Tag: পিকে হালদার

  • ৩ দিনের রিমান্ডে পিকে হালদার

    ৩ দিনের রিমান্ডে পিকে হালদার

    ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। এর ফলে তাকে রিমান্ড হেফাজতে পেয়েছে ভারতের অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)।

    শনিবার গভীর রাতে স্পেশাল ইডি থেকে পিকে হালদারের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আজ রোববার সকালে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দেশ থেকে পালানো পিকে হালদারকে গতকাল শনিবার পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হন। তার আগে পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সন্ধানে ভারতের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও দুদকের অনুরোধে ভারতে এ অভিযান চালানো হয়।

    গত শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের অন্তত নয়টি স্থানে একযোগে অভিযান চালায় ভারতের অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তারা কয়েকটি অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন। বাড়িগুলো থেকে জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি জব্দ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে পিকে হালদারের ২০ থেকে ২২টি বাড়ি আছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।

    পিকে হালদারের আয়কর আইনজীবী ছিলেন সুকুমার মৃধা। পিকে হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সুকুমার মৃধাকে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের দুই মামলায় আসামি করা হয়। এরপর দুদক তাকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

    কলকাতা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সুকুমার মৃধার বিশাল বিলাসী বাড়ির সন্ধান পেয়েছে ভারতের ইডি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুকুমারকে তারা মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে চিনতেন। পিকে হালদার ও সুকুমার মৃধা অশোকনগরে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী। ইডি ধারণা করছে, দীর্ঘদিন ধরে এই দুইজনের যোগসাজশে এনআরবির বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

    পিকে হালদার ভারতে জালিয়াতি করে নিজের নাম পরিবর্তন করে নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করছিলেন। তার অন্যান্য সহযোগীদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হয়েছে।

    ইডির একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পিকে হালদার সে দেশে শিবশঙ্কর হালদার নাম ধারণ করেছিলেন। এই নামে তিনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে রেশন কার্ড করে নেন। এমনকি ভারতীয় ভোটার কার্ড, প্যান ও আধার কার্ডের মতো বিভিন্ন সরকারি পরিচয় জালিয়াতি করে তিনি নিজেকে শিবশঙ্কর হালদার বানিয়ে নেন। এছাড়া তিনি নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে জাহির করছিলেন।

    এ সময় ইডি আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এরমধ্যে চারজন বাংলাদেশি। তারা হলেন- প্রীতিশ কুমার হালদার ও তার স্ত্রী (নাম জানা যায়নি), উত্তম মিত্র ও স্বপন মিত্র। এ ছাড়া প্রণব হালদার নামে এক ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করে ইডি। প্রণব সেখানে সরকারি চাকরি করেন। পরে সঞ্জীব হালদার নামে একজনকে আটক করার কথা জানায় ইডি। শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। সঞ্জীব বাংলাদেশ গ্রেপ্তার সুকুমার মৃধার জামাই।

  • পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার

    পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার

    এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চাঞ্চল্যকর হাজার কোটি টাকা লোপাট মামলার মূল অভিযুক্ত ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সকালের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা।

    ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। শনিবার সেখান থেকে পি কে হালদারসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

    এর আগে, শুক্রবার দিনভর কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার অন্তত ৯টি স্থানে অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেসময় উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পোলেরহাটে দু’টি বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় পি কে হালদারের ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধার অবৈধ সম্পত্তির খোঁজে অভিযান শুরু করে ভারতের এই সংস্থা। কর্মকর্তারা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে এই তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে প্রচুর নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন।

    পরে শনিবার পি কে হালদারের সম্পত্তির খোঁজে দ্বিতীয় দফায় আবারও অভিযান শুরু করে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত মুম্বাই এবং রাজধানী দিল্লিতেও অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী এই সংস্থা।

    ইডি বলেছে, ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধার সহায়তায় পি কে হালদার পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের একাধিক রাজ্যে বিপুল সম্পদ করেছেন। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অর্থপাচারের মাধ্যমে ভারতে একাধিক অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে খোঁজ পেয়েছে ইডি।

    দেশটির কেন্দ্রীয় এই তদন্ত সংস্থা বলছে, তারা ইতোমধ্যে পি কে হালদারের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছেন। এসব নথিতে প্রাথমিকভাবে ভারতে তার ২০ থেকে ২৫টির মতো বাড়ির মালিকানার তথ্য মিলেছে।

    এক বিবৃতিতে ইডি বলেছে, বাংলাদেশি নাগরিক প্রশান্ত কুমার হালদার, প্রীতিশ কুমার হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রশান্ত কুমার হালদার নিজেকে শিব শঙ্কর হালদার নামে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।

    বাংলাদেশি এই অর্থপাচারকারী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে ভারতীয় রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান এবং আধার কার্ডও সংগ্রহ করেছিলেন। প্রশান্ত কুমার হালদারের অন্য সহযোগীরাও ভারতীয় এসব কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে সংগ্রহ করেন।

    হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বাংলাদেশি এই নাগরিকরা প্রতারণার মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসায়িক কোম্পানি চালু করেন। কোম্পানি পরিচালনার পাশাপাশি কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পত্তি কিনেছেন তারা।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইডির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধার অন্তত তিনটি বাড়ি রয়েছে অশোকনগরে। এই এলাকায় তিনি মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

    এর আগে, দুর্নীতি দমন কমিশন ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পলাতক পি কে হালদার তার নামে অবৈধ উপায়ে এবং ভুয়া কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন।

