Tag: পিটিয়ে হত্যা

  • চট্টগ্রামে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

    চট্টগ্রামে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

    চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় একটি ভবনে সুমন সাহা (২৬) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চন্দনাইশের বরমা ইউনিয়নের বাইনজুরী এলাকার মৃত ইছহাক মিয়ার ছেলে মফিজুর রহমান দুলু (৫৬), কোতোয়ালী থানার আলকরণ এলাকার মো. গোলাম মোস্তাফার ছেলে মো. মামুন (৩৮) ও জুবিলি রোড এলাকার আব্দুল আলী সওদাগরের ছেলে নুর হাসান রিটু (২৮)।

    সোমবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১টায় রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকার আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী রোডের আরএস টাওয়ারে দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

    মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সদ্য পদোন্নতি পাওয়া এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, হত্যার ঘটনায় আজ ভোরে রিয়াজউদ্দিন বাজার, জামালখান, হেমসেন লেন, আসকারদীঘির পাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।।

    তিনি আরও বলেন, আরএস টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় বেশকিছু ব্যাচেলর বাসা আছে। এর একটি বাসা আসামি দুলুর। ওই বাসায় বসে সুমনসহ অন্যরা মাদক সেবন করতো। সুমন মাদক সেবনরত অবস্থায় দুলুকে স্বর্ণ ক্রয়ের জন্য টেকনাফে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। বিষয়টি মামুন জানতে পেরে দুলুর মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেয়। সুমন দুলুকে মারার জন্য লোক ঠিক করেছে- তাই তাকে টেকনাফ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। ইতিমধ্যে তাকে মারার জন্য কয়েকজন লোক তার রিয়াজউদ্দিন বাজারস্থ অফিস ঘুরে এসেছে। রবিবার (২৬ নভেম্বর) দুলুর রুমে মাদক সেবন করতে যায় সুমন। এরপর দুলু সুমনকে আটকে মারার বিষয়ে জানতে চায়। এ বিষয়ে সুমন কিছু না জানালে দুলু ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি, লোহার রড, প্লাস্টিকের পাইপ ও লোহার প্লাস দিয়ে মারধর করে। পরে মামুন ও নুর হাসান রিটু দেরকে দিয়ে সুমনের হাত বেঁধে উলঙ্গ করে মারধর করে হত্যা করে।

    উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, দুলু ও সুমন স্বর্ণ চোরাচালান ও মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত ছিল। এই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে টাকা লেনদেন হয়। লেনদেনের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়। সুমনের কাছ থেকে দুলু টাকা পেতো। টাকা না পাওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। বাকবিতণ্ডার জের ধরে সুমনকে লোহার রড, প্লাস্টিকের পাইপ, লোহার প্লাস, দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করে মামুন, নুর হাসান রিটু দে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এসব তথ্য জানিয়েছে।

  • চট্টগ্রামে খাদ্য গুদামের নিরাপত্তা প্রহরীকে ‘পিটিয়ে হত্যা’, আটক ১

    চট্টগ্রামে খাদ্য গুদামের নিরাপত্তা প্রহরীকে ‘পিটিয়ে হত্যা’, আটক ১

    চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন সরকারি খাদ্যগুদামের এক নিরাপত্তা প্রহরীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ওসমান গণি (৪০) কক্সবাজার সদর থানার তাজুল ইসলামের ছেলে।

    বুধবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতের ছোট ভাই আব্দুর গফুর বলেন, আমার ভাই গত ফেব্রুয়ারি মাসে বদলি হয়ে দেওয়ানহাট এলাকার এই খাদ্যগুদামে আসেন। কক্সবাজারে চাকরি করার সময় জিয়াউল হক নামে আরেক নিরাপত্তা প্রহরী আমার ভাইকে নানাভাবে উত্যক্ত করতো। এখানে আসার পর জিয়াউল হক আবারও তাকে নানা সময় উস্কানিমূলক কথা বলে তাকে ক্ষেপাতো। এ কারণে তিনি ঊর্ধ্বতন অফিসারের কাছে বিষয়টি জানালে গত মাসে আমার ভাইকে অন্য একটি রুমে সরিয়ে নেন কর্তৃপক্ষ। গতকাল রাতে আমার ভাই ডিউটি করছিলেন। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জিয়া আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে আহত করে। পরে ওখানকার লোকজন এসে আমার ভাইকে উদ্ধার করে। এর কিছুক্ষণ পর তিনি বাথরুমে গেলে সেখানে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

