Tag: পলাতক

  • পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা

    পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা

    জামালপুর পৌর শহরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছেন।

    শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকালে জামালপুর পৌর শহরের পূর্ব নয়াপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে মুসলিমা বেগম (৩০) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মুসলিমা বেগম পৌর শহরের পূর্ব নয়াপাড়া এলাকার মোকছেদ আলীর মেয়ে।

    জানা গেছে, এক বছর আগে জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া কমলার মোড় এলাকার আলম মিয়ার ছেলে রুবেলের (৩৫) সঙ্গে বিয়ে হয় মুসলিমা বেগমের। মো. রুবেল দ্বিতীয় স্বামী ছিলেন নিহত মুসলিমার। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

    পুলিশ ও নিহত নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। প্রায়ই দুজনের মধ্যে ঝগড়া লাগতো। ৬ মাস আগে ওই নারীকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছিল তার স্বামী রুবেল। গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে দুজনের ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে রুবেল তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ঘরের বিছানার ওপর লাশ ফেলে রাতেই তিনি পালিয়ে যান। সকালে পরিবারের সদস্যরা ঘরে গিয়ে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানায়। গিয়ে ওই নারীর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

    জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান আরটিভি নিউজকে জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।

  • মিরসরাইয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ : স্বামী, শ্বশুর পলাতক

    মিরসরাইয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ : স্বামী, শ্বশুর পলাতক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। মিরসরাই প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। নিহত গৃহবধূর নাম নাহিদা আক্তার সুমি (২০)।

    রবিবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় উপজেলার ২ নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের কদমতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ওমর ফারুক, শশুর আকতার হোসেনসহ বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।

    জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছেন। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

    জানা গেছে, ২০১৪ সালে মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলের সাথে একই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের চত্তরুয়া সরকার তালুর গ্রামের প্রবাসী নুরুল আফছারের মেয়ে নাহিদা সুলতানা সুমির বিয়ে হয়।

    বিয়ের পর তাদের সংসারে ৫ বছর ও ১ বছর বয়সের দুটি মেয়ে রয়েছে। তারা গত কিছুদিন ধরে কদমতলা এলাকার নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

    নিহত সুমির মা পপি আক্তার অভিযোগ করেন, বিয়ের পর কয়েক মাস ভালো চললেও পরে বিভিন্ন সময় ঠুঙ্কো কারণে আমার মেয়েকে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি মারধর করতো। তাদের পারিবারিক কলহ নিয়ে একাধিক বার বৈঠকও হয়েছে। তারা আমার সুমিকে বাঁচতে দিলো না। আমার মেয়ের খুনিদের শাস্তি চাই।

    জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে কদমতলা এলাকার নিজাম উদ্দিনের বাড়ি থেকে নিহত নাহিদা আক্তার সুমির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি।

    আগামীকাল সোমবার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মর্গে প্রেরন করা হবে। ঘটনার পর থেকে সুমির স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।

  • আনোয়ারায় জমি থেকে ২৩ বস্তা দেশিয় মদ উদ্ধার, কারবারি পলাতক

    আনোয়ারায় জমি থেকে ২৩ বস্তা দেশিয় মদ উদ্ধার, কারবারি পলাতক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। আনোয়ারা প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারশত নিমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৩ বস্তা দেশিয় মদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় এসব মদের কারবারি আলমগীর হোসেন পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকেও গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বললেন পুলিশ।

    মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় ওই এলাকার জাকির হোসেনের জমি থেকে এসব মদ উদ্ধার করা হয়।

    আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আনোয়ারায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও জুয়ার সাথে জড়িত রয়েছে উপজেলার বারশত ইউনিয়নের মৃত আমিন শরীফের ছেলে আলমগীর হোসেনের (৩৫)।

    মঙ্গলবার দেশিয় মদের একটি বড় চালান নিয়ে অবস্থান করছে সংবাদ পেয়ে অভিযানে যায় থানা পুলিশের একটি টিম। অভিযানের খবর আগে থেকে জানতে পেরে আলমগীর পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১১শ লিটার দেশিয় মদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

    তিনি বলেন, আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

  • চট্টগ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী খুন, স্বামী পলাতক

    চট্টগ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী খুন, স্বামী পলাতক

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার ব্যাংক কলোনি এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রোকসানা আক্তার (২৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ। রোববার রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।

    পুলিশ নিহতের স্বজনদের বরাতে জানায়, বিগত ১২ বছর আগে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের সাথে রোকসানা সংসার জীবনে আবদ্ধ হলেও সম্প্রতি বছরখানেক আগে দেলোয়ার আরেকটি বিয়ে করে। এরপর থেকে রোকসানা আর দেলোয়ারের মধ্যে শুরু হয় পারিবারিক কলহ।

