Tag: পর্তুগাল

  • বিশ্বরেকর্ডের ম্যাচে রোনালদোর গোলে জিতল পর্তুগাল

    বিশ্বরেকর্ডের ম্যাচে রোনালদোর গোলে জিতল পর্তুগাল

    প্রথম কোনো খেলোয়াড় হিসেবে ২০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার নজির স্থাপন করেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এমন স্মরণীয় ম্যাচে তার শেষ মুহূর্তের গোলে নিশ্চিত ড্র থেকে রক্ষা পেয়েছে পর্তুগাল। নির্ধারিত সময়ের মাত্র এক মিনিট বাকি থাকতেই জোরালো শটে সিআরসেভেন জাল কাঁপান। আর তাতেই আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে পর্তুগিজরা।

    এদিন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে খেলতে নামার আগে রোনালদোকে সম্মান জানায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ারের ১৯ বছর ৩০৪ দিন বয়সে তিনি ২০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। তার যাত্রাটা শুরু হয়েছিল কাজাখস্তানের বিপক্ষে ২০০৩ সালের ২০ আগস্ট।

    পুরো ম্যাচেই রোনালদোর দল দাপট ধরে রেখে খেলে। ৭২ শতাংশ বলের দখল এবং গোলের লক্ষ্যে ১১টি শট নিলেও তারা লিড নিতে পারছিল না। তবে অন টার্গেটে ছিল মাত্র তিনটি শট। বিপরীতে আইসল্যান্ড দ্বিতীয়ার্ধে পরিণত হয় ১০ জনের দলে। তাদের সাতটি শটের মাত্র একটি ছিল গোলের লক্ষ্যে।

    ম্যাচের প্রথম ডেডলক ভাঙতে সময় লাগে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত। আর তাও এলো আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোর পা থেকে। রাফায়েল গেরেরোর উঁচু করে বাড়ানো বল পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে গনসালো ইনাসিও হেড করার পর পেয়ে যান রোনালদো। জোরালো শটে খুব কাছ থেকে আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক অ্যালেক্স রানারসনকে পরাস্ত করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ম্যাচে এটি তার ১২৩তম গোল।

    ২০১৬ সালের ইউরোর চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল এবারের ইউরো বাছাইয়ে চার ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে। ফলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আছে ‘জে’ গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যরা। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে স্লোভাকিয়া।

  • মরক্কোর ইতিহাস, পর্তুগালের বিদায়

    মরক্কোর ইতিহাস, পর্তুগালের বিদায়

    অবিশ্বাস্য-অকল্পনীয়, তবে পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত নয়। কাতার বিশ্বকাপে চলছেই মরক্কো মিরাকল। গ্রুপপর্বে বেলজিয়াম বধ, এরপর রাউন্ড অব সিক্সটিনে স্পেন বিদায় নিয়েছিল মরোক্কান রূপকথায়। এরপর আফ্রিকার মুসলিম দেশটির প্রতি প্রত্যাশার পারদ এক ধাপে শতগুণ বেড়ে যায়। সমর্থকদের সেই প্রত্যাশার প্রতিদান কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছে মরক্কো।

    এবার তাদের শিকার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। শনিবার রাতে আল থুমামা স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে পর্তুগিজদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আফ্রিকার দেশটি। মরক্কোর হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন ইউসুফ এন-নেসিরি। আফ্রিকা ও আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সেমিতে উঠলো মরক্কো।

    এদিনও প্রথম একাদশে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে বেঞ্চে রাখেন কোচ ফের্নান্দো সান্তোস। প্রথম থেকেই আক্রমণে নামে পর্তুগাল। দুই প্রান্ত ব্যবহার করে বক্সে ক্রস করার চেষ্টা করে তারা। ৪ মিনিটের মাথায় ব্রুনো ফের্নান্দেজের ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত হেড করেন জোয়াও ফেলিক্স। তার হেড বাঁচিয়ে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো।

    মাঝে মাঝে দুরন্ত আক্রমণ চালাচ্ছিল মরক্কোও। প্রান্ত ধরে কয়েকটি আক্রমণ করেছেন হাকিমি, জিয়েচরা। কিন্তু খুব একটা সমস্যায় পড়েননি পর্তুগালের গোলরক্ষক কোস্তা।

