে আগে বেবি ওয়াইপস দিয়ে আগে মুছে নিয়ে তারপর ধুয়ে ফেলুন। সাবান ব্যবহার করতে পারবেন তবে তা যেন যোনিপথের ভিতরে না যায়। প্রতিদিন গোসল করে ফেলুন। এতে করে পরিচ্ছন্ন হওয়ার পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালীন ক্লান্তি এবং পিঠ হাত-পা ব্যথাভাবও অনেকটা কমে যাবে।

    ব্যবহৃত ন্যাপকিন সঠিকভাবে ফেলুন

    ব্যবহৃত ন্যাপকিন ডাস্টবিনে ফেলার আগে অনেকেই বাসার বাথরুমের বিনে রেখে দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে ন্যাপকিন ফেলার আগে তা পলিথিনে মুড়ে তারপর ফেলবেন। কারণ তা না হলে জীবাণু ছড়িয়ে যেতে পারে এবং ইনফেকশনে আক্রান্ত হতে পারেন আপনিসহ বাথরুম ব্যবহারকারী যে কেউ।

    একসঙ্গে একটির বেশি ন্যাপকিন ব্যবহার করবেন না

    পিরিয়ডের শুরুর দিকে হেভি ফ্লো থাকায় অনেকে একসঙ্গে দুটি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে চান। দুটি ন্যাপকিন এর মিলিত শোষণক্ষমতার কারণে রক্ত হয়তো দেখাই যায় না তাই দীর্ঘ সময় পরেও আপনি ভাবেন যে ন্যাপকিনগুলো আরও কিছু সময় পরে থাকা যাবে।

    রক্ত হয়তো চোখে দেখা যায় না, কিন্তু জীবাণু কিন্তু ঠিকই সংক্রমণ ঘটানোর জন্য তৈরি হয়ে যায়। তাই একবারে একটাই ন্যাপকিন নিন, এবং ব্যবহার শেষে (অবশ্যই ছয় ঘন্টার বেশি না) পরিবর্তন করে নিন।

    মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ

    স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার সময় অবশ্যই মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ খেয়াল করতে হবে। কারণ মেয়াদোত্তীর্ণের ফলে এটির কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে এবং আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এ বিষয়টিতে অতিরিক্ত গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে।

  • গোসল না করেও শীতে পরিচ্ছন্ন থাকার উপায়

    গোসল না করেও শীতে পরিচ্ছন্ন থাকার উপায়

    শীতকাল এলে গোসলের কথা শুনলেই অনেকে আঁতকে ওঠেন। অনেকে গোসলখানায় ঢুকেও গায়ে পানি না ঢেলেই বেরিয়ে আসেন। তবে নিয়মিত গোসল করতে না পারলে সেই বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের মতে, নিয়মিত গোসল না করাই ভালো। একাধিক মার্কিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন গোসল করাটা অনেকটাই একটা সামাজিক রীতি বা অভ্যাস।

    এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হলো, প্রতিদিন গোসলের অভ্যাস আসলে শরীর পরিচ্ছন্ন রাখা। তবে শরীর পরিচ্ছন্নের কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে এই শীতে এড়িয়ে যেতে পারেন গোসলকে। গোসল না করেও শরীর পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলে শীতে না করেও শরীর পরিচ্ছন্ন রাখার আরও অনেক পদ্ধতি রয়েছে। বিশেষ করে ৫টি এমন পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে গোসল না করেও শরীর পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব। আসুন এ বার এই পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।

    পায়ের যত্ন নিন

    শীতকালে নিয়মিত গোসল না করলেও সাবান দিয়ে পা ধুতে ভুলবেন না। কারণ, যে ধরনের জুতোই পরুন না কেন, পায়ে প্রচুর জীবাণু বা ব্যাক্টেরিয়া থেকে যায়। তাই পায়ের তলা, আঙ্গুলের খাঁজগুলি ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর পাশাপাশি জুতো পরার সময় সম্ভব হলে পায়ে ও জুতার ভেতরে সামান্য পাউডার বা পারফিউম ছিটিয়ে দিন।

    ঘুমানোর আগে পারফিউম দিন

    হয়তো কাজের চাপে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে গেল। রাতে গোসল না করে যে সকালে গোসল করবেন, তারও উপায় নেই! সে ক্ষেত্রে কী করবেন! এ ক্ষেত্রে ঘুমানোর আগেই গায়ে বডি স্প্রে বা পারফিউম মেখে নিন আর সকালে ঘুম থেকে উঠে আরেকবার। শরীরে কোনো দুর্গন্ধ হবে না।

    সঠিক পদ্ধতিতে পারফিউম দিন

    পারফিউমের গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে সেটা সঠিক উপায়ে মাখুন। পারফিউম দিন শরীরের ‘পালস পয়েন্ট’-এ। যেমন, ঘাড়ে, কবজি বা কনুইয়ের ভেতরের দিকে। পারফিউম স্প্রে করে ঘষবেন না। চেষ্টা করুন শরীরের একটু দূর থকে স্প্রে করে আলতো করে আঙুলের ডগা দিয়ে শরীরে মেখে নিতে।

    ঢিলেঢালা পোশাক পরুন

    শীতকালে কখনওই আঁটসাঁট পোশাক পরা উচিত নয়। আঁটসাঁট পোশাক পরলে শরীরে ঘাম বা দুর্গন্ধ হয় বেশি। তাই শীতকালে ঢিলেঢালা পোশাক।

    চুলের যত্ন নিন

    অনেকেরই চুল দু-একদিন না ধুলেই আঠালো চিটচিটে হয়ে যায়। ফলে চুলে দুর্গন্ধও হয়। শীতকালে প্রতিদিন চুল না ভেজালেও ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। ড্রাই শ্যাম্পু স্প্রে করার পর ভালো করে মাথা আঁচড়ে নিন। সম্ভব হলে প্রতিদিন অন্তত ৫-৬ বার চুলে ব্রাশ করুন।