Tag: পাকিস্তান

  • পাকিস্তানকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

    পাকিস্তানকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

    টানা দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ইকবাল হোসেন ইমন ও মারুফ মৃধাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে মাত্র ১১৬ রানেই গুটিয়ে দেয় যুব টাইগাররা। গ্রুপপর্বে তিনটি ম্যাচ জিতে আসা পাকিস্তানের বিপক্ষে স্বল্প পুঁজিতেও বাংলাদেশকে সংগ্রাম করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ঝোড়ো ফিফটিতে সেই শঙ্কা উড়িয়েছেন, জয় তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

    দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (শুক্রবার) যুব এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় যুব টাইগাররা দেখেশুনে শুরুর পর স্ট্রাইকরেট বাড়িয়েছেন প্রয়োজনমতো। মাত্র ৩৯ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়েছেন গ্রুপপর্বে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি করা তামিম। ফলে বাংলাদেশও ওয়ানডে ফরম্যাটের ম্যাচটি মাত্র ২২.১ ওভারেই জিতেছে।

    পাকিস্তানি যুবাদের লক্ষ্য তাড়ায় টাইগারদের শুরুটা ছিল খুবই ধীরগতির। অবশ্য পাকিস্তানি বোলারদের বোলিং তোপও ছিল দেখার মতো। ফলে প্রথম ৪ ওভারে বাংলাদেশ মাত্র ৪ রান তোলে। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ২০ রানে আউট হয়ে যান ওপেনার কালাম সিদ্দিকী অ্যালেন। ১৪ বল খেলেও তিনি রানের খাতা খুলতে পারেননি। আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার ১৭ রানে বিদায় নেন দলীয় ২৪ রানে।

  • পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনল বাংলাদেশ

    পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনল বাংলাদেশ

    পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। উচ্চ মানসম্পন্ন এই চিনি আগামী মাসেই বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে।

    কয়েক দশক পর দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির কাছ থেকে এতো বিপুল পরিমাণে চিনি কিনল ঢাকা। এর আগে ভারতের কাছ থেকে চিনি কিনতো বাংলাদেশ।

    মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন উচ্চমানের চিনি কিনেছে বাংলাদেশ, যা আগামী মাসে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। কর্মকর্তাদের মতে, বহু দশক পর ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ বাংলাদেশে এত বিপুল পরিমাণে নিজেদের উৎপাচিত পণ্য পাঠাচ্ছে পাকিস্তানি চিনি শিল্প।

    গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টনে ৫৩০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

    দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এর আগে ভারত থেকে চিনি আমদানি করে আসছিল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর এই বছর কমবেশি ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছে পাকিস্তানের চিনি শিল্প।

    এর মধ্যে ৭০ হাজার টন চিনি পাকিস্তান থেকে পাঠানো হবে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে। থাইল্যান্ড পাকিস্তানের চিনি শিল্প থেকে ৫০ হাজার টন চিনি কিনেছে। পাকিস্তানের চিনি ব্যবসায়ীদের কর্মকর্তা মজিদ মালিকের মতে, উপসাগরীয় রাষ্ট্র, আরব দেশ এবং আফ্রিকান দেশগুলোও পাকিস্তান থেকে চিনি কেনার চুক্তি করেছে।

    চিনি রপ্তানি থেকে পাকিস্তান ৪০০-৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। মূলত পাকিস্তানের চিনি শিল্প দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির জন্য একটি প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী শিল্প হয়ে উঠেছে।

    পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের যৌথ প্রচেষ্টায় দেশের চিনি শিল্পও সফলভাবে বিপুল পরিমাণ চিনি রপ্তানি করে চলেছে। এর আগে এসব চিনি আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তান এবং আজারবাইজানে পাচার হয়ে যেত।

    চলতি বছর পাকিস্তানের ৮০ টিরও বেশি চিনিকল গত সোমবার থেকে চিনি উৎপাদন শুরু করেছে।

  • স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত নওয়াজ শরিফ

    স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত নওয়াজ শরিফ

    পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নওয়াজ শরিফ খাইবার পাখতুনখাওয়ার এনএ- ১৫ মানসেহরা আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গাস্তাসাপের কাছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটে পরাজতি হয়েছেন। এবারের নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে এটি বিরাট আশ্চর্যজনক ঘটনা।

    ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনী এলাকা এনএ-১৫ মানসেহরা থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, নওয়াজ শরিফ এই আসনে ৬৩ হাজার ৫৪টি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, শাহজাদা গাস্তাসাপ পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৭১৩ ভোট। অর্থাৎ ১১ হাজার ৬৫৯ ভোটে পরাজিত হয়েছে নওয়াজ।

    ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ এই ফলাফলকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) জন্য বড় বিপর্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। অবশ্য নওয়াজ শরিফ লাহোরের এনএ-১৩০ আসনেও প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। সেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসমিন রশিদ।

    এখন পর্যন্ত প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬টি আসনে, নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীরা ৫টি আসনে ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা ৪টি আসনে জয় পেয়েছেন।

  • ইমরান-কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড

    ইমরান-কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড

    পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। আর তার মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই সাইফার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দেশটির সরকারি গোপনীয়তা আইনের অধীনে একটি বিশেষ আদালত এ রায় দেন। কিন্তু কী এই সাইফার মামলা?

    পাকিস্তানে সাইফার মামলা বলতে বোঝায় রাষ্ট্রীয় গোপন বার্তা ফাঁসের মামলাকে। ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই, এর পিছনে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে- এমন অভিযোগ করে আসছিলেন খান। আর সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে গিয়েই তিনি একটি নথি প্রকাশ্যে আনেন এবং জনসভায় তা প্রদর্শনও করেন। এটি নিয়েই ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

    গত বছরের ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে তিন বছরের সাজা দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। এর পাশাপাশি ১ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছিল তাকে। বলা হয়েছিল, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাগারে থাকতে হবে তাকে ও পাঁচ বছর কোনো নির্বাচন লড়তে পারবেন না তিনি।

    কিন্তু পরবর্তী সময়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের সাজা স্থগিত করে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেয়। কিন্তু তোশাখানা মামলার পরপরই দায়ের করা সাইফার মামলায় কারাগারেই থাকতে হয় তাকে। এমনকি, এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চলতে থাকে কারাগারে। শেষপর্যন্ত এই মামলায় ইমরানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

    এদিকে, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও সাইফার মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে এটিই প্রথম সাজার রায়।

    পাকিস্তানের ‘সেনাবাহিনী সমর্থিত’ প্রশাসন অভিযোগ দায়ের করেছিল যে ইমরান খান রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য রক্ষায় দায়িত্বহীনতা দেখিয়েছেন। কূটনৈতিক তারবার্তাটি ইমরান খানের হাতে তুলে দেন সাবেক মুখ্যসচিব আজম খান। পরে তারবার্তাটি কোথায় রেখেছেন, তা জিঞ্জেস করলে- ভুলে গেছেন বলে দাবি করে সেটি আর ফেরত দেননি।

    মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রায়ের আগে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইনও ইমরান খানের কাছে সেই তারবার্তা কোথায় আছে জানতে চান। জবাবে ইমরান বলেন, আমি স্বীকারোক্তিতে আগেও বলেছি, তারবার্তা কোথায় আছে আমি জানি না। সেটি আমার কার্যালয়েই ছিল। ইমরানের এই বক্তব্যের পরেই সাজার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

    এদিকে ইমরানের বিরুদ্ধে দেওয়া এই রায়কে জালিয়াতির বিচার বলে আখ্যায়িত করেছে ইমরান খানের দল পিটিআই। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (পূর্বে টুইটার) পোস্ট করা এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, পুরো পাকিস্তান ইমরান ও কোরেশির সঙ্গে আছে। আল্লাহর রহমতে আমাদের নেতা খব তাড়াতাড়িই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন ও আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।

  • বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি-জামায়াত দেশে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। তারা এখন পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধদের দেখতে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

    তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে যে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে সেটা ১৯৭১ সালের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। কেন তারা সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করবে? বিএনপি-জামায়াতের কাছে আমার প্রশ্ন— সাধারণ মানুষের কি অপরাধ? তাদের কেন পুড়িয়ে হত্যা করছে? তাদের এই অপরাধের কোনো উত্তর তাদের কাছে নেই।

    তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে কীভাবে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো বার্ন ইউনিটে কাতরাচ্ছে। ঠিক একই কায়দায় তারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে মানুষের উপর আক্রমণ করেছিল, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছিল, ঠিক একই কায়দায় তারা মানুষ ও যানবাহনের উপরে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে। তারা যে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে, তাদের জন্য নির্মমতা নিষ্ঠুরতা ও হিংস্রতা এই শব্দগুলো বাংলা ভাষায় যথেষ্ট নয়। কীভাবে অসহায় মানুষদের পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখানে দগ্ধ যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে গাড়িচালক, হেলপার, রিকশাচালক ও কর্মজীবী মানুষ রয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে যারা চিকিৎসাধীন আছেন তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা তাদের খোঁজখবর নিতে এসেছি। এখানে যারা অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়ে দগ্ধ হয়েছেন, তাদের সমস্ত চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহন করবে এবং তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।

  • সবার আগে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের

    সবার আগে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের

    দেশের ক্রিকেট ভক্তদের যেন সমীকরণের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর আর কোন সমীকরণেই আটকে থাকতে হচ্ছে না বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। বিশ্বকাপের সপ্তম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের মাধ্যমে সবার আগে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত হলো টাইগারদের। ৭ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট মাত্র ২। তাই কাগজ-কলমেও বিদায়ই বলতে হচ্ছে বিশ্বকাপকে।

    কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ব্যাটে বলে কখনোই আধিপত্য বিস্তার করা হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাট হাতে যেমন ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তেমনি ছিল একেবারেই নিরীহদর্শন বোলিং। একপেশে ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে বাবর আজমের দল। এই জয়ের পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দৌড়ে এখনও টিকে রইলো পাকিস্তান।

    ২০৫ রানের স্বল্প লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছেন দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক এবং ফখর জামান। রানখরায় ভুগতে থাকা ফখর যেন নতুন জীবন পেলেন আজকের এই ম্যাচ থেকে। শুরু থেকেই ছিলেন সাবলীল। আর ছন্দে থাকা শফিক নিয়মিত যন্ত্রণাই বাড়িয়েছেন বোলারদের। সাদামাটা বোলিংয়ে পার্থক্য গড়ার মত স্পেল ছিল না কারোরই। প্রথম দশ ওভারেই এসেছে ৫২ রান।

    শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান কেউই পারেননি নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে। বাধ্য হয়ে বল ঘোরাতে হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তকেও। তবে কাজের কাজ হয়নি।

    পাকিস্তানের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে ২২তম ওভারে। এলবিডব্লিউতে আব্দুল্লাহ শফিককে ফেরান মেহেদি মিরাজ। তবে শফিক ততক্ষণে এবারের বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। মিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৬৮ রানের ইনিংস। ১২৮ রানে প্রথম উইকেটের পতন।

    বাবর আজম এসে খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। ১৬ বলে ৯ করেই ফিরে গিয়েছেন সাজঘরে। এবারও উইকেট মিরাজের। ক্যাচটা নিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। আর সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকা ফখর জামান থেমেছেন ৮১ রানে। তাকেও ফিরিয়েছেন মিরাজই। বাউন্ডারি লাইনে রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হয় এই ওপেনারকে।

    এরপর ক্রিজে থাকা ইফতেখার আহমেদ আর মোহাম্মদ রিজওয়ান দেখেশুনেই ইনিংস শেষ করেছেন। এই ম্যাচের পর ৭ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের। আর ৬ পয়েন্ট নিয়ে এখনও সেমির আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাকিস্তান।

  • পাকিস্তানকে হারিয়ে আফগানিস্তানের ইতিহাস

    পাকিস্তানকে হারিয়ে আফগানিস্তানের ইতিহাস

    ওয়ানডেতে সাতবারের দেখায় পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়-শূন্য ছিল আফগানিস্তান। কিছুতেই যেন পাক ধাঁধার সমাধান খুঁজে পাচ্ছিলো না আফগানরা। অবশেষে সেই রহস্যের সমাধান দিলেন নূর আহমেদ! ১৮ বছর বয়সী এই তরুণের ঘূর্ণিতে পাকিস্তানকে নাগালেই রেখেছিল আফগানরা। বাকি কাজটা সেরেছেন ব্যাটাররা। সবমিলিয়ে দুই বিভাগেই লেটার মার্ক তুললো আফগানিস্তান। তাতে ধরা দিল অধরা সেই জয়। সেটাও আবার বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে।

