Tag: পিএসজি

  • মেসি-রামোসের বিদায়ী ম্যাচে পিএসজির হার

    মেসি-রামোসের বিদায়ী ম্যাচে পিএসজির হার

    খেলা শুরুর ২১ মিনিটের মধ্যে দুই গোলের লিড নিল পিএসজি। তখন তাদের জন্য বড় জয়ের সম্ভাবনা দেখা অস্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু প্রতিপক্ষ ক্লেঁমো ফুত হাল ছাড়ল না মোটেও। প্রথমার্ধেই সমতায় ফিরে দ্বিতীয়ার্ধে তারা উল্টো গেল এগিয়ে। এরপর ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ প্যারিসিয়ানরা হার মানল লিওনেল মেসি-সার্জিও রামোসের বিদায়ী ম্যাচে।

    ফরাসি লিগ ওয়ানে শনিবার রাতে পার্ক দে প্রিন্সেসে স্বাগতিকদের বিপক্ষে স্মরণীয় জয় পেয়েছে ক্লেঁমো। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের নজির দেখিয়ে ক্রিস্তফ গালতিয়ের শিষ্যদের তারা পরাস্ত করেছে ৩-২ গোলে। ফলে হার দিয়ে ২০২২-২৩ মৌসুম শেষ করল আসরের শিরোপাধারী পিএসজি।

    এই ম্যাচ দিয়ে পিএসজিতে শেষ হলো আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মেসি ও স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রামোসের পথচলা। আগামী মৌসুমে নতুন ঠিকানায় পাড়ি জমাবেন তারা। বিদায়ী ম্যাচে রামোস জালের দেখা পান। তবে মেসিকে মাঠ ছাড়তে হয় খালি হাতে। রামোসের পর কিলিয়ান এমবাপে দ্বিগুণ করেন ব্যবধান। তবে মজবুত অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি পিএসজি। বিরতির আগেই ইয়োহান গাস্তিয়েন ব্যবধান কমানোর পর সমতা টানেন মেহদি জেফান। বিরতির পর ক্লেঁমোর পক্ষে জয়সূচক গোল করেন গ্রেয়ন কিয়েই।

    ৩৮ ম্যাচে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করল পিএসজি। তাদের পাশাপাশি আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সরাসরি খেলবে লেঁস। ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছে তারা। ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছে মার্সেই। তাদেরকে বাছাইপর্ব পেরিয়ে জায়গা করে নিতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।

    ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই বল জড়ায় পিএসজির জালে। তবে এর আগে বল কিয়েইর হাতে লাগায় ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল বাতিল করেন রেফারি। পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা সামলে তেতে ওঠে গালতিয়ের দল। ১৪তম মিনিটে মেসির শট রুখে দেন ক্লেঁমো গোলরক্ষক মোরি দিয়াও। পরের মিনিটে এমবাপের প্রচেষ্টাও তাকে ফাঁকি দিতে পারেনি।

    ১৬তম মিনিটে পিএসজিকে আর ঠেকিয়ে রাখা যায়নি। ভিতিনহার ক্রসে দারুণ হেড করে জাল কাঁপান রামোস। পাঁচ মিনিট পর গোলের দেখা পান এমবাপে। স্পট-কিক থেকে ব্যবধান বাড়ান ফরাসি স্ট্রাইকার। ডি-বক্সে আশরাফ হাকিমি ফাউলের শিকার হওয়ায় বেজেছিল পেনাল্টির বাঁশি।

    মাত্র তিন মিনিট পরই সফরকারীরা গাস্তিয়েনের লক্ষ্যভেদে ব্যবধান কমায়। এতে বড় দায় আছে ইতালিয়ান মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তির। ডি-বক্সে তার দুর্বল পাসের খেসারত দিতে হয় প্যারিসিয়ানদের। ৩৭তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে ক্লেঁমো। ডি-বক্সে ওয়ারেন জায়ারে-এমেরির হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু কিয়েই বল মারেন বাইরে।

    ৪২তম মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সমতা টানে ক্লেঁমো। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে মোহাম্মদ চামের ক্রস পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা বিপদমুক্ত করতে পারেননি। খুব কাছ থেকে আলগা বল জালে পাঠান জেফান।

    দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে বিস্ময়করভাবে হতাশ করেন মেসি। এমবাপের কাছ থেকে ফাঁকায় বল পেলেও তার এলোমেলো শট চলে যায় অনেক উপর দিয়ে। পাঁচ মিনিট পর তার আরেকটি প্রচেষ্টা কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান দিয়াও।

    ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে অনেকটা আচমকা এগিয়ে যায় ক্লেঁমো। এলবাসান রাশানির মাপা ক্রসে পা ছুঁইয়ে গোল করেন কিয়েই। চার মিনিট পর চতুর্থ গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল তারা। রাশানির ব্যাক-ফ্লিক কোনোমতে ঠেকান দোন্নারুমা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে পিএসজিকে সমতায় ফেরানোর সম্ভাবনা জাগান মেসি। তবে তার ফ্রি-কিক দারুণ দক্ষতায় আটকে দেন গোলরক্ষক।

    এই ম্যাচে পিএসজির খেলোয়াড়দের সবার জার্সির পেছনে লেখা ছিল সতীর্থ সার্জিও রিকোর নাম। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত স্প্যানিশ গোলরক্ষকের প্রতি সমর্থন জানাতে এমন উদ্যোগ। টানা পঞ্চমবার লিগ ওয়ানের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জেতা এমবাপে তার ২৯তম গোলের পর রিকোর জার্সি হাতে নিয়ে উদযাপন করেন।

