Tag: পিবিআই

  • দুই বছর পর সাংবাদিক কামরুল ইসলাম দুলু’র মোবাইল উদ্ধার করল পিবিআই

    দুই বছর পর সাংবাদিক কামরুল ইসলাম দুলু’র মোবাইল উদ্ধার করল পিবিআই

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ডে হারিয়ে যাওয়ার ২ বছর ১ মাস ২০ দিন পর মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

    প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্ধারের পর রোববার রাতে ফোনের মালিকের হাতে এটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

    জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলার সিপ্লাস টিভি ও দৈনিক ভোরের দর্পণ প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম দুলু কর্মস্থল থেকে সীতাকুণ্ড- অলংকার রোডে চলাচলকারী ৮নং বাসে করে বাড়ি ফেরার পথে ২০২০ সালের ২১ শে ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় স্মার্ট ফোনটি হারিয়ে ফেলেন। ওই দিনই তিনি সীতাকুণ্ড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর ঘটনাটি তদন্তভার পান থানার এসআই মামুন। মোবাইলটি বন্ধ থাকায় তখন সেটা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

    দুই বছর পর সোমবার (২৯ জানুয়ারী ২০২৩) আবার মোবাইল উদ্ধারে আবেদন করা হয় পিআইবি চট্টগ্রাম জেলা বরাবরে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান এর সহযোগীতায় উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহাদাত হোসেন ফোনের আইএমইআই নম্বরের সূত্র ধরে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ১২ ঘন্টার মধ্যে নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ীর এক নারীর কাছে ফোনের সন্ধান পান। ফোনটি ওই নারী রিয়াজউদ্দিন বাজারের একটি দোকান থেকে কম মুল্যে কিনেছিলেন। রোববার রাতে ফোনটি সাংবাদিক কামরুল ইসলাম দুলু’র হাতে হস্তান্তর করেন।

    কামরুল ইসলাম দুলু জানান, তিনি ধরেই নিয়েছিলেন ফোনটি আর ফিরে পাবেন না। কিন্তু দুই বছর ১ মাসেরও বেশি সময় পর ফোন উদ্ধার করতে পারায় তিনি পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান এবং উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহাদাত হোসেনকে ধন্যবাদ জানান।

    শাহাদাত হোসেন জানান, প্রযুক্তির সহায়তায় তিনি হারিয়ে যাওয়া অনেক স্মার্ট ফোন উদ্ধার করেছেন। তিনি বলেন, দুই বছরের বেশি সময় পরে হলেও হারিয়ে যাওয়া ফোনটি উদ্ধারের পর মালিককে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

  • মাশফি হত্যার রহস্য উদঘাটন;দুই মাদ্রাসা ছাত্রই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে

    মাশফি হত্যার রহস্য উদঘাটন;দুই মাদ্রাসা ছাত্রই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে

    বোয়ালখালী প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নে আল্লামা অছিউর রহমান হেফজখানা ও এতিমখানার নাজেরা বিভাগের ছাত্র ইফতেখার মালেকুল মাশফি (৭) হত্যাকাণ্ডের রহস্য প্রায় সাড়ে ৩ মাস পর উদঘাটিত হয়েছে।

    একই মাদ্রাসার ১৫ বছর বয়সী হেফজ বিভাগের দুই ছাত্রই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।

    আজ রোববার (১৯ জুন) সকালে পিবিআইয়ের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও কম্বল উদ্ধার করেছে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পিবিআই কর্মকর্তা নাজমুল আহসান বলেন, আমাদের কাছে তদন্তভার অর্পণ হওয়ার পর সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে আমরা তদন্ত কার্যক্রম চালায়।

    এরই ধারাবাহিকতায় আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও পিবিআইয়ের নিজস্ব পন্থায় আমরা দুইজন মাদ্রাসা ছাত্র শনাক্ত করি। তারা ছিল ১৫ বছর বয়সী দুই শিশু। তারা ঘটনার প্রত্যক্ষ বিবরণ দেয়।