    খাদ্য গুদামের ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, গতকাল রাতে ডিউটিরত অবস্থায় দুই নিরাপত্তা প্রহরী মারামারি করেছে। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য জনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। তবে কি কারণে তারা মারামারি করছে বিষয়টি জানি না।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, গতকাল রাতে ওসমান গণি নামে এক নিরাপত্তা প্রহরীকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গতকাল খাদ্যগুদামের এক নিরাপত্তা প্রহরীকে পেটানো হয়েছে। এরপর তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা জিয়াউল হক নামে আরেক নিরাপত্তা প্রহরীকে আটক করেছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

  • বোয়ালখালীতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যা

    বোয়ালখালীতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যা

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মানসিক ভারসাম্যহীন মো.জয়নাব আলী সাকু (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

    রবিবার (১৯ জুলাই) সকালে উপজেলার পশ্চিম গোমদণ্ডী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ননাইয়ার মা’র ঘাট এলাকার অছি মিয়া মাঝির বাড়ী থেকে থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে।

    নিহত সাকু ওই এলাকার মো. আবু সৈয়দের মেঝ ছেলে। সে দিনমজুরি করে সংসার চালাতো। তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক।

    পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পশ্চিম গোমদণ্ডী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু তাহের।

    তিনি জানান, গত দুইদিন আগে তার পিতাকে মারধর করে আহত করেছিল সাকু। এনিয়ে পারিবারিকভাবে কলহের সৃষ্টি হয়। সাকু মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় গত দুই বছর আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে।

    পিতাকে মারধর ও উৎশৃংখল আচরণ করায় পরিবারের সদস্যরা সাকুকে পিটিয়ে দড়ি দিয়ে ঘরে বেঁধে রেখেছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আজ রবিবার সকালে সাকুকে ডাকতে গেলে দেখা যায় মৃত।

    বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবদুল করিম বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মর্গে পাঠানো হবে। এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • প্রকাশ্যে কোরআনে হাফেজকে পিটিয়ে হত্যা করল কিশোর গ্যাং

    প্রকাশ্যে কোরআনে হাফেজকে পিটিয়ে হত্যা করল কিশোর গ্যাং

    নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা প্রকাশ্যে পিটিয়ে শেখ জাহেদ (১৮) নামে এক কোরআনে হাফেজকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় মো. ওমর (১৮) নামে আরও একজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ৬ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (০৮ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়ের ২নং ওয়ার্ডের কেজি রোডে এ ঘটনা ঘটে।

    পরে তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত দশটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

    সে ওই ওয়ার্ডের মুহরীরটেক এলাকার জয়নাল আবেদীন সারেং বাড়ির মো. রফিক উল্যার ছেলে। নিহত জাহেদ একজন কোরআনে হাফেজ এবং ইলেট্রিক মিস্ত্রী ছিল।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগের ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আবু জাহেদের সঙ্গে স্থানীয় হৃদয় নামে এক কিশোরের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার রাতে জাহেদ বন্ধুদের সঙ্গে মুহরীরটেক এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে হৃদয়ের সঙ্গে জাহেদের বাগবিতণ্ডা হয়।

    পরে হৃদয় চা দোকান থেকে বের হয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর হৃদয়, অপু, আমির হোসেনসহ কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্য জাহেদ ও তার বন্ধুদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে জাহেদের অবস্থার অবনতি হলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

