Tag: পশ্চিমবঙ্গ

  • ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতার ভাগ্য নির্ধারণী ভোট শুরু

    ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতার ভাগ্য নির্ধারণী ভোট শুরু

    ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচন আজ বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম বিধানসভায় হারার পরেও ফের মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভোটে জিতে আসতেই হবে।

    ভবানীপুর ছাড়াও সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা আসনে নির্বাচন আজ। তবে, পশ্চিমবঙ্গে আজ সবার নজরই ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিকে। ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। নন্দীগ্রামে হেরে এটা তাঁর কাছে দ্বিতীয় পরীক্ষা। তৃণমূল সুপ্রিমোকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন বিজেপি’র প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এ ছাড়া এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে লড়ছেন বামপ্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস।

    আজ দুপুরের মধ্যে ভোট দিতে যাওয়ার কথা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের। বিকেলে মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিতে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ভবানীপুরে ২৮৭টি বুথ। ভোটার দুই লাখ ২৫ হাজার। প্রত্যেকে যেন ভোট দিতে আসেন, তা নিশ্চিত করতে বুথপিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে সকাল থেকে।

    এই বিধানসভায় সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট রয়েছে ২২ শতাংশ। সিংহভাগই ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। চেতলায় ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ্য ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোটের। অবাঙালি ভোট রয়েছে ১২ শতাংশ। তাদের ভোট ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ৭০ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে গত ভোটে পিছিয়ে ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। সেই দুটি ওয়ার্ডেও এবার বেশি ভোটের টার্গেট নেওয়া হয়েছে।

    এন-কে

  • আম্পানে তছনছ পশ্চিমবঙ্গ,লন্ডভন্ড কলকাতা/মৃত্যু হয়েছে ১০ থেকে ১২ জনের!

    আম্পানে তছনছ পশ্চিমবঙ্গ,লন্ডভন্ড কলকাতা/মৃত্যু হয়েছে ১০ থেকে ১২ জনের!

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক সংবাদ : সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবলীলায় তছনছ হয়ে গেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। লন্ডভন্ড কলকাতা। ঘন্টায় ১৩০ কিমি বেগে বয়ে চলা আম্পানের তাণ্ডবলীলায় রাস্তায় একের পর এক ভেঙে পড়েছে গাছ।

    বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাও। কারণ বিভিন্ন ট্র্যাফিক লাইটগুলি ভেঙে পড়ে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছেন। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ২০ মে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার পর দক্ষিণে তাণ্ডব চালিয়ে যখন উত্তর ২৪ পরগনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, সেইসময় রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবলীলায় কলকাতায় গাছ পড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ঝড়ের প্রবল তাণ্ডবেই এই ঘটনা ঘটে। হাওড়ায় ঘরের টিন ভেঙে পড়ে এক তরুণীর মৃত্যু হয়, এছাড়া মিনাখাঁয় এক মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    বসিরহাটে ঝড়ে নারকেল গাছ চাপা পড়ে ৪ জন হতাহতের খবর জানা গেছে। তাছাড়াও মেনকা মিনাখা হিঙ্গলগঞ্জ সন্দেশখালি হাসনাবাদ হাড়োয়া সহ আশেপাশে এলাকার কমপক্ষে ৫ হাজার ২শ টি মাটির তৈরি ঘর ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসক।

    এদিকে ঝড়ের তান্ডব শুরু হওয়ার আগেই বুধবার সকালে দিঘাতে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়। একেবারে গার্ডওয়াল টপকে আসে জল। বেলা বাড়ার সঙ্গে তা ভয়ঙ্কর চেহারা নেয়। প্রায় ৪ থেকে পাঁচ ফুট চেহারা নেয় ঢেউয়ের। আর তার সঙ্গে বাড়তে থাকে ঝোড়ো হাওয়া। যার কারণে বহু জায়গায় বোল্ডার একেবারে রাস্তার উপরে চলে আসে।