    তাদের জবাববন্দির আলোকে আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই শিশুকে গ্রেপ্তার করি। তাদের দেওয়া তথ্য মতে-আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, কম্বল ও আনুসঙ্গিক আলামত উদ্ধার করি।

    তিনি বলেন, ভিকটিমের বয়স ছিল ৭ বছর আর ঘটনায় জড়িতরা ছিল ১৫ বছরের। ভিকটিমের সঙ্গে ঘটনায় জড়িত দুইজনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। বিশেষ করে খাবার পরিবেশন, খাবার গ্রহণ, অন্যান্য জীবন প্রণালি সংক্রান্ত ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল। সে বিরোধের জেরে মাশফিকে হত্যা করা হয়।

    উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ চরণদ্বীপ আল্লামা অছিউর রহমান হেফজখানা ও এতিমখানার নাজেরা বিভাগের ছাত্র ইফতেখার মালেকুল মাশফিকে জবাই করে হত্যা করা হয়।

  • পিবিআই ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

    পিবিআই ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

    খুলনার ছোট মির্জাপুরের একটি জাতীয় পত্রিকার স্থানীয় অফিসে বিএল কলেজের শিক্ষার্থীকে পিবিআই ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদ ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকেই ইন্সপেক্টর মাসুদ পলাতক রয়েছেন।

    ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী এ ঘটনার পর ৯৯৯ এবং খুলনা সদর থানার ওসির নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চায়। পরবর্তীতে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে।

    পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

    খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, ভিকটিম একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি প্রচারণা নিয়ে একটি সমস্যা হয়েছিল। সেই সূত্রে পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদের সঙ্গে ভিকটিমের কয়েক দিন আগে পরিচয় হয়। রোববার দুপুরের দিকে মির্জাপুরের একটি পত্রিকা অফিসে ইন্সপেক্টর মাসুদ ভিকটিমকে নিয়ে এসে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    তিনি বলেন, ঘটনার সময় অফিসে একজন স্টাফও ছিল। অফিসের ভিতরের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভিকটিমের। এ ঘটনার পর ভিকটিম নিজেই দুপুর ২টার পর আমাকে ফোন দিয়েছিল। পাশাপাশি সে ৯৯৯-এ ফোন করেছিল। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর কেএমপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন একটি টিম প্লেস অব ওকারেন্সে গিয়ে পরিদর্শন করেন।

    কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্যার সমাধানের জন্য ভিকটিমকে মির্জাপুরের একটি অফিসে নিয়ে আসে পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ভিকটিম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে আছে। ঘটনার পর থেকে ইন্সপেক্টর মাসুদ পলাতক। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবে ভিকটিমের পরিবার।

    পিবিআইয়ের সূত্র জানায়, ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদ প্রায় দেড় বছর আগে খুলনায় যোগদান করেছেন। তার স্ত্রীসহ দুটি সন্তানও রয়েছে।

    এদিকে সাংবাদিক আবু হেনা মুক্তি এ প্রতিবেদককে জানান, এটা আমার আগের অফিস। সেখানে দৈনিক ইনকিলাবের একটি পুরোনো সাইনবোর্ড আছে। অফিসে সাবলেট হিসেবে মাছ ব্যবসায়ী জাকির থাকত। সেই পুলিশকে নিয়ে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

    দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার খুলনা ব্যুরোপ্রধান ডিএম রেজা সোহাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আবু হেনা মুক্তি এবং মাসুদ রানাকে ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অভিযোগে অব্যাহতি প্রদান করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে দৈনিক ইনকিলাব কর্তৃপক্ষের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

  • চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামি দেড় বছর পর গ্রেফতার

    চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামি দেড় বছর পর গ্রেফতার

    চট্টগ্রামে রায়হানুল হত্যা মামলার এক আসামিকে দেড় বছরের বেশি সময় পর কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

