Tag: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী

  • পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর করোনা আক্রান্ত

    পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর করোনা আক্রান্ত

    পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারের বর্তমান মন্ত্রিসভার কোনো সদস্য হিসেবে তিনিই প্রথম করোনায় আক্রান্ত হলেন।

    শনিবার (৬ জুন) কক্সবাজার ল্যাবের পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে।

    বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুইপ্রু মারমা শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মন্ত্রী বর্তমানে বান্দরবানে তার বাসভবনে আইসোলেশনে আছেন। গত ৩ জুন তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

    বান্দরবান সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. প্রত্যুষ পল বলেন, শনিবার ( ৬ জুন) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংসহ মোট ৯ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। শনিবার কক্সবাজার ল্যাবে পরীক্ষায় তারা পজিটিভ শনাক্ত হন।

    ‘কিছু দিন আগে মন্ত্রী শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তার ডায়বেটিসও রয়েছে। কোভিড-১৯ ধরা পড়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রবিবার তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকা সিএমএইচে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।”

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোস্তফা খালেদও মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগ থে‌কে জানা গে‌ছে, বান্দরবান জেলায় শ‌নিবার ৯ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৬ জনে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শনাক্ত রোগী আছেন ৬ জন। উপসর্গ থাকা নমুনা সংগ্রহ করা রোগী আছেন ৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৪ জন।

    আওয়ামী লীগ নেতা বীর বাহাদুর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

    ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তির আগে সংলাপ কমিটির একজন সদস্য ছিলেন তিনি।

    দুই মেয়াদে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা বীর বাহাদুর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয় সংসদে হুইপের দায়িত্বও পালন করেছেন।

    জাতীয় সংসদে ছয়বার বান্দরবানের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করা বীর বাহাদুর উশৈসিং ২০১৪ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

    ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করলে তাকে ওই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আজ পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২ বছর পূর্তি

    আজ পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২ বছর পূর্তি

    আজ ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২ বছর পূর্তি। ১৯৯৭ সালের এই দিনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সঙ্গে ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিরাজমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়।

    দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

    পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এর নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় দিবসটি উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

    শান্তিচুক্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে দৈনিক ভোরের কাগজ আয়োজিত আজ এক গোলটেবিল আলোচনায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

    তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে, চুক্তির বাকি ধারাগুলোও বাস্তবায়ন হবে, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।

    তিনি বলেন, ‘সরকার পার্বত্য এলাকার মানুষকে অনেক গুরুত্ব দেয় এবং মূল্যায়ন করে। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। এই চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেছেন।’

    পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তিতে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

    তৎকালীন শান্তি বাহিনীর সদস্যদের সশস্ত্র আত্মসমর্পণের স্থান খাগড়াছড়িতে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করা হয়েছে। ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও আনন্দ-উৎসবমুখর পরিবেশে পালনের জন্য খাগড়াছড়িতে গ্রহণ করা হয়েছে ৩ দিনের নানা কর্মসূচী। দিবসটিকে ঘিরে স্থানীয় প্রশাসন খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থাও গ্রহণ করেছে।

    পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সেনা রিজিয়ন গৃহীত ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচীতে রয়েছে আজ ১ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি মেলা, ২ ডিসেম্বর সোমবার সকাল সোয়া ৮টায় পরিষদ প্রাঙ্গণে ২২টি স্মারক বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দিনের আনুষ্ঠানিকতা। সকাল সাড়ে ৮টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শাপলা চত্বর হয়ে খাগড়াছডি টাউন হলে গিয়ে শেষ হবে। পরে টাউন হল চত্বরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এর পর বর্ণিল ডিসপ্লে প্রদর্শিত হবে।

    সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি টাউন হল প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘শান্তি চুক্তি একটি ঐতিহাসিক অর্জন‘ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

    রাঙামাটিতেও দিবসটি উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন।

    এদিকে শান্তিচুক্তির ২২ বছরপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে চুক্তির যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।