Tag: পরিবার

  • রাউজানে আরও ৬৮ পরিবার পেল শ্যামল পালিতের উপহার

    রাউজানে আরও ৬৮ পরিবার পেল শ্যামল পালিতের উপহার

    ২৪ ঘণ্টা ডট সংগঠন সংবাদ : চট্টগ্রামের রাউজানে আরও ৬৮ টি গরীব, দুস্থ ও দিনমজুর পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত।

    রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের গুজরা গ্রামের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গৃহবন্দি ও কর্মহীন ৬৮ পরিবারের মাঝে তিনি এ খাদ্য সামগ্রী সহায়তা প্রদান করেছেন।

    আজ রবিবার সকাল ১০টায় রাউজান শ্রী শ্রী অন্নদাঠাকুর আদ্যাপীঠ মন্দিরের ফজলে করিম সরোবর সংলগ্ন মাঠে এসব পরিবারের সদস্যদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন আদ্যাপীঠ মন্দিরের পুরোহিত তপন চক্রবর্তী, বিশ্বজিত চৌধুরী, লিটন বিশ্বাস ও সাধন দাশ প্রমূখ।রাউজানে শ্যামল পালিতের উপহার

    খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাউল, ২ কেজি মসুর ডাল, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি পিয়াজ, ১ কেজি চিনি, ১ লিটার তেল, ১ কেজি আটা, ১ কেজি লবন, ৫০০ গ্রাম সুজি, ১টি সাবান, চাপাতাসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী।

    উল্লেখ্য, রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল পালিত ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে উপজেলার চিকদাইর, সুলতানপুর, রাউজান ইউনিয়ন ও পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের এপর্যন্ত ৪শতাািধক পরিবারের মাঝে এক মাসের এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    এছাড়াও পরবর্তীতে নোয়াপাড়া ও বিনাজুরী ইউনিয়নসহ আরো বেশ কিছু ইউনিয়নে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল কুমার পালিত।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • মিরসরাইতে ২৫ পরিবার লকডাউনে

    মিরসরাইতে ২৫ পরিবার লকডাউনে

    আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম):::মিরসরাইয়ে কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) এ আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী শনাক্ত হওয়ায় ৩টি বাড়ির ২৬ পরিবারকে লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। ওই রোগী সরাসরি সংস্পর্শে থাকা ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া তার সাথে ফুলবল খেলায় অংশগ্রহণ করা এলাকার লোকজন ও তাদের পরিবারের খোজ নেওয়া হচ্ছে।

    নতুন এই রোগী গত ২১ এপ্রিল শ্বাসকষ্ট নিয়ে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ট্রপিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এ নমুনা প্রদান শেষে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

    সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাতে (বিআইটিআইডি) সংগ্রহকৃত নমুনার ফলাফল প্রকাশ করলে মিরসরাইয়ের ওই যুবকের রিপোর্ট পজিটিভ আসার বিষয়টি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

    তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন।

    জানা গেছে, আক্রান্ত যুবক (৩০) মিঠানালা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পাত্তার পুকুর গ্রামের মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন প্রাইভেটকার চালক। গাড়ী চালক হওয়ায় তিনি অন্যের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ১৮ এপ্রিল বাড়ির পাশে ফুটবল খেলে সন্ধ্যায় বাড়িতে আসার পর থেকেই তিনি অসুস্থতাবোধ করেন। এসময় জ্বর ও গলা ব্যাথা অনুভব করলে গত ২১ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে গিয়ে নিজে নমুনা দেন এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ উপজেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া যুবকের বাড়ী ও তার গাড়ীর সহকারীর বাড়ি এবং তাকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাওয়া ওই গাড়ীর চালকের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ১৬জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত : গত ১৮ এপ্রিল উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের নিজতালুক গ্রামে প্রথম এক নারী করোনা রোগী হিসেবে মিরসরাইয়ে সনাক্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা : সামাজিক মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়াবে সিএমপি

    করোনা : সামাজিক মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়াবে সিএমপি

