Tag: পর্যটক

  • খাগড়াছড়িতে করোনা আতঙ্কে কমে গেছে পর্যটক

    খাগড়াছড়িতে করোনা আতঙ্কে কমে গেছে পর্যটক

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ পরীক্ষার কোন সরঞ্জাম নেই। তবে সন্দেহজনক রোগীদের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করে ৩০ বেডের আইসোলেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সদর উপজেলা ছাড়াও বাকী উপজেলার ক্ষেত্রে ৫০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ।

    খাগড়াছড়িতে এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক কোন রোগী পাওয়া যায়নি জানিয়ে সিভিল সার্জন আরও বলেন, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে বৈঠক করে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি ৮ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সন্দেহজনক কোন ব্যক্তিকে পাওয়া গেলে মেডিকেল টিম আইসোলেশনের মাধ্যমে তাকে মনিটরিং করবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় মেডিকেল টিমের হটলাইনে কল দিয়ে সহযোগীতা নেয়ার নির্দেশনাও রয়েছে জেলা উপজেলা পর্যায়ে।

    এদিকে, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত ৩ ব্যক্তি সনাক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পাহাড়ী জেলা খাগড়াছড়ির মানুষের মাঝে ভীতি কাজ করছে। খাগড়াছড়ি ও সাজেকগামী পযর্টকদের ওপর প্রভাব পড়েছে এ আতঙ্ক। সাজেক ও খাগড়াছড়ির পযর্টন সংশ্লিষ্ট ব্যবাস প্রতিষ্ঠানে বাতিল হচ্ছে অগ্রীম বুকিং।

    সাজেকের খাবার হোটেলের ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার জানান, আগামী ২৬ ও ২৭ তারিখের অগ্রীম বুকিং ছিল। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে গত সপ্তাহ থেকে বুকিং বাতিল হতে শুরু করেছে। এতে আনুমানিক ৫/৭ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতির কথা জানান তিনি।

    খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, করোনা মোকাবেলায় কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা এসেছে তা অনুসরণ করে কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মেডিকেল টিম ও আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পযর্টকদের আসা যাওয়া নিষেধ কিংবা সীমিত করার বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত আসলে তা অনুসরণ করা হবে।

  • বিজয়ের ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সৈকত

    বিজয়ের ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সৈকত

    বিজয় দিবসের ছুটিতে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠেছে।

    সমুদ্র সৈকত, বিপণী কেন্দ্রসহ জেলার পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের কোলাহলে প্রাণচাঞ্চল হয়ে ওঠেছে। রাস্তাঘাটে সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক যানজট। অপরদিকে মিলছেনা যানবাহন। খালি নেই চার শতাধিক হোটেলের কোন কক্ষ। বিজয় দিবসের ছুটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়ে বাড়ছে হয়রানিও।

    ডিসেম্বর মাসে পর্যটকদের আনাগোনায় বেশ জমজমাট থাকবে কক্সবাজার। ইতোমধ্যে শহরের চার শতাধিক হোটেলের প্রায় কক্ষ ১২ থেকে ১৭ ডিসেম্বর, ২০ থেকে ২১ ডিসেম্বর ও ২৭ থেকে ৩১ ডিসেম্বর এবং ১০ জানুয়ারী পর্যন্ত আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এখন বাকী দিনগুলোরও চলছে বুকিং।

    প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শেষে ছুটির দিনগুলোতে অবকাশ যাপনের জন্য হাজার হাজার পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন।

    অপরদিকে বিশ্বের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের কোন জাহাজেই সীট খালি মিলছে না। চারিদিকে ঠাই ঠাই অবস্থা।

    আজ সন্ধ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম এই সৈকতটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। যদিও এই ভিড়ে শীতকালীন পর্যটকদের স্বাভাবিক জোয়ারের একটা প্রভাব আছে। এবার শুক্র, শনিবার ও ১৬ ডিসেম্বর সরকারি ছুটি হওয়ায় অনেকেই একদিন বাড়তি ছুটি নিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশে আছেন। এর প্রভাব চোখে পড়ল কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতেও।

    জানা গেছে, প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবসের ছুটির মাধ্যমে নতুন বছরের প্রথম দশদিন পর্যটকের ভিড়ে ডুবে যায় কক্সবাজার। এবছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বিপুল সংখ্যক পর্যটক ছুটে এসেছে পৃথিবীর দীর্ঘতম এই বীচে।

