Tag: পরিচ্ছন্ন শহর

  • মুজিববর্ষের “পরিচ্ছন্ন গ্রাম,পরিচ্ছন্ন শহর” কর্মসূচির উদ্বোধন

    মুজিববর্ষের “পরিচ্ছন্ন গ্রাম,পরিচ্ছন্ন শহর” কর্মসূচির উদ্বোধন

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর গৃহিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম নগরে“পরিচ্ছন্ন গ্রাম,পরিচ্ছন্ন শহর” গড়ে তোলার লক্ষে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন(চসিক)। ধারাবাহিকভাবে এই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম আগামী বছর ১৭ মার্চ পর্যন্ত অব্যহত থাকবে।

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর কোট বিল্ডিংস্থ এলাকায় হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে লার্ভিসাইড ঔষুধ ছিটিয়ে এই পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এ.বি.এম আজাদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চসিক সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোজাফ্ফর আহমদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকীসহ জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন।

    উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র বলেন, নগরবাসির প্রত্যাশা আকাশ চুম্বি । তারা পরিচ্ছন্ন শহর ও নির্মল সকাল কামনা করে। এই ধরণের একটি শহর বিনির্মানে নগরবাসিকে ইতিবাচক মন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে । নগরবাসির অংশগ্রহন,সচেতনতা ছাড়া পরিচ্ছন্ন নগর গড়া চসিকের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তাদের গৃহস্থলীর ময়লা আর্বজনা নেওয়ার জন্য চসিক কর্মীদের সহযোগিতা করতে হবে।

    এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন নগর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য ২ হাজার ডোর-টু-ডোর সেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গৃহস্থলীর ময়লা রাখার জন্য নগরবাসির মধ্যে ৯ লক্ষ বিন দেওয়া হয়েছে। জনসচেতনা সৃষ্টির জন্য স্থানীয় দৈনিকে মাসের পর মাস বিজ্ঞাপন, মাইকিংসহ বিভিন্ন মিডিয়া বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে।

    তিনি বলেন এক সময় নগরীর প্রধান সড়কসহ অলিগলি ও উপ-গলিতে সাড়ে ১৩”শ ডাস্টবিন ছিল। বর্তমানে অর্ধেকের বেশী ডাস্টবিন অপসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে ডাস্টবিনমুক্ত নগর ও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে চসিক। তাই এ শহরকে শতভাগ পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে নগরবাসিকে এগিয়ে আসতে হবে তিনি মন্তব্য করেন।

    মুজিব বর্ষে পরিচ্ছন্ন গ্রাম,পরিচ্ছন্ন শহর গড়ার চসিকের কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজের সুবিধার্থে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডকে ৪ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ওয়ার্ডের রাস্তা, ফুটপাত, গলি, উপ-গলি, নালা-নর্দমা ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিস্কার এবং মশা নিধন কেমিকেল স্প্রে করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রমিক নিয়োজিত থাকবে ।

    সপ্তাহ শেষে পুনরায় একই স্থান হতে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করা,নগরীর বর্জ্য ফেলার স্থান ও সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন প্রতি মাসে দুইবার বিশেষ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা, ডোর টু ডোর সেবকদের কাজের মান বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে বিশেষ কর্মশালা আয়োজনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    এছাড়া চসিক পরিচালিত কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের প্রাঙ্গনে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, এই কর্মযজ্ঞ একদিনের জন্য নয়। এই কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হবে বছর ব্যাপি। কারণ ১৭ই মার্চ থেকে মুজিব বর্ষ শুরু হচ্ছে। ২০২১ সালের ১৭ ই মার্চ পর্যন্ত চলবে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে চসিক গৃহিত কর্মসূচি। সামর্থ্যের মধ্যে বছর ব্যাপি এই পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে চসিক।

    পরিচ্ছন্ন কাজে জনবল থাকলেও মশার উপদ্রব প্রতিরোধে ঔষধ ক্রয়ের সামর্থ্য নেই চসিকের। মশার প্রজনন ধ্বংসের জন্য এডালটিসাইড ও লার্ভিসাইড ঔষধ ক্রয়ে ২০ কোটি টাকা আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে ইতোমধ্যে পত্র দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মেয়র।