  • ফরাসি লিগে পিএসজির রেকর্ড ১১ তম শিরোপা জয়

    ফরাসি লিগে পিএসজির রেকর্ড ১১ তম শিরোপা জয়

    টানা কয়েক ম্যাচ জিতে আগেই শিরোপার কিয়দাংশ নিশ্চিত করে রেখেছিল প্যারিসিয়ান সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ফলে মাত্র এক পয়েন্টই তাদের রেকর্ড গড়ে শিরোপা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। হলোও তাই, জয় প্রয়োজন নেই বলে শেষদিকে এক গোল হজম করে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপেরা। ম্যাচ সেভাবে জমিয়ে তুলতে না পারলেও, দু’দলেরই ডেডলক ভাঙতে হিমশিম খেতে হয়েছে। মেসিই পিএসজির হয়ে সেই বাধ ভেঙে দেন। জয়হীন থাকলেও, টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে একাদশ শিরোপা জিতেছে প‍্যারিসিয়ানরা।

    শনিবার (২৭ মে) রাতে ফরাসি লিগ আঁ-তে স্ট্রাসবুর্গের দর্শকে ঠাসা মাঠে অতিথি হয়ে নেমেছিল ক্রিস্তফ গ্যালতিয়ের দল। প্রতিপক্ষের মাঠে এদিন বল দখলে এগিয়ে থাকলেও, মেসিরা গোল করার মতো খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারছিলেন না। বরং গোলের সুযোগ স্ট্রাসবুর্গই বেশি পেয়েছে। ৫৯ মিনিটে মেসির গোলে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা এগিয়ে গেলেও, ৭৯তম মিনিটে সেই গোল শোধ করে দেয় স্বাগতিকরা।

    ম্যাচের দশম মিনিটে প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন এমবাপে। তবে এগিয়ে এসে বিপদ থেকে দলকে রক্ষা করেন স্ট্রাসবুর্গ গোলরক্ষক ম্যাটস সেলস। পিএসজি ফুটবলারদের ব্যাকপাস এদিন অনেক বেশি চোখে পড়ে। ১৫ মিনিটে সেরকম এক পাস দিতে গিয়ে তাদের ভুলে বল পেয়ে যায় স্ট্রাসবুর্গ। কোনাকুনি শট নিলেও, সার্জিও রামোসের কল্যাণে সেই যাত্রায় তারা বেঁচে যায়।

    ৩০তম মিনিটে আরও একবার পিএসজি গোলরক্ষক বাধ সাধেন। মেসির কর্নারে অরক্ষিত রেনাতো সানচেজের শট দারুণ রিফ্লেক্সে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক ম্যাট সিলস। তবে আট মিনিট পর এগিয়ে যেতে পারতো স্বাগতিকরা। দিয়ালোর বুলেট গতির শট পোস্ট কাঁপিয়ে ফিরে আসে! এরপর গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দু’দল।

    দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে মরিয়া প্যারিসিয়ানরা স্ট্রাসবুর্গ দুর্গ ভাঙার জোর চেষ্টা চালান। কিন্তু তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না পিএসজি। অবশেষে মেসি সেই ডেডলক ভাঙেন। ফরাসি ফরোয়ার্ড এমবাপের পাস ধরে শেষ কাজ সারেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। চলতি আসরে এটি তার ষোড়শ গোল। এর মাধ্যমে তিনি ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়ে ফেললেন। এতদিন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর (৪৯৫ গোল) সঙ্গে ভাগাভাগি করলেও, এদিন পর্তুগিজ সুপারস্টারকে ছাড়িয়ে যান তিনি।

    ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ এসেছিল এমবাপের হাত ধরে। ৭০ মিনিটে প্রতি আক্রমণে পায়ের কারিকুরি আর গতিতে বল নিয়ে ডি-বক্সে পৌঁছে যান মেসি। পেনাল্টি স্পটের কাছে থাকা ফরাসি ফরোয়ার্ডকে দিলে সেটি তিনি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। একের পর এক আক্রমণ করে যাওয়া স্ট্রাসবুর্গ সমতা ফিরে ৭৯তম মিনিটে। মর্গ‍ান সানসনের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা। আলগা বলে বাকিটা সারেন পিএসজিরই সাবেক খেলোয়াড় কেভিন গামেইরো।

    ৮৬তম মিনিটে দারুণ দক্ষতায় এমবাপের শট ঠেকিয়ে সমতা ধরে রাখেন স্ট্রাসবুর্গ গোলরক্ষক। ফরাসি চ‍্যাম্পিয়নদের রুখে দিয়ে তারা লিগ ওয়ানে টিকে থাকা নিশ্চিত করেছে। ৩৭ ম‍্যাচে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পিএসজি এবং চার পয়েন্ট ব্যবধানে দুইয়ে অবস্থান লেন্সের।

  • ৯ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রোনালদোদের হারাল পিএসজি

    ৯ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রোনালদোদের হারাল পিএসজি

    মুখোমুখি বিশ্ব ফুটবলের সেরা দুই তারকা-লিওনেল মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আদতে প্রীতি ম্যাচ হলেও এই লড়াই ঘিরে দর্শক উম্মাদনা ছিল আকাশচুম্বী। থাকবেই না বা কেন? দুই মহাতারকার হয়তো ক্যারিয়ারে এটাই শেষবারের মতো মুখোমুখি খেলতে নামা।

    ফ্রান্সের পিএসজি বনাম সৌদি আরবের দুই ক্লাব আল নাসর এবং আল হিলালের খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া রিয়াদ একাদশের ম্যাচটি তাই প্রীতি ম্যাচ ছাপিয়ে হয়ে উঠে মেসি-রোনালদোর ম্যাচ। বহুল প্রতীক্ষিত এই লড়াইটি হতাশ করেনি ফুটবলপ্রেমীদের। পয়সা উসুল এক ম্যাচ উপভোগ করেছেন তারা।

    সৌদি আরবের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে এই প্রীতি ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে করেছে ৯ গোল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর মেসি-নেইমার-এমবাপের পিএসজি ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়েছে রোনালদোর রিয়াদ একাদশকে। ম্যাচে রোনালদো দুটি আর মেসি করেন একটি গোল।