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে পৃথিবীর অনেক দেশই এখন পুরোপুরি লকডাউনে। তেমনি আমাদের দেশেও অঘোষিত লকডাউনে গত ২৬ মার্চ থেকে, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী দেশের প্রায় সবকিছুই বন্ধ থাকবে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।

    মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাদেশের এমন ক্রান্তি লগ্নে গরীব দিনমজুর খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত মানুষদের সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছে সরকারি ও বেসরকারি একাধিক সংস্থা। শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ছোট ছোট একাধিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অনেকে ব্যক্তি উদ্দ্যেগেও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে নিম্নবিত্তদের।

    এদিকে লকডাউনের দিন যতই বাড়ানো হচ্ছে সবচেয়ে ততই বেশি বিপাকে পড়ছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। দীর্ঘদিন সরকারি বেসরকারি অফিস কারখানা বন্ধ থাকায় মধ্যবিত্ত অনেকের ঘরে যা জমাছিল তা ফুরিয়ে এসেছে।

    লোকলজ্জ্বার ভয়ে থাকা গৃহবন্দি এসব মধ্যবিত্ত পরিবারে কথা চিন্তা করে তাদের সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি।

    সিএমপির ডিসি (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান বলেন, যারা সরকারী বেসকারী চাকুরি করেন তারাই বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত। অফিস আদালত থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (আয়ের উৎস) সব বন্ধ থাকায় অনেকটা নিরুপায় হয়ে পড়েছে অধিকাংশই পরিবার। না পারছে সহ্য করতে আবার লোকলজ্জ্বার ভয়ে বলতেও পারছেনা কাউকে।

    তাই তাদের কথা চিন্তা করে এসব মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএমপি। এক্ষেত্রে যারা ত্রাণ নিচ্ছে বা নিবে তাদের আমরা ক্যামেরা বা মিডিয়ার সামনে ফোকাস করতে চাই না। মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই তাদের পাশে দাঁড়াতে চায় সিএমপি দক্ষিণ বিভাগ।

    সিএমপির কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন মধ্যবিত্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার সামর্থ্য ফুরিয়ে এসেছে, কিন্তু লোকলজ্জায় বলতে পারছেন না। আপনারও সহযোগিতা প্রয়োজন। কিন্তু সামাজিক মর্যাদারক্ষায় চাইতে পারছেন না। আমরা আপনার পাশে দাঁড়াতে চাই।

    নিম্নোক্ত নাম্বারে এসএমএস করুন অথবা ফোনে বলুন।

    ডিসি দক্ষিণ ০১৭৬৯০৫৮১২১, এডিসি দক্ষিণ ০১৭৬৯০৫৮১২৫, এসি কোতোয়ালী ০১৭১৩৩৭৩২৫৪, এসি চকবাজার ০১৭৬৯৬৯৪২২৩, ওসি কোতোয়ালী ০১৭১৩৩৭৩২৫৬, ওসি বাকলিয়া ০১৭১৩৩৭৩২৬১, ওসি চকবাজার ০১৭৬৯৬৯০০৬৪, ওসি সদরঘাট ০১৭৬৯৬৯০০৬৫।

    কথা দিচ্ছি, আপনার সামাজিক মর্যাদা রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। এই সহযোগিতার কথা কেউই জানবেনা। মানুষ সন্দেহ করবে এমন বিশেষ কোন ব্যাগও ব্যবহার করা হবে না।
    ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন। আস্থা রাখুন পুলিশে।

    ২৪ঘণ্টা/ রাজীব প্রিন্স

  • প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথা গুজার ঠাঁই চায় হজরত আলী ও তার পরিবার

    প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথা গুজার ঠাঁই চায় হজরত আলী ও তার পরিবার

    গৌতম চন্দ্র বর্মন,ঠাকুরগাঁওঃ “প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথা গুজার ঠাঁই চায় হজরত আলী ও তার পরিবার”। ঠাকুরগাঁও সদরের সালান্দর নয়(৯ নং) ওয়ার্ড আরাজী সিং পাড়ায় চৌদ্দ হাত কালী থেকে গড়েয়া যাওয়ার রাস্তার পার্শ্বে সরকারি রাস্তার জায়গায় কোন মতে মাথা গুজার ঠাঁই করে মানবেতর জীবন যাপন করছে হজরত আলী ও তার পরিবার।

