Tag: পরিবহন ধর্মঘট

  • খাগড়াছড়িতে মালিকদের দ্বন্ধে পরিবহন সেক্টরে উত্তেজনা,একপক্ষের পরিবহন ধর্মঘট প্রতিহত করার ঘোষণা

    খাগড়াছড়িতে মালিকদের দ্বন্ধে পরিবহন সেক্টরে উত্তেজনা,একপক্ষের পরিবহন ধর্মঘট প্রতিহত করার ঘোষণা

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে পরিবহন মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্ধে পরিবহন সেক্টরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মালিক গ্রুপের একাংশের ডাকা পরিবহন ধর্মঘট (শান্তি পরিবহন) প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ। অন্যায়ভাবে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসার আহবান জানিয়েছে মালিক গ্রুপের নির্বাহী কমিটি।

    বৃহস্পতিবার সকালে মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচিত কার্যকরি কমিটির বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগেরও প্রতিবাদ জানানো হয়।
    তাতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান খোকন।

    তিনি জানান, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে সদস্যেদের কাছে অজনপ্রিয় একটি পক্ষ দেশব্যাপি ‘শান্তি পরিবহন’-এর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে নেমেছে। তাঁরা যদি এই পথ পরিহার না করে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাসহ সমুচিত জবাব দেয়া হবে।

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন সংগঠনের সভাপতি মাহবুব উল আলম, সহ-সভাপতি আবু তৈয়ব, ওয়াইজ উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।

    উল্লেখ্য যে, আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের অবৈধ কমিটি বাতিল করা না হলে আগামী ৬ ডিসেম্বর শান্তি পরিবহনের পরিবহন ধর্মঘট ডাক দিয়েছে সংগঠনটির একাংশ।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • চট্টগ্রামে আজ দুই ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট

    চট্টগ্রামে আজ দুই ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট

    চট্টগ্রামে আজ দুই ঘণ্টার জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বহদ্দারহাট আঞ্চলিক বাস টার্মিনাল পরিচালনা কমিটি।

    চার দফা দাবিতে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালনের পাশপাশি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে তারা।

    শনিবার বহদ্দারহাট আঞ্চলিক বাস টার্মিনাল পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।

    কমিটির দাবিগুলো হচ্ছে- বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সংস্কার, টার্মিনাল সংযোগ সড়ক অবৈধ দখলমুক্ত করা, শাহ আমানত সেতু এলাকায় মিনি টার্মিনাল নির্মাণ ও সড়কে অবৈধ গাড়ির চলাচল বন্ধ করা।

    মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘চার দফা দাবিতে রোববার বিকেল ৩টা থেকে আমরা টার্মিনাল এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করব। কর্মসূচির পাশাপাশি বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কোনো পরিবহন ছাড়বে না।’ তবে এ সময়ের আগে বা পরে যেসব পরিবহন চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়বে তা নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারবে বলে জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে অচল দেশ

    অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে অচল দেশ

    নতুন সড়ক পরিবহন আইনকে কেন্দ্র করে পরিবহন শ্রমিকদের অঘোষিত ধর্মঘটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পুরো দেশ। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহন নেই বললেই চলে। এছাড়াও চলছে অঞ্চলভিত্তিক ধর্মঘট। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণ। ঢাকার প্রধান প্রধান বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের অপেক্ষারত দেখা গেছে। একই ভোগান্তি ভোগ করছেন ঢাকামুখী যাত্রীরাও।

    নতুন সড়ক আইন ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও দুই সপ্তাহ ধরে আইন নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে দুই সপ্তাহ শিথিল ছিল নতুন আইনের কার্যকারিতা। পরে গত সোমবার থেকে আইন কার্যকর হওয়ার পর অঘোষিত কর্মবিরতি পালন করছেন করছেন শ্রমিকরা।

    ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক প‌রিবহন শূন্য হয়ে পড়েছে । উত্তর ও দ‌ক্ষিণবঙ্গ ছাড়াও টাঙ্গাইল হ‌তে জামালপুর-ময়মন‌সিংহসহ বি‌ভিন্ন রু‌টে যানবাহন চলাচল বন্ধ র‌য়ে‌ছে সকাল থে‌কে। বুধবার সকালে এই মহাসড়‌কে গি‌য়ে এমন চিত্র দেখা গে‌ছে। এতে চরম ভোগা‌ন্তি‌তে প‌ড়ে‌ছেন যাত্রীরা। এছাড়াও গত সোমবার থে‌কে টাঙ্গাই‌লে প‌রিবহন ধর্মঘট শুরু ক‌রে প‌রিবহন শ্র‌মিকরা। বুধবার টাঙ্গাই‌লে প‌রিবহন চলাচল পু‌রোপু‌রি বন্ধু ক‌রে দেয়া হয়। এতে দূরপাল্লার কোনো প‌রিবহন টাঙ্গাইল থে‌কে ছে‌ড়ে যায়‌নি। উত্তর ও দ‌ক্ষিণবঙ্গ থে‌কে সকাল থে‌কে এ পর্যন্ত ২০ ভাগ প‌রিবহন সেতু পাড় হয়‌নি। যা স্বাভা‌বি‌কের তুলনায় খুবই সামান্য ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

    খুলনায় তৃতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ বুধবার অভ্যন্তরীণ রুটে সকাল থেকে বাস চলাচল কথা থাকলেও চালকরা বাস নিয়ে সড়কে বের হননি। নতুন সড়ক আইন সংশোধন না করার প্রতিবাদে খুলনায় তৃতীয় দিনের মতো বাস চালকরা কর্মবিরতি পালন করছে। বুধবার সকালে বাস ছাড়বে; এমন খবরে নগরীর সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, রয়্যাল ও শিববাড়ির মোড়ে শত শত যাত্রীরা দূর-দূরান্তে যাত্রার উদ্দেশে আসলেও বাস না ছাড়ায় তাদের চরম বিপাকে পড়তে হয়।

    এদিকে, পরিবহন ধর্মঘটের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত ভেস্তে গেছে। খুলনা সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুপক্ষের আলোচনা শেষে মধ্যস্থতার প্রেক্ষিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আজ বুধবার সকাল থেকে বাস চালানোর কথা দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি।

    পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে বাস ছাড়ার সিদ্ধান্তের পরও কেন বাস চলছে না- এ প্রশ্নের জবাবে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বেবী বলেন, চালকরা কেউ গাড়ি চালাতে চাচ্ছে না। ভোর সাড়ে ৬টায় সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে চালকদের গাড়ি চালাতে অনুরোধ করা হলেও তারা তাতে রাজি হচ্ছেন না। চালকরা বলছেন, দুর্ঘটনা ঘটলে সব জরিমানা আপনি দিবেন- এমন লিখিত দিলে আমরা গাড়ি চালাবো।

    এদিকে খুলনা শহর থেকে দূর পাল্লার কোন বাস না ছাড়লেও রূপসা-মোংলা, রূপসা-বাগেরহাটসহ বেশ কিছু রুটে বাস চলাচল করছে বলে জানা গেছে। তাবে যেসব রুটে বাস চলছে না সেই রুটের যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে।

    সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে আসা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আজ সকালে বাস চলাচল করবে জানতে পেরে তিনি ফরিদপুর যাওয়ার জন্য সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে এসেছেন। এখন শুনছেন আজও বাস চলাচল করবে না। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, গত তিনদিন ধরে খুলনায় আটকে আজি। আজ ফরিদপুর না গেলেই হবে না। এখন কি যে করি শুধু তাই ভাবছি।’

    শরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী যাবেন মাগুরায়। তারাও লাগেজ নিয়ে দু’ ঘণ্টার উপরে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে এসে বসে আছেন। তারা বলেন, এতো দূরের পথ আমরা কিভাবে যাব তা বলতে পারছি না।’

    অপরদিকে পরিবহন ধর্মঘটের সুযোগে ইঞ্জিনচালিত স্থানীয় যান মাহিন্দ্র, মিনি পিকআপ, মাইক্রোবাসসহ ছোট গাড়িগুলো কয়েকগুণ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব পরিবহনে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছেন। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সড়ক পথে চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনে উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে। খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে টিকিটের জন্য ঘণ্টার ঘণ্টার অনেকে অপেক্ষা করছেন। সিট না পেয়ে অনেকে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন ট্রেনে।

    নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পরিবহন শ্রমিকরা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে ধর্মঘট পালন করছেন। এ কারণে সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ আশপাশের সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকাল থেকেই সাইনবোর্ড এলাকায় শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নেন। পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। যানবাহন থেকে চালকদের নামিয়ে দেয়া হয়।