    মামলার তদন্ত পাওয়ার ২৬ দিনের মাথায় আসামি আব্দুর রহমান ওরফে লালকে (২৪) বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে কর্ণফুলীর মৌলভী বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম মেট্রোর এসআই জাহেদুজ্জামান।

    তিনি বলেন, ২০২০ সালের বছরের ১৫ জানুয়ারি আবুধাবি ফেরত রায়হানুল ইসলাম ওরফে সজীবকে সুমি নামে এক নারীর মাধ্যমে মোবাইলে ফোনের পরিচয়ে শিকলবাহা এলাকায় নিয়ে আটকে রাখে দুর্বত্তরা। ওই সময় আসামিরা স্বজনদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তখন রায়হান চিৎকার করলে তার গলার থাকা মাফলার দুই দিকে টান দিয়ে শ্বাসরোধে খুন করা হয়। পরে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ১৮ জানুয়ারি কর্ণফুলী থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে সজীবের পরিবার।

    তিনি জানান, এ ঘটনায় পুলিশ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে সুমি ও বাদশা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত আটজনের নাম প্রকাশ করে। কিন্তু পুলিশ তিনজনের নাম ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাকি পাঁচজনের নামে গত ২২ জুন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে পিবিআইকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়।

    গত ৪ সেপ্টেম্বর পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। তদন্ত নেমে ২৬ দিনের মাথায় পলাতক আব্দুর রহমান লালকে শিকলবাহা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

    পিবিআই বলছে, খুনের ঘটনার আগে লাল চট্টগ্রাম শহরে সিএনজি অটোরিকশা চালাতেন। খুনের পরে শিকলবাহা এলাকায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন।

  • আল্লামা শফী ‘হত্যার’ অভিযোগ তদন্তে হাটহাজারী মাদ্রাসায় পিবিআই টিম

    আল্লামা শফী ‘হত্যার’ অভিযোগ তদন্তে হাটহাজারী মাদ্রাসায় পিবিআই টিম

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে আদালতে দায়ের করা মামলার তদন্তকাজ শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে হাটহাজারী মাদ্রাসা ও ফটিকছড়ি বাবুনগর মাদ্রাসা পরিদর্শন করে পিবিআই টিম।

    বিভাগীয় পুলিশ সুপার (পিবিআই) মো. ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত দলে ছিলেন- চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (পিবিআই) নাজমুল হাসান। সঙ্গে ছিলেন হাটহাজারী মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।

    পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তের অংশ হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে আমরা হাটহাজারী মাদ্রাসা, ফটিকছড়ি বাবুনগর মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শনকালে সেখানে সংশ্লিষ্ট যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আরও যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের সঙ্গে আমরা পর্যায়ক্রমে কথা বলবো।

    উল্লেখ্য, হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম ও কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের সাবেক আমির আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

    ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মরহুমের শ্যালক বাদী হয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু দাবি করে আলোচিত ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।

    এ ঘটনায় আদালত এক মাসের ভেতর পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

    উল্লেখ্য, মামলায় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে আসামি করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তরা হলেন- নাছির উদ্দিন মুনির, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ, মো. রিজওয়ান আরমান প্রমুখ। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

  • নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণচেষ্টাসহ দুই মামলায় ইউপি সদস্যসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

    নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণচেষ্টাসহ দুই মামলায় ইউপি সদস্যসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

    নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার দুই মামলায় প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ দেলুসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

    এ সময় গ্রেফতার দুই আসামি রহমত উল্যা ও মাইন উদ্দিন শাহেদকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে চারজন এখনও পলাতক রয়েছে।

    মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালী পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল।

