Tag: পাহাড় কাটা

  • পাহাড় কাটার সময় মাটিচাপা পড়ে ৩ রোহিঙ্গা নিহত

    পাহাড় কাটার সময় মাটিচাপা পড়ে ৩ রোহিঙ্গা নিহত

    কক্সবাজারের উখিয়ায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটিচাপা পড়ে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ একজনকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।

    বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলার উখিয়া সদরের মুহুরিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১-ইস্ট এর বাসিন্দা আব্দুল মোতালেবের ছেলে জাহিদ হোসেন (২৩), ৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ওয়ারেসের ছেলে ছৈয়দ আকবর (২০) ও অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, মুহুরিপাড়া এলাকার নেছার আহমদের বাড়ির পাহাড় কেটে সমতল করার কাজ করছিল একদল রোহিঙ্গা শ্রমিক। মাটি কাটার এক পর্যায়ে ওপরে থাকা নেছার আহমেদের বাড়ির আঙিনা অংশের পাহাড় ধসে পড়লে কর্মরত তিন শ্রমিক মাটিতে চাপা পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা একজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স’র স্টেশন ইনচার্জ এমদাদুল হক জানান, বুধবার সকালে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

  • পাহাড় কাটার অভিযোগে খুলশী ক্লাবের সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা

    পাহাড় কাটার অভিযোগে খুলশী ক্লাবের সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা

    পাহাড় কাটার অভিযোগে চট্টগ্রামের অভিজাত খুলশী ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. রফিজ উদ্দিন বাবুলের (৫৪) বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। মামলায় ক্লাবের কেয়ারটেকার মোহাম্মদ হাসান উদ্দিনসহ (৩০) আটজনকে আসামি করা হয়েছে।

    বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খুলশী থানায় মামলা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসাইন।

    এর আগে পাহাড় কাটার সময় ৬ জনকে আটক করে পুলিশ। আটকদের পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে রফিক উদ্দিনের বাবুলের বিরুদ্ধে। তবে পরে তিনি কৌশলে পালিয়ে যান বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

    পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, পাহাড় কাটার অভিযোগ পেয়ে খুলশীর ফয়স লেক এলাকায় পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালানো হয়। এসময় খুলশী ক্লাবের পাশের একটি পাহাড় কাটার সময় ৬ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। যে পাহাড়টি কাটা হচ্ছিল সেটির মালিক রফিক উদ্দিন বাবুল। বাবুল খুলশী ক্লাবের সহ-সভাপতি। পাহাড় কাটার সময় ৬ জনকে আটক করে পরিবেশ অধিদপ্তরে নেওয়া হলে সেখান থেকে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বাবুল। তবে তিনি কৌশলে চলে যান। পরে বাবুলসহ ৮ জনকে আসামি করে খুলশী থানায় মামলা করা হয়।

  • চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় কাটার দায়ে ১ জনের কারাদণ্ড : এস্কেভেটর জব্দ

    চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় কাটার দায়ে ১ জনের কারাদণ্ড : এস্কেভেটর জব্দ

    চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানাধীন বেলতলী ঘোনা এলাকায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে হালিশহর ইদগাঁও এলাকার মো: শাহজাহান (৪০) নামে ১ জনকে আটকসহ এস্কেভেটর জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। আটককৃত ব্যক্তিকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

    শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।

    তিনি জানান, পাহাড়কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক নিয়মিত মামলা করা হচ্ছে। রেকর্ডীয় ভিত্তিতে পাহাড়টি প্রায় ১১ একর জায়গায় অগ্রণী ব্যংক অফিসার্স কোঅপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির নামে চট্টগ্রাম মহানগরের আকবর শাহ এলাকার লট নয় পাহাড়তলি মৌজায় অবস্থিত।

    সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক আরও বলেন, সরেজমিনে দেখা গেছে- আকবরশাহ এলাকার বেলতলীঘোনায় রাস্তা করার নিমিত্তে ব্যপকভাবে পাহাড় কেটেছে। অভিযানকালে পাহাড়কাটা অবস্থায় এস্কেভেটরসহ একজনকে আটক করা হয়। মোবাইল কোর্টে পাহাড়কাটার দায়ে অভিযুক্তকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় ও পাশাপাশি এস্কেভেটরটি জব্দ করা হয়।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি।পাহাড় কাটার দায়ে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক নিয়মিত মামলার ব্যবস্থাসহ মোবাইল কোর্টে পরিবেশ আইনে জেল জরিমানা করা হয়েছে। পাহাড় কাটার বিষয়ে আমি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছি।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড় কাটার দায়ে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    অভিযানে আরও ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসান আহমেদ ও আকবর শাহ থানার সাব ইন্সপেক্টর আলাউদ্দিন ও এএসআই রায়হান উদ্দিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স।

  • পাহাড় কাটায় ছাত্রলীগ সভাপতিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

    পাহাড় কাটায় ছাত্রলীগ সভাপতিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধিঃ ফটিকছড়িতে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে পাহাড় কাটার অপরাধে দাঁতমারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রহমান সানি এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও হেঁয়াকো বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হানিফ সরকারের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ দাঁতমারা ইউপির হেঁয়াকো পশ্চিম সিকদারখীলস্থ জনৈক সিরাজ ও সফিকের বাড়ির নীচে রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে স্কেভেটর লাগিয়ে পাহাড় কেটে ৮/১০টি ড্রামট্রাক যোগে মাটি পাচারের লক্ষ্যে হেঁয়াকো সওজ রেস্টহাউজ মাঠে জমাচ্ছিল। রাতের আঁধারে এ পাহাড় কাটার সংবাদ পেয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাব্বির রাহমান সানি ও ভূজপুর থানার ওসি হেলাল ফারুকী মাটি ভর্তি গাড়ী আটকের নির্দেশ দেন দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মনির হোসেনকে। তিনি হেঁয়াকো বাজারে মাটি ভর্তি দু’টি ড্রামট্রাক আটক করে থানায় নিতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি হানিফ সরকারের ভাই সেলিম ও পাটনার বাবুল মিয়াসহ মাটি কাটার লোকজন পুলিশের কাছ থেকে গাড়ী দু’টি ছিনিয়ে নেয়।

    এ খবর পেয়ে সংক্ষুব্ধ ইউএনও সাব্বির রহমান সানি দাঁতমারা থেকে উপজেলা সদরে ফেরেন এবং ভূজপুরের ওসিকে রাতের মধ্যেই গাড়ী এবং স্কেভেটর আটক করে মোবাইল কোর্টের সামনে হাজির করার নির্দেশনা দেন। এরই ফাঁকে স্কেভেটর সরিয়ে ফেললেও রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ভূজপুর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন ফারুকী ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিনিয়ে নেয়া গাড়ী দু’টি জব্দ করে উপজেলা কমপ্লেক্সে পাঠায়।

    বুধবার বিকেলে দাতমারা ছাত্রলীগের সভাপতি হানিফ সরকার নিজে উপস্থিত না হয়ে তার পাটনার বাবুল মিয়া, পিতা- আব্দুল কাদের, গ্রাম- দক্ষিণ জুজখোলা (নারায়ণহাট), ফটিকছড়ি, চট্টগ্রামকে ফটিকছড়ি’র ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাব্বির রাহমান সানি’র মোবাইল কোর্টে উপস্থিত করায়। সে অপরাধ স্বীকার করায় এবং দোষ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ (চ) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১৫ (১) ধারা অনুযায়ী অপরাধীকে ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ টাকা) অর্থদন্ড; অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডে দন্ডিত করে মোবাইল কোর্ট। পরে অভিযুক্তরা দণ্ডের ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করলে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়। এ ঘটনা পুরো উত্তর ফটিকছড়ি জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

  • সলিমপুরে পাহাড় কাটার সময় তিনটি স্কেভেটর জব্দ,ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা

    সলিমপুরে পাহাড় কাটার সময় তিনটি স্কেভেটর জব্দ,ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন পাহাড় কাটার সময় তিনটি মাটি কাটার স্কেভেটর জব্দ করেছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আশরাফুল আলম। এসময় ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানের খবর পেয়ে তিনটি স্কেভেটর ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা।

    মঙ্গলবার দুপরে সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আশরাফুল আলম এ অভিযান পরিচালনা করেন।

    উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহল ফৌজদারহাট-বায়েজিদ রোডের সংলগ্ন পাহাড় কাটছে। অভিযান চালানোর পর কিছুদিন পাহাড় কাটা বন্ধ থাকলেও গোপনে আবার শুরু করে।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম জানান, কিছু দুষ্কৃতকারী স্কেভেটর দিয়ে ফৌজদারহাট- বায়েজিদ সংযোগ সড়কের পাশ্ববর্তী পাহাড় কাটছে এমন খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তবে তিনটি পাহাড় কাটার স্কেভেটর জব্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে।

  • পাহাড় কাটার দায়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে জরিমানা

    পাহাড় কাটার দায়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে জরিমানা

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধভাবে পাহাড় কাটায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ চার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পনের লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর(চট্টগ্রাম)। চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাড়পত্র ব্যাতিত পাহাড় কাটায় বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) এর ধারা-৭ অনুযায়ী পরিবেশের ক্ষতি সাধনের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ রহমান এন্টারপ্রাইজকে ছিয়াত্তর হাজার দুইশত পঞ্চাশ টাকা, স্টারলাইন সার্ভিসেস লিমিটেডকে তিন লক্ষ একাশি হাজার দুইশত পঞ্চাশ টাকা, মেসার্স আব্দুর রাজ্জাক কে তিন লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা এবং জাকির এন্টারপ্রাইজ এন্ড খোকন এন্টারপ্রাইজকে চার লক্ষ সাতান্ন হাজার পাঁচশত টাকা সাত কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য বলা হয়, বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

    আদেশে আরো বলা হয়,পাহাড়কে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য এবং ভবিষ্যত উন্নয়ন কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি গ্রহণ ও এধরনের অপরাধ না করার জন্য অঙ্গীকারনামা দাখিল করার জন্য।

    উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারী ছাড়পত্র না নিয়ে শিক্ষক ক্লাব কাম গেস্ট হাউস নির্মাণের জন্য পাহাড় কাটায় কু্বিপ্রশাসনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়।

  • সীতাকুণ্ডে পাহাড় কাটার দায়ে স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ারিংকে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানা

    সীতাকুণ্ডে পাহাড় কাটার দায়ে স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ারিংকে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানা

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : পাহাড় কাটার অভিযোগে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে ৫ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল।

    পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন শুনানিকালে বুধবার এ জরিমানা করেন।

    এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) ১০ কোটি টাকা জরিমানা করেন। অনুমোদনের বাইরে পাহাড় কেটে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড নির্মাণ করে জীববৈচিত্র ধ্বংস ও জনজীবন ঝুঁকিতে ফেলার দায়ে সিডিএ’র ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন।

    শুনানিকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের পক্ষে প্রজেক্ট ম্যানেজার রবিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে একই অপরাধে ২৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

    জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর ঢাকা ট্রাংক রোড থেকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী পর্যন্ত লিংক রোড নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। প্রকল্পের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে অনুমোদনের বাইরে পাহাড় কাটার প্রমাণ পায় পরিবেশ অধিদপ্তর।

    সিডিএ প্রকল্প প্রস্তাবনায় যত ঘনফুট পাহাড় কাটার অনুমোদন নিয়েছিল বাস্তবে তার থেকে ৬৯ হাজার ২১৯ দশমিক ৭০২ বর্গফুট বেশি কেটেছিল বলে জানায় পরিবেশ অধিদপ্তর। যেদিকে কাটার কথা ছিল সেভাবে না কেটে ৯০ ডিগ্রি কোণে খাড়াভাবে পাহাড় কাটা হয়। ফলে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসে মানুষের জীবনহানি ঘটতে পারে।

    পাহাড় কাটা নিয়ে কিছু দিন আগে দৈনিক ভোরের দর্পণ এবং ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

    উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চলছে পাহাড় দখল উৎসব। গত কয়েক বছরে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার একর পাহাড় দখলের পর তা কেটে পরিণত করা হয়েছে সমতল ভূমি। সেখানে তৈরি হচ্ছে শিল্প-কারখানা। এমনকি প্লট তৈরি করে বিক্রির ঘটনাও ঘটছে।

    অভিযোগ রয়েছে নাকের ডগার ওপর পাহাড় ধ্বংসযজ্ঞ চললেও প্রশাসন রযেছে দর্শকের ভূমিকায়। ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ বোস্তামি সড়কে চলছে সড়কের শেষ মূহুর্তের কাজ তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। বায়েজিদ বোস্তামি সড়ক থেকে ফৌজদারহাটের ঢাকা ট্রাংক রোড পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারের বাইপাস সড়ক নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

    সিডিএ এর কাছ থেকে কাজ পেয়েছেন টিকাদারি প্রতিষ্টান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ফৌজদারহাট সড়ক দিয়ে অর্ধকিলোমিটার প্রবেশ করলে হাতের বাম পাশে দেওয়াল নির্মান করে পাহাড় কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্পেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ এর নাম বিক্রিয় করে এক্সপেক্টা গ্রুপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মমতাজ উদ্দিন এবং প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. রবিউল হোসেন তাদের দু’জনের নামে ক্রয়কৃত ৩৫৯ নং দাগের জায়গাটি চারিদিকে দেওয়াল নির্মাণ করে ভিতরে দুটি পাহাড় সম্পূর্ণ কেটে ফেলেছেন।

    এবিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হরে পরিবেশ অধিদপ্তরের টনক নড়ে। এরপর তদন্ত করে পাহাড় কাটার প্রমাণ পেলে শুনানীতে স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে জরিমানা করা হয়। এ জড়িমানার টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন।

  • চউককে পাহাড় কাটায় ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা

    চউককে পাহাড় কাটায় ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা

    রাস্তা তৈরী করতে গিয়ে ১৮টি পাহাড় কেটে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করে চট্টগ্রামের বায়োজিদ বোস্তামী থেকে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট পর্যন্ত সড়ক নিমার্ণের অভিযোগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (চউক) ১০কোটি ৩৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৩ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

    আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা কার্যালয়ে শুনানি শেষে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়। জরিমানা নির্ধারণ করেন মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট বিভাগের পরিচালক রুবিনা ফেরদৌসী।

    অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পাহাড় কেটে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, পাহাড়ের উপরিভাগের মাটি এবং ভূমির বাইন্ডি ক্যাপাসিটি নষ্টসহ পরিবেশ-প্রতিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করায় এই জরিমানা করা হয়।

    “প্ল্যানে দুই লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটার কথা থাকলেও, তারা কেটেছে ১০ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট”,।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা যায়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন ইউনিভার্সিটির বহিঃসীমানা দিয়ে লুপ রোড নির্মাণসহ ঢাকা ট্রাংক রোড থেকে বায়েজিদ বোস্তামী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটির নির্মাণাধীন সড়কের দৈর্ঘ্য ৫.৯৬০ কিলোমিটার যার মধ্যে ১৮টি পাহাড় রয়েছে। সর্বমোট ২.৬৬ কিলোমিটার জায়গার পাহাড়ী ভূমি কর্তণের প্রয়োজন ছিল। বায়েজিদ বোস্তামী রোড থেকে ঢাকা ট্রাংক রোড পর্যন্ত লিংক রোড নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৩৮১.১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৯৯৯ সালে একনেক কর্তৃক বর্ণিত প্রকল্পের পূর্বে অন্য একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়।

    এ প্রতিবেদনে তখন বিভিন্ন মৌজার ৩৫৭, ৩৫৮ ও ৩৫৯ দাগের পাহাড় কাটার প্রমাণ পায়। সে সময় অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটায় সিডিএকে নোটিশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। তাদের নোটিশের জবাবে শুনানিতে অংশ নিয়ে পাহাড় কাটার কথা স্বীকার করলেও পাহাড় কাটা অব্যাহত রাখে প্রতিষ্ঠানটি।

    এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সিডিএ কর্তৃক নির্মিত ৪ হাজার ফুট দীর্ঘ ১২০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা (১১ একর) গত ২০১০ সালের ২২ নভেম্বরে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনকে আরও ২৬.৯৭ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ-পূর্বক বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। ওই প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।

    ওই প্রকল্প পরিচালক ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল পরিবেশগত ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেন। পরে ওই বছরের ৩ নভেম্বর ইআইএ এর কার্যপরিধি অনুমোদন করা হয়। এবং ২০১৭ সালে প্রকল্পটির ইআইএ অনুমোদনের জন্য সদর দপ্তরে প্রেরণ করা হলে সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রকল্পের আওতায় পাহাড়/টিলা ও সমতল ভূমির পরিমাণ, পাহাড় ও টিলা কর্তন কিং বা মোচন করার বিষয়টি জাতীয় অপরিহার্য বিবেচনায় সরকারের অনুমোদনপত্র, প্রকল্প এলাকার পাহাড়/টিলা থেকে কি পরিমাণ মাটি সংগ্রহ করা হবে ও সংগৃহীত মাটি ব্যবস্থাপনার উপর সংশোধিত ইআইএ দাখিলের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

    এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন কে সরকার কর্তৃক ১০৪.৪০ একর জমি প্রদান করার কারণে সেই সময় প্রকল্পটি আর সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি।ওই প্রকল্পের অধীনে বায়েজিদ বোস্তামী প্রান্ত থেকে ০২ কিঃ মিঃ পর্যন্ত ২-লেনের রাস্তার নির্মাণ কাজ করা হয়।

    এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রাজিব দাশের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।

    উল্লেখ্য, নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারের এই সড়ক তৈরি করতে কাটা হয় ১৮টি পাহাড়। পরিবেশ অধিদপ্তর বারবার জরিমানা করার পরও ফৌজদারহাট-বায়েজিদের এই সংযোগ সড়ক তৈরি থেকে পিছু হটেনি সিডিএ।

  • ফটিকছড়িতে পাহাড় কাঁটার দায়ে অর্থদন্ড : এস্কেভেটর ও চালক আটক

    ফটিকছড়িতে পাহাড় কাঁটার দায়ে অর্থদন্ড : এস্কেভেটর ও চালক আটক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের কারবাল টিলা এলাকায় পাহাড় কাঁটার দায়ে র‍্যাব আরপি লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী ফখরুল আমিন ভূঁইয়াকে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    এসময় মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত এস্কেভেটর জব্দ করা হয় এবং এস্কেভেটর চালককে আটক করা হয়।

    আজ বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন এ অভিযান পরিচালনা করেন।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিকেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পাহাড় কাটার দায়ে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ক ধারা লঙ্ঘন করায় এক টাকা লক্ষ অর্থদণ্ড করা হয়। সাথে মাটি কাঁটার এস্কেভেটর জব্দ করা হয়। এছাড়াও স্কেভেটর চালককে আটক করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও।

  • পাহাড় কাটা ও ছাড়পত্রের শর্ত ভঙ্গে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে ৪ প্রতিষ্ঠান

    পাহাড় কাটা ও ছাড়পত্রের শর্ত ভঙ্গে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে ৪ প্রতিষ্ঠান

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটা ও পরিবেশগত ছাড়পত্রের শর্ত ভঙ্গ করায় ৪ প্রতিষ্ঠানকে এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

    পরিবেশগত দূষণবিরোধী অভিযান ও পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ ধার্য্য করা হয়।

    এর মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পতের শর্ত ভঙ্গ করায় চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জের মেসার্স রনি ব্রিক্স ২ কে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার, নোয়াখালী বেগমগঞ্জের রুপসা অটোমেটিক রাইস মিলকে ৫ হাজার এবং ফেনীর ফজলুল হক খান অ্যলুমুনিয়াম ইন্ড্রাস্ট্রিজকে ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়।

    এছাড়া পাহাড় কর্ত্তনের জন্য কক্সবাজার সদরের পালস স্কুল সংলগ্ন ব্রাক নার্সারীকে ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়।

    গণমাধ্যমে পাঠানো পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অব্জল কার্যালয়ের পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।

    এতে বলা হয় চার প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধনের জন্য বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ধারা ৭ এর আলোকে মোট এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়। ক্ষতিপূরণ দিতে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানানো হয় পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে।

  • চট্টগ্রামের রৌফাবাদ এলাকায় চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব

    চট্টগ্রামের রৌফাবাদ এলাকায় চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব

    পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে পাহাড় কাটার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চট্টগ্রামের বায়েজিদ রৌফাবাদ এলাকায় নিষেধাজ্ঞার কোন তোয়াক্কাই করছে না অনেকেই।

    প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতেও থেমে নেই পাহাড় কাটা। বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অগোচরে রীতিমত পাহাড় কাটার মহোৎসবে পরিণত হয়েছে রৌফাবাদ। দিনে রাতে চলছে পাহাড় কাটা। স্থানীয় সেলিম আমিরের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট রাত দিন সমানে পাহাড় কাটছে বলে স্থানীয়রা জানান।

    সরেজমিনে পরির্শন এবং স্থানীয় একাধিক সুত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, নগরীর পশ্চিম ষোলশহর মৌজার আওতাধীন স্টারশিপ কারখানার পিছনে রৌফাবাদ মিয়া পাহাড়টি কেটে সাবাড় করছে সিন্ডিকেটটি। শতাধিক শ্রমিকের পাশাপাশি স্ক্যাভেটর দিয়েও কাটা হয় এ পাহাড়ের মাটি।

    স্থানীয় সুত্র জানায়, জনৈক ফাতেমার ছেলের নিকট থেকে কথিত পাওয়ার নিয়ে সেলিম আমির সিন্ডিকেট উক্ত পাহাড়টি কাটছে। পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করা ছাড়াও খালি হওয়া জায়গায় আবাসিক প্লট করে তা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, প্লট দেয়ার নামে স্থানীয়দের কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা নিলেও কাউকে এখনো প্লট বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।

    এ বিষয়ে কথা বলতে পাহাড় কাটার সাথে জড়িত আমির এবং সেলিমের মুটোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

    এদিকে পাহাড় কাটার খবর পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক রুম্পা সিকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন একটি সিন্ডিকেট পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে। তাদের ব্যাপারে পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    তবে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পরিদর্শন করার পরেও থামছেনা পাহাড় কাটা। উল্টো আগের চেয়ে শ্রমিক সংখ্যা বাড়িয়ে দিন রাত সমানে কাটা হচ্ছে পাহাড়।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক বলেন, পাহাড় কাটার খবর পেয়ে সেখানে টিম পাঠানা হয়েছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।