Tag: পাথরঘাটা

  • পাথরঘাটা বিষ্ফোরণে নিহতদের পরিবারে অনুদানের টাকা তুলে দিলেন মেয়র নাছির

    পাথরঘাটা বিষ্ফোরণে নিহতদের পরিবারে অনুদানের টাকা তুলে দিলেন মেয়র নাছির

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিষ্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারের হাতে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    বুধবার দুপুরে চসিক কনফারেন্স হলে ৮ পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা করে তুলে দেয়া হয়। এছাড়া স্থানীয় কাউন্সিলর ইসমাইল বালী তার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত আব্দুল রাজ্জাক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতি পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেন।

    নিহতরা হলেন, পটিয়ার অ্যানি বডুয়া, কক্সবাজারের উখিয়ার নুরুল ইসলাম, সাতকানিয়ার একই পরিবারের ফারজানা আক্তার (মা) ও আতিকুর রহমান (ছেলে), পটিয়ার রিকশাচালক আব্দুর শুক্কুর, মহেশখালীর ভ্যানচালক মো. সেলিম, লোহাগাড়ার মাহমুদুল হক এবং সম্প্রতি ১৩ দিন মৃত্যুর সাথে হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুবরণ করা পাথরঘাটার আশরাফ আলী রোডের মুসা কলোনির আয়শা মঞ্জিলের চতুর্থ তলার বাসিন্দা অনিল গোমেজ ও ন্যান্সি গোমেজের বড় কণ্যা ডরিন তৃষা গোমেজ (২৩)। নিহতদের পক্ষে তাদের ভাই, স্ত্রী, স্বামী, পিতা এ অনুদানের টাকা গ্রহণ করেন।

    এ ছাড়া দুর্ঘটনার দিন নিহতদের দাফন-কাপন ও সৎকার্য করার জন্য সিটি মেয়রের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা এবং নিহতদের পারিবারিক স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্স সহায়তা ও আহতদের চিকিৎসার সকল ব্যয় ভার বহন করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

    অনুদান প্রদানকালে নিহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে সিটি মেয়র বলেন, পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব নয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এই আর্থিক সহায়তা ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তিনি নিহতদের পরিবারে যেকোন প্রয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

    এ সময় চসিক কাউন্সিলর, ইসমাইল বালী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, সচিব মো. আবু সাহেদ চৌধুরী, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারী, চসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, আইটি অফিসার মো. ইকবাল, মো. হাফিজুর রহমান ও মো. আবদুল রশিদ লোকমান উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য : ১৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণে দেওয়াল বিধ্বস্থ হয়। এ ঘটনায় ৪ জন পুরুষ ২ জন মহিলা ও একজন শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ছিলো ৯ জন।

    এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্কুল শিক্ষিকা তৃষা গোমেজের মৃত্যু হয়অ নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ৮ জনে।

  • পাথরঘাটা গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ : ১৩দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে তৃষা

    পাথরঘাটা গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ : ১৩দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে তৃষা

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ দিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে মারা যায় ডরিন তৃষা গোমেজ। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ এ।

    আজ শুক্রবার ২৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার সময় হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্যটি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া।

    নিহত ডরিন তৃষা গোমেজ (২৩) পাথরঘাটার আশরাফ আলী রোডের মুসা কলোনির আয়শা মঞ্জিলের চতুর্থ তলার বাসিন্দা অনিল গোমেজ ও ন্যান্সি গোমেজের বড় কণ্যা। তিনি ইসলামিয়া কলেজে বি.কম সমাপনী পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং ওই এলাকার সেইন্ট জোন্স গ্রামার স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। বলে জানা গেছে।

    ঘটনার দিন সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে রিক্সা করে সেইন্ট জোন্স গ্রামার স্কুলে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণে দেয়াল ধ্বসে গুরুতর আহত হয়েছিলো ডরিন তৃষা গোমেজ। এ ঘটনায় তৃষার পাজরের হাড় ভেঙ্গে ফুসফুসে ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় তার ব্রেন এবং কিডনিতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

    এরপর থেকে তৃষা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    উল্লেখ্য : ১৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণে দেওয়াল বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৪ জন পুরুষ ২ জন মহিলা ও একজন শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে আরো ৯ জন।

