Tag: পাবনা

  • পাবনা-৪ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন নুরুজ্জামান বিশ্বাস

    পাবনা-৪ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন নুরুজ্জামান বিশ্বাস

    পাবনা ৪ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ঈশ্বরদী উপজেলার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাস। তিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ অঞ্চলে মুজিব বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেন।

    রোববার (৩০ আগস্ট) বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাকে মনোনীত করা হয়।

    দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিকেল চারটায় শুরু হওয়া এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল ফারুক খান, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।

    সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুজ্জামান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হওয়া এ আসনটিতে প্রার্থী হতে ডিলু পরিবারের আট সদস্য দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।

    ডিলু পরিবারের বাইরে গিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে দলীয় মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সরকারি উন্নয়ন কাজে বাধা দেয়ায় ছাত্রলীগ নেতা আটক

    সরকারি উন্নয়ন কাজে বাধা দেয়ায় ছাত্রলীগ নেতা আটক

    সরকারি উন্নয়ন কাজে বাধা ও ওই কাজের ঠিকাদারকে মারপিট করে চাঁদাবাজির অভিযোগে পাবনার সাথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল খান ছানাকে আটক করেছে পুলিশ।

    শনিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে সাথিয়া থেকে তাকে আটক করা হয়।

    সাথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড সাথিয়া বাইপাস সড়ক নির্মাণ করছেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল খান ছানা বেশ কিছুদিন ধরে ওই ঠিকাদারের কাজ বন্ধ করে দেয়াসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে বাধা দিচ্ছিলেন। এরই জেরে শনিবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানটির প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রল্লাদ কুমারকে ব্যাপক মারপিট করেন তিনি। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে।

    এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ৩টার দিকে সাথিয়া বাইপাস সড়কে কাজ করছিলেন কিছু শ্রমিক। এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল খান ছানা তার দলবল নিয়ে শ্রমিকদের বেধড়ক মারপিট করেন। এসময় শ্রমিকরা দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করে পালিয়ে যায়। ১০ লাখ টাকা না দিলে কাজ করতে পারবেন না বলেও এসময় গালিগালাজ করতে থাকেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। পরে কয়েকজন শ্রমিক পাশে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মেহেদী হাসানকে অবহিত করলে তিনি ৯৯৯ এ ফোন দেয়ার পরামর্শ দেন। পরে তারা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে।

    এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ছানা এর পূর্বেও এ ধরণের কাজ করেছেন। তার গুণ্ডামিতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এর নিরসন হওয়ার দরকার বলে আমি মনে করি।

    এ ঘটনার পরপরই এজাহার দিতে থানায় যান প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রল্লাদ কুমার। তাই তাৎক্ষণিকভাবে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পাবনায় ২২৯ বস্তা ত্রাণের চালসহ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আটক

    পাবনায় ২২৯ বস্তা ত্রাণের চালসহ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আটক

    পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কোরবান আলী (৬০) কে ২২৯ বস্তা ত্রাণের (ভিজিএফ) চালসহ আটক করেছে র‍্যাব।

    সোমবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বেড়া উপজেলার বাঁধেরহাটে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গোডাউন থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন র‍্যাব -১২ পাবনা ক্যাম্পের কমান্ডার আমিনুল কবির তরফদার ।

    তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কোরবান আলী তার ইউনিয়ন পরিষদের দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ ২২৯ বস্তা ত্রাণের চাল আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে বাঁধেরহাটে তার ব্যক্তিগত গোডাউনে লুকিয়ে রেখেছেন। এর পর একটি টিম নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেই গোডাউনে অভিযান চালাই। সেখানে ওই চাল উদ্ধারসহ চেয়ারম্যান কোরবান আলীকে আটক করি।

    ভিজিএফের চাল আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে আমিনপুর থানায় চেয়ারম্যান কোরবান আলীর বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার ওসি মঈনুদ্দিন।

    এদিকে কোরবান চেয়ারম্যান আটক হওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

  • সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত ৩

    সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত ৩

    সড়ক দুর্ঘটনায় দেশের দুই জেলায় এক পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে ফরিদপুরে এক পুলিশ সদস্য এবং পাবনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

    ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় পাথর বোঝাই ড্রাম ট্রাক চাপায় মো. ইউনুস শিকদার (৫২) নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। সকালে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের নির্মাণাধীন বগাইল টোল প্লাজার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত ইউনুস বরিশাল জেলার বানারীপাড়ার সোনাহার গ্রামের মৃত কাঞ্চন আলী শিকদারের ছেলে ও ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল ছিলেন।

