Tag: পাকিস্তান

  • পাকিস্তান-আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ১১ জনের মৃত্যু

    পাকিস্তান-আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ১১ জনের মৃত্যু

    আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এরই মধ্যে পাকিস্তানে ৯ জন এবং আফগানিস্তানে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া শুধু পাকিস্তানেই শতাধিক মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে একসঙ্গে কেঁপে ওঠে এই তিন দেশ। সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

    পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। এর উৎপত্তিস্থল আফগানিস্তানের বাদাখশান প্রদেশের হিন্দুকুশ পার্বত্য এলাকায়। তবে মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫।

    আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, লাহোরসহ বেশ কয়েকটি শহর এবং ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও কাশ্মীরে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ভূমিকম্পের পর উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি প্রদেশে প্রায় দুই মিনিটের মতো কম্পন অনুভূত হয়।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, মানুষজন রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে জড়ো হচ্ছেন। ভূমিকম্পের কারণে তাদের ঘরের ভেতরে জিনিসপত্র পড়ে গেছে বলেও জানান তারা।

    এদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, মঙ্গলবারের ভূমিকম্পে পাকিস্তানে প্রায় ৩০ সেকেন্ডের মতো স্থায়ী হয়।

    রাওয়ালপিন্ডিতে থাকা বার্তা সংস্থা এএফপির এক সাংবাদিক জানান, ভূমিকম্পের সময় মানুষ তাদের বাড়ি থেকে দৌড়ে বের হয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা কোরআন তেলওয়াত করতে থাকেন।

    এ ছাড়া ইসলামাবাদ, লাহোর ও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকেও একই ধরনের খবর আসছে বলে জানায় সংবাদমাধ্যমটি।

    পাকিস্তানের উদ্ধারকারী দল রেসকিউ ১১২২ এর ডিজি ডা. খাতের আহমেদ জানান, তারা স্বাবি ও লোয়ার দির এলাকা থেকে উদ্ধারের ডাক পেয়ে ঘটনাস্থলে টিম পাঠিয়েছেন।

  • পাকিস্তানে বোমা হামলায় ৯ পুলিশ নিহত

    পাকিস্তানে বোমা হামলায় ৯ পুলিশ নিহত

    পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বোলানে পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলায় অন্তত ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১৩ পুলিশ সদস্য। আজ সোমবার এ ঘটনা ঘটে।

    বেলুচিস্তানের কাচ্চি জেলার সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট অব পুলিশ (এসএসপি) মোহাম্মদ নোতেজাই হতাহতের বিষয়টি জানিয়ে বলেন, সিবি-কাচ্চি সীমান্তের কামব্রি সেতু এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

    নোতেজাই বলেন, প্রাথমিক আলামত দেখে মনে হচ্ছে, এটি আত্মঘাতী হামলা। তদন্তের পরই সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে, এটা কী ধরনের হামলা ছিল। আহতদের ঘটনাস্থলের কাছের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড ও নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এ ছাড়া এলাকাটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘিরে রেখেছে এবং তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

    বেলুচিস্তানের তথ্য বিভাগ বলছে, আহতদের কোয়েটায় নিতে সরকারি একটি হেলিকপ্টার বোলানে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কোয়েটাজুড়ে হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

    এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। এদিকে বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মির কুদ্দোস বিজেনজো এই হামলার নিন্দা প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন।

  • পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ মারা গেছেন

    পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ মারা গেছেন

    পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফ ৭৯ বছর বয়সে মারা গেছেন।

    রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) তার পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সাবেক এই সামরিক শাসক দুবাইয়ের আমেরিকান হাসপাতালে অসুস্থতার জন্য চিকিৎসাধীন ছিলেন।

    মোশাররফ ব্রিটিশ ভারতের দিল্লিতে ১৯৪৩ সালের ১১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালের ১৯ এপ্রিল তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি কাকুল থেকে কমিশন পান। সাবেক এই সামরিক শাসক ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও অংশ নেন।

    ১৯৯৪ সালে জেনারেল পদে উন্নীত হন এবং এক বছর পর ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর জেনারেল (অব.) মোশাররফ একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন।

  • পাকিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত কমপক্ষে ২৮, আহত ১৫০, আশঙ্কাজনক ৩০

    পাকিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত কমপক্ষে ২৮, আহত ১৫০, আশঙ্কাজনক ৩০

    পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৮ জন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫০ জন। এর মধ্যে ৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে।

    মসজিদটি পেশোয়ারের পুলিশ লাইন এলাকার ভিতরে। ফলে নিহত ও আহতদের মধ্যে প্রশাসনের লোকজন থাকতে পারেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, সোমবার যোহরের নামাজ আদায় করার সময় মসজিদের সামনের সারিতে উপস্থিত ছিল আত্মঘাতী হামলাকারী। নামাজের মধ্যেই সে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে মুসল্লিদের রক্তে ভেসে যায় ওই মসজিদ। তাদের আর্তচিৎকারে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।