    নিহতরা হলেন, পটিয়ার অ্যানি বডুয়া, কক্সবাজারের উখিয়ার নুরুল ইসলাম, সাতকানিয়ার একই পরিবারের ফারজানা আক্তার (মা) ও আতিকুর রহমান (ছেলে), পটিয়ার রিকশাচালক আব্দুর শুক্কুর, মহেশখালীর ভ্যানচালক মো. সেলিম ও লোহাগাড়ার মাহমুদুল হক।

  • বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা, তদন্ত চলছে

    বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা, তদন্ত চলছে

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছে এ ঘটনায় নিহত রিক্সাচালক মাহমুদুল হকের স্ত্রী শাহীনা আক্তার। সোমবার সকালে তিনি অবহেলাজনিত মৃত্যু ও ক্ষতিসাধনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। 

    মামলায় দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মহসীন। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে তিনি উল্লেখিত নামগুলো জানাতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন তদন্তের আগে যদি আসামিদের নাম প্রকাশ করা হয় তবে তারা পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    এদিকে দুর্ঘটনার পর হতাহতের ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি ও সিএমপি পুলিশ কমিশনার মাহবুবর রহমানের নির্দেশে গঠিত পৃথক অপর তদন্ত টিম আজ সোমবার সকাল থেকে তাদের তদন্ত শুরু করেছে। সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন।

    এসময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, সিডিএ, কেজিডিসিএল ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের উদ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য : ১৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণে দেওয়াল বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৪ জন পুরুষ ২ জন মহিলা ও একজন শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে আরো ৯ জন।

    নিহতরা হলেন, পটিয়ার অ্যানি বডুয়া, কক্সবাজারের উখিয়ার নুরুল ইসলাম, সাতকানিয়ার একই পরিবারের ফারজানা আক্তার (মা) ও আতিকুর রহমান (ছেলে), পটিয়ার রিকশাচালক আব্দুর শুক্কুর, মহেশখালীর ভ্যানচালক মো. সেলিম ও লোহাগাড়ার মাহমুদুল হক।

    হতাহতের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ জেড এম শরিফ হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত টিমের প্রতিবেদন দিতে বলেছেন জেলা প্রশাসক। নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মেহেদী হাসানকে প্রধান করে পৃথক আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সিএমপি। আজ সোমবার সকাল থেকে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে।

    সকালে দুর্ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত কাজে অংশ নেন, নগর বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মঞ্জুর মোরশেদ ও কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা, কেজিডিসিএল এর মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) প্রকৌশলী সারোয়ার হোসেন, উপ-মহাব্যবস্থাপক (কোয়ালিটি কন্ট্রোল) প্রকৌশলী আহসান হাবিব, উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়) প্রকৌশলী আবু জাহের উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্লানিং) প্রকৌশলী শফিউল আলম সহ সংশ্লিষ্টরা।

    তবে এর আগে ঘটনার দিন রাতেই চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্যাস লাইনে লিকেজের কোনো প্রমাণ মেলেনি বলে দাবি করেছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড (কেজিডিসিএল)।

  • নওফেলের ব্যক্তিগত অনুদান : নিহতের পরিবারে ১ লক্ষ, আহত প্রত্যেকে পাবে ২০ হাজার

    নওফেলের ব্যক্তিগত অনুদান : নিহতের পরিবারে ১ লক্ষ, আহত প্রত্যেকে পাবে ২০ হাজার

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের পাথরঘাটার একটি ভবনে বিষ্ফোরণের ঘটনায় নিহত সাতজনের প্রত্যেক পরিবারকে এক লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    এছাড়া আহত প্রত্যেকের চিকিৎসার জন্য নওফেল তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

    আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো মহিবুল হাসান চৌধুরীর জাতীয় সংসদ সদস্যের প্যাডে এসব তথ্য জানিয়েছেন নওফেলের ব্যাক্তিগত সহকারী নাজিউর রহমান সিকদার অনিক।

    তার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আগামীকাল ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পাথরঘাটার দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে সেখান থেকে পাথরঘাটাস্থ ব্রিক ফিল্ড রোডের বড়ুয়া বিল্ডিং পরিদর্শণে যাবেন।

    উল্লেখ্য : ১৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণে দেওয়াল বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৪ জন পুরুষ ২ জন মহিলা ও একজন শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে আরো ৯ জন।

    হতাহতের ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত টিমের প্রতিবেদন দিতে বলেছেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া নিহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার দেওয়ার কথা বলা হয়। আলাদা আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সিএমপি।