    পুলিশ জানায়, হাইওয়ে পুলিশের একটি দল রাত্রিকালীন ডিউটি শেষে সকাল ৬টায় থানার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গাড়িটি থামাতে বলেন ইউনুস। এ সময় সে সড়কের অপরপাশে যাওয়ার সময় দ্রুতগতিতে আসা পাথর বোঝাই একটি ড্রাম ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাদারীপুর রিজিওন (ফরিদপুর) মো. সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাক ও হেলপারকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ট্রাকের চালক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহতের স্ত্রী সালমা বলেন, ‘মাত্র ১০ দিন আগে কাটাখালী থানা থেকে বদলি হয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় যোগদান করে আমার স্বামী। আজ শুক্রবার আমাকে নিয়ে ভাঙ্গায় নতুন ভাড়া বাসায় ওঠার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হলো না। এখন আমার একমাত্র সন্তান ফাহাদকে (৮) নিয়ে কীভাবে বাঁচব!’

    এদিকে পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে আতাইকুলা থানার মধুপুর এলাকায় কাভার্ডভ্যান ও মিনি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকের এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

    নিহতরা হলেন- জেলার আতাইকুলা থানার মধুপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ (৪০) ও একই থানার ভবানীপুর গ্রামের বাবু হোসেন (৫০)।

    পাবনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক দুলাল মিয়া জানান, একটি মিনি ট্রাকে কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পাবনার হাজিরহাটে যাচ্ছিলেন।পথে মধুপুরে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ট্রাকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল হামিদ মারা যান এবং চারজন আহত হন।

    তিনি জানান, খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত চারজনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবু হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে চুল কেটে নির্যাতন, স্বামী আটক

    গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে চুল কেটে নির্যাতন, স্বামী আটক

    পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে খাদিজা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করে চুল কেটে দিয়েছে তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি।

    বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খাদিজা ওই গ্রামের শাহেদ ফকিরের স্ত্রী।

    এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভাঙ্গুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজা খাতুন জানান, তিনি দুই সন্তানের জননী। পারিবারিক অভাব-অনটন নিয়ে মাদকাসক্ত স্বামী শাহেদ হোসেনের সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে খাদিজার শোবার ঘরে ঢুকে তার স্বামী শাহেদ, শ্বশুর মালেক ফকির ও শাশুড়ি শাহিদা খাতুন তাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে কাঁচি দিয়ে চুল কেটে দেন।

    পরে এ ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ না করার শর্তে খাদিজাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ভোরে সুযোগ বুঝে খাদিজা বাড়ি থেকে পালিয়ে পাশে তার মামা আবুল কালামের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

    মামলার পর শুক্রবার দুপুরে স্বামী শাহেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মাসুদ রানা জানান, হাসপাতালে গৃহবধূর খোঁজখবর নিয়েছেন। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

  • ঈশ্বরদীতে বিজয় শোভাযাত্রায় এমপি পুত্রের হামলা,মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত ২৫

    ঈশ্বরদীতে বিজয় শোভাযাত্রায় এমপি পুত্রের হামলা,মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত ২৫

    পাবনার ঈশ্বরদীতে সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য পুত্র শিরহান শরিফ তমাল ও তার ক্যাডারদের বিরুদ্ধে বিজয় দিবসের শোভাযাত্রায় পণ্ড করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।

    রবিবার সকালে ঈশ্বরদীর পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে ঈশ্বরদী পৌর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

    ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাস বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে ঈশ্বরদী পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা একটি বিজয় শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের কাছাকাছি পৌঁছালে সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর পুত্র উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনির নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত ভাবে আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান বিশ্বাসের ওপর হামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করে।

    তিনি বলেন, এ সময় আমরা তাকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে ব্যাপক মারপিট করে। এতে আমিসহ আমার পিতা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মতলেব হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়।

    হামলায় আহত মুক্তিযোদ্ধা

    গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল মতীন, মতলেব হোসেন ও আবু সাঈদকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

    এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরিফ তমালের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা কারওর ওপর হামলা চালাই নাই।

    মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলা করার প্রশ্নই ওঠে না। বরং পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর নির্দেশে পুলিশ অহেতুক আমাদের শোভাযাত্রায় হামলা করে নেতাকর্মীদের মারপিট করেছে।
    ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাদের বিজয় দিবসের শোভাযাত্রায় হামলা করে রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ নেতাকর্মীদের আহত করা হলো। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই ও বিচার দাবি করি।

    তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতেই এই ন্যক্কারজনক হামলা করেছে। পুলিশের সামনে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জুবায়ের বিশ্বাস ও এমপি পুত্র তমালের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরই জেরে বিজয় দিবসের র‌্যালিতে উত্তেজনা ও সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এমপিপুত্র তমাল ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাসের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই জের ধরে তমাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার হুমকি দিয়ে স্ট্যাটাস দেয়। জুবায়ের বিশ্বাসও পাল্টা রাজপথে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে স্ট্যাটাস দেয়।

    শোভাযাত্রায় হামলার ঘটনায় দুই গ্রুপের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা স্থানীয়দের।

  • ছেলের হাতে বাবা খুন

    ছেলের হাতে বাবা খুন

    পাবনার চাটমোহরে ছেলে ইসমাইল হোসেনের ছুড়ে মারা ইটের আঘাতে খুন হয়েছেন বাবা খন্দকার ছানোয়ার হোসেন (৫৭)।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত ছানোয়ার হোসেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে এবং তিনি হরিপুর পোস্ট অফিসের পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    স্থানীয়রা জানান, বিকেলে ছেলে ইসমাইলের স্ত্রীর সাথে তার মায়ের তর্ক-বিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ খবর শুনে ইসমাইল বাড়িতে ফিরে তার মাকে মারতে উদ্যত হলে বাবা ছানোয়ার তাকে বাধা দেন। এ সময় তিনি লাঠি দিয়ে ছেলে ইসমাইলকে মারতে শুরু করলে তিনি দৌড় দেন। একপর্যায়ে রাস্তা থেকে ইট তুলে তার বাবাকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন ইসমাইল। মাথায় ইটের আঘাত লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবা ছানোয়ার। এ সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।

    প্রথমে তাকে হরিপুর বাজারের পল্লি চিকিৎসক রতন কুমারের কাছে নিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। সেই সাথে অভিযুক্ত ছেলে ইসমাইলকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • লোকোমাস্টার ছাড়াই ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ট্রেন গেল রাজশাহীতে

    লোকোমাস্টার ছাড়াই ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ট্রেন গেল রাজশাহীতে

    পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে পাবনা হয়ে রাজশাহী গেল চালক ছাড়াই। পাকশী বিভাগীয় রেলের ঈশ্বরদীতে রোববার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ঈশ্বরদী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক লোকো মাস্টার (এলএম) আসলাম উদ্দিন খান মিলন, শ্রমিক লীগের একই কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও ওই ট্রেনের সহকারী লোকো মাস্টার (এএলএম) আহসান উদ্দিন আশা এবং ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আনোয়ার হোসেনকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়।

    রেলওয়ে সূত্র জানায়, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক (এলএম) আসলাম উদ্দিন খান মিলন ট্রেনে না উঠে তার সহকারী আহসান উদ্দিন আশাকে দিয়ে রোববার ট্রেনটি ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে রাজশাহী পাঠান।

    এ ঘটনাটি ট্রেনের গার্ড জানলেও তিনি রেল কর্তৃপক্ষের কাউকে না জানিয়ে সহকারী এলএমকে নিয়ে ট্রেনটি পরিচালনা করেন।

    এ খবর জানার পর বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আব্দুল্লাহ আল-মামুন ট্রেনের গার্ডকে এবং বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ডিএমই লোকো) আশিষ কুমার চক্রবর্তী চালক ও সহকারী চালককে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

    পাকশী বিভাগীয় রেলের এই দুই কর্মকর্তা পৃথক পৃথকভাবে এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে দেশ বলেন, ট্রেন সময়মতো না ছাড়লেও একজন পূর্ণাঙ্গ চালক (এলএম) ছাড়া কোনো ট্রেন চালানোর সুযোগ রেলওয়েতে নেই, যেটি রোববার পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঘটেছে।

    চালক ছাড়া ট্রেনটি রাজশাহী পৌঁছার পর রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এ তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য চালক ও গার্ডকে দিয়ে ফিরতি ট্রেন পাঠান ঈশ্বরদীতে।

    ফিরতি ট্রেনের যাত্রীরা এ ঘটনা শুনে আতঙ্ক ও বিস্ময় প্রকাশ করেন।

    রেলওয়ে সূত্র জানায়, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে প্রতিদিন মাঝগ্রাম জংশন, দাশুড়িয়া, টেবুনিয়া স্টেশন হয়ে প্রথমে পাবনা স্টেশনে যায়। পাবনা থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন হয়ে রাজশাহী যায়। ফিরতি সময়ে রাজশাহী স্টেশন থেকে পাবনা হয়ে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ফিরে আসে ট্রেনটি।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেল সূত্র জানায়, এই নিয়ম না মেনে প্রায়ই এই ট্রেনের চালক ও রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন খান মিলন বাইপাস স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন, আবার মাঝেমধ্যেই তিনি তার সহকারীকে দিয়ে ট্রেন রাজশাহীতে পাঠিয়ে থাকেন।