    আহতদের উদ্ধার করে পেশোয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের এক মুখপাত্র বলেছেন, বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। ওই হাসপাতালে নেয়া হয়েছে কমপক্ষে ১৫০ জন আহতকে। এর মধ্যে কমপক্ষে ৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেখান থেকে আহতদের জন্য রক্তের জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    এ ঘটনার পর ওই শহরে মেডিকেল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে প্রাদেশিক স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের নোটিফিকেশনে পেশোয়ারের এমটিআইসহ সব সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সব ডাক্তার ও স্টাফদের জন্য জরুরি রেড এলার্ট দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে।

    এ ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, বিস্ফোরণ যখন ঘটে, তখন তিনি মসজিদে যাচ্ছিলেন। বলেন, বিকট এবং শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল। সঙ্গে সঙ্গে চারদিক ধোয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। চেতনা ফিরে দেখি মসজিদের ছাদ ধসে পড়েছে। বিস্ফোরণের সময় মসজিদটিতে কমপক্ষে ১২০ জন মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। এটা ছিল আত্মঘাতী বোমা হামলা। কারণ, হামলাকারী মসজিদের ভিতর থেকে হামলা করেছে। যোহরের নামাজ সবেমাত্র শুরু হয়েছে, এমন সময় সে বিস্ফোরণ ঘটায়। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগই পুলিশ সদস্য।

    সিভিল সেক্রেটারিয়েট এসোসিয়েশন পেশোয়ারের প্রেসিডেন্ট তাছাভুর ইকবাল নিয়মিত ওই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। তিনি বলেছেন, মসজিদটি পুলিশ লাইনের ভিতরে হওয়ায় সব সময়ই তা থাকে সুরক্ষিত। কেউই পরিচয়পত্র না দেখিয়ে বা শরীর তল্লাশি ছাড়া সেখানে প্রবেশ করতে পারে না। তবু যে ঘটনা ঘটে গেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এটি একটি বড় মসজিদ। একবারে সেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। বিস্ফোরণের পর আমরা শুনেছি এর ছাদ ধসে পড়েছে।

  • দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান

    দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান

    করাচি টেস্টে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। এর ফলে দেশের মাটিতে এই প্রথম পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেল। সেই সঙ্গে পাকিস্তানে দীর্ঘ ১৭ বছর পর টেস্ট সিরিজে খেলতে নেমে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড।

    আজ মঙ্গলবার টেস্টের চতুর্থ দিনে খেলতে নামার আগে ইংল্যান্ড জয় থেকে মাত্র ৫৫ রান দূরে ছিল, হাতে ছিল ৮ উইকেট। বেন ডাকেট ৮২ রান ও অধিনায়ক বেন স্টোকস ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

    সোমবার তৃতীয় দিন শেষে বেন স্টোকসের দল ১১২ রান করে ২ উইকেট হারিয়ে।

    ঘরের মাঠে এই প্রথম টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া পাকিস্তানের এই করুণ পরিণতির জন্য দায়ী ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেওয়া লেগ-স্পিনার রেহান আহমেদ। ১৮ বছর ১২৮ দিন বয়সে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি।

    বাবর আজম ও সাউদ শাকিলের চতুর্থ উইকেট জুটি ভেঙে করাচি টেস্ট ইংল্যান্ডের পক্ষে নিয়ে আসেন রেহান। এর পর মিডল ও লোয়ার অর্ডারে ধস নামিয়ে নিজের মাত্র চতুর্থ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৫ উইকেট নেন ৪৮ রান দিয়ে।
    ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১৬৭ রান। তৃতীয় দিনের খেলা বাকি তখন ২২ ওভার। কিন্তু আলো কমে যাওয়ায় আগেই দিনের খেলা থামিয়ে দেওয়া হয়।
    ওপেনার বেন ডাকেট ৩৮ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত। ১০ রান নিয়ে ব্যাট করেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। অপর ওপেনার জ্যাক ক্রলি আউট হন ৪১ রানে। এর আগে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২১৬ রানে। অধিনায়ক বাবর আজম (৫৪) ও সাউদ শাকিল (৫৩) শুধু হাফ সেঞ্চুরি করেন। রেহানের ৫ উইকেট ছাড়াও জ্যাক লিচ নেন ৩ উইকেট।

  • ওয়ানডের পর টি-২০ বিশ্বকাপও ইংল্যান্ডের

    ওয়ানডের পর টি-২০ বিশ্বকাপও ইংল্যান্ডের

    ইতিহাস তার চেনা পথ ধরে হাঁটল না! টাইম মেশিনে যেমন ৩০ বছর আগে যাওয়া যায় না, তেমনি ফিরল না সেই ১৯৯২। অথচ গত কয়েকদিন ধরেই সমীকরণ মেলাচ্ছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা। বাবর আজমে তারা দেখছিলেন ইমরান খানের ছায়া। সেই একই ভেন্যু, একই প্রতিপক্ষ। ম্যাচটাও ফাইনাল। স্বপ্ন দেখতে বাধা ছিল না! কিন্তু সেই আকাশ ছোঁয়া আত্মবিশ্বাস নিয়ে ফাইনাল শুরু করা দলটা কোথায়? বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে বরং ৯২-এর প্রতিশোধ নিল ইংল্যান্ড। পাকিস্তানকে উড়িয়ে সেই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডেই ট্রফি বুঝে নিল ইংলিশরা!

    রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালটা এমন একপেশে হবে কে জানত? প্রতিশোধটা ইংলিশরা এমন করেই নিয়েছে যে, ম্যাচে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের গ্যালারির ৮০ হাজার ৪৬২ জন দর্শককে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি জিতল ইংল্যান্ড।

    দিন-রাতের ম্যাচে বৃষ্টির শঙ্কা উড়িয়ে টস ভাগ্যটা জস বাটলারের পক্ষে গেল। ইংল্যান্ড অধিনায়ক আবহাওয়া আর এমসিজির উইকেটের কথা ভেবে শুরুতে বল তুলে দেন নিজের বোলারদের হাতে। তার সিদ্ধান্তটা যৌক্তিক হতে সময় লাগেনি। ২০ ওভারে পাকিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে মাত্র ১৩৭ রান। মারকাটারি ব্যাটিংয়ের এই যুগে ২০ ওভারে এই রান একেবারেই মামুলি।

    জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে পুরো টুর্নামেন্টে ফ্লপ বেন স্টোকস দেখান তার যোগ্যতার পরিধিটা। তার ব্যাটেই ইংল্যান্ড ফাইনালটা নিজেদের করে নেয়। ১ ওভার হাতে রেখেই ইংল্যান্ড বনে যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!

    পাকিস্তানের পেস আক্রমণকে ভয় করছিল ইংল্যান্ড। সেই জুজুতে শুরুতে চাপেও পড়েছিল তারা। এমনিতে লো স্কোরিং ম্যাচ অনেক সময়ই উপভোগ্য হয়। তেমন কিছুরই ইঙ্গিত ছিল শুরুতে।

    প্রথম ওভারেই ভাঙে সেমিফাইনালে ভারতকে উড়িয়ে দেওয়া ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। অ্যালেক্স হেলসকে বোল্ড করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তার লেগ স্টাম্পে পড়ে সোজা আসা বলে হেলস ব্যাট চালিয়ে খেলতে পারেননি। প্যাডে লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ২ বলে ১ রানে আউট হেলস।

    তারপর হারিস রউফ ম্যাচ জমিয়ে তোলার ইঙ্গিত দেন ফিল সল্টকে ফিরিয়ে। পুল করতে গিয়ে মিস টাইমিং। সল্ট অনায়াস ক্যাচ তুলে দেন ইফতিখার আহমেদের হাতে। তিনি ফেরেন ৯ বলে ১০ রানে।

    এরপর অধিনায়ক জস বাটলারকেও ফেরান হারিস রউফ। তার লাফিয়ে বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে লাইন মিস করেন বাটলার। বলে সুইং থাকায় ব্যাটের বাইরের কানা স্পর্শ করে চলে যায় মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে। ফেরার আগে ১৭ বলে ২৬ রান করেন বাটলার। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ইংল্যান্ড তোলে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯!

    তারপর বেন স্টোকস আর মঈন আলির ব্যাটে হাসিমুখ ইংল্যান্ডের। পরিস্থিতি বুঝে লড়ে গেছেন দু’জন। জানা ছিল আস্কিং রান বেশি নয়। টিকে থাকলেই চলবে। তাছাড়া পাওয়ার প্লে থেকেও ভাল রান পেয়েছিল দল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্টোকস খেলেন ঠান্ডা মাথায়। তার ব্যাটে ৪৯ বলে ৫৫ রান। মঈন তুলেন ১৩ বলে ১৯ রান!

    এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি পাকিস্তানের। শুরুতেই রানআউটে ফিরতে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ক্রিস জর্ডান মিস করায় প্রাণ পেলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেন নি পাকিস্তানের এই ওপেনার। রিজওয়ানের উইকেট উড়িয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথম সাফল্যটা এনে দেন স্যাম কারান।

    এই পেনারের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করা বলে ব্যাট চালিয়ে ভুল করেন রিজওয়ান। ব্যস, ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে আঘাত হানে লেগ স্টাম্পে। ফেরার আগে ১৪ বলে ১৫ রান তুলেন রিজওয়ান। তার বিদায়ের সময় দল মহা বিপাকে। ৫ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ১ উইকেটে ২৯ থাকলে তো আর টি-টোয়েন্টিতে স্বস্তি পাওয়া যায় না। তারপর প্রথম ৬ ওভার শেষে পাওয়া প্লে’তে ৩৯ রান।

    তারপর মোহাম্মদ হারিসও যেতে পারেন নি বেশিদূর। আক্রমণে এসেই তাকে ফেরান আদিল রশিদ। তখন খেলা চলছিল অষ্টম ওভারের। বল হাতে নিয়েই বোকা বানান হারিসকে। তার প্রলুব্দ তরা বলে উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে সর্বনাশ হয়ে যায় তার। টাইমিং ভুলে লং-অনে বেন স্টোকসের হাতে বল দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। তার আগে করেন ১২ বলে ৮।

    তারপর অবশ্য কিছুটা লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে শান মাসুদের জুটিটা জমেই যাচ্ছিল। তবে রান তোলার গতিটা কখনোই সন্তুষ্ট হওয়ার মতো ছিল না। মেলবোর্নের উইকেট প্রথম ১০ ওভার শেষে পাকিস্তান তুলে ২ উইকেটে ৬৮।

