Tag: পিঠা উৎসব

  • ঐতিহ্যের উচ্ছ্বাসে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে শীতকালীন পিঠা উৎসব

    ঐতিহ্যের উচ্ছ্বাসে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে শীতকালীন পিঠা উৎসব

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ হাজার বছরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী আমরা। খাদ্য রসিক বাঙালি প্রাচীনকাল থেকে প্রধান খাদ্যের পরিপূরক মুখরোচক অনেক খাবার তৈরি করে আসছে। তবে পিঠা সর্বাধিক গুরুত্বের দাবিদার। শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারী সমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠে তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব। তাই মুখরোচক খাবার হিসেবে পিঠার স্বাদ গ্রহণ ও জনসমক্ষে একে আরো পরিচিত করে তুলতে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে আয়োজন করা হয়েছে দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের।

    বুধবার প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল করিম।

    প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য খায়রুল ইসলামের উদ্যেগে পিঠা উৎসবে পুুলি, ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, মাংস পিঠা, নকশা, পাকন, শামুক, ডিম, পাকন, মিঠা, ক্ষীরপুলি, নারিকেল পুলি, আনারকলি, দুধসাগর, সন্দেশ, চিতই প্রভৃতি নামের পিঠার ২০টি স্টল বসে।

    প্রেসক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, নারী নেত্রী সুরাইয়া বাকের, কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ আব্দুল্লাহ।

    বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এম সেকান্দর হোসাইন, প্রেসক্লাব কল্যাণ ট্রাষ্টের সভাপতি এম.হেদায়েত
    সীতাকুণ্ড পৌর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেনসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

  • বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখি সুজনের মধ্যে: রানা দাশগুপ্ত

    বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখি সুজনের মধ্যে: রানা দাশগুপ্ত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ফেব্রুয়ারী মাস বাঙালির ভাষার অধিকার আদায়ের মাস। এই একুশের চেতনাকে ধারন করে আমাদের আজকের এই স্বাধীনতা। এই মাঘ মাস তীব্র শীতের মাস। এই মাসে বাঙালি ঘরে ঘরে পিঠে পুলির আয়োজন থাকে, এটিই আমাদের সংস্কৃতি। আজকের এই দিনে পিঠা উৎসবের মত একটি আয়োজন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই উৎসব বাঙালির ঐতিহ্য। আমাদের এই দেশের সংস্কৃতিতে মিশে আছে নবান্নের ধান, পিঠেপুলির আয়োজন। মাঘের হীম শীতল পরিবেশে কবি সাহিত্যিকদের মিলন মেলায় পিঠা উৎসবের আয়োজন যান্ত্রিক জীবনের একটু হলেও প্রাণের আনন্দের সঞ্চার করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

    তিনি আজ সোমবার সন্ধ্যায় চসিকের লালদিঘী পার্কে চসিক আয়োজিত পিঠা উৎসবের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন সংস্কৃতি বিবর্জিত। ৬০-৭০ এর দশকের রাজনীতিতে যুক্ত কর্মীরা সংস্কৃতির চর্চাও করেছেন। যে কারনে তাদের মনন জগতে গুনগত পরিবর্তন হয়েছিল। বাংলা ও বাঙালির যে মনন ও বাংলার যে সংস্কৃতি তাঁর প্রতিফলন ঘটিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি বলেন, প্রশাসক জ্যোৎস্না উৎসবের আয়োজন করেছেন। আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংস্কৃতি চেতনাকে ধারন করে এগুতে পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গড়া সম্ভব।

    পিঠা উৎসবের কবিতা পাঠের পাশাপাশি আড্ডারও আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমনা প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের চট্টগ্রামের কবিতা প্রেমী মানুষ ও কবি- সাহিত্যিকদের জন্য নানা রকম পিঠাপুলির আয়োজন করেন।

    আয়োজনের মধ্যে ছিল ভাপা পিঠা, খেজুরের রস, ছাঁচ পিঠা , পাঠি সাপটা, সঁই ফাকুন,তালের পিঠা, ছ্যাইনা পিঠা, চিতল পিঠা আরো কত কি।

    এসময় স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন প্রফেসর ড. মোহিতুল আলম, কবি খুরশিদ আনোয়ার, রাশেদ রউফ, খালিদ আহসান, শুক্লা ইফতেখার, সাথি দাশ, আনন্দমোহন রক্ষিত, হোসাইন কবির, আকতার হোসেন, ইউসুফ মাহমুদ, বিজন মজুমদার, আবু মুসা চৌধুরী, হাসিনা শিরিন, আবুল কালাম বেলাল, মুনিরুল মুনির, তালুকদার আব্দুল হালিম, বিপুল বড়ুয়া, মোদাচ্ছের আলী, সাইফুদ্দিন সাকিব, লিটন কুমার চৌধুরী।

  • সীতাকুণ্ড সরকারি মহিলা কলেজে পিঠা উৎসব

    সীতাকুণ্ড সরকারি মহিলা কলেজে পিঠা উৎসব

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : শীতের এমন দিনে গ্রামের বাড়িতে ভোরে গাছিদের খেজুর রস সংগ্রহের এক রকম ধুমপরে যায়। আর খেজুর রস দিয়ে সকালে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।

    এসব গ্রাম্য ঐতিহ্য মাথায় রেখে অন্যান্য বছরের মত এবছরও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হল সীতাকুণ্ড ঐতিহ্যবাহী সরকারি মহিলা কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠান। বুধবার সকাল ১১টায় কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উৎসবে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ঢল লক্ষ্য করা গেছে।

    সকাল ১১টায় অনুষ্ঠান আরম্ভ হলেও সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা ঘরে তৈরি নানা রকম সাজে পিঠা নিয়ে দলে দলে কলেজ প্রাঙ্গনে এসে হাজির হয়। পিঠা উৎসব পরিদর্শন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়।

    উৎসবে উপস্থিত ছিলেন,সীতাকুণ্ড সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. দিদারুল আলম,সীতাকুণ্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দিদারুল আলম জাহাঙ্গীর, কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দীন, সিনিয়র প্রভাষক বনানী দত্ত, সুকদেব রুদ্র, সেলিনা বেগম, সেলিনা আক্তার, নাজলী শফিক, মোঃ শাহজাহান, শামীমা নার্গিস, মোঃ ইমাম হোসাইন ও মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন।

    পিঠা উৎসবে প্রায় ৬০টিরও বেশি পিঠা স্টলে অন্তত ৪০ রকমের নতুন নতুন পিঠা উপস্থাপন করা হয়। সকাল থেকে শুরু হওয়া উৎসবে ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, সার্স, অন্থন, নার্কেল বর, শীতল, পাটি সপ্তা, ফুল পিঠা, চিতল পিঠাসহ আরো অন্যান্য পিঠা অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হয়। এছাড়াও দৃষ্টিনন্দন প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নজর কাড়ে উপস্থিত দর্শশানার্থীদের।

    এদিকে পরিদর্শন শেষে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, সীতাকুণ্ড সরকারী মহিলা কলেজের আয়োজনে প্রতিবছর শীত মৌসুমে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এটি অনেক ভাল দিক, তারা গ্রাম্য ঐতিহ্য সবার মাঝে তোলে ধরেছে এবং নানারকম পিঠা তৈরি করে খুব সুন্দর ভাবেই উপস্থাপন করছে।