কামরুল ইসলাম দুলু:একদিকে করোনা আতঙ্ক বাড়ছে অন্যদিকে বাড়ছে চুরি-ডাকাতী। সীতাকুণ্ডে প্রতিদিনই কোন না কোন জায়গায় ঘটছে চুরি-ডাকাতীর ঘটনা। বাড়ছে আইন শৃংখলার অবনতি।উপজেলার পৌরসদর আমিরাবাদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল সোমবার (৮ জুন) রাতের কোন একসময় চোরের দল মসজিদের অযুখানা ও বাথরুমের পানির ট্যাবগুলো খুলে নিয়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার ভোরে মুসল্লিরা ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে দেখতে পান মসজিদের সবগুলো পানির ট্যাব চুরি করে নিয়ে গেছে।
এই ঘটনায় মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও কুমিরা আবাসিক বালিকা স্কুল ও কলেজের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মোঃ হোসাইন জানান, ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়।
সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, চোরের দল মসজিদের মুল্যবান পানির সব ট্যাবগুলো চুরি করে নিয়ে যাওয়াতে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে ব্যাঘাত সৃষ্টি হলো। চুরি হওয়া পানির ট্যাবগুলোর মূল্য প্রায় ১৮ হাজার টাকা। মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলাপ আলোচনা করে এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সীতাকুণ্ডে হঠাৎ খুন-খারাবি বেড়ে যাচ্ছে। এলাকার বখাটে প্রকৃতির কিশোর-যুবকরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন তোয়াক্কা না করে তুচ্ছ বিষয়েও খুনের মত ঘটনা ঘটিয়ে বসতে পিছপা হচ্ছে না। এভাবে গত ১০ মাসে এখানে অন্তত ১০টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আছে ডাবল মার্ডারও। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে সচেতন মহলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে সীতাকুণ্ডে আইন-শৃঙ্খলার ক্রমশ অবনতি ঘটতে শুরু করেছে। চুরি-ছিনতাইয়ের মত ঘটনা
তো আছেই। কিন্তু এলাকাবাসীকে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে একের পর এক খুনের ঘটনা।
থানায় মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় গত ১০ মাসে হত্যার ঘটনা ঘটেছে ১০টি ! অর্থাৎ গড়ে প্রতি মাসে কমপক্ষে একটি হত্যাকান্ড ঘটেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ বলেন, আসলে এখানে যেসব খুন হচ্ছে সেগুলো বড় ধরণের পরিকল্পিত হত্যাকান্ড না। এগুলোর বেশিরভাগই জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে উত্তেজিত হয়ে খুন করেছে তারা। আমরা অধিকাংশ আসামিই গ্রেপ্তার করেছি। তবুও মাঝে মাঝে হয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার সীতাকুণ্ডের মুরাদপুরে নাতির হাতে খুন হন নানা।
২৪ ঘণ্টা/এম আর