Tag: পর্যবেক্ষক

  • নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ

    নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ

    বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ। গতকাল বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

    জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে না। আর হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিবেদন তারা দেখেছেন।

    ব্রিফিংয়ে একজন প্রশ্নকারী বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিরোধী নেতাকর্মী ও সমালোচকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান পদ্ধতিগত দমন-পীড়ন একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অসম্ভব করে তুলেছে। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মহাসচিব সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন?

    এ সময় কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই বাংলাদেশের জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন, স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ আবারও আহ্বান জানায়।

     

  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এই মুহূর্তে সম্ভব না

    তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এই মুহূর্তে সম্ভব না

    টেনেট ফিন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের প্রতিনিধি ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষক টেরি এল ইসলে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক ও অবৈধ। আপনার সংবিধান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুমোদন দেয় না।

    ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের আমন্ত্রণে রোববার (৩০ জুলাই) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন তারা।

    সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। পর্যবেক্ষক দলে জাপানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী ইউসুকি সুগু ও চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী এনডি লিন উপস্থিত ছিলেন।

    ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন।

    টেরি এল ইসলে বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকদের পক্ষ থেকে আমরা বলতে চাই, আপনাদের নির্বাচন কমিশন সংবিধান দ্বারা অনুমোদিত, তারা স্বাধীন। যাতে তারা স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করতে পারে।

    এই পর্যবেক্ষক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে আপনাকে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। চাইলেও কমিশন এটা করতে পারবে না, কারণ পরিবর্তন করার জন্য কোনো আইনী ফ্রেমওয়ার্ক তাদের নাই। এটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। এই মুহূর্তে এটা সম্ভব না।

    আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দলের সদস্য হিসেবে আমরা মনে করি, এই সরকারের অধীনে কমিশন সুষ্ঠ নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। আমি আমেরিকা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করি না। সম্প্রতি আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তারা দেশে সুষ্ঠ নির্বাচন চান। আমরাও মনে করি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে।

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি সাংবাদিক নিক পউল বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি সংবিধান অনুযায়ী তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে।

    ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী বলেন, আমরা কমিশনের সঙ্গে খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা করেছি। আগামী নির্বাচনের প্রস্ততি ও সাম্প্রতিক নির্বাচন সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছে। আগামী নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা আসতে চাইছেন। এ বিষয়ে ইসির বিধি মালা জানতে চেয়েছেন। ইসি আশ্বস্ত করেছে পর্যবেক্ষকরা ভোটের আগে ও পরেও আসতে পারবে। কমিশন থেকে কোনো বাধা নেই।

    তিনি বলেন, প্রতিনিধিরা ঢাকা-১৭ আসনে হিরো আলমের ওপর হামলায় ইসি কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন। কমিশন এ বিষয়ে ব্যাক্ষা দিয়েছে। যারা হামলা করেছে তাদের গ্রেফতার ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে। ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেহেতু অসাংবিধানিক, সেই বিষয়ে (প্রতিনিধি) উনাদের কোন আগ্রহ নাই। উনারা বলেছেন সংবিধানে যেটা আছে সেইটার আলোকেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। উনারা বলছেন, কমিশনের যেই আইন আছে, সেটার যেন সঠিক প্রয়োগ হয়। রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকার যেন ইসিকে সাপোর্ট দেয় এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করলে, এই কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এটা উনারা আশা প্রকাশ করেছেন।’

    পরে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবেন কি না, আসতে হলে তাদের কী করণীয় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত আলোচনা হয়েছে যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন কীভাবে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন আয়োজন করবে, কীভাবে কাজ করবে, অতি সম্প্রতি একটি সিটি করপোরেশন ও একটি সংসদের উপনির্বাচনে ছোট-খাটো যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, বিশেষ করে প্রার্থীদেরকে আক্রমণ করা হয়েছিল, সে বিষয়ে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে এই বিষয়গুলো তারা জানতে চেয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে যদি আসতে চায় তাহলে স্বাগত জানানো হবে। তবে অবশ্যই তাদেরকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসতে হবে।

  • ইইউ যত খুশি তত নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে : ইসি

    ইইউ যত খুশি তত নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে : ইসি

    নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন (ইইউ) যত খুশি তত নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে। এক্ষেত্রে ইসির কোনো লিমিটেশন নেই বলে জানান তিনি।

    মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন অতিরিক্ত সচিব।

    অশোক কুমার বলেন, আজ ইইউ’র সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক হয়েছে। তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আমাদের ভোটার, ভোটকেন্দ্র ও প্রস্তুতি এবং সিসি ক্যামেরাসহ সব বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই তাদের একটি টেকনিক্যাল টিম আমাদের সঙ্গে মিটিং করবে। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-১ ও ২ এর সঙ্গে মিটিং করে তারা আরও বিশদভাবে জানার চেষ্টা করবে। আজকের মিটিংয়ে তাদের কিছু প্রশ্ন ছিল, সেগুলোর জবাব দিয়ে আমাদের কমিশন তাদের সন্তুষ্ট করেছে। আজকের মিটিংয়ে তারা সন্তুষ্ট।

    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা আমাদের পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চেয়েছে এবং তাদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য যা যা করতে হবে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে। আমরা এ বিষয়ে তাদের বলেছি, পর্যবেক্ষক পাঠাতে হলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন দিলে ভালো হয়। কারণ, আরও কিছু ফরমালিটি রয়েছে। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্সের বিষয়ও রয়েছে। পর্যবেক্ষক পাঠাতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের কোনো লিমিটেশন নেই। তবে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক যত খুশি তত তারা পাঠাতে পারবে।

    অতিরিক্ত সচিব বলেন, অবজারভার পাঠানোর বিষয়ে কি কি প্রস্তুতি নিতে হয়, ইসি কি করবে তা জানতে চেয়েছে। কমিশন বলেছে, তারা যত সংখ্যক ইচ্ছা অবজারভার পাঠাতে পারে, এর কোনো লিমিটেশন নেই। আবেদনের জন্য টাইম ফ্রেম আছে কি না জানতে চেয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলো এলে সুবিধা হয় বলে কমিশন জানিয়েছে।

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার বলেন, আমাদের এ পর্যন্ত ৯১১টি নির্বাচন হয়েছে। তাতে সন্তোষ রয়েছে তাদের। পরিবেশ নিয়ে এখন পর্যন্ত সেটিসফাইড হলেও তারা আরও আলোচনা করবে। তারা ২৩ জুলাই পর্যন্ত থাকছে। ১৮-২২ জুলাইয়ের মধ্যে তারা আবারও টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে বসবে। নির্বাচনকালীন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটে আনার বিষয় আলোচনায় আসেনি।

    তিনি বলেন, তারা প্রধান নির্বাচনী প্রস্তুতিটা কী তা জানতে চেয়েছে। আমাদের মেইনলি রোডম্যাপ, আমরা তা নিয়ে কাজ করছি। ট্র্যাকেই আছে। নির্বাচন কমিশন ফেয়ারলি নির্বাচন করতে সক্ষম কি না সেসব বিষয়গুলো জানতে চেয়েছে। ইসি সে বিষয়গুলো এক্সপ্লেইন করেছে, তারা সেটিসফাইড।

    তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই ইইউ’র : ইএমএফ চেয়ারম্যান

    এর আগে সকালে রাজধানীর গুলশানে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) সঙ্গে বৈঠক করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে ইএমএফ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, উনারা সংবিধানে নেই এমন কোনো কথা বলেননি এবং তত্ত্বাবধায়ক বিষয়ে কোনো কিছু তারা জানতে চাননি। তত্ত্বাবধায়ক বিষয়ে তারা কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেননি।

    গত রোববার ভোরে ঢাকায় আসে ইইউ প্রতিনিধি দল। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিশেষজ্ঞ হিল্লেরি রিকার্ডোর নেতৃত্বে দুই সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ মূল্যায়নের কাজ করবেন তারা। আগামী ২৩ জুলাই তাদের বাংলাদেশ সফর শেষ হবে। ইইউ প্রতিনিধি দলটি সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো, নির্বাচন কমিশন, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবে।

    এর আগে, ঢাকা সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। সোমবার (১০ জুলাই) বিকেলে গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ পুলিশ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

    জানা গেছে, ইইউর প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক নেতা, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবে।

    নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছে ইইউর প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলটি। সফরের শুরুর দিন রোববার (৯ জুলাই) সকালে ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির গুলাশানের বাসায় শুরু হয় প্রথম কার্যক্রম। সেখানে ইইউর কয়েকটি সদস্য দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রুটিন বৈঠক করেন তারা। পরে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গেও বৈঠক করেন তারা।

    বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ অবস্থান করবে ইইউর পর্যবেক্ষক দলটি। বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের কাছে তাদের মূল্যায়নের মতামত জমা দেবেন বিশেষজ্ঞ দলটি।

    তাদের মতামত ইতিবাচক হলে পরবর্তী সময়ে আরও প্রতিনিধি দল পাঠাবে ইইউ। আর সবকিছু ঠিক থাকলে অর্থাৎ প্রতিনিধি দলের মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ইইউ প্রধান। পরবর্তী সময়ে যে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দল আসবে তাদের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়াদি মূল্যায়ন করবে এই দলটি।