    গোলবন্যার এই ম্যাচে তৃতীয় মিনিটে নেইমারের অ্যাসিস্ট থেকে মেসি গোল করলে এগিয়ে যায় পিএসজি (১-০)। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান রোনালদো (১-১)। এর পাঁচ মিনিটের মাথায় বার্নাট লাল কার্ড দেখলে দশজনের দলে পরিণত হয় পিএসজি।

    তবে তাদের গতি কমেনি তাতে। ৪৩ মিনিটে এমবাপের অ্যাসিস্ট থেকে ২-১ করেন পিএসজির মারকুইনহোস। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে পেনাল্টি পায় পিএসজি। কিন্তু নেইমার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
    এর কিছুক্ষণ পরই আরও এক গোল করে সমতা ফেরান রোনালদো (২-২)।

    দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ মিনিটে এমবাপের অ্যাসিস্ট থেকে ফের পিএসজিকে এগিয়ে দেন সার্জিও রামোস (৩-২)। তিন মিনিট পর জাঙের গোলে আবার সমতায় রিয়াদ একাদশ (৩-৩)।

    ৬০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে (৪-৩)। পরের মিনিটেই রোনালদোকে উঠিয়ে নেন রিয়াদ কোচ। ৬২ মিনিটে একসঙ্গে পিএসজির মেসি, নেইমার, এমবাপেকে তুলে নেন কোচ।

    এরপরও লড়াইটা ঝিমিয়ে পড়েনি। ৭৮ মিনিটে একিতিকে গোল করলে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে যায় পিএসজি। তবে হাল ছাড়েনি রিয়াদ একাদশ। ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে গোল করেন তালিসকা। শেষ পর্যন্ত ৫-৪ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।

  • ম্যাকাবিকে ৭ গোল দিয়ে শেষ ষোলোয় পিএসজি

    ম্যাকাবিকে ৭ গোল দিয়ে শেষ ষোলোয় পিএসজি

    ম্যাকাবি হাইফার বিপক্ষে গোল উৎসব করে শেষ ষোলোতে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন। পার্ক দে প্রিন্সেসে ৭-২ গোলের দাপুটে জয়ে দুটি করে গোল করলেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপে। করালেনও দুটি করে। আক্রমণ ত্রয়ীর আরেক তারকা নেইমারও পেলেন গোল। এই জয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে মেসি-নেইমাররা। ‘এইচ’ গ্রুপে ৫ ম্যাচে পিএসজির পয়েন্ট ১১। ঘরের মাঠে ৪-৩ গোলে জুভেন্টাসকে হারিয়ে প্যারিসিয়ানদের সমান পয়েন্ট নিয়ে নকআউট নিশ্চিত করেছে বেনফিকাও। গোল ব্যবধানে তারা দ্বিতীয় স্থানে।

    ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই ইসরায়েলি ক্লাবটিকে চেপে ধরে পিএসজি। ১৯ মিনিটে গোলের দেখা পায় ফরাসি জায়ান্টরা। বক্সের ভেতর এমবাপ্পেকে লক্ষ্য করে বল বাড়ান মেসি। সেই বল নিয়ন্ত্রণে নিতে না পেরে ফের মেসিকে পাস দেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। বল পেয়ে বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।

    ৩২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান এমবাপ্পে। মেসির মতোই বাঁকানো শটে দলকে জোড়া গোলের লিড এনে দেন এই ফরাসি তারকা। তিন মিনিট পর মেসির অ্যাসিস্টে গোল করেন নেইমার। ৩৮ মিনিটে ফ্রি কিকে হেড করে ব্যবধান কমান আবদুলায়ে সেক। কিন্তু একটু পরই ব্যবধান বাড়ান মেসি। হালি পূরণের পর বিরতিতে যায় পিএসজি।

    বিরতির পর ব্যবধান আরও কমায় ম্যাকাবি। ৫০ মিনিটে কর্ণার থেকে উড়ে আসা বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি পিএসজি। বল পেয়ে আবদুলায়ে সেককে লক্ষ্য করে ক্রস বাড়ান পিয়েরট। দারুণ হেডে লক্ষভেদ করতে ভুলেননি এই ডিফেন্ডার।

    ৬৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পূর্ণ করেন এমবাপ্পে। আশ্রাফ হাকিমির ক্রস থেকে সহজ শটে জাল খুঁজে নেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। তিন মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়ে পিএসজির। নেইমারের পা থেকে ছুটে আসা শট ভুল শটে নিজেদের জালে পাঠান ম্যাকাবির ডিফেন্ডার।

    ম্যাচের শেষদিকে গিয়ে খাইফার জালে আরও একটি গোল ঠুকে দেয় পিএসজি। ৮৪ মিনিটে বাঁ দিক থেকে পাওয়া মেসির পাস দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন কার্লোস সোলার। বড় ব্যবধানের এই জয় নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে মেসি-নেইমাররা।

  • জোড়া গোলে পিএসজিকে জেতালেন হাকিমি

    জোড়া গোলে পিএসজিকে জেতালেন হাকিমি

    হাঁটুর চোটের কারণে খেলা হয়নি লিওনেল মেসির। দলের অন্যান্য তারকারাও পারলেন না ভূমিকা রাখতে। এমন দিনে জ্বলে উঠলেন আশরাফ হাকিমি। তাঁর জোড়া গোলে মেসের বিপক্ষে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল প্যারিসের ক্লাব পিএসজি।

    গতকাল বুধবার রাতে মেসের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। লিঁওর বিপক্ষে আগের ম্যাচেও যোগ করা সময়ের গোলে জিতেছিল প্যারিসের দলটি।

    চলতি লিগে প্রথম সাত রাউন্ডে টানা সপ্তম জয় তুলে নিয়েছে পিএসজি। আর মেসের বিপক্ষে টানা ১১ ম্যাচে জিতল প্যারিসের ক্লাবটি।