    তারপর ফের পথ হারায় ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। সেই আদিল রশিদে সর্বনাশ তাদের। আদিলের গুগলিতে বোকা বনে ক্যাচ তুলে দেন বাবর। ১২তম ওভারের প্রথম বলেই গুগলি করেন আদিল। তার ডেলিভারি এতোটাই বাঁক নিচ্ছিল যে ব্যাটে ঠিকঠাক খেলতে পারেন নি বাবর। ক্যাচ উঠলে হাতে জমাতে ভুল করলেন না আদিল। পাকিস্তান অধিনায়ক দলকে চাপে ফেলে ফিরেন ২৮ বলে ৩২ রানে।

    টানা দুই ওভারে উইকেট হারিয়ে পথটাও হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। আদিলের পর বল হাতে ম্যাজিক দেখান বেন স্টোকস। তিনি তুলে নেন ইফতিখার আহমেদের উইকেট। স্টোকসের দ্রুতগতির লাফিয়ে উঠা বল খেলতে পারেন নি ইফতিখার। বল তার গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় অধিনায়ক জস বাটলারের গ্লাভসে। ৬ বল খেলে কোন রান না করেই ফেরেন তিনি!

    এরপর শাদাব খান-শান মাসুদ জুটি গড়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন পাকিস্তানকে। গ্যালারিতে রাজত্ব করা পাকিস্তানি দর্শকদের কিছুটা সময়ের জন্য হলেও স্বস্তি দেন দু’জন। কিন্তু বড় জুটি গড়া হয়নি। দ্বিতীয় স্পেলে এসে স্যাম কারান ভাঙেন এই জুটি। তার বলে হাওয়ায় ভাসাতে গিয়ে সীমানা পার করতে পারলেন না। মিড উইকেটে লিয়াম লিভিংস্টোনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মাসুদ। তার আগে করেন
    ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৮। ভাঙে ৩৬ রানের জুটি।

    তারপরও শাদাবও দ্রুত মাসুদের সঙ্গী হয়ে হতাশায় ভাসান মেলবোর্নের গ্যালারিতে হাজির পাকিস্তানিদের। ক্রিস জর্ডানের বলে পুল করতে গিয়ে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনে শাদাব। অবশ্য বোর্ডে রান উঠছিল না, চাপ তো থাকবেই। মিড অফে ক্রিস ওকসের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে তিনি করেন ১৪ বলে ২০। তারপর কারান তুলে নেন মোহাম্মদ নাওয়াজের উইকেটও। ৭ বলে ৫ রান ফেরেন তিনি!

    কারানের আগুনঝরা বোলিংয়ে পথ হারায় পাকিস্তান। তারপর আর ফেরা হয়নি। কারনি ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। রশিদ দুই উইকেট নিয়েছেন ২২ রানে। ২৭ রানে সমান উইকেট ক্রিস জর্ডানের!

    শোককে শক্তিতে পরিনত করল ইংল্যান্ড। একদিন আগেই চলে গেছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটের গডফাদার খ্যাত ডেভিড ইংলিশ। তার প্রয়ানে শোকাত ইংলিশ ক্রিকেটাররা বাহুতে কালো ব্যান্ড নিয়ে নামে মাঠে। এমন শোকের দিনটাকেই অনন্য এক অর্জনের ক্ষণ বানিয়ে ফেলল জস বাটলারের দল। কী আশ্চর্য, গত কয়েক দিন ধরে মেঘ-বৃষ্টির-রোদ্দুরের যে গল্প চলছিল, তা ম্যাজিকের মতো উধাও!

    নির্বিঘ্নে খেলা হলো আর সেই খেলায় পাকিস্তানকে নিয়ে খেলল ইংল্যান্ড। প্রতিশোধ হয়তো এভাবেই নিতে হয়। ৯২ আর ফিরে আসল না, বাবর আজমও হতে পারলেন না ইমরান খান! সেই মেলবোর্নেই ১৯৯২ এর ‘প্রতিশোধ’ নিল ইংল্যান্ড।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতল ইংল্যান্ড, ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান

    বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতল ইংল্যান্ড, ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান

    বিশ্বকাপ ফাইনালে আজ মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। এই ম্যাচে ছিল বৃষ্টির শঙ্কা। তবে এখন পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ফলে ম্যাচটা মাঠে গড়াচ্ছে ঠিক সময়েই। হয়ে গেছে টসও।

    সেই টসে জিতেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। মেঘলা আবহাওয়ায় পাকিস্তানকে পাঠিয়েছেন ব্যাটিংয়ে।

    দুই দলের ফাইনাল নিশ্চিতের পর থেকেই পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা উঠে আসছে ঘুরে ফিরেই। ১৯৯২ বিশ্বকাপের সঙ্গে দলটির এবারের বিশ্বকাপের যে খুব মিল! তার একটা মিল ফাইনালেও দেখা গেল। সেবারও যে ফাইনালে আগে ব্যাট করেছিল পাকিস্তান! করবে আজও। যদিও বাবর আজম জানালেন, টস জিতলে ফিল্ডিংই বেছে নিতেন তিনি!

    পাকিস্তান একাদশ:
    বাবর আজম(অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ হারিস, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, শাহীন আফ্রিদি
    ইংল্যান্ড একাদশ:
    জস বাটলার (অধিনায়ক/উইকেটরক্ষক), অ্যালেক্স হেলস, ফিলিপ সল্ট, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলী, স্যাম কুরান, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদ
    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান

    নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান

    ব্যাট হাতে বোল্ট-সাউদিদের ভুগিয়েছেন বাবর-রিজওয়ান। দুই ওপেনারের গড়ে দেয়া ভিতে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। ১৩ নভেম্বর মেলবোর্নে শিরোপার মঞ্চে সবার আগে জায়গা করে নিয়েছে বাবর আজমের দল।

    সিডনিতে জিতলেই ফাইনাল— এমন ম্যাচে টস জিতে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান জমা করেন কিউইরা। জবাবে ৫ বল হাতে রেখে দাপুটে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।

    বৃহস্পতিবার ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয়ী দলটি হবে বাবর-রিজওয়ানদের শিরোপার প্রতিপক্ষ।

    বুধবার চ্যালেঞ্জিং স্কোরে শুরুটা দারুণ করতে পারত নিউজিল্যান্ড। বোল্টের বলে বাবরকে শূন্য রানে ফেরানোর সুযোগ হারিয়ে ফেলেন কনওয়ে। পাকিস্তানের আলোচিত-সমালোচিত জুটি পরে আনে ১০৫ রান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে নয়ের উপরে রানরেটে তোলে ৫৫ রান।

    জয়ের পথ সহজ করে ফেরেন অধিনায়ক বাবর। ৪২ বলের ইনিংসে ৭ চারে করেন ৫৩ রান। বাকি পথ হারিসকে নিয়ে এগোন রিজওয়ান। ফাইনালে ওঠার দিনে ৫ চারে ৪৩ বলে ৫৭ রান আনেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন।

    শেষ ওভারে ২ রানের সমীকরণ রেখে স্যান্টনারের বলে অ্যালেনকে ক্যাচ দেন হারিস। ফেরার আগে ২৬ বলে মারেন দুটি চার ও একটি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ৪ বল ও ৭ উইকেটের জয় পায় পাকিস্তান। গতবারের রানার্স আপ কিউইরা এবার থামল শেষ চারে।

    বোলারদের বাজে দিনে উইকেট না পেলেও দুর্দান্ত ছিলেন ইশ সোধি। স্পিনার ৪ ওভারে খরচ করেছেন ২৬ রান। ৩৩ রান খরচ করা বোল্টের শিকার বাবর ও রিজওয়ান। ২৬ রান দিয়ে স্যান্টনার ফিরিয়েছেন হারিসকে। বাকি সবাই উইকেটশূন্য ছিলেন, খরচ করেছেন ওভারপ্রতি আটের বেশি রান।

    এর আগে ব্যাটিংয়ে শাহিন-নওয়াজের দিনে কিউইদের একমাত্র ফিফটি ও সর্বোচ্চ রান এনেছেন ড্যারিল মিচেল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান অধিনায়ক উইলিয়ামসনের।

    ইনিংসের শুরুর ওভারের তৃতীয় বলে অ্যালেনকে ফেরান শাহিন। ৩ বলে ৪ করে ফেরার আগের বলেই ফিরতে পারতেন যিনি। এলবির আবেদন তার বিপক্ষে আসলেও রিভিউ নিয়ে সেই যাত্রায় বেঁচে যান ফিন।

    দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৪ রান আনেন কনওয়ে-উইলিয়ামসন। মাঝে নওয়াজ ভুল না করলে পাওয়ার প্লেতেই ফিরতে হতো কিউই অধিনায়ককে। রান আউটের দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন বোলিং প্রান্তে থাকা নওয়াজ।

    পাওয়ার প্লেতে ৩৮ রান তুলতে ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। পঞ্চাশের আগেই ফেরেন গ্লেন ফিলিপস। ধস নামার দ্বারপ্রান্তে থাকা দলকে পথ দেখান অধিনায়ক। মিচেলকে নিয়ে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। ১৬.২ ওভারে আফ্রিদির বলে যখন উইলিয়ামসন ফেরেন, সংগ্রহ ১১৭ রান।

    অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৪৬ রান, ইনিংস সাজান একটি করে চার ছক্কায়। শেষ ৫ ওভারে ৪৬ রান তুলে দলকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে পৌঁছে দেন মিচেল। ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার অপরাজিত থাকেন ৩৫ বলে ৫৩ রানে। দেড়শ ছাড়ানো স্ট্রাইক রেটে হাঁকান ৩টি চার ও একটি ছক্কার মার। ১২ বলে ১৬ রান যোগ করেন জিমি নিশাম।

    পাকিস্তানের দিনে ২৪ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন শাহিন। ২ ওভারে ১২ রান দেয়া নওয়াজের শিকার ফিলিপস। কনওয়েকে দুর্দান্ত এক থ্রোয়ারে রান আউট করেন শাদাব খান। বল হাতে তিনি ছিলেন খরুচে, ৪ ওভারে ৩৩ রান দিলেও পাননি কোনো উইকেট।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • বাংলাদেশকে বিদায় করে সেমিতে পাকিস্তান

    বাংলাদেশকে বিদায় করে সেমিতে পাকিস্তান

    অলৌকিক কিছু নাকি দেখা যায় না! যা কেবল অতিপ্রাকৃত, মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তারপরও একটা মিরাকলের আশায় ছিল বাংলাদেশ। সকাল গড়াতেই অ্যাডিলেড ওভালে সুখবরটা এনে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বড় দলকে হারিয়ে যে অঘটনের জন্ম দিয়েছে তাতে লাভবান হতে পারত বাংলাদেশ দল। এরপর সমীকরণটা এমন দাঁড়ায়- পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ চারে বাংলাদেশ। যদি-কিন্তুর সব হিসাব এক বিন্দুতে-শুধু জয়! ঠিক তখন নিজের হাতেই সেই সম্ভাবনাকে গলা টিপে মারলেন সাকিব আল হাসানরা!

    দারুণ শুরুর পর ব্যাট হাতে ফ্লপ। এরপর বোলারদের সেই স্বল্প পুঁজি নিয়ে লড়াইটার শুরুতেই ক্যাচ ড্রপ! ব্যস, এভাবেই শেষ বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টাইগারদের ৫ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পা রাখল পাকিস্তান। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। আর ভারত লড়বে আরেক ম্যাচে ইংল্যান্ডের সঙ্গে!

    অথচ সেই শেষ চারে থাকতে পারত বাংলাদেশের নাম। মঞ্চটা তো তৈরিই করে দিয়েছিল ডাচরা। রোববার সেই মঞ্চে আলো ছড়াতে পারলেন না টাইগাররা। শুরুতে অ্যাডিলেডের সবুজ গালিচায় বাংলাদেশ টস জিতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তুলল ১২৭ রান। জবাবে পাকিস্তান ১৮তম ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে পা রাখে সেমিফাইনালে।

    বাজে ব্যাটিংই সব শেষ করে দিল। হেলায় সেমিতে উঠার সুযোগ হারানোর শঙ্কা তৈরি করেছিল বাংলাদেশের। ঠিক এ অবস্থায় এদিনও শুরুতে উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন আহমেদ। ব্যাটিংয়ে হতাশ করে ফিল্ডিংয়েও নুরুল হাসান সোহান ক্যাচ ছাড়েন। তাসকিন আহমেদের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ক্যাচ যায় সোহানের কাছে। কিন্তু সহজ ক্যাচটাও জমাতে পারেন নি। শূন্য রানে বাঁচলেন রিজওয়ান। তারপর আর পায় কে?

    প্রথম ১০ ওভারে দেখে-শুনে খেলে পাকিস্তান তুলে বিনা উইকেটে ৫৬ রান। রিজওয়ান ২৮ বলে ৩১, বাবর আজম ৩২ বলে ২৫! মজবুত এটা ভিত্তি পেয়ে যায় তারা। তবে এরপরই বাবর আজমকে (৩৩ বলে ২৫) ফেরান নাসুম আহমেদ। তারপর প্রাণ পাওয়া রিজওয়ানকে ফেরান ইবাদত। অবশ্য তিনি করেন যান ৩২ বলে ৩২ রান। বড্ড দেরি হয়ে গেল, ততোক্ষণে ম্যাচটাও হাতছাড়া হয়ে গেছে।

    তারপর মোহাম্মদ নওয়াজকে দ্রুতই হন। ১১ বলে ৪ করে লিটন দাসের সরাসরি থ্রো-তে রানআউট! তারপর বাকি কাজটুকু সারেন শান মাসুদ ও মোহাম্মদ হারিস। হারিস অবশ্য শেষ দিকে এসে বিদায় নেন, এরপর ইফতিখার আহমেদও। তবে বাকি কাজটা অনায়াসেই সারে পাকিস্তান, চলে যায় সেমিফাইনালে পাকিস্তান।

    এর আগে রোববার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান। আর জানিয়ে দেন দলে ৩ পরিবর্তন। ভারতের বিপক্ষে হেরে যাওয়া দলে তিনটি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। একাদশে ফিরেন সৌম্য সরকার। প্রথমবারের মতো এই বিশ্বকাপে জায়গা মেলে নাসুম আহমেদ ও ইবাদত হোসেনের। বাদ পড়েন ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি চৌধুরি এবং দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।

    আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন লিটন দাস। সেই ম্যাচেই অবশ্য হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন। দু’দিন অবশ্য অনুশীলন করতে পারেন নি। তবে মাঠে নেমেই আগের ম্যাচের মতো মারদাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। দারুণ এক পুলে ছক্কা হাঁকান লিটন দাস। কিন্তু এরপরই শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে সর্বনাশ। ৬ বলে এক ছক্কায় ১০ রান করেন লিটন দাস।

    তবে অন্যপ্রান্তে নাজমুল হোসেন শান্ত লড়ে গেছেন। তার পথ ধরেই প্রথম ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশ তুলে ১ উইকেটে ৭০ রান। তখন ১৫ বলে ১৮ সৌম্য সরকার। নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৭ বলে ৪১ রানে।

    তারপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার পথ দেখান দলকে। দু’বার জীবন পেয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শান্ত। মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের বলে কাভারে ক্যাচ দেন তিনি। তবে রক্ষা, সেই ক্যাচ নিতে পারেননি শাদাব খান। তখন তিনি ১১ রানে। সেই জীবন পেয়ে ৫৪ রান করেই থেমেছেন লিটন। খেলেছেন ৪৮ বল।

    সৌম্য সরকারও যেতে পারেননি বেশি দূর। দলে ফেরা এই ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান থামেন ১৭ বলে ২০ রানে। শান্তর সঙ্গে গড়েন ৫২ রানের জুটি। বাংলাদেশও পড়ে যায় বিপদে। তবে আম্পায়ারের একটা ভুল সিদ্ধান্তেই সর্বনাশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ভুল সিদ্ধান্তে আউট। আম্পায়ারের চমকে যাওয়া বাজে সিদ্ধান্ত গেল বাংলাদেশের বিপক্ষে।

    এগিয়ে এসে লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু এলবিডব্লিউ। যদিও পাকিস্তানের আবেদনে আম্পায়ার অনেক দেরিতে সিদ্ধান্ত জানান। তারপর রিভিউ নিতে ভুল করলেন না সাকিব। ব্যাটে বল লেগেছে এমনটাই আঁচ করা যাচ্ছিল। রিপ্লেতে ব্যাটে বলের হালকা স্পর্শ হয়েছে এমনটা দেখা যায়। ব্যাট মাটির কাছে ছিল। এ অবস্থায় ব্যাট মাটিতে লেগেছে স্থীর থেকে তৃতীয় আম্পায়ার আউটের পক্ষেই রায় দেন।

    অথচ এটি আউট ছিল না। সাকিব হতাশ হয়ে ফেরেন প্রথম বলেই। দল পড়ে যায় ভয়াবহ চাপে! তারপর আর কিছুই হলো না। এমন একটা শুরুর পর শেষটাতে এসে শুধুই হতাশার গল্প। মোসাদ্দেক

    হোসেন ১১ বলে ৫। নুরুল হাসান সোহান ৩ বল খেলে শুন্য, শাহীন শাহ আফ্রিদি ফেরান তাসকিনকে (১)। শেষটাতে ২০ বলে ২৪ রান করায় কিছুটা হলেও সম্মানজনক পুঁজি পায় বাংলাদেশ। এই ইনিংস খেলার পথে আফিফ তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে হাজার রান ক্লাবে পা রাখলেন! শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। তিনিই শেষ করে দেন টাইগারদের লাইনআপ!

    তবে নিশ্চিত করেই ১২৭ রানের সংগ্রহ হতাশাজনক। যেখানে প্রথম ১০ ওভারে দল তুলেছিল ৭০ রান, সেখানে পরের ১০ ওভারে মাত্র ৫৭! ১২০ বলের ক্রিকেটে ৫৫ বল ডট। বিস্ময়কর! এই পুঁজি নিয়ে আর যাই হোক লড়াই করতে পারেন না বোলাররা। তারপরও দুই জয়ে এটিই হয়ে থাকল বাংলাদেশের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ! দুঃসময়ে থাকা বাংলাদেশ দল জিততে-লড়তে দেখাল তাসমান পাড়ে! হয়তো এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে পেল বাংলাদেশ।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের অবিশ্বাস্য কিছু করার আশায় ছিল বাংলাদেশ। সেটা ঘটিয়েই ফেলল ডাচরা। বিশ্বকাপে পেল টানা দ্বিতীয় জয়।

    এই মিরাকলের পর বাংলাদেশের সামনে এখন সেমি-ফাইনালে খেলার সত্যিকারের সুযোগ। পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই টি-টোয়েন্টিতে দল স্পর্শ করবে নতুন উচ্চতা।

    একই পরিস্থিতি পাকিস্তানেরও। টানা দুই হারের টুর্নামেন্ট শুরুর পর দলটির সামনে এখন শেষ চারে যাওয়ার হাতছানি। এর জন্য জিততে হবে কোয়ার্টার-ফাইনালে পরিণত হওয়া সুপার টুয়েলভের ম্যাচে।

    টানা দুই হারে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। টানা দু্নই জয়ে নেদারল্যান্ডস জাগাল আগামী আসরে সরাসরি খেলার আশা।

    একাই একাদশ নিয়ে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো দলে কোনো পরিবর্তন আনেনি পাকিস্তান। টিকে গেছেন আগের ম্যাচে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া মোহাম্মদ হারিস।

    পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, মোহাম্মদ হারিস, হারিস রউফ, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শান মাসুদ।

    বাংলাদেশ দলে ৩ পরিবর্তন। ভারতের বিপক্ষে হেরে যাওয়া দলে তিনটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। একাদশে ফিরেছেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। প্রথমবারের মতো চলতি আসরে খেলছেন নাসুম আহমেদ ও ইবাদত হোসেন।

    এই ম্যাচে নেই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি চৌধুরি এবং আগের ম্যাচে খরুচে বোলিং করা দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।

    বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, নুরুল হাসান সোহান, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাসুম আহমেদ, ইবাদত হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমির আশা টিকিয়ে রাখলো পাকিস্তান

    দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমির আশা টিকিয়ে রাখলো পাকিস্তান

    বৃষ্টির পর নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৩০ বলে ৭৩ রান। হেনরিক্স ক্লাসেন এবং ট্রিস্টান স্টাবস এই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে যেভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল বুঝি দক্ষিণ আফ্রিকাই জিতে যাবে।

    কিন্তু সহসাই ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে পাকিস্তান এবং শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতেও বাধা দিতে সক্ষম হয় তারা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখলো পাকিস্তান।

    শাহিন শাহ আফ্রিদি আর শাদাব খানদের আঁটোসাঁটো বোলিংই মূলতঃ পাকিস্তানকে জয় উপহার দিয়েছে। আফ্রিদি ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। শাদাব খান ২ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, হারিস রউফ এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম।

    ব্যাটে বলে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে সেরার পুরস্কার জিতে নিলেন শাদাব খান। ব্যাট হাতে ২২ বলে ৫২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলার পর বল হাতে ২ উইকেট। সেরার পুরস্কার তো তার হাতেই মানায়।

    সেমিফাইনালের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল এটি। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটির মাধ্যমেই নির্ধারণ হলো, পাকিস্তানের টিকে থাকা। যদি দক্ষিণ আফ্রিকা জিততে পারতো, সেমির পথ প্রায় নিশ্চিত হতো তাদের।

    ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান এখন তৃতীয় স্থানে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভারত। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। অ্যাডিলেডে প্রোটিয়াদের জন্য খুবই সহজ সুযোগ, ডাচদের হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার। ম্যাচটিদে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে গেলে কিংবা বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বাতিল হলে বাংলাদেশ অথবা পাকিস্তানের সম্ভাবনা তৈরি হবে।

    আবার যদি দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তান জয় পায় এবং জিম্বাবুয়ের কাছে ভারত হেরে যায়, তাহলে বিদায় হতে পারে ভারতেরই। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জিতলেও সেমিতে ওঠার দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। মোট কথা, শেষ রাউন্ড পর্যন্ত নাটকীয়তা থেকেই গেলো।

    প্রায় প্রতি ম্যাচেই যেভাবে বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবারের বিশ্বকাপে, তাতে করে সবারই প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে আবহাওয়া তথা বৃষ্টি। সিডনিতে আজ পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেও এসেছিল বৃষ্টির বাধা। ওই বাধা পেরিয়ে আর জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।

    পাকিস্তানের ৯ উইকেটে করা ১৮৫ রানের জবাব দিতে নেমে ৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ অবস্থায় নামে বৃষ্টি। দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টির পর অবশেষে খেলা যখন শুরু হয়, তখন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে ওভার কেটে নেয়া হয় ৬টি।

    নতুন পরিবর্তিত লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ১৪ ওভারে ১৪২ রান। ৯ ওভারে ৬৯ রান করে ফেলার ফলে বাকি ৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হতো ৭৩ রান।

    বৃষ্টি আসার আগে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ১৯ বলে ৩৬ রান করলেও অন্যরা দাঁড়াতেই পারেনি। কুইন্টন ডি কক শূন্য রানে, রাইলি রুশো ৭ রানে আউট হয়ে যান। এইডেন মারক্রাম ১৪ বলে ২০ রান করে আউট হন। ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আগেই বিপদে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

    বৃষ্টির পর হেনরিক্স ক্লাসেন এবং ট্রিস্টান স্টাবস কিছুটা ঝড় তুলেছিলেন বটে; কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে এই জুটি ভাঙার পর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরোধ ভেঙে যায়। ৯ বলে ১৫ রান করেন ক্লাসেন। স্টাবস ১৮ বলে ১৮ রান করেন।

    এরপর ওয়েন পার্নেল ৪ বলে ৩ রান করে আউট হন। কাগিসো রাবাদা ২ বলে ১ রান, অ্যানরিক নরকিয়া ৫ বলে ১ রানে আউট হন। লুঙ্গি এনগিদি মাঠে নেমেই একটি বাউন্ডারি মারে অপরাজিত থাকেন। তাবিরজ শামসি ১ বলে ১ রান করে অপরাজিত থাকেন।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সহজ জয় পেল পাকিস্তান

    নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সহজ জয় পেল পাকিস্তান

    টি-২০ বিশ্বকাপে এখনও কোনও ম্যাচ জেতেনি পাকিস্তান। তারা সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে পরাজিত হয় ভারতের কাছে। দ্বিতীয় ম্যাচে বাবরদের হারিয়ে দেয় জিম্বাবুয়ের। এই অবস্থায় পাকিস্তান তাদের তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে, যারাও এখনও পর্যন্ত সুপার টুয়েলেভের কোনও ম্যাচ জেতেনি।

    নেদারল্যান্ডসকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা হার মানে ভারতের কাছে। সেই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।

    নেদারল্যান্ডসের ৯ উইকেটে ৯১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ১৩.৫ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৯৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।

    ৩৭ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে পাকিস্তান। শাদাব খান ৪ ও ইফতিকার ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। গ্লভার ২.৫ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন।
    ২৪ঘণ্টা/এনআর