    এরপর যখন ল্যান্ডফল শুরু হয় তখন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠে পরিস্থিতি। বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকে। যার কারণে বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, দিঘায় প্রচুর ঝাউ গাছের উপড়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাস্তার দুধারে সেগুলি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ খুঁটিগুলিও ভেঙে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দোকানগুলিরও।

    ঝড়ের পর মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে জানিয়েছেন, এলাকার পর এলাকা ধ্বংস। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রশাসন সাধারণ মানুষের সাহায্যে ৫ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছি। দঃ ও উত্তর ২৪ পরগণা প্রায় ধ্বংস ঝড়ের দাপটে। গাছ পড়ে মানুষ মারা গেছেন। মোট ক্ষতি এখনও গণনা করা যায়নি।

    অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, জল নেই। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর সব জায়গায় ধ্বংসের ছবি। রাজারহাট, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, হাবড়া সব জায়গাই বিপর্যস্ত।’

    ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার’এর খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।’ ধ্বংসের হাত থেকে উন্নয়নের পথে আবার সবাইকে শামিল করে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন বাড়ালেন মমতা

    মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন বাড়ালেন মমতা

    ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরেই বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। এবার তাদের দাবি মেনে নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    শনিবার মাদ্রাসাশিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধিসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

    গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে নতুন কাঠামো অনুযায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারীরা বেতন পাবেন বলে জানানো হয়েছে।

    পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশন বাস্তবায়ন করেছে। এবার মাদ্রাসাগুলোর মুখ্য সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকা, করণিক ও গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র ও শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষক ও কর্মীদের বেতন বাড়ল। ১ এপ্রিল ২০১৯ সাল থেকে কার্যকর হচ্ছে বেতন কাঠামো।

    এখন মাদ্রাসার গ্রুপ ডি কর্মীর ন্যূনতম বেতন ৫ হাজার ৬৫৬ টাকা। সেটিই বেড়ে হলো ৯ হাজার টাকা। মুখ্য সম্প্রসারকদের ন্যূনতম বেতন ছিল ১০ হাজার ৪২১ টাকা। সেটিই বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার।

    নতুন বেতন কাঠামোয় গড়ে সব স্তরেই বেতন বেড়েছে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা।

  • কলকাতার পথে ইলিশের প্রথম চালান

    কলকাতার পথে ইলিশের প্রথম চালান

    দুর্গাপূজা উপলক্ষে শনিবার যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ইলিশের প্রথম চালান যাচ্ছে ভারতে।

    পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাকে শুভেচ্ছা হিসেবে ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বুধবার ইলিশ পাঠানোর এ অনুমোদন দেয়।

    বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ শুভেচ্ছা হিসেবে পাঠানো হচ্ছে।

    তবে এটি রপ্তানির কোনো বিষয় নয়। শুধু একবারই পাঠানো হবে। পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

    বাণিজ্য সচিব তখন বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের কলকাতায় ইলিশ নিয়ে যাবেন। পরে সেখানকার বাজারে তা শুভেচ্ছা মূল্যে বিক্রি করবেন। মূলত কলকাতার বাজারেই এই ইলিশ বিক্রি হবে। ২০১২ সালের পর থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। এরপর থেকে বৈধভাবে বাংলাদেশের ইলিশ আর কলকাতায় যায় না।

    কলকাতায় ইলিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।

    এবার বাংলাদেশ সরকার পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে শুভেচ্ছা হিসেবে।
    প্রথম চালান শনিবার আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছাড়পত্র দেয় ২২ সেপ্টেম্বর। এই ইলিশ কয়েক ধাপে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে পৌঁছাবে পশ্চিমবঙ্গে।

    বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ইলিশ যাবে কলকাতায়। এরপর এই ইলিশ চলে যাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে। গত বছর ইলিশ ২০০ রুপি কেজিতে বিক্রি হয়েছিল বলে জানা গেছে।