    ৩০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে জোরালো শট মারেন ফেলিক্স। বল সরাসরি গোলের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে গোলের একটু উপর দিয়ে বল চলে যায়।

    ৪০ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় পর্তুগাল। বাঁ দিক থেকে ক্রসে শট মারেন ফেলিক্স। কিন্তু তার শট বার উঁচিয়ে চলে যায়।

    ৪২ মিনিটে এগিয়ে যায় মরক্কো। নিজেদের মধ্যে বেশ কয়েকটি পাস খেলে বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠে মরক্কো। বক্সে বল ভাসিয়ে দেন বৌফাল। আগুয়ান গোলরক্ষক কোস্তা বলের নাগাল পাওয়ার আগে হেডে গোল করেন ইউসুফ এন-নেসিরি।

    গোল খাওয়ার পরে শোধ করার চেষ্টা করে পর্তুগাল। সুযোগও পায় তারা। বক্সের বাইরে থেকে ব্রুনো ফের্নান্দেজের শট বারে লেগে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধে ০-১ গোলে পিছিয়ে সাজঘরে যায় পর্তুগাল।

    বিরতির পর ম্যাচের ৫০ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ ছিল মরক্কোর। ৪৯ মিনিটের মাথায় হাকিম জিয়েচের ফ্রিকিক আর একটু হলে জালে জড়িয়ে যেত। কোনও রকমে সেই বল বার করেন কস্তা।

    ৫২ মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন রোনালদো। এরপর একের পর আক্রমণ চালায় পর্তুগাল। বেশ কয়েক বার মরক্কোর বক্সে পৌঁছেও যান রোনালদোরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব আক্রমণ প্রতিহত হয়ে যায়। গোল না পেয়ে অস্থির হয়ে ওঠেন পর্তুগালের ফুটবলাররা।

    ম্যাচের ৮২ মিনিটে আবারও দারুণ সুযোগ পায় পর্তুগাল। রোনালদোর পাসে দারুণ শট নিয়েছিলেন ব্রুনো ফের্নান্দেজ। ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটি ঠেকিয়ে দেন মরোক্কান গোলকিপার ইয়াসিন বুনো।

    একের পর এক আক্রমণ করেও শেষ পর্য কোনও গোল পাননি রোনালদো, ফের্নান্দেজরা। ০-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। প্রথম আরব দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠে মরক্কো।

    চলতি কাতার বিশ্বকাপে এখনও হারের স্বাদ পায়নি আটলান্টিক মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগরের কোলঘেঁষা উত্তর আফ্রিকার দেশটি। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে তারা ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। দ্বিতীয় ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় ফিফার বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেলজিয়ামকে। আর গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কানাডাকে ২-১ গোলে হারায় কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুইর দল।

    রাউন্ড অফ সিক্সটিনে স্পেনকে হারিয়ে কেয়ার্টারে যায় তারা। কোয়ার্টারে পর্তুগালকে বিদায় করে এবার তারা পা রাখলো সেমিতে। কতদূর যাবে এই মরক্কো মিরাকল- উত্তর মিলবে সেমিফাইনালে।

  • রামোসের হ্যাটট্রিকে কোয়ার্টারে পর্তুগাল

    রামোসের হ্যাটট্রিকে কোয়ার্টারে পর্তুগাল

    তাঁর দুই চোখের ভেতরে যে নৈশব্দের শিকড় ছিল, বুঝে গিয়েছিল তা ‘সিআর সেভেন’ গায়ে জড়িয়ে আসা গ্যালারির হাজার হাজার রোনালদো! তাই যখনই রিজার্ভ বেঞ্চের মানুষটিকে বড়স্ট্ক্রিনে দেখিয়েছে, তখনই চিৎকার করে রোনালদোর পাশে থাকার চেষ্টা করেছে গ্যালারি। কিন্তু উদাস রোনালদো তখন সামনে দিব্যি দেখছিলেন- সামনেই তাঁর উত্তরসূরি। এসে গেছে গঞ্জালো রামোস। তাঁর হ্যাটট্রিকেই তখন উড়ছিল পর্তুগাল, তাঁর উত্থানেই পুরো স্টেডিয়ামে জয়জয়কার। বেঞ্চ থেকে তিনিও গিয়েছিলেন রামোসের কাঁধে হাত রাখতে। কিন্তু রোনালদোকে ছাড়াই পর্তুগিজদের জাহাজ তখন কোয়ার্টারের বন্দর দেখে নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-১ গোলে যখন এগিয়ে গেছে, তখন রোনালদোকে ম্যাচের ৭৩ মিনিটে শুধু নোঙর ফেলার জন্য নামিয়েছিলেন কোচ সান্তোস। শ্রদ্ধাভরে অধিনায়কত্বের ব্যান্ডটি তাঁর হাতে পরিয়ে দিয়েছিলেন পেপে। পুরো গ্যালারির হর্ষোল্লাস বলে দিয়েছিল- শুধুই কি পর্তুগালের জয়! তাঁরা তো দেখতে এসেছেন তাঁদের প্রিয় তারকা রোনালদোকেই।