    সোমবার (২৩ অক্টোবর) টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান তুলে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান এসেছে বাবরের ব্যাট থেকে। আফগানিস্তানের হয়ে ৪৯ রানে ৩ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার নূর আহমেদ। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। যেখানে ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন ইব্রাহিম জাদরান।

    ২৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় উড়ন্ত শুরু পায় আফগানিস্তান। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬০ রান তুলে আফগানিস্তান। ৬৫ রান করে গুরবাজ ফিরলে ভাঙে ১৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি।

    গুরবাজ ফিফটি করে ফিরলেও আরেক ওপেনার ইব্রাহিম হাঁছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তার দুর্দান্ত ইনিংসের শেষটা হয়েছে হতাশায়! সেঞ্চুরির থেকে ১১ রান দূরে থাকতে ফিরেছেন সাজঘরে। সেঞ্চুরি হাতছাড়ার আক্ষেপটা তার নিশ্চয়ই আছে!

    তিনে নেমে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেন রহমত শাহ। হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রানের জুটি। এই দুইজনই দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। রহমতের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৭৭ রান।

    এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হক। এই দুইজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান তুলে ভারত। ১৭ রান করে ইমাম ফিরলে ভাঙে ৫৬ রানের উদ্বোধনী জুটি।

    এরপর তিনে নেমে দলের হাল ধরেন বাবর। ফিফটি পেয়েছেন এই দুই ব্যাটারই। ৫৮ রান করে ফিরেছেন শফিক। আর বাবরের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৪ রান। তবে এই দুইজন ফেরার পর খানিকটা হলেও পথ হারায় দল। ব্যর্থ হয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সউদ শাকিলরা।

    তবে শেষের দিকে ইফতিখার আহমেদ-শাদাব খানের জুটিতে আবারও নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্তান। ইফতিখার ও শাদাব সমান ৪০ রান করে করেছেন। তাদের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় পাকিস্তান।

  • বিশ্বরেকর্ড গড়ে লঙ্কানদের হারাল পাকিস্তান

    বিশ্বরেকর্ড গড়ে লঙ্কানদের হারাল পাকিস্তান

    বলের পর ব্যাট হাতেও হতাশার এক ম্যাচের দিকে এগোচ্ছিল পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার ৩৪৫ রানের জবাবে ইমাম-উল-হক ও বাবর আজম দুজনেই ফিরে যান দলীয় ৩৭ রানে। এরপর যা ঘটেছে– সেটি পাকিস্তান কেন ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট! লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার জোড়া সেঞ্চুরির জবাবে পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আব্দুল্লাহ শফিকও ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করেছেন। যার ওপর ভর করে ১০ বল হাতে রেখেই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান টপকানোর রেকর্ড গড়েছে বাবরের দল।

    তুলনামূলক দুর্বল দল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। আজ (মঙ্গলবার) আগে ব্যাট করা দাসুন শানাকার দলের বিপক্ষে তারা বাজে বোলিংয়ের পসরা বসিয়েছিল। প্রায় সব বোলারই রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি ৬-এর বেশি গড়ে। অন্যদিকে লঙ্কানরা আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪২৮ রানের পাহাড়ের সামনে পড়ে যায়। যদিও এরপর তারা ৩২৬ রান করে লড়াই চালিয়েছিল।

    হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার জোড়া সেঞ্চুরিতে লঙ্কানরা ৩৪৫ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করায়। এরপর রানতাড়ায় নেমে চতুর্থ ওভারেই ব্যক্তিগত ১২ রানে ফিরেন পাকিস্তানি ওপেনার ইমাম। দিলশান মাদুশঙ্কার শর্ট লেংথের বাউন্স বল খেলতে গিয়ে তিনি কুশল পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পর আজও রান পাননি পাক অধিনায়ক বাবর। বলতে গেলে মাদুশঙ্কার দুর্বল ডেলিভারিতে তিনি নিজের উইকেট তুলে দিয়েছেন সামারাবিক্রমার হাতে। ফিরেছেন ব্যক্তিগত ১০ রানে।

