নীলফামারীর ডোমার উপজেলার দক্ষিন মটুকপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চুপিসারে প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের সভাপতি মিলে ১২ লাখ টাকা দিয়ে অফিস সহকারী নিয়োগের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে ওই স্কুলে অফিস সহকারীর পদটি শুন্য রয়েছে। এ পদে নিজের লোককে নিয়োগ দেওয়ার জন্য পায়তারা করে আসছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামসুল হক। এরই অংশ হিসেবে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন করেছেন দায়সারা ভাবে। এ নির্বাচনে কেউ এক ভোট আবার কেউ দুই ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়। স্কুলের সভাপতিও করা হয়েছে অনির্বাচিত একজনকে।
স্থানীয় তইবুল ইসলাম বলেন, স্কুলের বর্তমান সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের আপন ভাগিনা পাশ্ববর্তী নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ (শালমারা) ইউনিয়নের আব্দুস সাত্তারের ছেলে তানিম আহমেদ কে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অফিস সহকারী পদে নিয়োগের পায়তারা করছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক।
তিনি বলেন, অনেক শিক্ষিত বেকার রয়েছে এলাকায় তাদের মধ্যে কাউকে নিয়োগ দেওয়া গেলে স্থানীয়রা তা মেনে নিত। তারা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন করে কাউকে না জানিয়ে ইতিমধ্যে তানিমের কাছ থেকে ৭/৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
স্থানীয় মানিক, এমদাদুল, বাবলু ও রশিদুল জানান, গোপনে স্কুলের অফিস সহকারী পদে নিয়োগের পায়তারা চলছে। এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। সকলের সামনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। প্রতিযোগীতার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হলে আমাদের কোন আপত্তি থাকবেনা।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ শামসুল হক জানান, এখনো কমিটির মিটিং হয়নি। বিধি মোতাবেক অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি।একশ্রেনীর লোক স্কুলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্নের জন্য এহেন অভিযোগ এনেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাকেরিনা বেগম জানান, অফিস সহকারী নিয়োগের কথাটি প্রধান শিক্ষক একদিন আমাকে বলেছিলো। তারপর এ বিষয়ে আর কোন কথা হয়নি। বিধি মোতাবেক নিয়োগের কথাটি আমি তাকে বলেছি। কেউ নিয়োগের বিষয়ে অর্থ নিয়ে থাকলে তার বিষয়ে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গোপনভাবে যাতে প্রধান শিক্ষক অর্থের বিনিময়ে কাউকে নিয়োগ দিতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।