    সেন্টমার্টিনদ্বীপ, মহেশখালী, হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়ানগর, সোনাদিয়া, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকা গুলো বিপুল পর্যটক সমাগমে নতুন প্রাণ ফিরে পায়। কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেট, বৌদ্ধ মন্দির ও রামুর বৌদ্ধ মন্দিরেও পর্যটক আনাগোনা প্রচুর।

    হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, বিজয় দিবসের ছুটিতে হোটেল, গেস্ট হাউজ ও কটেজ পর্যটকে ভরে গেছে।

    পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারী ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগামী ৩১ ডিসেম্বর (থার্টিফাস্ট নাইট) পর্যন্ত তাদের জাহাজে টিকেটের সংকট রয়েছে। এত দিন ভ্রমণপিপাসু লোকজন বের হতে পারেননি নানা কারণে। এখন প্রত্যেকদিন যাত্রী ও পর্যটকরা টিকেটের জন্য যোগাযোগ করছে।

    ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি রেজাউল করিম রেজা জানান, এ মাসের শুরু থেকে বেশ জমজমাট হয়ে ওঠেছে কক্সবাজার। হোটেল মোটেলে ঠাঁই নেই অবস্থা। সেন্টমার্টিনগামী জাহাজসমূহের টিকেটও আগাম বুকিং হয়ে যাচ্ছে। তিনি আশা করেন এ মাসে কক্সবাজারে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে আসবেন।

    ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা সাংবাদিক দম্পতি আনিছ-শারমিন বলেন, ‘গত দুই বছর আসা হয়নি। তাই এবার ছুটিটা কাজে লাগিয়ে দিলাম।’ অনেক ভালো লাগছে বেড়াতে এসে। দেখলাম ভিড়ের মাঝে পর্যটকরা কক্সবাজারে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার না হন সে জন্য সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও বীচে ট্যুরিস্ট পুলিশ বেশ সক্রিয় রয়েছে। তা অত্যান্ত ভালো হয়েছে।

    কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, বিজয় দিবসের ছুটিতে চার শতাধিক হোটেল, গেস্ট হাউজ ও কটেজ পর্যটকে ভরে গেছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাস ভরপুর থাকবে পর্যটক। শীত মৌসুমে কক্সবাজারে পর্যটকের সরগমন বেশি ঘটে বলে তিনি জানান।

    কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, বিজয় দিবসের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নামে কক্সবাজার সৈকতে। শুক্রবার, শনিবার বিকালে সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্টে পর্যন্ত লাখো পর্যটকের উপস্থিতি দেখা মিলে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সবসময় তৎপর রয়েছে।

  • কক্সবাজারে আবাসিক হোটেলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আহত ৫

    কক্সবাজারে আবাসিক হোটেলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আহত ৫

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার শহরের কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টের বি-ব্লকে অবস্থিত হোটেল পিংকশোরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র মুখোশধারী ডাকাত দল লুট করে নিয়ে গেছে নগদ টাকাসহ প্রায় কোটি টাকার মালামাল। বেপরোয়া হামলা ও মারধরে ৫ কর্মচারী আহত হয়েছে।

    বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে, পুলিশ পৌঁছার আগেই ডাকাতদল পালিয়ে যাওয়ায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।

    আহত নিরাপত্তা প্রহরী নুরুল হক ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, রাত ২ টার দিকে অর্ধশতাধিক সশস্ত্র ডাকাতদল অতর্কিতভাবে হোটেলে ঢুকে রিসিপশন, এমডির কক্ষে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলমান কমান্ডো স্টাইলের ডাকাতিতে হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন কক্ষে অবস্থানরত অতিথিরা জিম্মি হয়ে পড়ে। পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে।

    বেড়াতে এসে এমন দৃশ্য দেখে অনেক পর্যটক হোটেল ছেড়ে চলে গেছে। পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই এমন ঘটনায় কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে স্থানীয়রা মনে করছে।

    মালিকানার দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাওয়া কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব পোদ্দার।

    হোটেল পিংকশোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোঃ আশরাফুল ইসলাম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, হোটেলে অবস্থানরত এক অতিথির ফোন পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, সব তছনছ করে ফেলা হয়েছে। ইতোপূর্বে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।কক্সবাজারে ডাকাতি

    এমডি আশরাফ জানান, তার ড্রয়ারে রক্ষিত ছিল জমি বিক্রির বায়না বাবদ নেয়া ৫০ লক্ষ টাকা। ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে টাকাগুলো নিয়ে গেছে ডাকাত দল। ভেঙ্গেচুরে তছনছ করেছে তার কক্ষ, রিসিপশন ও হোটেলের বিভিন্ন কক্ষ।