    এ বিষয়ে স্বামী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে রোকসানা। তবে সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধানের পর তারা দুজনে আবার সংসার শুরু করে।

    জানা যায়, রোকসানা ও দেলোয়ার নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার ব্যাংক কলোনীতে একটি ভাড়া বাসায় থেকে সিইপিজেডে পৃথক দুটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গত দুই মাস আগে তারা দুজনই চাকরি ছেড়ে বরিশালের গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। কয়েকদিন আগে কারখানা থেকে বকেয়া টাকা নেওয়ার উদ্দ্যেশে দুজনই চট্টগ্রামে আসেন এবং ওই এলাকার দেলোয়ারের ভাইয়ার বাসায় উঠেন।

    ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহম্মদ নুরুল হুদা জানান, রবিবার দেলোয়ারের ভাই তার গ্রামের বাড়ি এবং পোশাক শ্রমিক ভাবি কর্মস্থলে গেলে দিনের কোন এক সময়ে রোকসানাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়ে যায় তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন।

    সন্ধ্যার পর রোকসানার ভাবি কর্মস্থল থেকে ফিরে তার ননদকে খাটের ওপর শোয়া অবস্থায় দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও রোকসানার ঘুম না ভাঙ্গলে প্রতিবেশিদের সহযোগীতা নিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ইডিজেড থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে রোকসানার লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেন।

    ওসি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রথমিকভাবে ধারণা করছি। তার গলায় কালো দাগ দেখে মনে হচ্ছে শ্বাসরোধ করে রোকসানাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার স্বামী দেলোয়ার পালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহের তীর তার দিকেই বর্তায়।

    তাছাড়া এ ঘটনায় নিহত রোকসানার বোন লাকি আক্তার বাদি হয়ে স্বামী দেলোয়ারকে আসামি করে ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। দেলোয়ারকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি নুরুল হুদা।

  • বোয়ালখালীতে ৪ সন্তানের জননীকে খুন করে পালিয়েছে পাতানো ভাই

    বোয়ালখালীতে ৪ সন্তানের জননীকে খুন করে পালিয়েছে পাতানো ভাই

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে রমিজা খাতুন (৫২) নামের এক ৪ সন্তানের জননীকে হত্যা করে পালিয়েছে পাতানো ভাই।

    বুধবার ( ১৩ নভেম্বর) বোয়ালখালী পৌরসভার বহদ্দার পাড়ার আবদুস সালামের ভাড়া ঘরে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে।

    নিহত রমিজা খাতুন উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের মৃত হাফিজুর রহমানের মেয়ে ও মৃত বদিউল আলমের স্ত্রী। তার ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। বিগত ২৬ বছর আগে তার স্বামীর মৃত্যু হয়।

    নিহতের ছেলে মো. রুবেল ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, গত ৪মাস আগে বোয়ালখালী পৌরসভার বহদ্দার পাড়ায় পাতানো ভাই মো. আলমগীরকে নিয়ে ভাড়া বাসায় উঠেন তার মা। মো. আলমগীরকে এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েও দিয়েছিলেন।

    ভাইদের মধ্যে বড়ভাই প্রবাসে থাকেন, মেঝ ভাই একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর সুবাদে নগরীতে পরিবার নিয়ে থাকেন। তিনি বাঁশখালীর শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। বুধবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। মো. আলমগীরের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলায় বলে জানিয়েছেন তিনি।

    মো. আলমগীর বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন দাবি করে মো. রুবেল ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ‘সে আমার মাকে খুন করে পালিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

    জানা যায়, নিহত রমিজার পাতানো ভাই মো. আলমগীর ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে বৈদ্যালির করতেন। সে সুবাদে মো. আলমগীরের সাথে রমিজা খাতুনের পরিচয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বুধবার সকাল ৮টার সময় মো. আলমগীরকে দোকান থেকে পান কিনতে দেখা গিয়েছিলো বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

    থানার উপ-পরিদর্শক মো. তাজ উদ্দিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে একটি ভাড়াবাসা থেকে রমিজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

    তিনি বলেন, রমিজা খাতুনে মরদেহ ভাড়া বাসার একটি পালঙ্কের উপর পড়ে ছিলো, গলায় দড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় গোলাকৃতির কালচে দাগ রয়েছে। পাতানো ভাই মো. আলমগীর পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

    বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, প্রাথমিক ভাবে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করছি। সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।