    হারলে বিদায়, হারলে রোনালদোর শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ- একটা কৃতজ্ঞতা বোধ থেকেও গ্যালারিতে রোনালদোর ভক্তদের ঢল নেমেছিল। কিন্তু তার আগেই তাঁকে তাঁর টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়ে দেয়, প্রথম স্কোয়াডে থাকছেন না তিনি। আগের ম্যাচগুলোতে গোল মিস করার জন্য সমালোচিতও হচ্ছিলেন দেশে। এদিন ব্রুনো ফার্নান্দেজ, গঞ্জালো রামোস, জোয়াও ফিলিক্সকে নিয়ে দারুণ এক ট্রায়াঙ্গেল বানিয়েছিল পর্তুগাল। আর সেখান থেকেই ম্যাচের ১৭ মিনিটের মাথায় বাঁ দিকের অ্যাঙ্গেল মেপে জোরালো শটে গোল করেন গঞ্জালো রামোস। পর্তুগিজ এক সাংবাদিক তথ্য বের করে ফেলেন, এই রামোস এর আগে দেশের হয়ে মাত্র ৩৫ মিনিট খেলেছিলেন। আর ১৭ মিনিটেই নকআউট ম্যাচে গোল করেছেন। সেখানে রোনালদোর নকআউট ম্যাচে নাকি ৫১৪ মিনিটেও কোনো গোল নেই! বোঝা যায়, বয়সের কারণেই রোনালদোকে যাঁরা ‘সিআর থার্টিসেভেন’ বলে, তাঁদেরই একজন হবেন ওই সাংবাদিক। অবশ্য পর্তুগালের দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন একজন ৩৯ বছর বয়সী। পেপে- কর্নার থেকে পাওয়া বল তাঁর হেডেই গোল হয়। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বয়সী ফুটবলারের গোলদাতার তালিকায় এখন তিনি দ্বিতীয়তে। ম্যাচের তৃতীয় আর রামোসের দ্বিতীয় গোলটি আসে ৫১ মিনিটে। ডালোতের একটি ক্রস থেকে গোল করেন তিনি। ৫৫ মিনিটে রাফায়েলের গোলে ৪-০ হয়ে যায় ম্যাচ। এরপর ম্যানুয়েল আকঞ্জির গোলে কিছুটা মুখ রক্ষা হয় সুইসদের।

    কিন্তু তখনও যে অপেক্ষা এবারের বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকম্যানকে দেখার, তা কে জানত। ৬৭ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করেন হ্যাটট্রিক রামোস। উত্তরসূরিকে তখন উঠিয়ে পূর্বসূরি রোনালদোকে নামায় পর্তুগাল। একটি ফ্রি কিক আর একটি অফসাইডে বাতিল গোল- ১৭ মিনিটে এটুকুই ছিল রোনালদো। তাঁকে ছাড়াও যে সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে হারানো যায়- সেই বিশ্বাসটা জোরালো করেই কোয়ার্টারে নামবে এই ‘নতুন পর্তুগাল।

     

  • পর্তুগালকে হারিয়ে নকআউটে দক্ষিণ কোরিয়া

    পর্তুগালকে হারিয়ে নকআউটে দক্ষিণ কোরিয়া

    দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে হলে জিততেই হতো দক্ষিণ কোরিয়াকে। এই পরীক্ষায় সফল কোরিয়ানরা। পর্তুগালকে হারিয়ে শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত করল দক্ষিণ কোরিয়া।

