সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার পৌর সদর এর আমিরাবাদ এলাকায় সংগীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ এর চাচা মৃত সন্তোষ চন্দ্র দে’র পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্ঠায় ব্যর্থ হয়ে এই কণ্ঠশিল্পীর নামে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, এই প্রখ্যাত শিল্পীর দাদা মৃত অশ্বীনি বাবুর খরিদকৃত সম্পত্তি এক তৃতীয় অংশ তাঁর ছোট ভাই অনন্ত কুমার দে কে বন্টন নামায় উল্লেখ করে দান করে যান। বন্টন নামার শর্তভঙ্গ করে দান করা সম্পত্তি দানকরা ব্যক্তির ওয়ারিশদের অনুমতি না নিয়ে দফায় দফায় অন্যত্র বিক্রয় করার কারনে চলাচলের রাস্তায় বাঁধা দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে শর্তভঙ্গ করে।
বিষয়টি সমাধানের চেষ্টায় শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ এর চাচী মা তাপসী রানী দে পৌর মেয়র, সীতাকুণ্ডর ভূমি অফিস থেকে বিজ্ঞ আদালত পর্যন্ত গড়ায় (মামলা নং-৫২৬/২০)। মামলা দায়েরে আদালত দলিল পত্র বিশ্লেষণ করে উভয় পক্ষকে বিরোধীয় ভূমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সীতাকুণ্ড থানার দায়িত্বেরত ওসি কে নির্দেশ দেন।
প্রতিপক্ষরা দিলীপ দে প্রকাশ দানু ও তার ভাই প্রদীপ দে প্রকাশ নুনু, বিরোধীয় সম্পত্তিতে অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক গৃহ নির্মানের জন্য মাটি খননের কাজ করতে গেলে তাপসী রানীর ও তাঁর ভাতুষ পুত্র চন্দন কাজে বাঁধা প্রদান করে। নির্মাণ শ্রমিকরা কাজ বন্ধ না করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলো এমন দৃশ্য ভিডিও করাতে দিলীপ দে কন্যা মুক্তি দে যিনি সম্পদের কোন মালিক নই সে চন্দন কে দাম্ভিকতার সুরে হুমকি প্রদান করে। এতে চন্দন ঘটনাস্থল থেকে সরে আসে। ওইদিনে বিষয়টি থানাতে অভিযোগ করা হয়।
পরের দিন উক্ত স্থানে বহিরাগত ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করে। পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে সন্তাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে নিমার্ণ শ্রমিকসহ ৫জনকে ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে সংগীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ এর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেন দিলীপ দে ও প্রদীপদের পরিবারের লোকজন।
বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে।
এবিষয়ে মামলার বাদি তাপসী রানী বলেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক কাজ করায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। তাদের গ্রেফতারের সাথে বিশ্বজিৎ এর কোন সম্পৃকততা নেই। বিশ্বজিৎ শিল্পী হিসেবে দেশের সুনাম অর্জন করে চলেছে। ভিত্তিহীন কথা বলে তাঁর সম্মান ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।
এবিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল আলম বলেন, কন্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ সাথে আমার কোন কথা হয়নি। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ ভঙ্গ করে জোরপূর্বক কাজ করায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়।
২৪ ঘণ্টা/দুলু