ফের শেষ ওভারে হারলো ‘আনপ্রেডিক্টবেল’ পাকিস্তান। ভারতের পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও শেষ ওভারে গিয়ে হারলো বাবর আজমের দল। আগে ব্যাট করে ১৩০ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ১২৯ রানে থামতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। ১ রানে জিতে যায় সিকান্দার রাজার জিম্বাবুয়ে।
১৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই জিম্বাবুয়ের তোপে পড়ে পাকিস্তান। ১৩ রানে বাবর, ২৩ রানে রিজওয়ান ও ৩৬ রানে ইফতিখার আহমেদের উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ইনিংস ধরে খেলতে থাকেন শান মাসুদ। তার সঙ্গে শাদাব খান গড়েন ৫২ রানের জুটি। শাদাব বিদায় নেন সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ দিয়ে। শাদাব করেন ১৭ রান। একই ওভারের পরের বলে রাজা শিকার করেন হায়দার আলির উইকেটও।
খেলা আবার ঘুরে যায়। সিকান্দারের পরের ওভারে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে আউট হন মাসুদ। এরপর হারের শঙ্কা ঝেঁকে বসে পাকিস্তান শিবিরে। শেষ ওভারে পাকিস্তানের জিততে দরকার ছিল ১১ রান। একটি চার মারেন ওয়াসিম। কিন্তু নওয়াজ আউট হয়ে গেলে ১ বলে ৩ রান করতে হত তাদের। নওয়াজ আউট হন ২২ রানে, ওয়াসিম করেন ১২ রান।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন রাজা, ব্রাড ইভান্স নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান ব্লেজিং মুজারাবানি ও লুক জংউই।
এর আগে পার্থে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। আরভিন-মেধেভেরে বেশ দ্রুতই এগোচ্ছিলো জিম্বাবুয়ে। দু’জন মিলে ওপেনিং জুটিতে ৪২ রান তোলে। এরপরই ছন্দপতন। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে হ্যারিস রউফের বলে ওয়াসিমের হাতে ধরা পড়েন আরভিন। ফেরার আগে তিনি করেন ১৯ বলে ১৯ রান। পরের ওভারে ওয়াসিমের দ্বিতীয় বলে মেধেভেরেকে সাজঘরে ফেরেন। যে কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাপে পড়ে দলটি। ঠিক সে সময় হাল ধরার চেষ্টা করেন শন উইলিয়ামস। তবে যোগ্য সঙ্গ পাননি তিনি।
এ সুযোগে একের পর এক উইকেট তুলে নেন শাদাব ও ওয়াসিম। শেষ দিকে আরও আটোসাটো বোলিং করেন হারিস রউফ। যে কারণে জিম্বাবুয়ে থামে ১৩০ রানে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান শন উইলিয়ামস।
পাকিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ ওয়াসিম ও শাদাব খান নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া ১ উইকেট নেন হ্যারিস রউফ।