    এদিন ম্যাচের ৭৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৫টি অনটার্গেট শট, যার পাঁচটি লক্ষ্যে যাওয়ার মতো ছিল। বিপরীতে মেসের ছয় শটের লক্ষ্যে ছিল। ম্যাচটিতে হারের পাশাপাশি লাল কার্ড দেখে মেসের খেলোয়াড়। একই সঙ্গে লাল কার্ড দেকে তাদের কোচ।

    এদিন ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। নেইমারের থ্রু বল ধরে মাউরো ইকার্দি গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও ডাইভ দিয়ে ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার মাথিউ উদল। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে হাকিমির ভলিও ফিরিয়ে দেন আরেকজন, তবে এবার বল গোললাইন পেরিয়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত দেন রেফারি।

    ৩৯তম মিনিটে সমতায় ফেরে মেস। দলকে সমতায় ফিরিয়ে আশা জাগান মালির ফুটবলার বুবাকার কুয়াইৎ। কিন্তু, ব্যবধান ধরে রাখতে পারলেন না। শেষ মুহূর্তে যোগ করা সময়ে গোল করে পিএসজিকে জয় উপহার দিলেন হাকিমি।

    এই নিয়ে সাত জয়ে মোট ২১ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে আছে পিএসজি। এক ম্যাচ কম খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মার্সেই। তিন পয়েন্ট নিয়ে ২০ নম্বরে আছে মেস।

    এন-কে

  • নেইমার-ইকার্দির গোলে পিএসজির জয়

    নেইমার-ইকার্দির গোলে পিএসজির জয়

    চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে হোঁচট খাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ফরাসি লিগ ওয়ানে দারুণ এক জয় পেয়েছে পিএসজি। নেইমারের গোলে সমতায় ফেরার পর মাউরো ইকার্দির গোলে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। এই জয়ে লিগের শীর্ষে পিএসজি

    রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে লিওঁর বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে পিএসজি। প্রথমে লুকাস পাকুয়েতার গোলে এগিয়ে যায় লিওঁ। পরে সফল স্পট কিকে সমতা আনেন ব্রাজিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। আর শেষ মুহূর্তে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ইকার্দির গোলে জয় নিশ্চিত হয় ফরাসি ক্লাবটির।

    পিএসজির নিজেদের মাঠের ম্যাচটিতে গোল পাওয়া ছাড়া সবই করেছেন লিওনেল মেসি। বিশেষ করে প্রথমার্ধে রক্ষণভাগকে রীতিমতো নাচিয়েছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। লিওঁর ডিফেন্ডার জেসন ডেনায়ার, অ্যান্থনি লোপেজ দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় ঠেকিয়ে দেন মেসির প্রচেষ্টা। যার ফলে গোলবঞ্চিতই থাকতে হয় আর্জেন্টাইন তারকাকে।

    মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে ত্রয়ী নিয়ে মাঠে নামা পিএসজি ১৭তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো। মেসি-এমবাপ্পে যুগলবন্দী ভালো সুযোগ পেলেও প্রতিপক্ষের অ্যান্থনি লোপেজকে ফাঁকি দিতে পারেননি। ম্যাচের ৩২তম মিনিটে নেইমারের ব্যাক হিল থেকে বল পেয়ে যান মেসি। জায়গা করে দূরের পোস্টে শট নেন তিনি। সেই শট কর্নারের বিনিময়ে মেসিকে গোল বঞ্চিত রাখেন লোপেজ।

    তবে বিরতির পর ৫৪তম মিনিটে দারুণ এক গোলে এগিয়ে যায় লিওঁ। তোকো একাম্বির সহয়তায় গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান পাকুয়েতা। তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ৬৬তম মিনিটে প্রতিপক্ষের গুস্তো নেইমারকে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর শট নিতে আসেন নেইমার। স্পট কিক থেকে ম্যাচে সমতা ফেরাতে কোনো ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।

    ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে মেসিকে তুলে মাঠে নামানো হয় আশরাফ হাকিমিকে। আর ৬ মিনিট পর ডি মারিয়ার বদলি হিসেবে নামেন ইকার্দি। ম্যাচ যখন প্রায় ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছিল, সেই মুহূর্তেই বদলি নামা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার ইকার্দি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন।

    মূল সময় শেষে যোগ করা তৃতীয় মিনিটে এমবাপ্পের ক্রস হেডের মাধ্যমে জালে জড়িয়ে পিএসজিকে মূল্যবান ৩ পয়েন্ট এনে দেন ইকার্দি।

    এ জয়ে শীর্ষস্থান আরও সুসংহত হলো পিএসজির। এখন পর্যন্ত খেলা ছয় ম্যাচে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে অবস্থান করছে লিওঁ।

    এন-কে

  • ফরাসি সুপার কাপের চ্যাম্পিয়ান পিএসজি

    ফরাসি সুপার কাপের চ্যাম্পিয়ান পিএসজি

    চোট কাটিয়ে দলে ফিরেই জালের দেখা পেলেন ব্রাজিলীয় সুপারস্টার নেইমার। সঙ্গে গোল করেছেন মাউরো ইকার্দি। দুই সতীর্থের গোলে মার্সেইকে হারিয়ে ফরাসি সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে প্যারিসের ক্লাব পিএসজি।

    গতকাল বুধবার ফরাসি সুপার কাপের ফাইনালে মার্সেইকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। প্রতিপক্ষের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন দিমিত্রি পায়েত।

    পিএসজিতে যোগ দিয়েই মৌসুমের প্রথম শিরোপা উপহার দিলেন নতুন কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো। এই নিয়ে টানা অষ্টম ও সব মিলিয়ে দশম শিরোপা ঘরে তুলল ফরাসি ক্লাবটি।

    এদিন শুরু থেকেই ম্যাচে আধিপত্য রাখে পিএসজি। আক্রমণে ধার বাড়িয়ে ৩৯ মিনিটে এগিয়ে যায় প্যারিসের ক্লাবটি। ডান দিক থেকে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ক্রস ধরে ডি বক্সের সামনে থেকে জালে পাঠান ইকার্দি।

    ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ডি মারিয়া ও লেইভিন কুরজাওয়াকে উঠিয়ে নেইমার ও প্রেসনেল কিম্পেম্বেকে মাঠে নামান পিএসজি কোচ। মাঠে নেমেই জালের দেখা পেয়ে যান নেইমার। ৮৫ মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। গত ডিসেম্বরে লিওঁর বিপক্ষে গোড়ালিতে চোট পেয়ে এতদিন বাইরে ছিলেন নেইমার।

    এরপর নির্ধারিত সময়ের আগমুহূর্তে গোল করে খেলা জমিয়ে তুলেছিলেন মার্সেইয়ের দিমিত্রি। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন হয়নি। স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি।

  • পিএসজিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয় বায়ার্ন মিউনিখের

    পিএসজিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয় বায়ার্ন মিউনিখের

    ১৯৯৩ সালের পর এই প্রথম ফ্রান্সের কোনো একটি দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল। তাই ২৭ বছর পর শিরোপার এতো কাছাকাছি এসে তা হাতছাড়া করতে চাইবে না কোনো ফরাসি ক্লাব।

    তাছাড়া জার্মানির সবচেয়ে শক্তিশালী দল বায়ার্নকে হারিয়ে ট্রেবল জয় অনন্যও বটে।

    কিন্তু লিসবনের এস্তাদিও দা লুজ স্টেডিয়ামে ফুটবলের মহারণের রাতে নেইমার-এমবাপ্পেদের ইতিহাস লিখতে দিল না বায়ার্ন।

    ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের সমৃদ্ধ ইতিহাসে আরও একটি পতাকা গাড়ল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।

    পিএসজিকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ঘরে তুলে নিল বায়ার্ন মিউনিখ।

    রোববার রাতে ম্যাচে শুরু থেকে সমানে সমানে লড়েছে দুই দল। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে দুই দলের খেলোয়াড়রা।

    লিসবনে গোলশূন্য সমতা নিয়ে বিরতিতে গেছে দুই দল।

    ম্যাচের ১৯ মিনিটেই লিড নিতে পারত পিএসজি। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি নেইমারের।

    এমবাপ্পের কাছ থেকে ডি বক্সে বল পেয়ে জালের উদ্দেশে পাঠালেও বায়ার্নের দেয়াল ম্যানুয়াল ন্যুয়ার এক পা বাঁধা দিয়ে কোনোমতে বলটা ফেরান। ফের টাচলাইন থেকে বলকে আলতো ছুঁয়ে গোলপোস্টের সামনে দেয়ার জোর চেষ্টা করেন নেইমার। এবারও ন্যুয়ারের কারণে নেইমারের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

    এবার নেইমারের দুর্ভাগ্য এসে জমা হয় রবার্ট লেভানডোস্কির কপালে। ২২ মিনিটের সময় ডি বক্সের মধ্য থেকে শট নেন লেভা। পরাস্ত হন গোলরক্ষক কেইলর নাভাসও। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। গোলরক্ষকের ভূমিকায় দেখা যায় গোলবারকে।

    পরের মিনিটেই বল ছুটে চলে যায় বায়ার্নের রক্ষণে। সংঘবদ্ধ আক্রমণে ফের সুযোগ আসে পিএসজির। কিন্তু ডি মারিয়ার উত্তেজিত শট পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।

    ৩২ মিনিটে সহজ সুযোগ পায় বায়ার্ন। নাব্রির বুদ্ধিদীপ্ত ক্রস থেকে ডি বক্সে উড়ে আসা বলে হেড করে জালে জড়ানোর অভিনব এক শৈলি প্রদর্শন করেন লেভানডোস্কি। যদিও কেইলর নাভাস লেভার সেই হেডকে আর জালে জাড়াতে দেননি।

    তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের এমবাপ্পের বোকামোকে হয়তো অনেকে পিএসজি সমর্থকের মেনে নিতে কষ্ট হবে। আন্দার এরেরার পাস থেকে মাত্র ১০ গজ দূরে বল পেয়েও কোনাকুনি না খেলে গোলরক্ষক বরাবর মেরে দেন ফরাসি স্ট্রাইকার।

    যা লুফে নিতে কোনোই বেগ পেতে হয়নি কেইলর নাভাসের।

    ফলাফল গোলশূন্য সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।

    দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ফের শুরু হয় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। তবে এবার বায়ার্নকে একটু বেশি আক্রমণাত্মক দেখা গেছে।

    পিএসজির ডেঞ্জার জোনে বল রেখে আক্রমণের ছক আঁকতে থাকে বায়ার্ন। ম্যাচের ৫৮ মিনিটের মাথায় আসে সফলতা।

    জশোয়া কিমিচের তুলে দেয়া ক্রসে দুর্দান্ত হেড করে পিএসজির জালে বল জড়ান কিংসলে কোমান।

    ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।

    গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠলেও ৬৬ মিনিটে ফের সুযোগ হাতছাড়া হয় এমবাপ্পের। ডি মারিয়ার এসিস্টকে গোলে পরিণত করতে পারেননি তিনি।

    সমতায় ফেরার বদলে উল্টো ৮৩ মিনিটে বিপদে পড়ে পিএসজি। ডি বক্সের কাছাকাঠি গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান লেভানদোস্কি।

    তবে ডিয়েগো সিলভা ফাউল করে গোল হজম করা থেকে দলকে বাঁচান। হলুদ কার্ড দেখেন তিনি।

    বক্সের খুব কাছে থেকে স্পট কিক নিয়ে পোস্টের বাইরে বল পাঠান কৌতিনহো।

    এভাবেই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সমতায় ফিরতে পারেনি পিএসজি।

    ফলাফল ১-০ ব্যবধানে জয় পায় বায়ার্ন মিউনিখ।

    এ জয়ে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ঘরে তুলল বায়ার্ন। এর আগে ১৯৭৪, ১৯৭৫, ১৯৭৬, ২০০১ ও ২০১৩ সালে মোট পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল জার্মানির এই ক্লাব।

    স্বদেশী ক্লাব মার্সেইয়ের পাশে নাম লেখাতে পারল না পিএসজি। ১৯৯৩ সালে প্রথম এবং শেষবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছিল মার্সেই।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পিএসজি

    প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পিএসজি

    ১৯৭০ সালে পথচলা শুরু হয় ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের। ৫০ বছরের ইতিহাসে ৯ বার লিগ ওয়ান শিরোপার পাশাপাশি রেকর্ড গড়ে ডোমেস্টিকের নানা শিরোপা জিতলেও এ পর্যন্ত খেলা হয়নি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। মাঝে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে সেমিফাইনালে উঠলেও অধরাই থেকে গেল ইউরোপের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ লিগের ফাইনালে খেলা। ২০১১ সালে দলটির মালিকানা পরিবর্তন হয়। কাতারের মালিকানায় যাওয়ার পর যেন দলটির প্রথম টার্গেটই হয় ইউরোপের সেরা হওয়ার।

    এরপর কয়েক মৌসুমে দাপটের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিলেও আর জায়গা করে নিতে পারেনি সেমিফাইনালেও। তবে এ মৌসুমে নিজেদেরকে ছাড়িয়ে গেল পিএসজি। দাপটের সঙ্গে সেমিফাইনালের বাধা পেরিয়ে ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিলো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।

    আজকের সেমিফাইনালে জার্মানির ক্লাব আরবি লেইপজিগকে ৩-০ গোলে হারিয়ে পিএসজি পৌঁছে গেল স্বপ্নের ফাইনালে। আর একটি ম্যাচ জিততে পারলেই প্রথমবারের মতো হয়ে যাবে ইউরোপ সেরা। সেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে অপর সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ ও অলিম্পিক লিওঁনের ম্যাচে জয়ী দল।

    রাত একটায় লিসবনের মাঠে খেলার শুরু থেকেই আরবি লেইপজগকে আক্রমণে কোণঠাসা করে রাখে পিএসজি। ম্যাচের মাত্র ৬ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। তবে ৬ মিনিটে নেইমার মিস করলেও ১৩ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় মারকুইনস। ডি মারিয়ার সেট-পিস থেকে মারকুইনসের অসাধারণ হেডে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি।

    দলের দ্বিতীয় গোলটি আসে ব্রাজিল-আর্জেন্টাইন কম্বিনেশনে। ম্যাচের ৪২ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন তারক অ্যানহেল ডি মারিয়া। ২-০ গোলের লিড নিয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। তবে ম্যাচের ২৫ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত লেইপজিগ। কিন্তু ডেনিশ স্ট্রাইকার পুলসেনের শর্টটি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এদিকে ৩৬ মিনিটে নেইমারের একটি ফ্রি-কিক গোলবারে লেগে ফিরে আসে।

    দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র ১১ মিনিটেই ফের গোল করে পিএসজি। জুয়ান বার্নাটের ট্যাপ ইন হেড থেকে ৩-০তে এগিয়ে যায় প্যারিসের দলটি। অ্যাসিস্ট আসে ডি মারিরা পা থেকে। এরপর বেশ কয়েকটি আক্রমণ হলেও আর গোল হয়নি। ৩-০ ব্যবধানে লেইপজিগকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নেয় পিএসজি।

    পুরো ম্যাচ পিএসজির নিয়ন্ত্রণেই ছিল। ৫৭.৬ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল প্যারিসের দলটি। বিপরীতে লেইপজিগ ৪২.৪ শতাংশ। দুই দলই গোলমুখে সমান ১৪টি করে শট নিয়েছে। তবে চান্স তৈরিতে পিএসজি অনেক এগিয়ে রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নাটকীয় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে পিএসজি

    নাটকীয় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে পিএসজি

    এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের যাত্রার সমাপ্তি প্রায় দেখে ফেলেছিল পিএসজি। রেফারির ঘড়ির কাঁটা তখন ৯০ ছুঁই ছুঁই, তখনও আটালান্টার বিপক্ষে ১-০’তে পিছিয়ে পিএসজি। ৯০তম মিনিটে মার্কুইনোস এক গোল দিয়ে সমতায় ফেরালেন দলকে। তখন অতিরিক্ত সময়ে গড়াচ্ছে ম্যাচ। কিন্তু নাটকীয়তার শেষ তখনই নয়। শেষ মুহুর্তের জন্য তোলা ছিল নেইমার-এমবাপেদের কাছে। এরিক চুপো মোটিং ৯৩ মিনিটে আরেকবার আটালান্টার জালে বল জড়ালেন। আর তাতেই হৃদয় ভাঙল আটালান্টার। এবং সেই সঙ্গে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠে গেল পিএসজি।

    ইউরো ক্লাব ইন্ডেক্স বলছিল কোয়ার্টার ফাইনালের এই ম্যাচে জয়ের সম্ভবনা দুই দলেরই প্রবল। একছত্র আধিপত্য দেখাতে পারবেনা কোনো দলই। দুই দলের মধ্যে ৪৭ দশমিক ০৩ শতাংশ জয়ের সম্ভবনা আটালান্টার আর ৫২ দশমিক ৯৭ শতাংশ জয়ের সম্ভবনা পিএসজির। লিসবনে দেখা মিললো সেটাই। ধারাভাষ্যকরের ভাষায় ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ এট ইটস বেস্ট।’ ইতালির ইতিহাস গড়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে এসে কোয়ার্টার ফাইনালে আটালান্টা। আর পিএসজির সঙ্গে ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত লড়াই। শেষ মুহুর্তে মার্কুইনেসের গোলে সমতায় আর চুপো মোটিংয়ের গোলে জয় নিশ্চিত।