    ‘এইচ’ গ্রুপের সেরা হওয়ার লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে পর্তুগাল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামনে সমীকরণ এমন ছিল যে, জিতলেই পরের পর্বে। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে আরেকটি অঘটন দেখলো বিশ্ব। পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোতে পা রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

    প্রথম দুই ম্যাচ জিতে পর্তুগালের শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়েছে আগেই। মাঠে নেমেই আগ্রাসী পর্তুগাল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে গোল পায় ড্যালোটের অ্যাসিস্টে গোল করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রিকার্ডো হোরতা। এগিয়ে গিয়ে থেমে থাকেনি পর্তুগিজরা। একাধিক আক্রমণ শানালেও আর গোল পায়নি তারা।

    বলা ভালো পেতে দেননি দক্ষিণ কোরিয়ার গোলরক্ষক কিম। কোরিয়ার গোলমুখে পর্তুগাল শট নেয় ৯টি, যার ৬টি অন টার্গেট। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়া লড়াই করে সমানতালে। ফলশ্রুতিতে ২৭ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান কিম উন। গোটা প্রথমার্ধে পর্তুগিজদের গোলমুখে ৫টি শট নেয় কোরিয়ানরা। ৪৪ শতাংশ বল পজিশনে রেখে ভালোই জবাব দেয়।

    ১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ। বিরতির পর মাঠে নেমে আরও গোছালো ফুটবল খেলে এশিয়ার দলটি। একের পর এক আক্রমণ করেও গোল পাচ্ছিলো না। তবে ৯২ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে একা বল টেনে নেন সন, পর্তুগালের বক্সের বাইরে পাস দেন হোয়াং হিচানকে। সেখান থেকে সুযোগ মিস করেননি এই ফরোয়ার্ড।

    যাদের বিদায় প্রায় নিশ্চিত ছিল, তারাই উঠে গেল পরের পর্বে। কাতার দেখলে আরেকটি অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন। শেষের আগে হার না মানার মানসিকতায় দক্ষিণ কোরিয়া বার্তা দিল, বিশ্বকাপ উন্মুক্ত।

  • ফার্নান্দেজের জোড়া গোলে নকআউটে পর্তুগাল

    ফার্নান্দেজের জোড়া গোলে নকআউটে পর্তুগাল

    ঘানাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা পর্তুগাল ২-০ গোলের ব্যবধানে হার শিকার করেছে পর্তুগালের কাছে।

    ব্রুনো ফার্নান্দেজের জোড়া গোলে লাতিন পরাশক্তি উরুগুয়েকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের নকআউট রাউন্ডে পা রাখলো ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।

    লুসাইলে আজ এইচ-গ্রুপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে লুইস সুয়ারেজের উরুগুয়ের মুখোমুখি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগাল।

    আজ জিতলেই পেয়ে যাবে শেষ ষোলোর টিকিট। আগের ম্যাচে প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার অনন্য কীর্তি গড়েছেন পর্তুগাল অধিনায়ক রোনাল্ডো।

    উরুগুয়ের কাছে ২-১ গোলে হেরে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। এবার গ্রুপপর্বেই তার বদলা নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যায় রোনাল্ডোর দল

    আর ২০১৮ বিশ্বকাপে জয়ের সুখস্মৃতি নিয়েই খেলতে নামে উরুগুয়ে। ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নদের বল দখলের লড়াইয়ে একদমই পিছিয়ে ছিল তারা। ম্যাচের প্রথম সুযোগটি পায় পর্তুগাল ৪ মিনিটে। ডি-বক্সের ভেতর রোনালদোর পাস থেকে ভলি করতে গিয়ে বল গোলবারের অনেক উপর দিয়ে মারেন কার্ভালহো।

    ৬৯% বল নিজেদের দখলে নিয়েও ম্যাচের পুরো প্রথমার্ধে একটি শটও গোলমুখে নিতে পারেনি পর্তুগাল। অন্যদিকে শক্তিশালী রক্ষণভাগ বেশ পর্তুগিজ আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের বেশ ভুগিয়েছে। ফলে গোলশূন্য ড্র অবস্থাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

    বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ বাড়ায় দুই দল৷ ৫৫ মিনিটেই গোলের দেখা পায় পর্তুগাল। বাম পাশ ব্রুনো ফার্নান্দেজের ক্রসে রোনালদো মাথা ছোঁয়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন, ফলে বল সোজা খুঁজে পায় জালের ঠিকানা। প্রথমে এটিকে রোনালদোর গোল বলা হলেও পরে অধিকতর পরীক্ষার পর গোলটি ব্রুনো ফার্নান্দেজের নামে দেওয়া হয়।

    গোল খেয়ে তা শোধে মরিয়া চেষ্টা দেখা যায় উরুগুয়ের খেলায়। বদলি হিসেবে সুয়ারেজকে নামিয়ে দেন কোচ। উরুগুয়ের খেলায় আরও ঝাঁজ বাড়ে। একের পর এক আক্রমণ চালায়। যদিও গোলের দেখা পাচ্ছিল না উরুগুয়ে।

    উল্টো ম্যাচের ৯০ মিনিটে আবারও গোল খেয়ে বসে উরুগুয়ে। নিজেদের বক্সে বক্সে ট্যাকল করতে গিয়ে হাতে বল লাগে জিমেনেজের। পেনাল্টি থেকে গোল করেন ব্রুনো।

    এই পরাজয়ে উরুগুয়ের জন্য পথটা বেশ কঠিনই হলো বলা চলে৷ কেননা, ঘানার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তাদেরকে জয়ের পাশাপাশি গোল ব্যবধানও বাড়াতে হবে।

    বিশ্বকাপের আগেই রোনালদো ঘোষণা দিয়েছিলেন, এটি তার শেষ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। তার শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নেমে আরও একবার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো রোনালদোর দেশ পর্তুগাল।

  • ঘানাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে পর্তুগাল

    ঘানাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে পর্তুগাল

    দুই অর্ধের পার্থক্যটা যেন আকাশ আর পাতালের! শুরুর অর্ধে যেখানে মাথাকুটে মরেছে স্টেডিয়াম ৯৭৪, সেখানে দ্বিতীয়ার্ধ দেখল ৫ টি গোল! সেই লড়াইয়ে ঘানাকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল।

    কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল আর ঘানা। শুরুর অর্ধটা একরকম ম্যাড়মেড়েই কেটেছে। পর্তুগাল গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে দেদারসে।

    রোনালদোর কাছে সুযোগ এসেছিল শুরুতেই। তবে কাজে লাগাতে পারেননি। এরপর তার দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন ঘানা গোলরক্ষক লরেন্স আতি-জিগি। শুরুর অর্ধে তাই আধিপত্য বিস্তার করেও গোলের দেখা পায়নি পর্তুগাল।

    এই অচলাবস্থাটা ভাঙল গিয়ে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন রোনালদো, বনে যান ৫ বিশ্বকাপে গোল করা প্রথম ফুটবলার। তবে তার এই গোলে খুব বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি পর্তুগাল। ৭৩ মিনিটে গোলটা করে ঘানাকে সমতায় ফেরান আন্দ্রে আইয়ু।

    তবে জবাবটা ৫ মিনিট পরই দেয় পর্তুগাল। মাঝ মাঠ থেকে বেরিয়ে আসা থ্রু বল দারুণভাবে আয়ত্বে নিয়ে গোলটা করেন জাও ফেলিক্স। সেই গোলের ধাক্কাটা সামলে উঠতে না উঠতেই ঘানা পরের গোলটাও হজম করে বসে। ব্রুনো ফার্নান্দেজের বাড়ানো বল প্রথম ছোঁয়াতেই জালে জড়ান রাফায়েল লেয়াও।

  • রোনালদোর গোলের সেঞ্চুরি

    রোনালদোর গোলের সেঞ্চুরি

    জাতীয় দলের হয়ে বছরে প্রথমবার খেলতে নেমেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেললেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। সুইডেনের বিপক্ষে লক্ষ্যভেদ করে ইতিহাসের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলের সেঞ্চুরি পূরণ করলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।

    সোলনায় মঙ্গলবার উয়েফা নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের ৩ নম্বর গ্রুপের ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে দেশের হয়ে শততম গোলটি করেন রোনালদো।

    পায়ের সংক্রমণে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দলের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি রোনালদো। ফিরেই অপেক্ষার ইতি টানলেন তিনি। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে রক্ষণ প্রাচীরের ওপর দিয়ে দুর্দান্ত বাঁকানো ফ্রি-কিকে ঠিকানা খুঁজে নেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। ১৬৫ ম্যাচে দারুণ এই কীর্তি গড়লেন জুভেন্টাস তারকা।

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকার চেয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বেশি গোল করেছেন কেবল ইরানের সাবেক স্ট্রাইকার আলি দাই, ১০৯টি।

    ২০০৪ সালে পর্তুগালের হয়ে প্রথম গোলের দেখা পেয়েছিলো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এরপর একে একে পৌঁছে যান শতকে।

    কেমন ছিলো রোনালদোর এই একশো গোলের যাত্রা-
    সুইডেনের বিপক্ষে করা গোলটিই আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে পর্তুগাল সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে যে তার একশতম গোল এটি। তাই উদযাপনটা হওয়া চাই ব্যতিক্রম।

    ২০০৪ সালের ১২ জুন গ্রিসের বিপক্ষে প্রথম গোলের দেখা পান রোনালদো। এরপর একই বছর নেদারল্যান্ডস, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, রাশিয়া ও লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে স্কোর করেন এই পর্তুগিজ তারকা।

    ২০০৬ সালে জাতীয় দলের হয়ে ৬টি গোল করেন রোনালদো। এর মধ্যে সৌদি আরবের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে দশম গোলটি করেন এই পর্তুগিজ তারকা। সে ম্যাচে জোড়া গোল করেন রোনালদো।

    এরপর ২০০৭ এ ৫টি গোল করেন রোনালদো। কাজাখাস্তানের বিপক্ষে আসে তার ক্যারিয়ারের বিশতম গোল। ২০১১ তে ডেনমার্কের বিপক্ষে ত্রিশতম গোল করেন রোনালদো। ২০১৩’তে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আসে তার ৪০তম গোল।
    এরপর ২০১৪ বিশ্বকাপে ঘানার বিপক্ষে পর্তুগালের হয়ে পঞ্চাশতম গোল করেন রোনালদো।

    ২০১৬’তে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৬০তম গোলের দেখা পান সিআরসেভেন। সে ম্যাচে জোড়া গোল করেন এই পর্তুগিজ সুপারস্টার। এরপর এই হাঙ্গেরির বিপক্ষেই ২০১৭’তে ৭০তম গোল করেন রোনালদো।

    ২০১৮’তে মিশরের বিপক্ষে ৮০তম গোল করেন এই পর্তুগিজ সেনসেশন। আর গেলো বছরই লিথুনিয়ার বিপক্ষে চার চারটি গোল করেন রোনালদো। সে ম্যাচেই পর্তুগালের হয়ে ৯০তম গোলের দেখা পান সিআরসেভেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা শনাক্তকরণ কিট তৈরিতে সহায়তা দিলেন ফটিকছড়ির ইফতেখার

    করোনা শনাক্তকরণ কিট তৈরিতে সহায়তা দিলেন ফটিকছড়ির ইফতেখার

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত নোভেল করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট তৈরিতে ৫লক্ষ টাকা ও চিকিৎসকদের মেডিকেল সরাঞ্জামের জন্য ১লক্ষ টাকার অর্থ সহায়তা দিয়েছেন- ফটিকছড়ির পর্তূগাল প্রবাসী ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

    তার পক্ষ থেকে ঢাকার একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থা গতকাল রোববার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাষ্টি ডা. জাফরউল্লাহ’র হাতে ৫লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।

    এছাড়া ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য ১লক্ষ টাকার মাস্ক,পিপিই এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ মেডিকেল সরাঞ্জাম দেওয়া হয়।

    ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ফটিকছড়ি উপজেলার লেলাং ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার উদ্দিন চৌধুরী শাহীনের ছোট ভাই। তার পিতা মরহুম কামাল উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন-আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের প্রবীণ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। প্রচার বিমূখ ব্যবসায়ী ইফতেখার উদ্দিন স্বপরিবারে থাকেন পর্তূগালে।

    তিনি এর আগেও দেশের দূর্যোগপূর্ণ সময়ে বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।