    অভিযুক্ত আসামিরা হলো- মামা বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন দেলু (২৬), জামাল উদ্দিন প্রকাশ প্রবাসী জামাল (৫২), নূর হোসেন বাদল (২২), আব্দুর রহিম (২০), মোহম্মদ আলী প্রকাশ আবুল কালাম (২৩), শামসুদ্দিন সুমন প্রকাশ কন্ট্রাক্টর সুমন (৩২), ইস্রাফিল হোসেন মিয়া (২১), মাইন উদ্দিন সাজু (২১), নূর হোসেন রাসেল (২৯), আনোয়ার হোসেন সোহাগ (২৪), আবদুর রব চৌধুরী প্রকাশ লম্বা চৌধুরী (৫০), মোস্তাফিজুর রহমান প্রকাশ আরিফ (১৯), মিজানুর রহমান প্রকাশ তারেক (২০), মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ প্রকাশ সোহাগ মেম্বার (৪৫)।

    পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ১০০ নম্বর পাতায় ধর্ষণ ও ৩৩২ নম্বর পাতায় নির্যাতন মামলায় ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উৎপল চৌধুরীর কাছে জমা দেয়া হেয়েছে। পলাতক চার আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলা দু’টি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল ও নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী তদারকি করেন। পরবর্তীতে ধর্ষণ মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক মো. সিরাজুল মোস্তফা ও নির্যাতন মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারীকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।

    ধর্ষণ মামলার দুই আসামি ও নির্যাতন মামলায় ওই দুজনসহ ১০ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আট আসামি। এখনো পর্যন্ত পলাতক রয়েছে চার আসামি; তারা হলো- জামাল উদ্দিন, আবদুর রব চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান আরিফ ও মিজানুর রহমান তারেক।

    প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে তাদের ঘরে ঢুকেন।

    বিষয়টি দেখে ফেলেন স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার।

    রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পরপুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজ ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করে।

    একপর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে।

    ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলায় তথা দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

  • স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ: এএসআই  রায়হানুলকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পিবিআই

    স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ: এএসআই রায়হানুলকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পিবিআই

    রংপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় বরখাস্তকৃত এএসআই রায়হানুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম এটি নিশ্চিত করেছেন।

    একই ঘটনায় অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের আদালতে দুইজনের জবানবন্দি নেয়া হয়।

    এর আগে একই আদালতে ২২ ধারায় নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি নেয়া হয়।

    স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতার অপরাধে গ্রেপ্তার সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ও সুরভী আক্তার সমাপ্তিকে মঙ্গলবার আদালতে নেয়া হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে আদালত তাদের রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীকে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে বুধবার বিকাল ৫টায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে ওই নির্যাতিতা স্কুলছাত্রী গত ২৩ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম কর্তৃক ধর্ষণের কথা জানায়। এর পরদিন ২৪ অক্টোবর আশ্রিতা সুমাইয়া আক্তার মেঘলার বাসায় কিভাবে গণধর্ষণের শিকার হয় সেসব বিস্তারিত ঘটনা আদালতে বর্ণনা করে। আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম ২২ ধারায় তার বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেন।

    পরে একই আদালতে সন্ধ্যায় গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেনকে নিয়ে আসা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আদালত তাদের ওই জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, আসামিরা ওই ধর্ষণ ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। ঘটনার দিন তাদের সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ও সুরভী আক্তার সমাপ্তি সেখানে খদ্দের হিসেবে ডেকে নেয়। পরে তারা ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে আদালতে জানিয়েছে।

    পিবিআই ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকার ময়নাকুঠি কচুটারিতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৩ অক্টোবর সকালে ওই ছাত্রীকে বেড়াতে নিয়ে যান রায়হানুল। পরে পূর্বপরিচিত নগরীর বাহারকাছনা ক্যাদারেরপুল এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া সুমাইয়া পারভীন মেঘলার বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।

    পরে ওই ছাত্রী রাত ৯টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুনরায় সুমাইয়া পারভীন মেঘলার বাসায় এসে আশ্রয় চায়। পর দিন ২৪ অক্টোবর শনিবার রাতে ওই বাসায় মেঘলা তার বান্ধবী সুরভী আখতার সমাপ্তির সহযোগিতায় দুইজন যুবককে ডেকে এনে টাকার বিনিময়ে ওই ছাত্রীকে তাদের হাতে তুলে দেয়। সেখানে সে গণধর্ষণের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

    ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে পরদিন ২৫ অক্টোবর ওই নির্যাতিতা ছাত্রী রায়হানুলকে খুঁজতে শহরে আসে। সেখান থেকে টহল পুলিশের সন্দেহ হলে পুলিশ ওই ছাত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার ওপর নির্যাতনের ঘটনা পুলিশকে জানায়।

    এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হারাগাছ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ছাত্রীর বাবা। সোমবার মামলাটি হারাগাছ থানা থেকে রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়।

    রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন জানান, এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • সালমান শাহ’র মৃত্যু হত্যা নয়, আত্মহত্যা: পিবিআই

    সালমান শাহ’র মৃত্যু হত্যা নয়, আত্মহত্যা: পিবিআই

    ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহকে হত্যার কোনো আলামত পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

    পারিবারিক কলহের জের ধরেই সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলে পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে।

    হত্যা মামলাটির তদন্ত শেষে সোমবার ধানমন্ডিতে সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন ডাকে পিবিআই। সেখানে চাঞ্চল্যকর মামলাটির তদন্ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানান সংস্থাটির প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

    বনজ কুমার বলেন, পিবিআইয়ের তদন্তে সালমান শাহকে হত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

    পিবিআই প্রধান বলেন, ২০১৬ সালে পিবিআই তদন্ত শুরু করে। প্রায় ২৫ বছর আগের ঘটনা তাই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের জবানবন্দি গ্রহণ করতে বেশি সময় লেগেছে। ১৬৪ ধারায় ১০ জনের জবানবন্দি নিয়েছে পিবিআই।

    পিবিআই নতুন করে আলামত হিসেবে একটি ফ্যান জব্দ করেছে, ধারনা করা হয় ওই ফ্যানেই আত্মহত্যা করেছিলেন সালমান।

    ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে সালমান শাহর। স্মার্টনেস, নিজস্বতার কারণে রাতারাতি তরুণ প্রজন্মের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় ওঠেন তিনি। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি ছবি করেন। যার অধিকাংশই ছিল সুপারহিট।

    ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান জনপ্রিয় এই নায়ক। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

    ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা করেন।

    ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। এরপর প্রায় ১৫ বছর মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল। ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

    ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী ছেলের মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান এবং ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন বলে আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে নারাজির আবেদন দাখিল করেন। নারাজি আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন তার ছেলে সালমান শাহের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন

    মামলাটি এরপর র‌্যাব তদন্ত করে। তবে র‌্যাবের দ্বারা তদন্তের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত বছরের ১৯ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করে। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ ৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস রাষ্ট্রপক্ষের রিভিশনটি মঞ্জুর করেন এবং র‌্যাবকে মামলাটি আর না তদন্ত করার আদেশ দেন। তখন থেকে পিবিআই মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায়।

  • অভিনব কৌশলে ভুয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া, পিবিআইয়ে জালে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য ধরা

    অভিনব কৌশলে ভুয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া, পিবিআইয়ে জালে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য ধরা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর সদস্যদের বিশেষ অনুসন্ধানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার হয়েছে তিন প্রতারক।

    বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় গ্রেফতার তিনজনই অভিনব কৌশলে ভুয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন।

    তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ চাকুরি প্রত্যাশীদেরকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম বন্দর ও সেনাবাহিনীতে ভুয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ার কথা বলে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে প্রতারণা করে আসছিলো।

    তিনি বলেন, গত তিন মাস আগে এ প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে চাকরি প্রত্যাশি সাইফুল ইসলাম, আব্দুল গফুর ও মিলন চক্রবর্তী নামের তিন ব্যাক্তি। তারা এ চক্রের কাছ থেকে ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ভুয়া নিয়োগ পত্রও সংগ্রহ করেছিলো। কিন্তু গত ৮ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে তারা প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারে এবং প্রশাসনের কাছে প্রতারক আনোয়ারুল হোসেনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন।

    অভিযোগের সূত্র ধরে গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আটক হয় প্রতারক চক্রটির অন্যতম সদস্য ঝালকাঠির বড় কৈবর্ত্যখালী এলাকার বাসিন্দা রিপন সিকদার (৩০)। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে রিপন এ চক্রের আরো দুই প্রতারকের তথ্য দেন। এরপর টানা ৫দিন বিভিন্ন অনুসন্ধানে দুই প্রতারকের অবস্থান নিশ্চিত হয় পিবিআই।

    ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর পাঠানটুলির হোটেল পূরবীতে অভিযান চালায় পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর সদস্যরা। এসময় ফেনীর দক্ষিণ গুখুমা এলাকার বাসিন্দা প্রতারক চক্রটির সদস্য আনোয়ারুল হোসেন প্রকাশ আতিক (৪৫) ও নারায়ণগঞ্জের চর তালিমাবাদ দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মো. তোফাজ্জল হোসেন (৫৪)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পিবিআই সদস্যরা।

    গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু ভুয়া নিয়োগপত্র, প্রবেশপত্র, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র, পেনড্রাইভসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

    গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক চক্রের সদস্যরা জানিয়েছে তারা এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিয়োগপত্র দিয়েছেন ২৩ জনকে। ২০ জনকে দিয়েছেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পত্র, ২১ জনকে নিয়োগপত্র, চট্টগ্রাম বন্দরে ১ জনের নামে নিয়োগপত্র ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৪ জনের নামে নিয়োগপত্র ও এনবিআরে ২৭ জনের নামে নিয়োগপত্র দিয়েছে চক্রটি।

    জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, গত ২০১৫ সাল থেকে তারা নিজেরাই বিভিন্ন পদের জন্য ভুয়া প্রবেশপত্র, প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র, পুলিশ ভেরিফিকেশন, নিয়োগপত্র বানিয়ে হোটেলে এনে নিয়োগপ্রার্থীর পরীক্ষা নেন। নিয়োগপ্রার্থীরা দাবীকৃত সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার পর তাদের হাতে কথিত নিয়োগপত্রটি ধরিয়ে দেন।

  • পিবিআই তদন্ত করবে শমী কায়সারের বক্তব্য

    পিবিআই তদন্ত করবে শমী কায়সারের বক্তব্য

    সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

    আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান এ নির্দেশ দেন।

    আজ মামলার বাদী স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাসান পুলিশের দেয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন। নারাজি শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনঃতদেন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। মিঞা মো. নুজহাতুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে রোববার (২৪ অক্টোবর) মামলার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান।

    প্রতিবদনে তিনি উল্লেখ করেন, শমী কায়সারের বক্তব্যে কোনো মানহানিকর ঘটনা ঘটেনি। মামলার বাদী এ বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।

    মামলার বাদী প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেবেন বলে আদালতে সময় প্রার্থনা করলে বিচারক নারাজি দেয়ার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

    ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলা করেন স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাচান। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রমনা থানার পরিদর্শককে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

    গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শমী কায়সারের দুটি স্মার্টফোন চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে অর্ধশত ক্যামেরাম্যান ছাড়াও শতাধিক মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

  • রায়ে সন্তুষ্ট নুসরাতের বাবা

    রায়ে সন্তুষ্ট নুসরাতের বাবা

    বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ আসামির মত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নুসরাতের বাবা এ কে এম মুসা। তবে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) আদালতের রায় শুনে নুসরাতের বাবা বলেছেন, এই রায়ে তারা সন্তুষ্ট। দ্রুত যেন রায় বাস্তবায়ন করা হয়। এছাড়া আসামি পক্ষ যদি হাইকোর্টে আপিল করে তারপরেও যেন এই রায় বহাল থাকে।

    এসময় তদন্ত দ্রুত শেষ করায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান নুসরাতের বাবা।

    মামলার বাদী ও নুসরাতের বড় ভাই নোমান বলেন, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকে এই মামলার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আশা করি তিনি এই সুযোগ আমাদের দিবেন। এছাড়া দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানায় আমরা।

    এর আগে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। তিনি ১৩ মিনিটেই নুসরাত হত্যা মামলার রায় পড়া শেষ করেন।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি হলেন-মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদদৌলা, দুই নম্বর আসামি ফেনী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. নুর উদ্দিন, তিন নম্বর আসামি মাদ্রাসার ফাজিলের ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামীম, চার নম্বর আসামি পৌর আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, পাঁচ নম্বর আসামি ছাত্রলীগকর্মী ও মাদ্রাসার ফাজিল বিভাগের ছাত্র মো. জোবায়ের, ছয় নম্বর আসামি চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ও মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী জাবেদ হোসেন, সাত নম্বর আসামি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক এবং ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাফেজ আবদুল কাদের, আট নম্বর আসামি মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আফছার উদ্দিন, মাদ্রাসার ফাজিল প্রথম বর্ষ ও ফেনী পলিটেকনিক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলনের সদস্য ও ছাত্রলীগকর্মী মো. শামীম, অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলন সদস্য ও ফেনী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এমরান হোসেন মামুন, মাদ্রাসা শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ইফতেখার উদ্দিন রানা, অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলনের সদস্য ও ছাত্রদলকর্মী হিসেবে পরিচিত মহিউদ্দিন শাকিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিন, মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী উম্মে সুলতানা পপি ও মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী কামরুন নাহার মণি।

    প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। পরে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর মামলা তুলে নিতে নুসরাতের পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু নুসরাতের পরিবার ওই মামলা তুলে নেয়নি। নুসরাত ওই মাদ্রসার শিক্ষার্থী ছিলেন।

    গত ৬ এপ্রিল সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে আলিমের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে যান নুসরাত। ওই সময় কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে তাকে ডেকে নিয়ে যায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সহযোগীরা। পরে নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান (নোমান) সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। পরবর্তীতে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

  • যুবলীগ নেতা আরজুর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্ত করবে পিবিআই

    যুবলীগ নেতা আরজুর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্ত করবে পিবিআই

    একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সামশুদ্দোহা সিকদার প্রকাশ আরজু সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদার।

    বাদীপক্ষের আইনজীবী রেহানা বেগম রানু জানান, দণ্ডবিধির ৫০০ ও ৫০৬ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরুর পর চট্টগ্রামে জুয়ার আসর নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রশাসনের চোখ খুলে দেয় একুশে পত্রিকা।

    এরই ধারাবাহিকতায় যুবলীগের নাম ব্যবহার করে রাঙ্গুনিয়ায় জুয়া, মাদক, সরকারী জায়গা দখল, চাঁদাবাজি করে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন- তাদের ব্যাপারে তথ্য আহ্বান করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদার।

    উক্ত পোস্টে কারো নাম না থাকলেও বিষয়টি নিজের ঘাড়ে টেনে নিয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আরজু সিকদার নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য রাঙ্গুনিয়া থানার সামনে রাস্তা ব্লক করে গত ১০ অক্টোবর বিকেলে সমাবেশ করেন।

    যেখানে সাংবাদিক আজাদ তালুকদারকে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার, হাত-পা ভেঙে ফেলার, জিহ্বা কেটে নেয়ার হুমকি দেন আরজু সিকদার। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে ক্রমাগত হুমকি ধমকি অব্যাহত রেখেছেন আরজু সিকদার।