Tag: পিটার হাস

  • সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা পিটার হাসের

    সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা পিটার হাসের

    বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

    বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

    বৈঠক শেষে পিটার হাস সাংবাদিকদের বলেন, আজ বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। আজ তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি, যাতে আমরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে পারি।

    বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, পারস্পরিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে আমরা কীভাবে কাজ করবো, তা নিয়েও কথা হয়েছে। যেমন, জলবায়ু পরিবর্তন, ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো ও রোহিঙ্গা সংকট। আমাদের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে ভবিষ্যতে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।

  • আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দেখতে চাই: পিটার হাস

    আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দেখতে চাই: পিটার হাস

    ‘রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দলগুলো শর্তহীনভাবে সংলাপে বসবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ খুঁজে নেবে’— এমন আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।

    মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি এ মন্তব্য করেন। সোয়া ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী আমরা নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দেখতে চাই।’

    ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা রাজনৈতিক দল, সরকার, ভোটার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া অবমূল্যায়ন করে এমন যেকোনো প্রতিক্রিয়া, ভোটাধিকার প্রয়োগ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, ইন্টারনেট ব্যবহারে বাধা; অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।’

    পিটার হাস বলেন, ‘যেকোনো পক্ষের রাজনৈতিক সহিংসতা গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কোনো স্থান নেই। আমি আশার করি, সব পক্ষ শর্তহীনভাবে সংলাপে বসে সামনের দিকে এগোবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ খুঁজে নেবে।’

    এদিকে পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্ধারিত পদ্ধতি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা এ ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থানে আছি।’

    তিনি বলেন, ‘পরিবেশ প্রতিকূল হলে নির্বাচন করা হবে না, এ ধরনের কোনো ভুল বোঝাবুঝি যেন জনগণের মধ্যে না থাকে।’

    সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ কেমন— পিটার হাস সেটি জানতে চেয়েছেন। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে স্পষ্ট করে বলেছি, আমাদের হাতে কোনো অপশন নেই। নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এবং নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন অপশন থাকে। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেও পারে, নাও করতে পারে। তারা এককভাবে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, আবার জোট করেও নির্বাচন করতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের অপশন আছে কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সেই ধরনের কোনো অপশন নেই।’

  • ‘বিএনপির মহাসমাবেশে রাস্তা বন্ধ করে দেবেন নাকি অন্য কিছু করবেন’

    ‘বিএনপির মহাসমাবেশে রাস্তা বন্ধ করে দেবেন নাকি অন্য কিছু করবেন’

    আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সরকার কী পদক্ষেপ নেবে সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে জানতে চেয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, তারা যে রাজনৈতিক এজেন্ডা দিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে করবেন।

    রোববার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৈঠকের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তিনি (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) জানতে চেয়েছেন- বিএনপি যে একটি বিরাট কর্মসূচি দিয়েছে, সেখানে অনেক লোক নিয়ে আসবে। সরকার রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবে কি না, কিংবা অন্য কিছু করবেন কি না। আমরা বলেছি- ওই ধরনের কোনো প্রোগ্রাম আমাদের নেই। আমরা মনে করি, তারা যে রাজনৈতিক এজেন্ডা দিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে করবেন। কর্মসূচি যদি তারা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেন, তবে আমাদের কিছু বলার নেই।

    সমাবেশে যেন কোনো সহিংসতা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ যেন কোনো হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঢাকার বাইরে থেকে ২৮ তারিখ যদি দশ লাখ লোক আসে তাহলে কতটা যানজট হবে বুঝতেই পারছেন। তবে পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।

    একটি রাজনৈতিক দলের নির্দিষ্ট কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাওয়া কূটনৈতিক শিষ্টাচারের ভেতরে পড়ে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এই প্রশ্ন আমি আপনাদের কাছে করতে চাই। আমার কথা হচ্ছে, তিনি এসেছেন। তিনি একটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, তিনি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, আমরা তাকে উত্তর দিয়েছি। এটা করতে পারে কী পারে না সেটা আমার দেখার বিষয় না। সেটা আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে।

    পিটার হাসের রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা হয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গাদের অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা সে বিষয়েও কথা বলেছেন। আমরাও বিষয়টি সমর্থন করেছি।

     

  • পিটার হাসের মুরুব্বিদের সঙ্গে কথা হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের

    পিটার হাসের মুরুব্বিদের সঙ্গে কথা হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের

    ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নাম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পিটার হাস ভিসা নীতি দেবেন, নিষেধাজ্ঞা দেবেন। কিন্তু পিটার হাসের মুরুব্বিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়ে গেছে।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশ আয়োজন করে।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকার মুরুব্বি আর উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে তলে তলে সব কথাবার্তা শেষ। এখন পিটার হাস আর কী করবেন?