  • বিস্ফোরণের ঘটনা খতিয়ে দেখতে সিএমপির আলাদা তদন্ত কমিটি

    বিস্ফোরণের ঘটনা খতিয়ে দেখতে সিএমপির আলাদা তদন্ত কমিটি

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাসের লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের পর দেয়াল ধ্বসে হতাহতের ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে আলাদা তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান। এ কমিটির নেতৃত্ব দেবেন উপ-পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান।

    রবিবার দুপুর ১টার সময় পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোডের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শণে গিয়ে সিএমপি কমিশনার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন। এসময় সিএমপি কমিশনার গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্তের প্রেক্ষিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    দুর্ঘটনার জন্য কারো গাফিলতি আছে কিনা এবং ভবন নির্মাণে নিয়ম নীতি ঠিকমতো মানা হয়েছে কিনা ও কি কারণে এত বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে তা খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে কমিটির তদন্তের উপর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে জানায় সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান।

    উল্লেখ্য : আজ ১৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর দু’টি ভবনের দেয়ালের একাংশ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় ৪ জন পুরুষ ২ জন মহিলাসহ ৭ জন নিহত হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে আরো ১০ জন। এরমধ্যে তিন জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

    হতাহতের ঘটনার পর চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও সিএমপির উদ্ধতন কর্মকর্তা, সিডিএ কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।

    এ ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত টিমের প্রতিবেদন দিতে বলেছেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া নিহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার এবং আহতদের চিকিৎসা সেবার ভার নিয়েছেন চসিক ও জেলা প্রশাসন।

  • নিহতদের মধ্যে পরিচয় মিলেছে ৬ জনের,পরিবারের কাছে হস্তান্তর

    নিহতদের মধ্যে পরিচয় মিলেছে ৬ জনের,পরিবারের কাছে হস্তান্তর

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম স্পেশাল : চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোডের বড়ুয়া বিল্ডিংয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত সাতজনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় মিলেছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনিক সকল কার্য সম্পাদন শেষে পরিচয় পাওয়া নিহত ছয় জনের লাশ তাদের পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছয়জনের লাশ বুঝে নিয়েছে তাদের স্বজনরা। অজ্ঞাত হিসেবে একজনের লাশের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন।

    পরিচয় পাওয়া নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজারের রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক ও ফঁতেখারকুল ইউনিয়নের হাইটুপী গ্রামের নিহার বড়ুয়া প্রকাশ নিহার মাস্টারের মেয়ে অ্যানি বড়ুয়া। তিনি পটিয়ার ঊনাইনপুরা শাহগদী মার্কেট এলাকায় বাসিন্দা পলাশ বড়ুয়ার স্ত্রী এবং পটিয়ার মেহের আটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। অ্যানির মরদেহ তার কাকা মৃদুল বড়ুয়ার কাছে রবিবার বিকেলে হস্তান্তর করা হয়।

    বিস্ফোরণের পর দেয়াল চাপায় নিহত হয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুবের খিল এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩০)। তিনি পেশায় রঙ মিস্ত্রি ছিলেন। দুবছর আগেই বিয়ে করেন নুরুল ইসলাম। বিয়ের পর এক শিশু কণ্যা জন্ম হয়। স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা ও শিশু কণ্যাকে নিয়ে নগরীর শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন বাস্তুুহারা কলোনিতে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন নিহত নুরুল ইসলাম। নিহত নুরুল ইসলামের স্ত্রী সাদিয়া বেগমকে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়।

    একই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন সাতকানিয়া মৌলভির দোকান এলাকার বাসিন্দা আইনজীবি আতাউর রহমানের স্ত্রী জুলেখা খানম ফারজানা (৩০) ও তার বড় ছেলে আতিকুর রহমান শুভ (৭)।

    নিহত স্ত্রী জুলেখা ও নিহত সন্তান আতিকুর রহমান এবং অপর সন্তান আসিফুর রহমান শ্রভ্রকে নিয়ে পাথরঘাটা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। নিহত বড় ছেলে আতিকুর রহমান সেন্ট প্লাসিডস স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণি এবং ছোট ছেলে আসিফুর ব্রাদার ফ্লাভিয়ান স্কুলের নার্সারিতে পড়তেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। নিহত স্ত্রী ও ছেলের মরদেহ বুঝে নেন আতিকুর রহমান।

    চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনে গ্যাসলাইন দুর্ঘটনায় নিহতদের তালিকায় রয়েছে ভ্যানচালক মো. সেলিম। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী। চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় টাইলস মার্কেটে কাজ করতেন নিহত সেলিম। তার স্বজনরা বিকেলে হাসপাতাল মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করে বুঝে নেন।

    এছাড়াও নিহতের তালিকায় রিক্সচালক আবদুস শুক্কুরের লাশ শনাক্ত করেছে তার পরিবার। নিহতের বাড়ি পটিয়ায়। রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় স্বজনরা এসে লাশ শনাক্ত করে লাশ বুঝে নিয়েছেন।

    নিহত সাতজনের মধ্যে বাকি একজনের মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা প্রশাসন চালিয়ে যাচ্ছে জানালেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।

    এদিকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন অন্তত আরো ৯ জন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এদের কয়েকজনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে।

    এদের মধ্যে চট্টগ্রামের পাথরঘাটার ব্রিক ফিল্ড রোডের যে ঘরটি থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয় ওই ঘরের বাসিন্দা সন্ধ্যা নাথ (৪০) ও তার বড় বোনের মেয়ে অর্পিতা নাথ। এদের মধ্যে দগ্ধ অর্পিতা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। আর সন্ধ্যা ভর্তি আছেন ক্যাজুয়ালটি বিভাগে।

    চমেকের অন্য ইউনিটে ভর্তি আছেন পাথরঘাটা সেইন্ট জোন্স গ্রামার স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা ডরিন তৃষা গোমেজ (২৩), ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন রয়েছেন রিকশা আরোহী ইউসুফ (৪০), ইসমাইল (৩০) ও আবদুল হামিদ (৪২)। বিস্ফোরণে ছিটকে আসা দেয়ালের অংশ পড়ে তারা হাতে-মাথায় ও শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাত পেয়েছেন।

  • লাল রঙ্গে সড়ক রাঙ্গিয়ে চিরবিদায় নিলেন রঙমিস্ত্রি নুরুল ইসলাম

    লাল রঙ্গে সড়ক রাঙ্গিয়ে চিরবিদায় নিলেন রঙমিস্ত্রি নুরুল ইসলাম

    ২৪ ঘন্টা স্পেশাল : অন্যের বাসা বাড়ির বিভিন্ন আঙ্গিনা প্রতিদিন রাঙ্গিয়ে দিতে ব্যস্থ থাকতেন রঙমিস্ত্রি নুরুল ইসলাম (৩০)। তবে ১৭ নভেম্বর রবিবার ছিলো তার জন্য বিশেষ একটি দিন। নিজ শরীরের লাল রঙ্গে সড়ক রাঙ্গিয়ে স্ত্রী ও মাত্র এক বছর বয়সী শিশু কণ্যাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে।

    রবিবার সকালে চট্টগ্রামের পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোডের বড়ুয়া বিল্ডিংয়ে গ্যাস লাইনে লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের পর সড়কের উপর ধ্বসে পড়া দেয়ালের চাপায় শেষ হয় রঙ মিস্ত্রি নুরুল ইসলামের জীবন।

    জানা যায়, রঙ মিস্ত্রি নূরুল ইসলাম কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুবের খিল এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে। দুবছর আগেই বিয়ে করেন নুরুল ইসলাম। বিয়ের পর এক শিশু কণ্যা জন্ম হয়। স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা ও শিশু কণ্যাকে নিয়ে নগরীর শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন বাস্তুুহারা কলোনিতে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন নিহত নুরুল ইসলাম।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত নুরুল ইসলামের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে হাসপাতালের পরিবেশ। নিহতের স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা অকালে স্বামী হারিয়ে পাগল প্রায়। তিনি বিলাপ করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছে বারবার। এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় পুরো হাসপাতাল জুড়ে।

    নিহত রঙমিস্ত্রি নুরুল ইসলামের রঙ্রের কাজে অন্যতম সহযোগী ছিলেন তার ভাগ্নে মেহেদী হাসান। ঘটনার দিন তিনিও ছিলেন ঘটনাস্থলে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্ঘটনার আগের দিন রাত থেকেই তার মামার সাথে ওই ভবনে রঙ্ এর কাজ নেন তারা। ওইদিন কাজের অর্ধেক শেষ করতেই তাদের রাত পেরিয়ে যায়।

