Tag: পারটেক্স গ্রুপ

  • করোনায় মারা গেলেন পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম

    করোনায় মারা গেলেন পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম

    নভেল করোনাভাইরাস(কোভিড-১৯) কেড়ে নিল দেশের আরো এক শীর্ষ শিল্পপতিকে। বিশিষ্ট শিল্পপতি, পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হাসেম গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

    জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পপতি এম এ হাসেমকে নিয়ে বুধবার দিনভর ছিল স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। রাত ১টা ২০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় বাঁচানোর সব চেষ্টাই ব্যর্থ, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন টানা এক সপ্তাহ লাইফ সাপোর্টে থাকা এই শিল্পপতি।

    এম এ হাসেমের ছেলে শওকত আজিজ রাসেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পিতার মৃত্যুর খবরটি জানান। শওকত আজিজ তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘আমার বাবা এম এ হাসেম (৭৮) আজ ২৪ ডিসেম্বর রাত ১টা ২০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’ শওকত আজিজ তাঁর বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

    কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার পর গত ১১ ডিসেম্বর এম এ হাসেমকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত ১৬ ডিসেম্বর তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

    তামাক ও ভোগ্য পণ্যের ব্যবসা দিয়ে শুরু করে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীর কাতারে উঠে আসেন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এম এ হাসেম। ড্যানিশ কনডেন্সড মিল্কের মাধ্যমে দেশে তিনিই প্রথম গড়ে তোলেন কনডেন্সড মিল্ক কারখানা।

    শিল্পপতি এম এ হাসেম ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ আসন থেকে ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন তিনি।

  • আলেচিত পুলিশ সুপার হারুনকে বদলি

    আলেচিত পুলিশ সুপার হারুনকে বদলি

    নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদকে ঢাকায় পুলিশ অধিদপ্তরে পুলিশ সুপার (টিআর) পদে বদলি করা হয়েছে।

    রোববার (৩ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ বদলি করা হয়।

    এর আগে গত ১ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে পারটেক্স গ্রুপের কর্ণধার আবুল হাসেমের ছেলে আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেলের গুলশানের বাসভবন থেকে তার স্ত্রী ফারহা রাসেল এবং পুত্র আহনাফ রাসেলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে এসপি হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন আম্বার চেয়ারম্যান রাসেল।

    আম্বার চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছিলেন, আম্বার ডেনিম থেকে ৮ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন হারুন অর রশীদ। এই চাঁদার টাকা না পেয়ে গত বুধবার তার ব্যক্তিগত গাড়ি জব্দ করা হয়। পরে ১ নভেম্বর গভীর রাতে তার গুলশানের বাড়িতে ৫০-৬০ জন ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশ ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে হানা দেন এসপি হারুন।

    রাসেল আরও অভিযোগ করেন, তার বাড়িতে গিয়ে প্রতিটি রুম তছনছ করা হয়। এক পর্যায়ে তার স্ত্রী ফারাহ রাসেল এবং আনাফ রাসেলকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নারায়ণগঞ্জে। তার গাড়ি চালক সুমনকে মাদক ও গুলি দিয়ে আটক করা হয়। এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আম্বার চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেলকেও আসামি করা হয়।

    এদিকে রাসেলের বাড়িতে মধ্যরাতে অভিযান চালানো এবং সেখান থেকে তার স্ত্রী-পুত্রকে আটক করার ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।

    এর আগে ২ নভেম্বর পারটেক্স গ্রুপের কর্ণধার আবুল হাসেম ও তার স্ত্রীকে এসপি অফিসে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে বিকেলের দিকে শওকত আজিজ রাসেলের ছেলে ও স্ত্রীকে তাদের হেফাজতে ছেড়ে দিয়ে গাড়ি চালক সুমনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

    এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় শওকত আজিজ রাসেল ও চালক সুমনকে আসামি করে মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছিল।