Tag: পাকিস্তান

  • প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ

    প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ

    পাকিস্তান সফরে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে রাওয়ালপিণ্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিঠুনের অর্ধশতকে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

    এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে ইনিংসের তৃতীয় বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরেন অভিষিক্ত সাইফ হাসান। এর পরের ওভারে আব্বাসের বলে লেগ বিপরের ফাঁদে পরে ফিরেন আরেক ওপেনার (৩) তামিম ইকবাল।

    দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মুমিনুল হক। তাদের দু’জনে ৫৯ রানের জুটিতে দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে বাংলাদেশ। তবে উইকেটে থিতু হয়ে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার অভ্যাসটা রয়েই গেল বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের।

    আজ একই ভুল করলেন টাইগার অধিনায়ক মমিনুল হক। অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল চেজ করতে যেয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যাক্তিগত ৩০ রানে ফিরে যান মমিনুল। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও শান্ত ৩৩ রানের জুটি গড়লেও ৬ চারে ৪৪ রান করে আব্বাসের বলে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্ত ফিরলে দাঁড়াতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ। আফ্রিদির বলে ২৫ রান করে ফিরেন তিনি।

    এরপর ষষ্ঠ উইকেটে লিটন ও মিঠুনের মধ্যকার ৫৪ রানের দারুণ জুটি গড়লেও। ৪৬ বলে ৭ চারে ৩৩ রান করে হারিস সোহেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন।

    লিটন ফিরলেও সপ্তম উইকেট জুটিতে ৫৩ রান তুলেন মিঠুন ও তাইজুল। তবে ২৪ রান করে তাইজুল ফিরলেও দুর্দান্ত অর্ধশতক তুলে নেন মোহাম্মদ মিঠুন। ১ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৩ রান করে মিঠুন ফিরলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

    পাকিস্তানের হয়ে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি। এছাড়া হারিস ও আব্বাস নেন দুটি করে উইকেট।

    পরবর্তীতে আলো স্বল্পতায় আর ব্যাট করতে নামে নি পাকিস্তান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:(প্রথম দিন শেষে) –
    বাংলাদেশ: ২৩৩/১০ (৮২.৫)
    মিথুন ৬৩, শান্ত ৪৪
    আফ্রিদি ৪/৫৩, হারিস ২/১১

    বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ রাহী ও এবাদত হোসেন।

    পাকিস্তান একাদশ: শান মাসুদ, আবিদ আলি, আজহার আলী (অধিনায়ক), বাবর আজম, হারিস সোহেল, আসাদ শফিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), ইয়াসির শাহ, মোহাম্মদ আব্বাস, নাসিম শান ও শাহীন শাহ আফ্রিদি।

  • পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দল ঘোষণা

    পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দল ঘোষণা

    পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে লড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যার প্রথমটি ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের জন্য আজ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

    মুমিনুল হককে অধিনায়ক করে ঘোষিত দলে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন । বাংলাদেশের সবশেষ ভারত সফরের দলে থাকা দুই ওপেনার- সাদমান ইসলাম ও ইমরুল কায়েস নেই ঘোষিত দলে। তাছাড়া বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন, পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজও।

    তাদের বাদ পড়ার ভিড়ে দলে ফিরেছেন তামিম ইকবাল, রুবেল হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

    ব্যক্তিগত কারণে ভারত সফরের দল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তামিম। যার ফলে বাংলাদেশের সবশেষ টেস্ট সিরিজে খেলতে দেখা যায়নি তাকে। পাকিস্তান সফরের দলে আবারও ফিরেছেন তিনি।

    ইঞ্জুরির জন্য সাদমান ইসলামের পাকিস্তান সফরে অনিশ্চিত, এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। তার জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও লাভ হয়নি। পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় তাকে ছাড়াই পাকিস্তান সফরে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। সাদমানের মতো একই কারণে কপাল পুড়েছে আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েসেরও।

    এই দুই ওপেনারের ছিটকে যাওয়ায় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সৌম্য সরকার ও শান্তকে।

    প্রসঙ্গত, দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে চলতি মাসের ৪ তারিখ পাকিস্তান যাবে টাইগাররা। ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে সাদা পোশাকের লড়াইয়ের পর দেশে ফিরে আসবে মুমিনুলরা। এরপর সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে এপ্রিলে আবারও পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। এ যাত্রায় করাচিতে অনুষ্টিত হবে দু’দলের মধ্যকার শেষ টেস্টটি।

    পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের বাংলাদেশ দল: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, আল-আমিন হোসেন, রুবেল হোসেন ও সৌম্য সরকার।

  • শেষ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত,পাকিস্তানের সিরিজ জয়

    শেষ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত,পাকিস্তানের সিরিজ জয়

    লাহোরে বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

    সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও টানা বৃষ্টির কারণে টসও অনুষ্ঠিত হয়নি।

    শেষ ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ২-০ তে সিরিজ জিতে নিল স্বাগতিক পাকিস্তান। সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বাবর আজম। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা জ্বলে উঠতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হলেও ব্যাটসম্যানদের খেলা দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে তারা ওয়ানডে নাকি টি-টোয়েন্টি খেলছেন।

    দুই ম্যাচেই ব্যাটসম্যানরা ডট বল বেশি উপহার দিয়েছেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং টাইগারদের কাছ থেকে দেখা যায়নি। ফলস্বরূপ প্রথম ম্যাচে ৫ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।

    তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ধাপে ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। আপাতত বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে আসবেন। পরবর্তীতে টেস্ট দল আবার পাকিস্তান সফরে যাবে।

    এপ্রিলে একমাত্র ওয়ানডে এবং দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে ফের পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ। করাচিতে ওয়ানডে এবং দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ৩ এপ্রিল করাচিতে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচ এবং পরে ৫-৯ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

  • সহজ জয়ে সিরিজ জয় পাকিস্তানের

    সহজ জয়ে সিরিজ জয় পাকিস্তানের

    লাহোরে টানা দুই জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল পাকিস্তান। আগামী সোমবার তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ খেলায় জিততে না পারলে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।

    পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে গতকাল মাত্র ১৪১ রান করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর আজকে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও টসে জিতেছিল টাইগাররা। টসে জিতে একইভাবে আগে ব্যাটিং করে আরো করুণ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন টাইগার বাহিনী। চরম দুর্ভোগের দিনে আজকে পাকিস্তানকে মাত্র ১৩৭ রান টার্গেট দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে পরপর দুইদিন টানা লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন তামিমরা।

    পাকিস্তানে এমনিতেই সহজে কেউ খেলতে যেতে চায় না। তাই দেশটির ঘরের মাঠে খুব কম ম্যাচ আয়োজিত হয়। তারপরও কখনো এতো কম রান স্কোর করেনি কোনো দল। আজকে বাংলাদেশের করা ১৩৬ রানই হচ্ছে লাহোরের স্টেডিয়ামে করা সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। গতকাল পর্যন্ত সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৪১ রান। আর সেই লজ্জার রেকর্ডেরও মালিক বাংলাদেশ।

    দুইম্যাচেই তামিমদের মন্থর গতির ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল যেন তাঁরা ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। পাকিস্তান এমনিতেই ভালোভাবে ফিল্ড সেটআপ করে রেখেছিল। আর বাংলাদেশিরাও প্রচুর ডট বল দিয়ে নিজেরাই নিজেদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে নিয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে অহেতুক উইকেটও পড়েছে। এছাড়াও অলস্যতার কারণে রানআউট হওয়ার প্রবণতাও দেখা গিয়েছে। আর খুব কমই সাহসী শট খেলতে পেরেছেন বাংলাদেশিরা। যে কারণে আজো ভালো অবস্থানে নেই টাইগাররা।

    এদিন বাবর ও হাফিজের হার না মানা ইনিংসে ৯ উইকেটে জিতল পাকিস্তান। এর ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিল স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ৪৪ বল মোকাবেলায় বাবর ৬৬ ও ৪৯ বল মোকাবেলায় ৬৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন হাফিজ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৬/৬ (তামিম ৬৫, আফিফ ২১, মাহমুদউল্লাহ ১২, মেহেদী ৯, আমিনুল ৮*, লিটন ৮, সৌম্য ৫*, হাসনাইন ২/২০)।

    পাকিস্তান: ১৬.৪ ওভারে ১৩৭/১ (হাফিজ ৬৭*, বাবর ৬৬*)।

    ফল: পাকিস্তান ৯ উইকেটে জয়ী।

  • মালিকের ব্যাটে পাকিস্তানের সহজ জয়

    মালিকের ব্যাটে পাকিস্তানের সহজ জয়

    লাহোরে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৫৮ রান করেন শোয়েব মালিক।

    আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। টাইগারদের দেওয়া সে লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি পাকিস্তানের। শুরুতেই দলের অধিনায়ক বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান। বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শফিউল। বাংলাদেশের মতো ধীরগতিতে শুরু করেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরাও। দলীয় ৩৫ রানে মুস্তাফিজের কাটারে সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ হাফিজ (১৭)।

    অবশ্য তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। শোয়েব মালিক ও আহসান আলীর দায়িত্বশীল ব্যাটিং পাকিস্তানকে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। উইকেট থেকে তেমন সুবিধা পাচ্ছিলেন না ব্যাটসম্যানরা। সিঙ্গেল-ডাবল নিয়ে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন দুই ব্যাটসম্যান। তবে দলীয় ৮১ রানে আমিনুলের বলে আহসান আউট হলে ম্যাচ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

    তবে সেখান থেকে আর ম্যাচ বের করে আনতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। উইকেট পড়তে ততক্ষণে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় পাকিস্তান। শেষদিকে আরও দুই উইকেটের পতন ঘটে পাকিস্তানের তবে ততক্ষণে ম্যাচ পুরোপুরি পাকিস্তানের হাতেই ছিল। ফিফটি হাঁকান মালিক। শেষ ওভারে পাঁচ রানের প্রয়োজন হলে তিন বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।

    এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিং নিয়ে শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও তামিম ইকবাল। তবে শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে ব্যাট করেন তামিম। তার সঙ্গে ধীরগতির ব্যাট করেন নাঈমও। পাওয়ার-প্লে’তে যথেষ্ট রান তুলতে ব্যর্থ হন এই দুই ওপেনার। দুই জনের স্লো ইনিংসের কারণে ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

    দুই ব্যাটসম্যান মিলে ৬৬ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন। দুই জনের জুটি ভাঙে রান আউটের মাধ্যমে। তবে এ দুই ব্যাটসম্যানের স্লো ব্যাটিংয়ের কারণে ততক্ষণে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তামিমের বিদায়ের পর কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করেন নাঈম। দ্বিতীয় উইকেটটিও আসে রান আউটে। সাদাব খানের অসাধারণ থ্রোতে রান আউটের শিকার হন লিটন।

    লিটনের বিদায়ের পর আউট হন নাঈমও। ব্যক্তিগত ৪১ বলে ৪৩ রান করে সাদাবের বলে আউট হন তিনি। তারপর থেকে কেউই ঠিকমত ক্রিজে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর অপরাজিত ১৯ রানে ১৪১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ ১৪১-৫ (ওভার ২০)

    নাঈম ৪১, তামিম ৩৯: আফ্রিদি ১-২৩

    পাকিস্তান ১৪২-৫ (ওভার ১৯.৩)

    মালিক ৫৮*, আহসান ৩৬: আল-আমিন ১-১৮

  • লাহোরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    লাহোরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    লাহোরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের দলনেতা।

    বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হচ্ছে দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের। তারা হলেন- হ্যারিস রউফ ও আহসান আলি।

    পাকিস্তান একাদশ: আহসান আলি, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, ইফতেখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), শাদাব খান, হ্যারিস রউফ, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাসনাইন।

    বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাইম, আফিফ হোসেন, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন।

  • নিরাপদে পাকিস্তান পৌঁছেছে টাইগাররা

    নিরাপদে পাকিস্তান পৌঁছেছে টাইগাররা

    প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা বিমানে ভ্রমণ শেষে নিরাপদে পাকিস্তান পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার পেজে এক টুইটের মাধ্যমে খবরটি নিশ্চিত করেছে।

    এর আগে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা, উদ্বেগ আর আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বিশেষ বিমানে চড়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তানের উদ্দেশে রওয়ানা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত আটটায় বাংলাদেশ দলকে নিয়ে লাহোরের পথে যাত্রা করে বিমান বাংলাদেশের চার্টার্ড ফ্লাইট। যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে কোন দুর্ভাবনা না থাকার কথা জানিয়ে গেছেন ক্রিকেটাররা।

    ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ ক্রিকেটারদের নিয়ে লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় স্থানীয় সময় রাত সাড়ে দশটায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায়)। পাকিস্তানে সরাসরি কোনো ফ্লাইট না থাকায় বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিমান ভাড়া করে দলকে পাকিস্তানে খেলতে পাঠায় বিসিবি।

    টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের ১৫ ক্রিকেটারের সঙ্গে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোসহ পাঁচ কোচিং স্টাফ, ম্যানেজার, মিডিয়া ম্যানেজার এবং একজন সাপোর্ট স্টাফ রয়েছেন।

  • পাকিস্তানের পথে বাংলাদেশ দল

    পাকিস্তানের পথে বাংলাদেশ দল

    সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রথম ধাপে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।

    আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি অনুশীলন শেষে ২৪ জানুয়ারি লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে টাইগাররা।

    ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপর হামলার পর পাকিস্তানে বন্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অনেক চেষ্টার পর সেই শ্রীলঙ্কাকে দিয়েই ক্রিকেটে ফেরার ইঙ্গিত দেয় পাকিস্তান।

    সেই সুবাধে বাংলাদেশও যাচ্ছে পাকিস্তান। শুরুতে তিনটি টি-টোয়েন্টি আর দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও এই সফরে যোগ হয়েছে একটি ওয়ানডে ম্যাচও। দুই টেস্টের মাঝে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে ম্যাচটি। দেশ ছাড়ার আগে সৌম্য সরকার, শফিউল ইসলামরাও প্রত্যই ভালো ফলাফল নিয়ে দেশে ফেরার।

    সৌম্য সরকার জানান, অবশ্যই দল হিসাবে প্রত্যাশা ভালো। আমরা যারা যাচ্ছি এবার সবাই বিপিএলে ভালো পারফর্ম করেছে। সবাই যদি বিপিএলের পারফরম্যান্সটা ধরে রাখতে পারে তাহলে দলের রেজাল্টটা ভালো আসবে।

    দলের অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম যাচ্ছেন না পাকিস্তান। এই সফর নিয়ে আলোচনা চলাকালীনই মুশফিক আপত্তি জানান পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে।

    এ নিয়ে সৌম্য বলেন, অনেক সিনিয়রই নাই, থাকলে অবশ্যই ভালো হতো। অবশ্যই রেসপন্সিবল ভাবে খেলতে হবে। চেষ্টা করবো ওভাবে খেলার।

    পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়। বাংলাদেশ দলকে দেশটির স্পেশাল-ফোর্সসহ প্রায় দশ হাজার পুলিশ নিরাপত্তা দিবে বলে নিশ্চিত করেছে পিসিবি। তবে এসব নিয়ে আর ভাবতে চান না পেসার শফিউল ইসলাম। ‘কোন চিন্তা নাই আর। যেহেতু বোর্ড সবকিছু দেখেশুনেই পাঠাচ্ছে, তাই কোন চিন্তা নেই। ভালো করে দেশে যেন ফিরতে পারি, ভালো কিছু নিয়ে আসতে পারি এটাই প্রত্যাশা।’

  • পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা,নতুন মুখ হাসান

    পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা,নতুন মুখ হাসান

    পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবারো দলের নেতৃত্বে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

    ঘোষিত দলে নতুন মুখ হাসান মাহমুদ। তরুণ এই পেসার সদ্য সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে খেলেছিলেন।

    ভারত সিরিজের দল থেকে এই দলে বেশ কিছু পরিবর্তন রয়েছে। পাকিস্তান সফরে যেতে না চাওয়া মুশফিকুর রহিম নেই স্কোয়াডে। চোটের কারণে দলে নেই মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। এছাড়া আরাফাত সানি, আবু হায়দার রনি ও তাইজুল ইসলাম দল থেকে বাদ পড়েছেন।

    এদিকে দলে ফিরেছেন বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলা নাজমুল হোসেন শান্ত, ঢাকা প্লাটুনের হয়ে খেলা মেহেদী হাসান ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলা রুবেল হোসেন।

    লাহোরে আগামী ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানে দলের পূর্ণাঙ্গ সফরের প্রথম ধাপে শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজই মাঠে গড়াবে।

    একনজরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের স্কোয়াড

    মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, নাইম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, রুবেল হোসেন, হাসান মাহমুদ।

  • উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার ঊনপঞ্চাশ বছরে আমরা পাকিস্তানের চেয়ে তিনটি উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে রয়েছি। উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে।

    তথ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ বেতারের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বেতার ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

