পাকিস্তান সফরে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে রাওয়ালপিণ্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিঠুনের অর্ধশতকে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে ইনিংসের তৃতীয় বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরেন অভিষিক্ত সাইফ হাসান। এর পরের ওভারে আব্বাসের বলে লেগ বিপরের ফাঁদে পরে ফিরেন আরেক ওপেনার (৩) তামিম ইকবাল।
দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মুমিনুল হক। তাদের দু’জনে ৫৯ রানের জুটিতে দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে বাংলাদেশ। তবে উইকেটে থিতু হয়ে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার অভ্যাসটা রয়েই গেল বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের।
আজ একই ভুল করলেন টাইগার অধিনায়ক মমিনুল হক। অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল চেজ করতে যেয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যাক্তিগত ৩০ রানে ফিরে যান মমিনুল। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও শান্ত ৩৩ রানের জুটি গড়লেও ৬ চারে ৪৪ রান করে আব্বাসের বলে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্ত ফিরলে দাঁড়াতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ। আফ্রিদির বলে ২৫ রান করে ফিরেন তিনি।
এরপর ষষ্ঠ উইকেটে লিটন ও মিঠুনের মধ্যকার ৫৪ রানের দারুণ জুটি গড়লেও। ৪৬ বলে ৭ চারে ৩৩ রান করে হারিস সোহেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন।
লিটন ফিরলেও সপ্তম উইকেট জুটিতে ৫৩ রান তুলেন মিঠুন ও তাইজুল। তবে ২৪ রান করে তাইজুল ফিরলেও দুর্দান্ত অর্ধশতক তুলে নেন মোহাম্মদ মিঠুন। ১ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৩ রান করে মিঠুন ফিরলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি। এছাড়া হারিস ও আব্বাস নেন দুটি করে উইকেট।
পরবর্তীতে আলো স্বল্পতায় আর ব্যাট করতে নামে নি পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:(প্রথম দিন শেষে) –
বাংলাদেশ: ২৩৩/১০ (৮২.৫)
মিথুন ৬৩, শান্ত ৪৪
আফ্রিদি ৪/৫৩, হারিস ২/১১
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ রাহী ও এবাদত হোসেন।
পাকিস্তান একাদশ: শান মাসুদ, আবিদ আলি, আজহার আলী (অধিনায়ক), বাবর আজম, হারিস সোহেল, আসাদ শফিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), ইয়াসির শাহ, মোহাম্মদ আব্বাস, নাসিম শান ও শাহীন শাহ আফ্রিদি।