    তিনি বলেন, আর কারো কাছে পাত্তা না পেয়ে বিএনপি এখন ক্ষমতার জন্য আমেরিকার পেছনে ঘুরছে। বিএনপি নেতারা সকালে ঘুম থেকে উঠে পিটার হাসের কাছে ছুটে যান। দুপুরের খাবারের সময়ও পিটার হাসের বাসায় যান।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপিকে আর কোনো খেলা আমরা খেলতে দেব না।

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে কাদের বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। দিল্লি বহু দূর, ক্ষমতা বহু দূর। ক্ষমতায় যাওয়ার পথ বিএনপি নিজেই বন্ধ করে দিয়েছে।

  • অক্টোবরে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-পর্যালোচনা টিম: পিটার হাস

    অক্টোবরে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-পর্যালোচনা টিম: পিটার হাস

    বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, আগামী অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-পর্যালোচনা (প্রি-অ্যাসেসমেন্ট) টিম বাংলাদেশে আসবে।

    মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সিইসির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

    আমরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমার প্রসঙ্গে আলোচনা করেছি জানিয়ে পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অক্টোবরে প্রাক-পর্যালোচনা টিম আসবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করে।

    তিনি বলেন, আমি সিইসিকে জানিয়েছি, অক্টোবরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রাক-পর্যালোচনা টিম পাঠাবে। বিশেষজ্ঞ ওই টিমে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিক ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। যাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তুতি নিয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে।

    এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশে তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিলর মি. অরটুরো হেইনস। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান ও ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমও উপস্থিত ছিলেন।

    চলমান রাজনৈতিক ইস্যুতে গত ৮ জুন সিইসির সঙ্গে দেখা করেছিলেন পিটার হাস। ওই বৈঠক শেষে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন ইস্যুতে তার দেশের অবস্থান জানিয়েছিলেন পিটার হাস। ওই সময় তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামীতে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।

    সেই নির্বাচনে কে বিজয়ী হবে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথা নেই-এমনটা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি নির্বাচন চায় যেখানে বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেতা নির্বাচন করবেন।

  • অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সঠিক আচরণকে উৎসাহ দিতেই ভিসা নীতি : হাস

    অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সঠিক আচরণকে উৎসাহ দিতেই ভিসা নীতি : হাস

    ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আজ বলেছেন, নতুন মার্কিন ভিসা নীতি ‘সকলের’ জন্য প্রযোজ্য এবং এটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের সকলকে সঠিক ‘আচরণ’ করতে উৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, ‘(নতুন ভিসা) নীতির পিছনের ধারণাটি হল- এটি প্রত্যেকের জন্য প্রযোজ্য। এটি’র উদ্দেশ্য হচ্ছে- সঠিক আচরণ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে উৎসাহিত করা। তাই যারা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করেন, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’ রাজধানীতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে এক বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    গত সপ্তাহে, ওয়াশিংটন বাংলাদেশীদের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে- এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুন্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোন বাংলাদেশী ব্যক্তির ভিসা প্রদান বন্ধ করতে সক্ষম করবে।’

    সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হাস বলেন, বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আর যুক্তরাষ্ট্রও তাই চায়।

    তিনি বলেন, ‘(বাংলাদেশের) প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) তাঁর প্রতিশ্রুতি (অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান) স্পষ্ট করেছেন এবং (বাংলাদেশের) পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন দেখার জন্য স্বাগত জানিয়েছেন। সুতরাং, আমি কোন মতবিরোধ দেখছি না।’ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা, যুক্তরাষ্ট্র তাই চাই, যা প্রতিটি বাংলাদেশী চায়- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।’

    রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বানের প্রেক্ষিতে এবং বাংলাদেশী জনগণের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এটি আমাদের নীতি ব্যবহার করে সমর্থন করার আমাদের একটি উপায়।’

    বর্তমানে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো কী জানতে চাওয়া হলে হাস বলেন, তিনি ‘চ্যালেঞ্জের পরিবর্তে ইতিবাচক দিকে মনোনিবেশ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘(আজকের) ফটো প্রদর্শনীটি ঐতিহাসিকভাবে আমাদের অংশীদারিত্বের একটি মহান দৃষ্টান্ত। অতীতই নয়, এমন কি বর্তমানেও আমাদের বাণিজ্য, নিরাপত্তা সম্পর্ক, দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক, স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রের অংশীদারত্ব রয়েছে। এছাড়াও অবশ্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমাদের ভালো আলোচনা হচ্ছে।’

    প্রদর্শনীতে ৫০টি ঐতিহাসিক আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীর একটি বর্ধিত উদযাপন। ছয়টি সুনির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিফলন দেখানো হয়েছে।
    এগুলো হচ্ছে-

    ‘আর্লি কন্টাক্ট’ ক্যাটাগরিতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগেকার সময়ে যে অভিবাসী, শিল্পী, প-িত, স্থপতি, ডাক্তার ও উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশি এবং আমেরিকানদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রাথমিক বীজ বরণ হয়েছিল- তা প্রদর্শিত হয়েছে।

    ‘অফিসিয়াল ভিজিট’ ক্যাটাগরিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সফর এবং সাক্ষাত প্রদর্শিত হয়।

    ‘সহায়তা ও অবকাঠামো’ ক্যাটাগরিতে কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনকে কভার করা হয়েছে।

    ‘বাণিজ্য ও ব্যবসা’ ক্যাটাগরিতে প্রাণবন্ত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক প্রদর্শিত হয়েছে।

    ‘শিক্ষা ও বিজ্ঞান’ ক্যাটাগরিতে কিভাবে বাংলাদেশী এবং আমেরিকান বিজ্ঞানী এবং প-িতরা বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে কয়েক দশক ধরে সহযোগিতা করেছেন- তা প্রদর্শন করা হয়েছে।

    এবং ‘সংস্কৃতি ও প্রবাসী’ ক্যাটাগরিতে চিত্রিত হয়েছে যে, অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে কিভাবে উভয় দেশ সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত হয়েছে।