    অবৈধ সম্পদের অবস্থান গোপন করতে ১৭৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন পি কে হালদার। তিনি এসব অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা জমা রাখেন। পাশাপাশি এসব অ্যাকাউন্ট থেকে তার নামে ও বেনামে আরও ৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। দুদকের তথ্য বলছে, পি কে হালদার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

  • পিকে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা গ্রেফতার

    পিকে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা গ্রেফতার

    এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্থপাচারকারী প্রশান্ত কুমার ওরফে পিকে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

    অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেফতার করা হয় বুধবার দুপুরে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে দুই দফায় অবন্তিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও আসেনি তিনি। পিকে হালদার ধানমণ্ডিতে তাকে তিন কোটি টাকার একটি বাড়ি কিনে দিয়েছে।

    সম্প্রতি দুদক আইনজীবী জানিয়েছেন, পিকে হালদার ৭০ থেকে ৮০ জন বান্ধবীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন। এরআগে, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর তাঁর স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়। পলাতক আসামি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে শুক্রবার রেড নোটিশ জারি করে ইন্টারপোল। বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো-এনসিবি অর্থাৎ ইন্টারপোলের ঢাকা শাখার অনুরোধে ইন্টারপোল এ রেড নোটিশ জারি করা হয়।

    এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং কোম্পানির সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদার বা পি কে হালদারের বিরুদ্ধে চারটি বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের শুরুতেই বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার পর ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

  • পিকে হালদারের মাসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের

    পিকে হালদারের মাসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের

    প্রশান্ত কুমার (পিকে হালদার) হালদারের মা লীলাবতি হালদার ও তার সহযোগী অমিতাভ অধিকারীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট।

    মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেজাবীন রাব্বানি দিপা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান ও মো. মোশাররফ হোসেন।

  • পিকে হালদারের ৭০-৮০ গার্লফ্রেন্ড, ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা

    পিকে হালদারের ৭০-৮০ গার্লফ্রেন্ড, ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা

    আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে ধরতে তার গ্রেফতারি পরোয়ানা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশনের (ইন্টারপোল) কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

    রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

    তিনি জানান, ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে বিদেশে পলাতক পিকে হালদারের ৭০-৮০ জন গার্লফ্রেন্ডের সন্ধান পেয়েছে দুদক। তাদের একাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করেছেন তার তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে তাদেরও আসামি করা হবে।

    আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, পিকে হালদারকে ধরতে এরইমধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে পিকে হালদার দেশে ফিরতে চেয়েও ফেরেননি। এমনকি তার অবস্থান নিয়েও নিশ্চিত নন কেউ।

    প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ১৫শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একের পর এক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সময় গোপনে কানাডায় পাড়ি জমান তিনি। মাঝে একবার টাকা ফেরতের শর্তে দেশে ফিরতে চাইলেও দেশে ফিরলে গ্রেফতার হতে হবে হাইকোর্টের এমন আদেশের পর অসুস্থতার কথা বলে আর ফেরেননি তিনি।

  • পিকে হালদারের ব্যাংক হিসাব-পাসপোর্ট জব্দের আদেশ বহাল

    পিকে হালদারের ব্যাংক হিসাব-পাসপোর্ট জব্দের আদেশ বহাল

    এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে হালদার) হালদারসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব এবং পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দেয়া হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

    হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের করা আপিল আবেদন খারিজ করে বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।

    এর আগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম আদালতে হাজির হয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

    প্রসঙ্গত ২১ জানুয়ারি পিকে হালদারসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেন আদালত।

    সেই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড। আপিল বিভাগ আজ তাদের আবেদন খারিজ করে দেন।

  • পিকে হালদারসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ

    পিকে হালদারসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ

    এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ২০ জনের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং পাসপোর্ট আটকানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এই ২০ জনের সম্পদের হিসাব ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

    একইসঙ্গে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি (পিকে হালদারের দখলে থাকা) ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দিয়েছেন আদালত।

    মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির।

    ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের আওতায় থাকা অন্য ১৯ জন হলেন- কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জি, পাপিয়া ব্যানার্জি, মোমতাজ বেগম, নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নরুজ্জামান, আবুল হাসেম, মো. রাশেদুল হক, পিকে হালদার, পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী সুষ্মিতা সাহা, ভাই প্রিতুষ কুমার হালদার, চাচাতো ভাই অমিতাব অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ, পিকে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী।

    প্রশান্ত কুমার হালদার, যিনি পিকে হালদার নামেই ব্যাংকগুলোর কাছে পরিচিত। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকার সময় আইনের ফাঁক গলে অর্জন করেছেন পৌনে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। যার বেশির ভাগই পাচার করেছেন বিদেশে।

    তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৮ জানুয়ারি মামলা করেছে দুদক।

    মামলার এজহারে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে এ টাকার মালিকানা অর্জন করেছেন। শুধু তাই নয়, অনুসন্ধানে দেখা যায়, পিকে বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে পুঁজিবাজার থেকে বিপুল পরিমান শেয়ার কিনে ইন্টারন্যাশনার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং, এফএএস ফাইন্যান্স ও বিআইএফসি দখল করে ঋণের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা।

    প্রশান্ত কুমার হালদার বিগত দিনে বহাল তবিয়তে থাকলেও সম্প্রতি ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযানে সামনে আসে তার নাম। ৩ অক্টোবর তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ১৪ নভেম্বর দুদকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেও, রহস্যজনকভাবে ইমিগ্রেশনের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান বিদেশে।