    খাতা কলমে পিএসজি এগিয়ে থাকলেও ছেড়ে কথা বলেনি আটালান্টাও। পৃথিবীর সবচেয়ে রক্ষণাত্মক লিগে খেলেও মুড়ি মুড়কির মতো গোল করা আটালান্টা রুপকথা গড়েই ফেলেছিল। তবে শেষ মুহুর্তের দুই গোলে হাতছাড়া সেমি। ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকা এরপর তিন মিনিটের নাটকীয়তা! আর পিএসজির জয়।

    লিসবনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভবনা ছিল প্রবল। তবে জয়ের বাজি প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর পক্ষেই ছিল। কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার দল নয় আটালান্টাও। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে বিশ্বের নজর কাড়া আটালান্টার আক্রমণভাগের ওপর নজর ছিল তাই সকলের। আর তা ম্যাচ জুড়ে দেখিয়েছেও। পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচের ২৭ মিনিটে মারিও পাসালিচের দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় আটালান্টা। ডুভান জাপাতার অ্যাসিস্ট থেকে গোল আসে আটালান্টার। আর এভাবেই শেষ হয় প্রথামার্ধ।

    তবে এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পরেই যেন মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। একের পর এক আক্রমণ ছিন্ন ভিন্ন করতে শুরু করে আটালান্টার রক্ষণ। তবে কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল না। ক্রিকেটের ভাষায় ‘ঠিক ব্যাটে বলে যেন মিলছিল না।’ আর তাই তো অপেক্ষা বাড়তে থাকলো আর আটালান্টা স্বপ্ন বুনতে থাকল। ইনজুরিতে পড়ে আটালান্টার বিপক্ষে ম্যাচে খেলা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে শেষ মুহুর্তে দলের সঙ্গে থাকলেও প্রথমার্ধে ছিলেন না মাঠে। আর তার অনুপস্থিতি হাড়ে হাড়ে টেরও পেয়েছে পিএসজি। এমবাপে আর ডি মারিয়ার অনুপস্থিতিতে চাপটা যেন বেশিই ছিল নেইমারের কাঁধে।

    চাপের মুহুর্তে দলকে ঠিকই কক্ষপথে রেখেছিলেন নেইমার। তবে বাজে ফিনিশিংয়ের কারণে প্রথমার্ধে আর সমতায় ফিরতে পারেনি পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে শুরু করে আটালান্টা আর তাতেই টুঁটি চেপে ধরে নেইমাররা। আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে একের পর এক সুযোগ হারানোর মহড়া দেওয়া পিএসজিকে গুণতে হচ্ছিল মাশুল। ম্যাচের ৬০ মিনিটে পাবলো সারাবিয়ার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন এমবাপে তখনও ১-০ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পিএসজি।

    পিছিয়ে থাকলে হাল ছাড়েনি এমবাপেরা। ম্যাচের অন্তিম মুহুর্ত পর্যন্ত চালিয়ে গেছেন লড়াই। আর ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায় এই ম্যাচ জিততে পিএসজি ঠিক কতটা মরিয়া।

    আটালান্টার গোল বরাবর ১৭টি শট ১৬টি গোলের সুযোগ তৈরি করে পিএসজি। তবে সুযোগ হারানোর মহড়ায় গোল হাতছাড়া হয় নেইমারদের। আর তাই তো হাতছাড়া হতে বসেছিল সেমিফাইনালের টিকিট। তবে ফুটবলে শেষের আগে শেষ বলে যে নেই কিছু তা আরও একবার বুঝিয়ে দিল পিএসজি।

    রেফারির ঘড়ির কাঁটায় তখন ৯০ মিনিট চলছে, আর চতুর্থ রেফারি তখন অতিরিক্ত সময় হিসেবে যোগ করেছেন ৫ মিনিট। অর্থাৎ ম্যাচে ফিরতে পিএসজির আছে মাত্র পাঁচ মিনিট। ডি বক্সের ভেতর বল পেয়ে যান নেইমার, তবে জমাট বাধা রক্ষণে শট না নিয়ে বল বাড়িয়ে দেন ছয় গজের ভেতরে সেখান থেকে মারকুইনেসের শট। আর গোল! ৯০ মিনিটে এসে ম্যাচে সমতায় ফিরল পিএসজি।

    ধারাভাষ্যকররা গলা ফাটাচ্ছেন ম্যাচ গড়াচ্ছে অতিরিক্ত সময়ে। তবে নেইমার-এমবাপেদের ভাবনায় ছিল অন্যকিছু। ম্যাচের তখন ৯৩ মিনিট চলছে, নেইমার পাস থেকে বল পেয়ে যান এমবাপে। আর ঠান্ডা মাথায় ডি বক্সের ভেতরে মাটি কামড়ানো পাস সতীর্থ চুপো মোটিংয়ের উদ্দেশে বাড়িয়ে দেন এমবাপে। আর ডি বক্সের ভেতর থেকে বল জালে জড়াতে এক চুল ভুল করেননি মোটিং। ব্যাস ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও ৯৩ মিনিটে এসে ২-১ গোলে এগিয়ে পিএসজি। আর এর কিছু সময় পরেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি। তাতেই নেইমার-এমবাপেদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নেইমারের পিএসজির ঘরোয়া ট্রেবল জয়

    নেইমারের পিএসজির ঘরোয়া ট্রেবল জয়

    অলিম্পিক লিঁও-কে হারিয়ে রেকর্ড নবমবারের মত ফ্রেঞ্চ লিগ কাপের শিরোপা জিতলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ থাকে গোলশূন্য। এরপর পেনাল্টি শ্যুটআউটে লিঁও-কে ৬-৫ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আসরে জিতে ইতিহাস রচনা করলো দ্য পারসিয়ান।

    এক সপ্তাহ আগে এ মাঠেই ফ্রেঞ্চ কাপের শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছিলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। এক সপ্তাহ পর আবারো স্তাদে ডি ফ্রান্সে শিরোপার লড়াইয়ে নামে ফরাসি জায়ান্টরা। অলিম্পিক লিঁও-র বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ লিগ কাপের ফাইনালে।