    আলোচনা সভার আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি উদ্বোধনকালে রাজাকারের তালিকা কেন’- বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘রাজাকারের তালিকা কেন- এ প্রশ্ন করে বিএনপি রাজাকারদের পক্ষে নিজেদের মুখোশ নিজেরাই উন্মোচন করেছে।’

    ড. হাছান বলেন, ‘মীর্জা ফখরুল সাহেব তার এ বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাজাকারদেরই পক্ষ নিয়েছেন। আমরা এতদিন ধরে বলে আসছি, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের দলের চেয়ারপারসন পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেনএবং তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন। ’

    এসময় ‘তালিকায় কিছু ভুল রয়েছে’ বলে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘কিছু ভুল রয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন এবং ভুলগুলো অবশ্যই শুধরে নেবার সুযোগ আছে। তবে এ ভুলগুলো কেন হলো, কিভাবে হলো, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ করেছে কি না, তা অনুসন্ধান করে বের করা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ পরে বেতার চত্বরে স্থাপিত মঞ্চে আলোচনা সভায় যোগ দেন মন্ত্রী।

    বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ন চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা:মুরাদ হাসান এবং তথ্য সচিব আবদুল মালেক।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের এই ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সে বহুদূর এগিয়ে গেছে।মানব উন্নয়নে,সামাজিক উন্নয়নে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে।

    তিনি বলেন,বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পাকিস্তানীরা এই বলে তুষ্ট থাকতো যে,বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে পারবে না।আজকে এখানে এসে পাকিস্তানীরা আক্ষেপ করে বলে বাংলাদেশ সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে।এমন আক্ষেপ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠেও পাওয়া যায়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন,এখানেই হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সার্থকতা, স্বাধীন বাংলাদেশের সার্থকতা।এই উন্নয়ন এবং সার্থকতাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যেকোন মানুষের স্বপ্ন পূরণের তাড়না, তাগাদাও প্রচেষ্টা থাকতে হয় এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,যারা স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি দেখার প্রচেষ্টাকে যুক্ত করে তার সবস্বপ্ন পূরণ না হলেও অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঠিক তেমনি রাষ্ট্রীয় জীবনেও স্বপ্ন ছাড়া রাষ্ট্রকে বেশীদূর এগিয়ে নেয়া যায় না।সেকারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ থেকে ১১ বছর আগে দুটি স্বপ্নের কথা বলেছিলেন।একটি হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং অন্যটি হলো দিনবদল। যখন ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলা হলো তখন অনেকে প্রশ্ন তুলেছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ টা আসলে কি? অনেকে হাসিঠাট্টা করেছিল।বিশেষ করে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো হাসিঠাট্টা করেছিল।

    তিনি বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নয়,বাস্তবতা।ষোল কোটি মানুষের দেশে পনের কোটি সিম ব্যবহারকারী।এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।মুহূর্তের মধ্যে ঢাকার রিকশাওয়ালা ভাই ভোলার মনপুরায় তার স্ত্রীর কাছে পাঁচ’শ টাকা মোবাইলে পৌছে যায় ,এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।মুহূর্তের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী সন্তানের কাছ থেকে পিতার কাছে কয়েকঘন্টার মধ্যে টাকা পৌছায় এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশএবং শস্যক্ষেতের মধ্যে দাঁড়িয়ে কৃষক ভাই পোকার ছবি তুলে সেই ছবি তিনি কৃষি সংক্রান্ত পরামর্শ চাইতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে পরামর্শ চান-এবং মোবাইলে কল দিয়ে জানতে চান কি কীটনাশক ব্যবহার করবেন-এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।

    অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মমতা হেনা লাভলী।স্বাগত বক্তৃতা করেন,বাংলাদেশ বেতারের উপ-মহাপরিচালক(বার্তা) হোসনে আরা তালুকদার।

    আলোচনা সভার পরে বাংলাদেশ বেতারের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

  • পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

    রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত।

    পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক সেনাপ্রধানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হলো। তবে এটি চূড়ান্ত রায় নয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে।

    পেশোয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ সেঠের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চের বিশেষ আদালত আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

    ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন মুশাররফ৷ তার আগে তিনি ছিলেন দেশের সেনা বাহিনীর প্রধান৷ সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নওয়াজ শরিফের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিলেন মুশাররফ৷

    তবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জেরে৷সেই মামলাতেই এ দিন তাঁকে ফাঁসির সাজা শোনায় ৩ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷যার অন্যতম পেশোয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ৷ ২০০৭ সালে মুশাররফ জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট জরুরি ওই সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছিল৷ কিন্তু সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যকরী হবে না৷

    এর আগে বিশেষ আদালত তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছিল৷ বলা হয়েছিল, মুশারফ তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে পারেন৷ দুবাইয়ের একটি হাসপাতাল থেকে নিজের বয়ান রেকর্ডও করে পাঠিয়েছিলেন মুশাররফ৷ জানিয়েছিলেন, বিচার বিভাগীয় দল গিয়ে তাঁর বয়ান লিখে নিয়ে যেতে পারে৷

    ২০১৬ সালেই দেশ ছেড়ে দুবাইয়ে চলে গিয়েছিলেন মুশাররফ৷ জানিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্যই সেখানে যাচ্ছেন তিনি৷ কিন্তু এর পর আর কখনও পাকিস্তানে ফেরেননি মুশাররফ৷

    একাধিকবার জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার জন্যই দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি৷ গত ৪ ডিসেম্বর দুবাইয়ের একটি হাসপাতাল থেকে এক টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি শেষবার বলেছিলেন, ‘আমি পাকিস্তানের জন্য লড়াই করেছি৷ আশা করি সুবিচার পাবো৷’

    সাজা ঘোষণার পর মুশারফ আর পাকিস্তানে ফিরবেন না বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা৷ তবে দুবাই থেকে মুশারফকে দেশে ফেরানোর জন্য পাকিস্তান বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেয় কি না, সেটাও দেখার বিষয়৷

  • চট্টগ্রামের পক্ষে গতির ঝড় তুলবেন মুসা খান

    চট্টগ্রামের পক্ষে গতির ঝড় তুলবেন মুসা খান

    আসন্ন বঙ্গবন্ধু বিপিএল টি-টোয়েন্টির জন্য আরও এক বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে ভেড়াল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাটসম্যানের পর বোলিং বিভাগ শক্তিশালী করতে পাকিস্তানের তরুণ পেসারকে দলে নিয়েছে চট্টগ্রাম।

    বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষ আরও আগেই। তবে ড্রাফটের বাইরে ক্রিকেটারদের নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আর ওই নিয়ম মেনেই ব্যাটসম্যানের পর এবার ড্রাফটের বাইরে থেকে খেলোয়াড় নিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বল হাতে গতি দিয়ে আলোচনায় এসেছেন পাকিস্তানের তরুণ পেসার মুসা খান। বল হাতে ঘণ্টায় ১৪০ এর বেশি গতির ঝড় তুলতে পারেন এ পাকিস্তানের পেসার।

    আর তাতেই তাকে দলে নিয়েছে চট্টগ্রাম। মুসাকে দলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কয়েকদিন আগেই ড্রাফটের বাইরে দলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডল সিমন্সকে। এর আগে প্লেয়ার্স ড্রাফটে দল না পাওয়া লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেনকে দলে নিয়েছে চট্টগ্রাম।

    সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও অভিষেক হয়েছে মুসা খানের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় এ বোলারের। তবে নিজের প্রথম ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। টি-টোয়েন্টির পর টেস্ট দলেও ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তবে মূল একাদশে খেলা হয়নি তার। সবমিলিয়ে মোট ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মুসা। ১০ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১২টি।

    মুসা, সিমন্স ছাড়াও এ দলে রয়েছেন ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাসির হোসেন, রুবের হোসেনের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের পাশাপাশি রয়েছেন নুরুল হাসান, পিনাক ঘোষদের মতো তরুণ ক্রিকেটাররাও।

    একনজরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স স্কোয়াড

    দেশি: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েস, নাসির হোসেন, রুবেল হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, এনামুল হক জুনিয়র, পিনাক ঘোষ, মুক্তার আলী, নাসুম আহমেদ, জুনায়েদ সিদ্দিকী, জুবায়ের হোসেন লিখন।

    বিদেশি: ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), কেসরিক উইলিয়ামস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রায়ান বার্ল (জিম্বাবুয়ে), ইমাদ ওয়াসিম (পাকিস্তান), লেন্ডল সিমন্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মুসা খান (পাকিস্তান)।