    সকালে আমি ভবনের ছাদে রঙ্রে কাজ করছিলাম আর মামা ঘুমঘুম চোখে ভবন থেকে নেমে বড়ুয়া ভবনের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন বাসার উদ্দ্যেশে। তার আর বাসায় ফিরে এক বছরের শিশু কণ্যাকে আদর করা হলনা। এর মধ্যেই হঠাৎ বিকট শব্দে সড়কের পাশের দেয়ালটি ধ্বসে পড়ে। এতে চাপা পড়ে মামা। দ্রুত নেমে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সব শেষ হয়ে যায়।

    নিহত মামার সংসারের কথা বলতে গিয়েই অজোর নয়নে অশ্রু ঝরে পড়ছিলো মেহেদির। কান্না জড়িত কণ্ঠে সে বলছেন, তার অবুঝ শিশুটিকে কিভাবে সে বোঝাবে তার বাবা আর ফিরবে না?

    উল্লেখ্য : আজ ১৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর দু’টি ভবনের দেয়ালের একাংশ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় ৪ জন পুরুষ ২ জন মহিলাসহ ৭ জন নিহত হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে আরো ১০ জন। এরমধ্যে তিন জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

    হতাহতের ঘটনার পর চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও সিএমপির উদ্ধতন কর্মকর্তা, সিডিএ কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।

    এ ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত টিমের প্রতিবেদন দিতে বলেছেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া নিহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার এবং আহতদের চিকিৎসা সেবার ভার নিয়েছেন চসিক ও জেলা প্রশাসন।

  • দেয়ালের নিচেই চিরতরে ঘুমালেন শিক্ষিকা অ্যানি বড়ুয়া!

    দেয়ালের নিচেই চিরতরে ঘুমালেন শিক্ষিকা অ্যানি বড়ুয়া!

    ২৪ ঘন্টা স্পেশাল : পটিয়ার মেহেরআটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অ্যানি বড়ুয়া (৩৮)। পিএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করতে বাসা থেকে বের হয়ে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের বড়ুয়া বিল্ডিংয়ের সামনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন সহকর্মীর জন্য।

    তার এ অপেক্ষার পালা হয়তো শেষ তবে তিনি আর কখনো শিক্ষার্থীদের পড়াবেন না, চিরতরে হারিয়ে গেছেন ঘুমের রাজ্যে। সকাল ৯টার সময় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ আর তার গায়ের উপর ধ্বসে পড়া দেয়াল তাকে নিয়ে গেছে অচেনা রাজ্যে।

    ঘটনাস্থলেই দেয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তার। চিরতরে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। রবিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোডে বড়ুয়া বিল্ডিংয়ের নিচতলায় গ্যাস লাইনে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ৭ জনের একজন হলেন অ্যানি বড়ুয়া।

    নিহত অ্যানি পটিয়া উপজেলার উনাইনপুরার পলাশ বড়ুয়ার স্ত্রী। তার স্বামী ও দুই ছেলে অভিষেক-অভিজিৎকে নিয়ে পাথরঘাটার দুর্ঘটনা কবলিত ভবনের পাশের একটি বিল্ডিংয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন অ্যানি। স্বামী পলাশ বড়ুয়া শিকলবাহা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্র প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। বড় ছেলে অভিষেক চলতি বছরে জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে এবং ছোট ছেলে অভিজিৎ ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করছেন বলে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যানির ছোট ভাই অনিক বড়ুয়া জানিয়েছেন তার দিদি অ্যানি বড়ুয়া রবিবার সকালে পাথরঘাটার একটি বাসায় বিস্ফোরণের পর সড়কের পাশের দেয়াল ধ্বসে চাপা পড়ে মারা গেছেন। তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার দুই ছোট ছোট ভাগ্নের কি হবে? তাদের যে আমি কোন ভাবেই বোঝাতে পারছিনা, কে থামাবে তাদের কান্না?

    অ্যানির স্বামী পলাশ হাসপাতালে স্বজনদের জড়িয়ে ধরে বিলাপ করতে করতে সংবাদ কর্মীদের বলছেন, আমার স্ত্রী প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করতে সকাল থেকেই ব্যস্থতায় ছিলেন। আজ প্রথম পরীক্ষা তাই তার পড়নের শাড়িটিও আমি পছন্দ করে দিয়েছি। কিন্তু তখনও যদি জানতাম পড়নের এ শাড়িটি পড়েই আমাদের ফাঁকি দেবে তবে আমি পছন্দ করতাম না, স্কুলে পাঠাতাম না।

    পলাশ বড়ুয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরো বলেন, অন্যান্য দিনের চাইতেও আরো আগে আজ দ্রুত বাসার কাজ শেষ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার উদ্দ্যেশে ঘর থেকে বের হয়েছেন অ্যনি। পাশের ভবন বড়ুয়া বিল্ডিংয়ের সামনে সহকর্মীর জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। আমিও একটু পরে বের হচ্ছিলাম। এরমধ্যে শুনি স্কুলে পৌঁছানোর আগেই গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণে বড়ুয়া বিল্ডিংয়ের দেয়াল ধ্বসে সেখানেই চাপা পড়েছেন অ্যানি। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সব শেষ!

    তিনি স্বজনদের জড়িয়ে ধরে বলছেন, কে দেখবে এখন আমাদের মানিক জোরদের। কি সান্তনা দিবো আমি তাদের? এতো তাড়াতাড়ি তো তোমার চলে যাওয়ার কথা ছিলো না অ্যনি, তবে কেন কিসের এতো তাড়া ছিলো তোমার?

    উল্লেখ্য : আজ ১৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর দু’টি ভবনের দেয়ালের একাংশ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় ৪ জন পুরুষ ২ জন মহিলাসহ ৭ জন নিহত হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে আরো ১০ জন। এরমধ্যে তিন জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

    হতাহতের ঘটনার পর চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও সিএমপির উদ্ধতন কর্মকর্তা, সিডিএ কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।

    এ ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত টিমের প্রতিবেদন দিতে বলেছেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া নিহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার এবং আহতদের চিকিৎসা সেবার ভার নিয়েছেন চসিক ও জেলা প্রশাসন।

  • পাথরঘাটা বিস্ফোরণ : নিহতের পরিবার পাচ্ছে ২০ হাজার টাকা, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

    পাথরঘাটা বিস্ফোরণ : নিহতের পরিবার পাচ্ছে ২০ হাজার টাকা, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানা পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোড বড়ুয়া ভবনে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বিষ্ফোরণের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন। তিনি আজ রবিবার বেলা পৌণে ১২টার সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এ নির্দেশনা দেন।

    তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সিডিএ, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ সমন্বয়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেটকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

    এছাড়া জেলা প্রশাসক উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ৭ জনের দাফন কাফনের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ দেওয়া হবে এবং জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন যৌথভাবে আহতদের চিকিৎসা সেবার দায়িত্ব নিয়েছেন।

    এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও সিএমপির উদ্ধতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

    এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনার পর সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের নির্দেশে সিডিএর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলামসহ একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে প্রাথমিক তদন্তে বলেছেন দুর্ঘটনা কবলিত ভবনটি নিডিএর বিধি অনুযায়ী হয়নি।

    সড়কের জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছে সেপটিক ট্যাংক তার পাশে কিচেন এবং গ্যাসের রাইজার রাখা ছিলো। ফলে সেপটি ট্যাংকের জমে থাকা গ্যাস ও গ্যাস লাইনের লিকেজ একসাথে হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে সিডিএর এ পরিকল্পনাবিদ।

  • পাথরঘাটায় বিদ্যুৎস্পর্শে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু

    পাথরঘাটায় বিদ্যুৎস্পর্শে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু

    বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় বিদ্যুৎস্পর্শে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের খাসতবক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন, খাসতবক গ্রামের মান্নানের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৬৫), তার ভাইয়ের ছেলে রাসেল (১৪) ও ভাইয়ের স্ত্রী হামিদা বেগম (৩৫)।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পাশে সুপারি গাছ থেকে সুপারি পাড়তে গেলে পল্লী বিদ্যুতের একটি বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে ওই তিন জনের উপর পড়ে। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে তিন জনেরই মৃত্যু হয়।

    কাকচিড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাদল পহলান জানান, সকালে দেলোয়ার মিয়া বাগান থেকে সুপারিগাছ কাটতে গেলে ওই গাছ হেলে পড়ে পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়।

    এতে প্রথমে দেলোয়ারের বিদ্যুৎর্স্পশ হয়। তার চিৎকারে ভাইয়ের ছেলে মো. রাসেল ও পরে ভাইয়ের স্ত্রী হামিদা এগিয়ে এলে তিনজনই বিদ্যুৎস্পর্শে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

    এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের লাইন টেকনিশিয়ান মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, আমাদের কাছে কোনো ইনফরমেশন না জানিয়ে ২৪০ ভোল্টেজ পাওয়ার কভারবিহীন তারের পাশ থেকে সুপারি ও কাঁঠালগাছ কাটতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।