    ল্যাপটপ-কম্পিউটার, সিসি ক্যামেরা, ক্রেডিট কার্ড, চেকবই, নিরাপত্তাকর্মীদের মোবাইলসহ হোটেলের প্রায় কোটি টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি ও লুট করেছে। বেপরোয়া মারধরে আহত হয়েছে নিরাপত্তাকর্মী নুরুল হক, রিদওয়ান, মোরশেদ, এরফান, মাসুদ ও আলাউদ্দিন।

    নিরাপত্তাকর্মী ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মো. আশরাফুল ইসলাম আরো জানান, ডাকাত দলের সদস্য অর্ধশতাধিক হলেও কয়েকজনকে তারা চিনতে পেরেছে। ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছে মকতুল, জালাল, বেলাল, ফয়সাল, তৌহিদুল আনোয়ার। তারা মুখোশ পরিহিত ছিল না বলে নামগুলো জেনেছে হোটেলপক্ষ। ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় হোটেল ব্যবসায়ীরা।

  • সেন্টমার্টিনের পর্যটকদের আনতে রওয়ানা দিল ৪ জাহাজ

    সেন্টমার্টিনের পর্যটকদের আনতে রওয়ানা দিল ৪ জাহাজ

    সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া পর্যটকদের টেকনাফে ফিরিয়ে আনতে আজ সোমবার ১১ নভেম্বর সকাল সোয়া ১০ টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অনুমোদন প্রাপ্ত ৪ টি জাহাজ টেকনাফ জেটি থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।

    বিষয়টি টেকনাফের নবাগত ইউএনও মোঃ সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

    টেকনাফের ইউএনও জানান, সেন্টমার্টিন থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও অন্যান্যদের হিসাব মতে, সেখানে আটকাপড়া পর্যটকের সংখ্যা ১ হাজারের বেশী হবেনা। তাই ৫ টি জাহাজ সেন্টমার্টিনের যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হলেও ৪ টি জাহাজকে পর্যটকদের আনতে পাঠানো হয়েছে। জাহাজ গুলোতে যেকোন ঝুঁকি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত রেসকিউ সামগ্রীর ব্যবস্থা রয়েছে।

    এছাড়া সেন্টমার্টিন সমুদ্র এলাকায় রুটিন দায়িত্ব পালনরত নৌবাহিনী ও কোষ্টগার্ডের সদস্যরাও অতিরিক্ত নিরাপত্তা হিসাবে পর্যটকবাহী জাহাজ গুলোকে অনুসরণ করবে।

    ইউএনও মোঃ সাইফুল ইসলাম আরো জানান, সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়া জাহাজ ৪ টি সোমবার ১১ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টার মধ্যে সেন্টমার্টিন পৌঁছার সম্ভাবনা রয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে জাহাজে উঠানামার শুধুমাত্র ১ টি জেটি থাকায় সেন্টমার্টিন থেকে পর্যটক নিয়ে আধা ঘন্টা পর পর জাহাজ গুলো টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ টার মধ্যে ৪ টি জাহাজই টেকনাফ জেটি ঘাটে পৌঁছে যাবে বলে ইউএনও মোঃ সাইফুল ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

    তিনি আরো জানান, টেকনাফ জেটি ঘাটে কক্সবাজার মুখী বাস প্রস্তুত রাখা হচ্ছে পর্যটকদের নিয়ে আসার জন্য।

    কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার দায়িত্বরত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব উপসচিব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে ফেরত আনা পর্যটকেরা যারা ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে চাইবে প্রয়োজনে তাদের যাতায়াতের জন্য পরিবহন এজেন্টদের সাথে কথা বলে অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করা হবে। আর যারা কক্সবাজারে থাকতে চাইবে অনায়াসে তারা কক্সবাজারে থাকতে পারবেন বলে তিনি জানান।

    সেন্টমার্টন- টেকনাফ রুটে পর্যটকবাহী ৪ টি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে উল্লেখ করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার সমুদ্র পথে জাহাজ টেকনাফ আসতে ইনশাল্লাহ কোন ঝুঁকি থাকবেনা।

    প্রসংগত, গত বৃহস্পতিবার বিকেল হতে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সিগন্যাল দেওয়ায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সেন্টমার্টিন-টেকনাফ সমুদ্র পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে শুক্রবার ফেরার জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপে থাকা প্রায় এক হাজার পর্যটক গত ৪ দিন ধরে সেখানে আটকা পড়ে থাকে।

  • পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে সেন্টমার্টিনের পথে জাহাজ

    পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে সেন্টমার্টিনের পথে জাহাজ

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া ১২শ পর্যটককে (সোমবার) আজই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

    সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম দমদমিয়া আটলান্টিক ক্রুজের ঘাটে উপস্থিত হলে জাহাজ ছেড়ে দেয়।

    বুলবুলের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় শুক্রবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় আটকে পড়েন তারা।

    বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বর্তমানে গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয়ায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে দেওয়া ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বলবৎ থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

    প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া ১২শ পর্যটক ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিনের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান খাঁন। তাদের বিষয়ে সবসময় খোজখবর রাখা হয়েছে। হোটেল ও খাবার হোটেলে ডিসকাউন্টও দেয়া হয়েছে।

    আটলান্টিক ক্রুজের কক্সবাজারস্থ ইনচার্জ নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ও আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সোমবার সকাল ১০ টায় দমদমিয়া ঘাট থেকে রওয়ানা দেয় জাহাজ। আটকে পড়া পর্যটকরা আমাদের বুকিং করা যাত্রী না হলেও মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা সেবার উদ্যোশ্যে যাত্রীসেবা দিচ্ছি। যেহেতু আমাদের জাহাজ বড় এবং সেন্টমার্টিন ঘাটে সহজেই ভিড়তে পারে।

    টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম জানান-সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকের ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হয়েছে। সোমবার আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় তাদেরকে জাহাজে করে টেকনাফে নিয়ে আনা হচ্ছে।

  • ‘বুলবুল’ ঘীরেও পর্যটকদের উচ্ছ্বাস

    ‘বুলবুল’ ঘীরেও পর্যটকদের উচ্ছ্বাস

    ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে কক্সবাজারের থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। দুই দিন ধরে বৈরী আবহাওয়া ও সতর্ক সংকেত থাকায় টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের মধ্যে জাহাজসহ কোনও নৌযান চলাচল করেনি। ফলে প্রায় ১২০০ পর্যটক দ্বীপে আটকে পড়েছেন।

    অপরদিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সবকটি পয়েন্টে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র স্নানে ব্যস্ত। তবে লাইফ গার্ড কর্মীরা সার্বক্ষণিক পর্যটকদের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এ অবস্থায় সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। লাল পতাকা এবং লাইফ গার্ড কর্মীদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তাল সাগরে গোসল করছে পর্যটকরা।

    ঢাকা থেকে পর্যটক রবিন বলেন, যান্ত্রিকতা জীবন ছেড়ে একটু ছুটি পেয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছুটে এসেছি। এখানেও দেখি প্রকৃতি বিরূপ আচরণ করছে। কিন্তু করার কিছু নেই একটু আনন্দ করার জন্য এসেছে তাই নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও সাগরে নেমে গোসল করে জীবনকে উপভোগ করছি।

    ছৈয়দুল আমিন নামে আরেক পর্যটক বলেন, সাগর উত্তাল ও লাইফ গার্ড কর্মীরা সতর্ক করে দিচ্ছে এই অবস্থায় সাগরে না নামতে। কিন্তু করার কিছুই নেই কাল কক্সবাজার ছেড়ে আবার ঢাকা চলে যাবো। তার একটু সাগরে হাঁটু পরিমান পানিতে নেমে গোসল করছি।

    এ অবস্থায় যে কোন দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটকদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন লাইফ গার্ড কর্মীরা। সৈকতের লাবনী পয়েন্টে দায়িত্ব থাকা সী-সেইভ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ মোহাম্মদ চিরু বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি হওয়াতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে এসেছে। এছাড়াও সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় তারাও কক্সবাজার সৈকতে ভিড় করছে। ফলে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিরাপত্তায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।

    এই মুহুর্তে যেহেতু ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে তাই আগত পর্যটকদের নিজেদের সচেতন হওয়া খুবই জরুরী বলে জানান তিনি। এব্যাপারে পর্যটকদের নিষেধ ও সচেতন করা হচ্ছে। তবে কেউ এই নিষেধাজ্ঞা মানছেন না। অসতর্ক অবস্থায় সৈকতে গোসল করছে। তবে আমরাও চেষ্টা করছি তাদের নিরাপত্তা দেয়ার

    কক্সবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর কারণে কক্সবাজার উপকূলে প্রায় ৪ হাজার ট্রলার ফিরে এসেছে। বাকি যে হাজার খানেক ট্রলার রয়েছে তাও বিকেলের মধ্যে ফিরে আসবে।

    এদিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের পানিতে না নামা এবং সতর্কতার সাথে বেড়ানোর জন্য মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসক।

    শনিবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ট্যুারিস্ট পুলিশ পর্যটকদের উদ্দেশ্যে এই মাইকিং করেন।