    রিক্সা চালক হজরত আলী ও তার পরিবার সাংবাদিকদের জানায়, দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ সে এখানে ঘর করে আছে। তার পরিবারে দুই মেয়ে ও দুই ছেলে। দুই ছেলে ঢাকায় কাজ করে কিন্তু তারা আমাদের পরিবারে কোন খরচ পাঠায় না। আমার শেষ সম্বল বাড়ির জায়গা টুকু বিক্রি করে বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছি, এখন আমি নিঃস্ব আমার বসত বাড়ি করার কোন জায়গা না থাকায় রাস্তার পার্শ্বে রাস্তার সরকারি জায়গায় কোন রকমে ঘর করে আছি। অনেক দিন যাবৎ আমি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বাসায় পড়ে আছি, বয়সের ভারে রিক্সাও চালাতে পারি না। আমার স্ত্রী আর ছোট মেয়ে মানুষের বাসায় কাজ করে যেটুকু খাবার নিয়ে আসে তা দিয়ে এক বেলা খেয়ে কোন রকমে বেঁচে আছি। টাকা পয়সার অভাবে আমার ছোট মেয়ে টি বিয়ে দিতে পারছি না। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া শেষ বয়সে আমার বেঁচে থাকার আর কোন উপায় নেই।

    আমি ও আমার পরিবারের এখন একমাত্র ভরসা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। উনার সহযোগিতা পারে এক খন্ড জমির ওপর আমার ও পরিবারের মাথা গুজার ঠাঁই করে দিতে।

  • ফ্রি-পোর্ট থেকে হারিয়ে যাওয়া আয়েশাকে খুঁজে পেলো পরিবার

    ফ্রি-পোর্ট থেকে হারিয়ে যাওয়া আয়েশাকে খুঁজে পেলো পরিবার

    চট্টগ্রামের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ২৪ ঘন্টা ডট নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর হারিয়ে যাওয়া আয়েশা আকতার (১০) খুঁজে পেয়েছে তার পরিবারকে।

    গতকাল রবিবার নগরীর ফ্রি-পোর্ট কলসী দিঘীর পাড় থেকে মেয়েটি পথ হারিয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলার ১০ নং সলিমপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডেরর সমুদ্র পাড়ে চলে আসে।

    কান্নারত অবস্থায় মেয়েটিকে জিন্মায় নেন সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস.এম আল মামুন এর ব্যক্তিগত সহকারী সাইদুল রহমান মারুফ।

    আয়েশার মা তাসলিমা ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, রবিবার সকাল ৮ টার দিকে আমার মেয়ে বাসা থেকে খেলতে বের হয়ে পথ হারিয়ে সে কলসী দিঘীর পাড় দিয়ে হেঁটে চলে যায়।

    সে এখানকার পথঘাট তেমন চেনে না। বেঁড়ি বাঁধের পার দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সে দুপুর ১টার দিকে ১০ নং সলিমপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সমুদ্র পাড়ে গিয়ে কান্না কাটি করলে তাকে স্থানীয়
    সাইদুল রহমান মারুফ তার কাছে রাখেন।

    এদিকে মেয়েকে অনেক খুঁজাখুঁজির পর বিকালে এলাকায় মাইকিং করানো হয়। এরপর ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ দেখে আমরা মেয়ের সন্ধান পায়।

    তাসলিমা আরো বলেন, আমার মেয়েকে যারা আশ্রয় দিয়েছে এবং যারা নিউজ করে খুঁজে পেতে সহযোগীতা করেছে আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।

    এবিষয়ে আয়েশাকে আশ্রয় দেয়া সাইদুর রহমান মারুফ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, আমার এখন খুবই ভালো লাগছে মেয়েটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরে।

    তিনি বলেন, পরিবারের ছোট বাচ্চাদের অন্তত ঘরের মোবাইল নম্বরটি মুখস্ত করানো দরকার যা বিপদের সময় খুব বেশি কাজে আসে।