    নিহতের মামা রেজাউল হক সোহাগ জানান, পূর্ব শক্রতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই ওয়ার্ডের কিশোর গ্যাং হৃদয় গ্রুপের সদস্য আমির হোসেন, নূর হোসেন, রাসেদ, হৃদয়, অপুসহ ১৫ থেকে ২০ জন প্রকাশ্যে পিটিয়ে জাহেদকে হত্যা করে।

    এ ছাড়াও আগে থেকে হামলাকারী এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল।

    এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ অনুসন্ধান ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে। নিহতের মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • পটিয়ায় ওরসের মেলায় দোকান বসিয়ে লাশ হলেন নরসিংদীর কাঠ ব্যবসায়ি

    পটিয়ায় ওরসের মেলায় দোকান বসিয়ে লাশ হলেন নরসিংদীর কাঠ ব্যবসায়ি

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়ায় গরীব আলী শাহ মাজারের পাশের অনুষ্ঠিত ওরস মেলার স্থান থেকে এক কাঠ ব্যবসায়ির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের নলান্দা এলাকার ওরস মেলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

    লাশের গায়ে আঁঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ ধারণা করছে দুবৃত্তরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। নিহতের নাম মোহাম্মদ জামাল (৫০)। তিনি নরসিংদীর বেলাবো এলাকার বাসিন্দা।

    স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি কোলাগাঁও ইউনিয়নের গরীব আলী শাহ মাজারের বার্ষিক ওরস উপলক্ষে বসানো হয় মেলা। এ মেলায় আসবাব পত্রের পসরা নিয়ে আসেন নরসিংদীর ব্যবসায়ি জামাল।

    মেলায় নির্দ্দিষ্ট সময়ে আসবাবের তেমন বিকি কিনি না হওয়ায় জামালসহ আরো কয়েকজন মিলে মেলা প্রাঙ্গণে ত্রিপল টাঙিয়ে বিক্রির চেষ্টা করে। রোববার রাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের দোকানে হামলা চালায় এবং তাদেরকে প্রচুর মারধর করে চলে যায়। এতে আহত হয়েছেন সুজন (৪০) নামের আরো একজন। ফার্নিচার ব্যবসায়ীর দোকান থেকে বেশকিছু ফার্নিচার লুট করার অভিযোগও রয়েছে।

    কোলাগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মো. বুলবুল হোসেন জানিয়েছেন, নলান্ধা গরীব উল্লাহ শাহ (র:) মাজারে বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা দোকান নিয়ে এসেছিল।

    মেলা শেষে দোকানদাররা বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। রবিবার রাতে সন্ত্রাসীরা চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর করার খবর পেয়েছেন। তবে কারা করেছেন তা জানাতে পারেননি।

    পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দীন ব্যবসায়ির মরদেহ উদ্ধারের তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজ সোমবার ভোরে মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

    লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে এবং স্থানীয়দের বরাতে তিনি ধারণা করছেন দুবৃর্ত্তদের পিটুনীতে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে তা নিশ্চিত করে জানা যাবে।

    ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, ফার্নিচার ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় কারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামী অবশ্যই ধরা পড়বে। খুনের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা করেনি।

  • বোনের মোবাইল চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে মারল এসআই রায়হান!

    বোনের মোবাইল চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে মারল এসআই রায়হান!

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বোনের মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে পুলিশের এস আই রায়হান এজাহার মিয়া নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি।

    নিহত যুবকের নাম এজাহার মিয়া (২৬)। সে ভাটিয়ারী ৪নং ওয়ার্ডের বালুর রাস্তা এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা ভাটিয়ারী কলেজ রোড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

    বর্তমানে নিহত যুবকের লাশ ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রাখা হয়েছে। এসময় স্বজনদের আহাজারীতে পুরো এলাকাতে শুরু হয় শোকের মাতম।

    জানা য়ায়, গত ১৩ অক্টোবর রাত তিনটার সময় ভাটিয়ারী কলেজ পাড়া এলাকার শারমিন আক্তার নামের এক মহিলার দ্বিতীয় তলা ঘর থেকে একটি মোবাইল চুরি হয়। মোবাইল চুরির সন্দেহে এজাহার মিয়াকে আটক করে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরদিন স্থানীয় ইউপি পরিষদে শালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা হয়ে যায়। আরো খবর : যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

    এদিকে গতকাল সোমবার রাতে ভাটিয়ারী কলেজপাড়া এলাকায় বসবাসকারী ইকবাল পারভেজ রায়হান নামের পুলিশের এক এসআই তার বোনের মোবাইল চুরির অভিযোগ এজাহার মিয়াকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করতে থাকে। এসময় ঘটনাস্থলে এজাহার মিয়ার শ্বাশুড়ীও উপস্থিত ছিলেন।

    এ ব্যাপারে এজাহার মিয়ার শ্বাশুড়ি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, এসআই রায়হান মোবাইল চুরি করেছে এমন একটি অভিযোগে আমার মেয়ের জামাইকে ডেকে নিয়ে আমার সামনেই সারারাত অমানুষিক নির্যাতন করে। সকালে এজাহার মিয়াকে অর্ধ মৃত অবস্থায় একটি রিক্সায় করে এজাহার মিয়ার বাড়ির পাশে রেখে চলে যায়। এরপর আমি তাকে স্থানীয় বিএসবিএ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়।

    এজাহার মিয়ার স্ত্রী পপি আক্তার ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে, সে যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে তাকে পুলিশের কাছে দিতে পারতো।

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এএসপি (সীতাকুণ্ড সার্কেল) শম্পা রানী সাহা।

    সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এমন সংবাদে ভাটিয়ারী ইউপি পরিষদে গিয়ে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করি। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাশটি মর্গে প্রেরণ করেছি।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন বলেন- মোবাইল চুরির অভিযোগে এক যুবকে পিটুনী দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করছে একজন পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন মিলে যুবকটিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তবে ওই পুলিশ সদস্য সীতাকুণ্ড থানার কেউ নয় জানিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন।

    জানা যায়, অভিযুক্ত এসআই রায়হান খাগড়াছড়ি থানায় কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে পুলিশ লাইনে আছেন বলে জানান তার বোন শারমিন।

  • আবরারের দাদা এখনও জানেন না নাতি নেই!

    আবরারের দাদা এখনও জানেন না নাতি নেই!

    বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের দাদা আবদুল গফুর বিশ্বাস এখনও জানেন না তার নাতিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

    ৮৭ বছরের এই বৃদ্ধের বয়সের ভারে স্মৃতিশক্তি লোপ পেলেও আবরারকে নিয়ে কিছু ঝামেলা হয়েছে সেটি তিনি বুঝতে পারছেন।

    বাড়িতে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে আবদুল গফুর বিশ্বাস জানতে চান- কী হয়েছে? কিন্তু পরিবারের সদস্যদের অনুরোধ এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সত্য আড়াল করে তাকে জানানো হয়, আবরার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং এখন ভালো আছেন।

    আবদুল গফুর বিশ্বাসের পাঁচ ছেলে চাকরির সুবাদে বাড়ির বাইরে থাকেন। একসঙ্গে এত লোক কখনও তাদের বাড়িতে আসে না। অনেকে কান্নাকাটি করছেন, অনেকেই ভারাক্রান্ত। সব মিলিয়ে অজানা শঙ্কা আবদুল গফুরের মনে।

    মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে আবরার ফাহাদের লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স যখন তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায় তখনও আবদুল গফুর বিশ্বাসকে কিছুই জানানো হয়নি।

    কিন্তু বাড়িতে এত আত্মীয়স্বজন আর মানুষ দেখে ব্যাকুল হয়ে জানতে চান- তোমরা না গতকালকে বললা আমার নাতি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে? আজকে বাড়ি আসবে। আমার নাতি বাড়িতে আসছে না কেন, আর আমার বাড়িতে এত লোকজন কেন? কিছু প্রশ্নের উত্তর হয় না। নির্বাক দর্শকদের ভূমিকা পালন করা ছাড়া খুব বেশি কিছু করা সম্ভব হয় না।

    শুধু রায়ডাঙ্গা না, কুষ্টিয়া না, সারা দেশে যখন আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে, দেশি-বিদেশি মিডিয়াগুলো ফলাও করে আবরারকে ন্যক্কারজনকভাবে হত্যার সংবাদ পরিবেশন করছে, তখনও দাদা আবদুল গফুর বিশ্বাস আজানা শঙ্কা নিয়ে অপেক্ষা করে আছেন, মেধাবী নাতি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে।

    আবদুল গফুর বিশ্বাসের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আবরার তাকে নিয়মিত দেখতে আসে কিনা। তিনি বলেছিলেন, ছুটিতে বাড়িতে এলেই গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসত আবরার। খোঁজখবরও নিত। মেধাবী নাতিকে নিয়ে গর্বিত এ বৃদ্ধ জীবনের শেষলগ্নে এসেও স্বপ্ন দেখেন তার নাতি অনেক বড় ইঞ্জিনিয়ার হবে। পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে। যদিও তার এবং পরিবারের একসময় চাওয়া ছিল আবরার ডাক্তার হবে।

    কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়া মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছিলেন আবরার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন। কিন্তু নিজের ইচ্ছাতেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন। অত্যন্ত মেধাবী আবরার ফাহাদের মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তার পরিবার আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা। আর বৃদ্ধ দাদা তো প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন- নাতি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। যে প্রতীক্ষার কোনো শেষ নেই…

    প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে তার লাশ সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয়।

  • আবরার হত্যায় ৯ ছাত্রলীগ নেতা আটক

    আবরার হত্যায় ৯ ছাত্রলীগ নেতা আটক

    বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ৯ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সোমবার বিকালে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

    আটকরা হলেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ছাত্রলীগ নেতা রবিন, মুন্না, তানভীরুল আরেফিন ইথান, অমিত সাহা, আল জামি।

    কৃষ্ণপদ রায় জানান, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ (সিসিটিভি), প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান এসব যাচাই-বাছাই করে আবরার হত্যাকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে ৯ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে বিস্তারিত বলা যাবে।

    পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জানান, নিহত আবরারের বাবা-মায়ের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা মামলা করবেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আবরারের বাবা-মা থানায় যাবেন। সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    আটক হওয়াদের মধ্যে ছয়জন আছেন ডিবি পুলিশের কাছে, দুইজন আছেন চকবাজার থানায় ও একজন আছেন শাহবাগ থানায়।

    নিহত ফাহাদ বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে।

    সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষের ভেতর ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ওই কক্ষটিতে ছাত্রলীগের নেতারা থাকতেন। তারা সবাই এখন পলাতক।

    হলের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী একদল নেতাকর্মী তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

    হল শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, ফাহাদকে জেরা ও পেটানোর সময় ওই কক্ষে অমিত সাহা, মুজতাবা রাফিদ, ইফতি মোশারফ ওরফে সকালসহ তৃতীয় বর্ষের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন।

    ওই কক্ষে এসে দ্বিতীয় দফায় ফাহাদকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ কয়েকজন। তারা সবাই মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী।

  • আবরারকে মারধরে জড়িত সবাই ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা

    আবরারকে মারধরে জড়িত সবাই ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা

    বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার জামিউশ সানি।

    সোমবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

    তিনি বলেন, রাতে খবর পাওয়ার পরই আমি সেখানে (ঘটনাস্থল) যাই। কয়েকজন তাকে ওই রুমে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। যারা মারধরে জড়িত তারা সবাই ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা।’

    তিনি বলেন, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন একটি ঘটনায় ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত থাকতে পারে- এমন ভাবাও কষ্টের। এটা খুবই ন্যাক্কারজনক।

    সানি বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে ছাত্রলীগের ছেলে হিসেবে নয়, অপরাধী যে-ই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    অপরদিকে এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

    নিহত ফাহাদ বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে।

    রোববার দিনগত রাতে তাকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষের ভেতর পিটিয়ে হত্যা করা হয়। কক্ষটিতে ছাত্রলীগের নেতারা থাকতেন। তারা সবাই এখন পলাতক।

    হলের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী একদল নেতাকর্মী তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

    হল শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, ফাহাদকে জেরা ও পেটানোর সময় ওই কক্ষে অমিত সাহা, মুজতাবা রাফিদ, ইফতি মোশারফ ওরফে সকালসহ তৃতীয় বর্ষের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন।

    ওই কক্ষে এসে দ্বিতীয় দফায় ফাহাদকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ কয়েকজন। তারা সবাই মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী।

  • নিহত আবরারের শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস

    নিহত আবরারের শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার ফাহাদ নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

    শের-ই-বাংলা হলের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা হত্যার রহস্যের সূত্র খুঁজে পাচ্ছেন তার সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসে।

    আবরার ৫ অক্টোবর তার সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টে ভারত সর্ম্পকে লিখেছিলেন।

    পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।

    কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।

    কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তরভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।

    হয়তো এসুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-

    “পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি

    এ জীবন মন সকলি দাও,

    তার মত সুখ কোথাও কি আছে

    আপনার কথা ভুলিয়া যাও।”

    সহপাঠীরা অভিযোগ করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কয়েকজন নেতাকর্মী রোববার (৬ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে আবরারকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ২০১১ নাম্বার রুমে তাকে তার দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

    ওই সময় তারা আবরারকে মারধর করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু। তবে আবরারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, ছাত্রলীগের উপদফতর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজতবা রাফিদ, উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপআইন সম্পাদক অমিত সাহা।

    পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে যোগ দেন ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার।

    অন্যদিকে রাত অনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে সবাই জানতে পারে, সিঁড়ি থেকে পড়ে আবরার ফাহাদ মারা গেছেন।

    ঘটনাটি সর্ম্পকে লালবাগ জোনের অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার কামাল হোসাইন জানান, হল প্রশাসনের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এসে ছেলেটির মরদেহ দেখতে পাই। পরে তা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • বুয়েটের হলে ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা

    বুয়েটের হলে ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করা হ‌য়ে‌ছে। রবিবার রাতে হলের দ্বিতীয়তলা থেকে এই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা এখনো জানা যায়নি।

    নিহত শিক্ষার্থীর নাম আবরার ফাহাদ। তিনি ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার গ্রা‌মের বা‌ড়ি কু‌ষ্টিয়ার কুমারখালীতে।

    রবিবার রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ ছাত্ররা ফাহাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

    আবরা‌রের রুম‌মেট সৈকত ব‌লেন, সন্ধ্যা সাতটা থে‌কে আটটার মধ্যে আবরার‌কে কে বা কারা রুম থে‌কে ডে‌কে নি‌য়ে যায়। এরপর আর কিছুই জা‌নি না। প‌রে রাত দুইটার দিকে তার লাশ পাওয়া যায়।

    বুয়েট মেডিকেল অফিসার মো. মাশুক ইলাহী রাত তিনটায় আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, রাত্রিকালীন ডিউটিতে ছিলেন। খবর পেয়ে শেরে বাংলা হলে গিয়ে ফাহাদকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে নিজে পরীক্ষা করে দেখেন তিনি মারা গেছেন। তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।পরে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।

    চকবাজার থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, বুয়েটছাত্রের লাশ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

    আবরার ফাহাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। তার বাবার নাম বরকতুল্লাহ। তিনি বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।