    এছাড়া হিমছড়ি, ইনানী এবং টেকনাফ সমুদ্র সৈকতেও একই রকম মাইকিং করা হয়। অপরদিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের সর্তকতার সাথে সৈকতে ঘোরাফেরা করতে মাইকিং করেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ।

    ইউপি মেম্বার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন হোটেল ও আশ্রয় কেন্দ্রে আটকে পড়া পর্যটকদের কাছে গিয়ে সতর্কতার সাথে সৈকতে বেড়ানোর আহ্বান জানান।

    জেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে চেয়ারম্যান আরো জানান, দূর্যোগ না কাটা পর্যন্ত তাদের পরিচ্ছন্ন ভাবে হয়রানি মুক্ত আতিথেয়তা দিতে হোটেল কর্তৃপক্ষকে বলা আছে। পরিষদের সবাই সর্বক্ষণ খোঁজ খবর নিয়ে পর্যটকদের আতংকিত না হতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

    চেয়ারম্যানের মতে, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল কয়েকটি হোটেল রয়েছে। কঠিন দূর্যোগ বা জলোচ্ছ্াস হলেও আটকে পড়া পর্যটকদের বিচলিত হবার কিছু নেই। সংকেত বাড়লে আমরা তাদের এসব উচু ভবনে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করব।

    দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের হোটেল ও খাবার বিল ডিসকাউন্ট দিতে সব হোটেল-মোটেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহম্মদ।

    তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকে দ্বীপে বৃষ্টি ও বাতাস বেড়েছে। এজন্য রুম থেকে বের হতে পর্যটকদের নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া দ্বীপের চারদিকে সমুদ্র সৈকতে যাতে কোনও পর্যটক না নামেন, সেজন্য পরিষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। যারা প্রথমবারের মতো সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে এসেছেন, তাদের মধ্যে কিছু লোকজন ভয়ে আছেন বলে শুনেছি। তবে পর্যটকদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’

    সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আজমীর ইলাহি বলেন, ‘দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছে।’

  • সেন্টমার্টিনে আটকে আছে ১২০০ পর্যটক, পর্যটন ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন

    সেন্টমার্টিনে আটকে আছে ১২০০ পর্যটক, পর্যটন ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর কারনে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ৪নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় বৃহস্পতিবার সেন্টমার্টিন থেকে ফিরতে পারেনি প্রায় ১২০০ পর্যটক।

    আজ শুক্রবার সকালে টেকনাফ জাহাজঘাট থেকে কোন পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। সে হিসেবে প্রবাল দ্বীপে আটকে থাকা পর্যটকেরা আজ ফিরতে পারছেনা।

    দ্বীপের আবাসিক হোটেলগুলোতে তারা নিরাপদে অবস্থান করছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে গন্তব্যে ফিরবে আটকে পড়া পর্যটকেরা।

    সেন্টমার্টিন ইউপি সদস্য হাবিব খান মুঠোফোনে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকে টেকনাফ ফিরেনি। হঠাৎ বৈরি আবহাওয়ায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা আটকে গেছে।

    তবে, স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছে। সেন্টমার্টিন থেকে না ফেরা পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ১২০০ হবে বলে জানান হাবিব মেম্বার।

    সমুদ্রে ৪ নং সতর্ক সংকেত থাকায় সেন্টমার্টিনগামী কোন জাহাজ আজ শুক্রবার না ছাড়তে নির্দেশ জারী করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে জারিকৃত এই নোটিশ যথারীতি সংশ্লিষ্ট জাহাজ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত মতে আজ শুক্রবার সকালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে কোন জাহাজ ছাড়েনি।

    গতকাল বৃহস্পতিবার অনেক পর্যটকের টিকিটের টাকা ফেরত দেয় জাহাজ কর্তৃপক্ষ। এতে করে মৌসুমের শুরুতেই একটি ধাক্কা খেলো পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

    সেন্টমার্টিন দ্বীপের আবাসিক কটেজ সী প্রবালের মালিক আব্দুল মালেক ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, ৮-১১ নভেম্বর এই ৪ দিন তার কটেজ বুকিং ছিলো। ইতোমধ্যে অনেক পর্যটক সেন্টমার্টিন গিয়ে পৌঁছেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় তাদের ব্যবসার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল।

    উল্লেখ্য, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্র পথে বর্তমানে কেয়ারি ক্রুজ এন্ড ডাইন, দ্যা আটলান্টিক ক্রুজ, এমভি ফারহান ও এমভি বে-ক্রুজার চলাচল করছে।