    এবারের ফাইনাল অন্য ফাইনালের চেয়ে কিছুটা হলেও ভিন্ন। কারণ এটাই ফ্রেঞ্চ লিগ কাপের শেষ আসর। তাই যারাই জিতবে তারাই হয়ে থাকবে ইতিহাসের অংশ।

    ম্যাচের শুরু থেকে প্রতিপক্ষ অলিম্পিক লিঁও-কে একরকম চাপে রাখে পিএসজি। আক্রমণ চালায় একের পর এক। নেইমার, ডি মারিয়ারা রীতিমত ব্যস্ত রাখে লিঁও-র রক্ষণদুর্গকে। বিরতিতে যাওয়ার কিছু সময় আগেও গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলো দ্য পারসিয়ান। কিন্তু ফিনিশিং এর অভাবে তা আর গোলে রূপ নেয়নি। ফলে প্রথমার্ধ্ব থাকে গোলশূন্য।

    বিরতি থেকে ফিরেও ম্যাচের চিত্র থাকে একই। দ্বিতীয়ার্ধ্বের ৮ মিনিটের মাথায় নেইমার দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেছিলো। কিন্তু লিঁও গোলরক্ষক অঁতনি লোপেজ তা আর হতে দেননি। ফলে আক্রমণ আর রক্ষণভাগের বেড়াজালে গোলের দেখা পেতে বারবারই ব্যর্থ হয় পিএসজি। ভালো অনেক সুযোগ তৈরি করেও ফলাফল থাকে শূন্য। অন্যদিকে, অলিম্পিক লিঁও থাকে গোলবঞ্চিত। নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

    অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে জমজমাট ম্যাচ উপভোগ করে স্তাদে দি ফ্রান্সের দর্শক। দু’দলই একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায়। কিন্তু গোলের আর দেখা পায় না। উল্টো যোগ করা সময়ের শেষদিকে ডি মারিয়াকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লিঁও ডিফেন্ডার রাফায়েল। আর ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে।

    টান টান উত্তেজনা। চলছে পেনাল্টি শ্যুটআউট। পিএসজির হয়ে উৎরে গেছেন নেইমার, হেরেরা, ডি মারিয়ারা। কিন্তু অলিম্পিক লিঁওর হয়ে বারট্রেন্ড ব্যর্থ হন। মিস করেন পেনাল্টি। পরে সারাবিয়ার গোলে শিরোপা নিশ্চিত হয় পিএসজির। শেষ আসরে ফ্রেঞ্চ লিগ কাপ জিতে ইতিহাস গড়ে থমাস টাচেলের দল। এ নিয়ে নবমবারের মত এই শিরোপার স্বাদ নিলো দ্য পারসিয়ান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নেইমারের গোলে ফরাসি কাপের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি

    নেইমারের গোলে ফরাসি কাপের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি

    করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে চার মাস বিরতির পর প্রথম প্রতিযোগিতা ম্যাচে খেলতে নেমেই শিরোপার দেখা পেল পিএসজি।

    নেইমারের একমাত্র গোলে দশ জনের দলে পরিণত হওয়া সেন্ত-এতিয়েনকে হারিয়ে ফরাসি কাপের শিরোপা কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে টমাস টুখেলের দল।

    প্যারিসে শুক্রবার রাতে প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে অতিথি সেতিয়েনকে ১-০ গোলে হারায় পিএসজি। পার্থক্য গড়ে দেওয়া একমাত্র গোলটি করে নেইমার, চতুর্দশ মিনিটে।

    অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার পাস ধরে ডি-বক্সের মাঝামাঝি থেকে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার।

    পিএসজির ভেন্যুটিতে ৮০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার গ্যালারি থাকলেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে ম্যাচটি মাঠে বসে দেখতে অনুমতি দেওয়া হয় ৫ হাজার সমর্থককে।

    করোনা সংকটের মধ্যে এটাই ছিল ফ্রান্সে প্রথম কোনও প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল ম্যাচ। খেলা শুরুর আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো।

    তবে এ সময় নিরাপদ দূরত্ব মানার পাশাপাশি মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা যায় তাকে।

    এই নিয়ে ১৩ বার ফরাসি কাপের শিরোপা জিতল পিএসজি। টানা চার মৌসুম জেতার পর গত মৌসুমে ফাইনালে টাইব্রেকারে রেনের কাছে হেরে গিয়েছিল দলটি।

    এদিকে শিরোপা জিতলেও পিএসজিকে একটি দুঃসংবাদও শুনতে হয়েছে। ম্যাচটির প্রথমার্ধেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া হন দলটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপে। ফরাসি এই ফরোয়ার্ড গুরুতর চোট পেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    ম্যাচের ২৭তম মিনিটে সেতিয়েনের খেলোয়াড় লোয়িচ পেরিন এমবাপেকে ফাউল করলে দু’দলের খেলোয়াড়দের হাতাহাতিতেও জড়াতে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয়। বেঞ্চ থেকে উঠে আসা মার্কো ভেরাত্তিসহ হলুদ কার্ড দেখেন পিএসজির তিন জন, এতিয়েনের একজন খেলোয়াড়।

    ভিএআরের সাহায্যে পেরিনকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ম্যাচের বাকি সময় ১০ নিয়েই খেলতে হয় অতিথিদের। আর এই সময়টা আক্রমণে না গিয়ে রক্ষণেই বেশি নজর দেয় সেতিয়েন।

    এই নিয়ে চলতি মৌসুমে ফ্রান্সের দুটি শীর্ষ শিরোপা ঘরে তুলল পিএসজি। করোনা মহামারির কারণে এপ্রিলে লিগ ওয়ানের এবারের মৌসুম বাতিল করা হয়। তবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা পিএসজিকে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর