Tag: পাহাড় ধস

  • কক্সবাজারে পাহাড় ধসে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু

    কক্সবাজারে পাহাড় ধসে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু

    ভারী বর্ষণের ফলে কক্সবাজারের পাহাড় ধসে শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোররাতে কক্সবাজার শহরের সিকদার পাড়া ও পলাং কাটা এলাকায় পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন, কক্সবাজার শহরের সিকদার পাড়া এলাকার হাসান (১০), পলাং কাটা এলাকার নূর জাহান (২৭)।

    কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান বলেন, কক্সবাজার ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে এক শিশু ও নারী রয়েছে। তাদের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

  • চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার সময় ধস, নিহত ১

    চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার সময় ধস, নিহত ১

    চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় কাটার সময় ধসে পড়া মাটির চাপায় অন্তত একজনের প্রাণ গেছে, আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

    শুক্রবার বিকালে আকবর শাহ হাউজিংয়ের কাছে বেলতলী ঘোনায় পাহাড় কেটে দেয়াল তৈরির সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    সেখানে আরও শ্রমিক মাটি চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে স্থানীয়দের ধারণা।

    আকবর শাহ থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, পাহাড় কাটার সময় শ্রমিকদের ওপর মাটি ধসে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।

    দুর্ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস বলেন, “তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। বাকি তিনজন আহত।”

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম বলেন, পাহাড় চাপায় আহত খোকা নামের ৪৫ বছর বয়সী একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পাহাড় ধসের খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে গেছেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি একই এলাকায় পাহাড় কাটার ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছিল।

    কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ওমর ফারুক সেই অভিযানে মো. শাহজাহান নামে এক ব্যক্তিকে এক্সক্যাভেটারসহ আটক করেছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরে তাকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়।

    তদন্ত কমিটি

    এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, পাহাড় ধসে হতাহতের এই ঘটনায় সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

    জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে প্রধান করে সাত সদস্যের এই কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

    সিটি করপোরেশন, সিডিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে কমিটিতে।

  • কক্সবাজারে রান্নাঘরে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

    কক্সবাজারে রান্নাঘরে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

    কক্সবাজারের রামুতে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ৭ ডিসেম্বর রাত আটটার দিকে রামু উপজেলার কাউয়ার খোপ ইউনিয়নের পাহাড়তলী ঝর্ণাঘোনা এলাকায় এ পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় নিহতরা হলেন মৃত নাজির হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান (৫২), আজিজুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৪৫), শাশুড়ি দিলফুরুজ বেগম (৬৮) এবং পুত্রবধূ নাসিমা আক্তার (২২)।

    দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় জনসাধারণ, ফায়ার সার্ভিসের দমকল কর্মী এবং পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালান।

    রামু উপজেলা নির্বাহি অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, রাতে পরিবারের ছোট বাচ্চাদের অন্য কক্ষে রেখে রান্নাঘরে খাবার খেতে বসেছিলেন- পরিবারের চার সদস্য। এসময় পেছনে থাকা বিশাল পাহাড় ধসে রান্না ঘরের উপর পড়ে। নিহত ৪ জনই একই পরিবারের সদস্য। এরমধ্যে নিহত আজিজুর রহমান এবং তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও পুত্রবধু রয়েছেন।

    রামু ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর দলনেতা মো. হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন- পাহাড় ধ্বসে পড়া অবস্থায় ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    রামু থানার ওসি আনোয়ারুল হোসাইন জানান- নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হচ্ছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • পাহাড় ধসে নিহত শাহিনুরের দাফন সম্পন্ন; ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া ৩ সন্তান নিয়ে স্বামীর আর্তনাদ

    পাহাড় ধসে নিহত শাহিনুরের দাফন সম্পন্ন; ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া ৩ সন্তান নিয়ে স্বামীর আর্তনাদ

    মিরসরাই প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানা এলাকায় পাহাড় ধসে নিহত মিরসরাইয়ের গৃহবধূ শাহিনুর আক্তার (২৬) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (১৯ জুন) সকালে আকবর শাহ থানা এলাকায় তার লাশ দাফন করা হয়। শাহিনুর মৃত্যুতে মিরসরাই উপজেলার বামনসুন্দর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    নিহত শাহিনুর আক্তার উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বামনসুন্দর গ্রামের রহুমুল্লাহ মিস্ত্রি বাড়ীর জহিরুল হকের স্ত্রী।

    শাহিনুরের আক্তারের স্বামী জহিরুল হক জানান, বোনের বাড়ীতে বেড়ানোর জন্য গত বুধবারে আকবর শাহ থানার এক নম্বর ঝিল এলাকায় ৩ সন্তান সহ বেড়াতে যান আমার স্ত্রী শাহিনুর । শুক্রবার রাতে পাহাড় ধসে আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। আমার স্ত্রীর সাথে ছিলেন আমার ৮ বছরের তানভীর আর ৬ মাস বয়সী ২ শিশু কন্য সন্তান তান্না আর অনা আল্লাহর দয়ায় ওরা বেঁচে যায়। বেঁচে যাওয়া সন্তানদের বার বার জড়িয়ে ধরে আর্তনাদে ফেটে পড়েছেন তিনি।

    গৃহবধূ শাহিনুর আক্তারের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে তার পরিবার ও পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। সন্তান হারিয়ে নির্বাক তার মা সহ ভাই বোনেরা। তার মা মোসুহারা বেগম বিলাপ ‘আমার মেয়ে কই গেলো। তারে আমার কাছে আইনা দেন। আমার নাতি নাতনীদের কে দেখবো। আমার মেয়েরে আইনা দেন। স্বজন ও এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছেন না এমন মৃত্যুর সংবাদ।

  • চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে নিহত ৪

    চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে নিহত ৪

    চট্টগ্রামে পৃথক পৃথক এলাকায় পাহাড় ধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও দুজন। শুক্রবার (১৭ জুন) রাতে এই ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন শাহিনুর আকতার (৩০) ও মাহিনুর আকতার (২০)। তারা আপন দুই বোন।

    আর বাকি দুজন হলেন লিটন (২১) এবং ইমন (১৪)। তারাও আপন দুই ভাই।

    আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, রাত দেড়টার দিকে আকবর শাহ থানাধীন ১ নম্বর ঝিলের বরিশালঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের চারজনসহ ছয়জন মাটি চাপা পড়েন। এতে মারা যান শাহিনুর ও মাহিনুর নামে দুই বোন।

    এসময় ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় তাদের বাবা ফজল হক ও মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতদের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে বলে জানিয়েছেন ওসি ওয়ালী উদ্দিন।

    অন্যদিকে রাত ৩টার দিকে একই থানাধীন বিজয়নগর লেকসিটি এলাকায় আরেক পাহাড় ধসে লিটন ও ইমন মারা যান।

    আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, বরিশালঘোনায় পাহাড় ধসে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। অন্যদিকে লেকসিটি এলাকায় পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়েছিল দুই ভাইয়ের মরদেহ। সেখান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।