    এরপরই নিজেদের খোলস ছেড়ে দারুণ ফর্ম দেখিয়েছেন আব্দুল্লাহ শফিক ও রিজওয়ান। টানা ব্যর্থতার পর এদিন একাদশে জায়গা মেলে শফিকের। এর আগে যখনই সুযোগ পেয়েছেন ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন এই ২৩ বছর বয়সী ব্যাটার। সেই ধারাবাহিকতায় আরও একবার দায়িত্ব পেয়ে তিনি দলের জন্য জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন। চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নেমেই দেখা পেয়েছেন প্রথম সেঞ্চুরির। যদিও এরপর বেশিক্ষণ আর ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি শফিক। ১০৩ বলে তিনি ১০টি চার ও তিন ছক্কায় ১১৩ রানের ইনিংস খেলেছেন।

  • নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু পাকিস্তানের

    নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু পাকিস্তানের

    গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কিউইদের দুর্দান্ত জয়ের পর আজ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডস। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ম্যান ইন গ্রিনরা। শুরুতেই ডাচদের বোলিং তোপে পড়লেও প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন মিডেল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা। শেষ দিকে পেসার বাস ডি লিডের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আশা জাগালেও বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারেনি ডাচরা। হারিস রউফ ও হাসান আলীদের বোলিং তোপে মাত্র ২০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ফলে ৮১ রানের বড় জয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রার সূচনা করে বাবর আজমের দল।

    ২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা পায় নেদারল্যান্ডস। ওপেনার বিক্রমজীত সিং ও বাস ডি লিডের ব্যাটে ২ উইকেট হারিয়ে দলিয় ১০০ রান পূরণ করে ডাচরা। এই দুই ব্যাটারের তৃতীয় উইকেটের জুটি পাকিস্তানকে অস্বস্তিতে ফেললেও শেষ পর্যন্ত দলীয় বোলিং পারফরম্যান্সে স্কট এডওয়ার্সের আটকে দেয় পাকিস্তান।

    মিডেল ওভারে পাকিস্তান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২০ রানে ২ উইকেট থেকে খেই হারিয়ে ২০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ডাচরা। বল হাতে চার উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে নেদারল্যান্ডসের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন বাস ডি লিড। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হারিস রউফ।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ম্যান ইন গ্রিনদের। আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ফন বেকের শিকার হন ওপেনার ফখর জামান। ১৫ বলে ১২ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।

    এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্রিজে নেমে দলে হাল ধরার চেষ্টা করেন বাবর আজম। কিন্তু ইনিংসের নবম ওভারে কলিন আকারম্যানের শিকার হন ম্যান ইন গ্রিনদের অধিনায়ক। ১৮ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি। এরপর ক্রিজে নামেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এক প্রান্তে তিনি দাঁড়িয়ে থাকলেও আরেক ওপেনার ইমাম উল হক ডাচ পেসার ফন মিকেরেনের শিকার হন। দলীয় ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমত চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।

    কিন্তু চাপ সামলে রেকর্ড পার্টনারশিপে ম্যাচের হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সাউদ সাকিল। দুই মিডেল অর্ডার ব্যাটার মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১২০ রান স্কোর বোর্ডে যোগ করেন। ২৯তম ওভারে ৫২ বলে ৬৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে আরিয়ান দত্তের শিকার হন সাকিল।

    দলীয় ১৫৮ রানে চতুর্থ উইকেটের পতনের পর আবারো খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ১৫৮ রানে তিন উইকেট থেকে ১৮৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দ্রুত অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাবর আজমের দল। তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে ম্যাচের হাল ধরেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজ। দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটার মিলে ৬৪ রানের জুটি গড়ে দলের লড়াইয়ের পুঁজির ভীত গড়ে দেন।

    ৪৪তম ওভারে পেসার বাস ডি লিডের জোড়া আঘাতে ২৫২ রানে ৬ উইকেট থেকে শাদাব খান ও হাসান আলীকে হারিয়ে দ্রুত অলআউট হওয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে যায় পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে গুটিয়ে যায় বাবর আজমের দল। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সাউদ সাকিল দুজনেই খেলেন সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস। নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৪টি উইকেট নেন বাস ডি লিড।

  • পাকিস্তানে ঈদে মিলাদুন্নবির মিছিলের কাছে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ৫২

    পাকিস্তানে ঈদে মিলাদুন্নবির মিছিলের কাছে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ৫২

    পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ঈদে মিলাদুন্নবির মিছিলের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৫২ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে বহু। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জাননো হয়েছে।

    সেখানের জেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তা আব্দুল রাজ্জাক শাহী হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিটি স্টেশন হাউজ অফিসার (এসএইচও) মোহাম্মদ জাভেদ লেহরি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।

    এর আগে শহীদ নবাব ঘৌস বখশ রাইসানি মেমোরিয়াল হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. সাঈদ মিরওয়ানি এঘটনায় ৩৪ জন নিহত হওয়ার কথা জানান।

    বেলুচিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন তথ্যমন্ত্রী জ্যান আচাকজাই জানান, মাসটাং এলাকায় এরই মধ্যে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদের কোয়েটায় পাঠানো হচ্ছে।

    তিনি বলেন, শত্রুরা বেলুচিস্তানের ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও শান্তিকে ধ্বংস করতে চায়। এই বিস্ফোরণ কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের গ্রেফতারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

  • পাকিস্তানে রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলায় নিহত ৩৫, আহত ২০০

    পাকিস্তানে রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলায় নিহত ৩৫, আহত ২০০

    পাকিস্তানের জমিয়ত উলামা ইসলাম-ফজলের (জেইউই-এফ) সম্মেলনে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন। রবিবার (৩০ জুলাই) দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বাজুর জেলায় এ ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও ডন।

    আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা কর্মকর্তা সাদ খান বিস্ফোরণে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেছেন, জেইউআই-এফ দলটির স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা মাওলানা জিয়াউল্লাহ জানও বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের পেশওয়ার ও তিমারগেরায় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    এদিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এ ঘটনায় স্থানীয় একজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।

    টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে বিস্ফোরণের পর আতঙ্কিত লোকজনকে দেখা গেছে। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল ঘিরে রাখেন।

    বিস্ফোরণের পর জেইউআই-এফ নেতা হাফিজ হামদুল্লাহ পাকিস্তানের জিও নিউজকে বলেছেন, আজ এই সম্মেলনে তারও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে তিনি যেতে পারেননি।

    হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এর পেছনে থাকা ব্যক্তিদের একটি বার্তা দিতে চাই যে, এটা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসবাদ।’

    এ হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন হাফিজ হামদুল্লাহ।

  • ইরান সীমান্তে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের ৪ সেনা নিহত

    ইরান সীমান্তে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের ৪ সেনা নিহত

    পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইরান থেকে আসা জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ৪ সদস্যকে হত্যা করেছে।

    গতকাল শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

    শনিবার প্রকাশিত পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতি মতে, হামলার সময় মৃত সেনাসদস্যরা বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলার জালগাই সেক্টরে ইরান-পাকিস্তান সীমান্তে নিয়মিত টহলে অংশ নিচ্ছিলেন।

    তবে সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তান-ইরান সীমান্তে নিয়মিত টহলে নিয়োজিত পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইরান থেকে আসা ১টি জঙ্গি দল হামলা চালায়’।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে ইরান থেকে আসা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইরান পক্ষের সঙ্গে যথাযথ যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছে’।

    মৃত সেনা সদস্যরা হলেন শের আহমেদ, মুহাম্মদ আসগর, মুহাম্মদ ইরফান ও আব্দুর রশিদ।

    পাকিস্তান ও ইরানের মাঝে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। অতীতে এই সীমান্ত জুড়ে একাধিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।

    এ অঞ্চলে (সীমান্তের উভয় পাশে) বেলুচ জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহী সংগঠনগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তাদের দাবী, তারা তাদের প্রাপ্য আঞ্চলিক খনিজ ও অন্যান্য সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য সংগ্রাম করছে।

    জানুয়ারিতে অপর এক ঘটনায় বেলুচিস্তান সীমান্তে ৪ নিরাপত্তা কর্মকর্তার হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। সে সময় তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি ইরান নিশ্চিত করবে যে তাদের দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কেউ আন্তঃসীমান্ত হামলা চালাবে না’।

    জানুয়ারিতে বেলুচিস্তান প্রদেশের বোলান জেলায় ১টি যাত্রীবাহী ট্রেনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছিলেন।