Tag: পুলিশ

  • ‘চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ’

    ‘চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ’

    ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সোমবার (১১ নভেম্বর) পুলিশ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশনা দেন অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আকরাম হোসেন।

    তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথবাহিনীর চলমান অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীদের কোন ধরনের ছাড় দেওয়া যাবে না।পলাতক আসামি গ্রেফতারে ইউনিট প্রধানদের প্রত্যক্ষ নজরদারি বাড়াতে হবে। এছাড়া মহাসড়কে ডাকাতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

    আকরাম হোসেন বলেন, থানায় আগত সেবাপ্রত্যাশীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শিথিলতা প্রদর্শন করা যাবে না। তাদের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যদের আরও নিষ্ঠাবান হতে হবে।

    সভায় আলোচ্য তিন মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারি পরোয়ানা, মামলা তদন্ত ও বিচারের ফলাফল, সাজার হার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

    সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

    পুলিশ সদরদপ্তর প্রান্তে ডিআইজি (অপারেশনস ও অতিরিক্ত দায়িত্বে ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) মো. রেজাউল করিম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • একযোগে পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

    একযোগে পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

    বাংলাদেশ পুলিশের ৯ জন কর্মকর্তাকে একযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তাদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ৮ জন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

    বুধবার (৬ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক নয়টি প্রজ্ঞাপনে এ নয় কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

    রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন প্রজ্ঞাপনগুলোতে সই করেন।

    বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন-
    এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভূঁইয়া মাহবুব হাসান, সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান ঝন্টু, সিআইডির (এপিবিএনে বদলির আদেশপ্রাপ্ত) মো. জিয়াউর রহমান, এসবির সহকারী পুলিশ সুপার আবু মো. ফজলুল করিম, শিল্পাঞ্চল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার রনজিত কুমার বড়ুয়া, বেতবুনিয়া পিএসটিএসের সহকারী পুলিশ সুপার অপ্পেলা রাজু নাহা, সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. আক্তারুজ্জামান, সিলেট এসএমপির সহকারী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এবং মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজিজুর রহমান সরকার।

    পৃথক নয়টি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সদস্যদের সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।

    এর আগে গত ১৩ আগস্ট পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম ও সদ্য সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

    ২১ আগস্ট পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম, মো. আনোয়ার হোসেন ও সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

    এরপর শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাহাবুবর রহমান, সদ্য সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া এবং পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্রকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।

    গত ২৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি কৃষ্ণপদ রায়, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. মোজাম্মেল হক ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলামকে অবসরে পাঠায় সরকার।

    গত ২ সেপ্টেম্বর ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মীর রেজাউল আলম, পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার লুৎফুল কবির, সিআইডির ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন ও নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরকে অবসরে পাঠানো হয়।

    এরপর ২২ সেপ্টেম্বর রেলওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, শিল্পাঞ্চল পুলিশের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এ কে এম হাফিজ আক্তার, ঢাকা পুলিশ টেলিকমের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বশির আহম্মদ, আরআরএফের পুলিশ সুপার (পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্তির আদেশপ্রাপ্ত) মো. মীজানুর রহমান, এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এবং ডিএমপির সহকারী পুলিশ সুপার মো. দাদন ফকিরকে অবসরে পাঠায় সরকার।

    ২৩ সেপ্টেম্বর পুলিশের পাঁচ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তারা হলেন- বান্দরবান ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান, সিআইডির ফেনীতে কর্মরত মো. শাহজাহান, চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক মির্জা মোহাম্মদ হাছাঁন, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক মহসিনুল কাদির ও শেরপুর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আনিচুর রহমান মোল্ল্যা।

    সর্বশেষ ৯ অক্টোবর র্যাবের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ, হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান এবং ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (অতিরিক্ত আইজিপি সুপারনিউমারারি) বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত ড. খ. মহিদ উদ্দিনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।

  • সারদায় পুলিশের আরও ৫৮ এসআইকে অব্যাহতি

    সারদায় পুলিশের আরও ৫৮ এসআইকে অব্যাহতি

    শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত আরও ৫৮ জন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ক্যাডেটকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

    সোমবার (৪ নভেম্বর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণরত আরও ৫৮ জন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ক্যাডেটকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

    সারদা পুলিশ একাডেমি সূত্রে জানা যায়, গত মাসে প্রশিক্ষণরত ৫৯ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) শোকজ করা হয়। প্রশিক্ষণ ক্লাসে এলোমেলোভাবে বসে হইচই করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে তাদেরকে এই নোটিশ দেওয়া হয়।

    এর আগে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের ২৫২ জন এসআইকে অব্যাহতি দিয়েছিল সরকার। গত ২১ অক্টোবর একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিক) তারেক বিন রশিদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।

  • খুলনায় সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

    খুলনায় সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

    খুলনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সুমন নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন।

    শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনার জিরো পয়েন্ট, গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের এ সংঘর্ষ হয়।

    রাত পৌনে ৯টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, সংঘর্ষে আমাদের ২০-২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল মো. সুমন নিহত হয়েছেন।

    মোজাম্মেল হক বলেন, পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। অথচ আমার এক ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলল।

    এদিকে সংঘর্ষের সময় অসংখ্য টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পুলিশের একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেন ও একটি ট্রাক ভাঙচুর করেন। সংঘর্ষের কারণে বিকেল ৪টা থেকে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক ও রূপসা সেতু বাইপাস সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুই পাশে আটকা পড়েছে শতাধিক যানবাহন।

    শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ (রাবার বুলেট ও শর্টগানের ছররা) অবস্থায় চারজনসহ ২২ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় পুলিশেরও অন্তত ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার বেলা ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেটের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পুলিশ তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে পিছু হটে। এরপর তারা মিছিলসহকারে মজিদ সরণি হয়ে সোনাডাঙ্গা থানার দিকে যায়। এ সময় আন্দোলনকারীরা সোনাডাঙ্গা থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ সদস্যরা থানার ভেতরে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে হরিণটানা থানায়ও ইটপাটকেল ও খালি বোতল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় থানার প্রধান ফটক বন্ধ ছিল।

    শিক্ষার্থীরা বিকেল সোয়া ৩টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছানোর পর পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় নগরীর গল্লামারী থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ কিছুটা পিছু হটে। কিছু পুলিশ জিরো পয়েন্ট এলাকায় এবং কিছু পুলিশ গল্লামারী মোড়ে অবস্থান নেয়। কয়েক দফা শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পুলিশ কিছুটা পেছনে সরে আসতে বাধ্য হয়। পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    সমাবেশের পর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে নগরীর শিববাড়ি মোড়ের দিকে যেতে চাইলে সন্ধ্যা ৬টায় গল্লামারী মোড়ে আরেক দফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ মুর্হুমুর্হু টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।

    খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংঘর্ষের পর আহত হয়ে নাবিল, মিজান, সৌরভ, আব্দুল্লাহ, আবির, রুবিনা ইয়াসমিন, মিজান, ফাইয়াস, রুহুল আমিন, আল শাহরিয়ার নিরব, সিরাজুল ইসলাম, রাবেয়া সুলতানা রাইবা, রাশিদা পারভীন, তানিয়া আক্তার, আবিদ, মিতু, শেখ তানিক ও হোসাইন রাসেলসহ অন্তত ২২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৪ জনের শরীরে রাবার বুলেট ও শর্টগানের ছররা গুলি লেগেছে। অন্যরা টিয়ারশেলে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছেন।

    নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা থানার গেটে কিছু ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছিল। এতে কেউ আহত হয়নি।

    আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে আল শাহরিয়ার দাবি করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ অহেতুক টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানান, প্রথমবার সংঘর্ষের পরে ছাত্রদের বুঝিয়ে নিবৃত্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ৬টার দিকে গল্লামারীতে তারা আবারও পুলিশের ওপর হামলা করে।

  • চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর সম্পদ ক্রোকের আদেশ

    চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর সম্পদ ক্রোকের আদেশ

    জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামরুল হাসান ও তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ জেবুননেছা এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    কামরুল হাসান বর্তমানে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পিওএম) পদে আছেন।

    দুদকের অভিযোগে জানা যায়, পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হাসানের ৯ কোটি ৭৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪ টাকার এবং তার স্ত্রী সায়মা বেগমের ১ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ১৮৮ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস মেলেনি।

    দুদকের অনুসন্ধানে এই পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর নামে একাধিক জমি, ফ্ল্যাট, যৌথ মালিকনাধীন ভবনে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য মিলেছে, যা তার আয়ের সঙ্গে ‘সঙ্গতিপূর্ণ নয়’ বলে জানা যায়।

  • হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে ছিনতাই করেন ২ এসআই

    হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে ছিনতাই করেন ২ এসআই

    রাজধানীর শাহ আলী থানায় কর্মরত ছিলেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপস। সাধারণের বন্ধু বলে পুলিশ বিবেচিত হলেও এ দুজন ছিলেন উল্টো।তারা ছিনতাই করতেন। এমনই এক অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তুহিন-তাপস ছিনতাই করতেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে।

    মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শেরে বাংলা থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

    মো. শাহাদাৎ সরদার নামে এক ভুক্তভোগীর মামলায় এসআই তুহিন ও তাপস গ্রেপ্তার হন।

    শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদ আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, দুজন পুলিশ সদস্য যারা আসামি, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আর কিছুই বলতে পারব না। ডিসি স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি সব বলতে পারবেন। এ বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।

    মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী মো. শাহাদাৎ সরদার উল্লেখ করেন- গত শনিবার (৯ ডিসেম্বর) তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এক ছোটভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। ছোটভাইকে না পেয়ে একটি রিকশা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পান্থপথ রওনা করেন। আনুমানিক বিকেল সোয়া তিনটার দিকে শেরেবাংলা নগর থানার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্মাণাধীন ভবনের কাছে পৌঁছলে একটি নীল রংয়ের প্রাইভেটকার তাকে বহনকারী রিকশাটির গতি রোধ করে।

    ওই গাড়ি থেকে তিনজন লোক নেমে ডিবি পরিচয় দিয়ে তাকে সেটিতে তুলে নেন। প্রাইভেটকারে তুলে তাকে হাতকড়া পরিয়ে কালো কাপড় দিয়ে চোখ-মুখ বেধে ফেলে।

    শাহদাৎ বলেন, তারা আমার প্যান্টের পকেট থেকে মানিব্যাগ, ভিভো ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। ফোনটিতে থাকা দুটি সিম খুলে আমাকে দিয়ে দেয়। আমার পকেটে নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিল, সেগুলোও নিয়ে নেন ওই তিন ব্যক্তি। এরপর তারা আমাকে একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আমার মানিব্যাগ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড নেয়; পরে সেটির পিন দাবি করে। আমি পিন কোড দিকে অস্বীকার করলে তারা আমাকে এলাপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। আমি আমার জীবন রক্ষার্থে তাদের এটিএম কার্ডের পিন কোড বলে দিই।

    তিনি আরও বলেন, আসামিরা এটিএম বুথে গিয়ে কার্ডে থাকা টাকার পরিমাণ জেনে নেয়। পরে আমার ফোনে তারা নেক্সাস পে অ্যাপ ইন্সটল করে এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্টের সব টাকা ট্রান্সফার করে নেয়। বিবাদীরা সিটি ব্যাংকের (১৫০২৪৯৯৫৪৩০০১) একটি অ্যাকাউন্টে পর্যায়ক্রমে ৩ লাখ ১০; ৩ লাখ ১০; ১ লাখ ৩৩ হাজার ১০ টাকা করে মোট ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৩০ টাকা স্থানান্তর করে নেয়। তারা নগদ ও ব্যাংক মিলিয়ে মোট ৯ লাখ ১৯ হাজার ২৯ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।

    শাহদাৎ জানান, আসামিরা একটি সাদা কাগজে তার কাছ থেকে সই রাখেন। তারপর আবার তাকে হাতকড়া পরিয়ে, চোখ-মুখ কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে গাড়িতে তুলে নেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে মিরপুর-১ নম্বরের পাশের কোনো এলাকায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে তিনি তার বাড়ি ফিরে যান।

    শাহদাৎ পুলিশ সদস্যদের দ্বারা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন- এটি কীভাবে বুঝতে পারলেন সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু তার বা পুলিশের কাছ থেকে জানা যায়নি। পুলিশই বা কীভাবে মামলার পর তুহিন ও তাপসকেই সনাক্ত ও গ্রেপ্তার করলো এ ব্যাপারেও কিছু পরিষ্কার নয়। শেরে বাংলা নগর থানার ওসি আহাদ আলীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। ’

    সমস্ত বিষয়ে জানতে ওসি আহাদের কথা মতো তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি কোনো সাড়া দেননি। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) অসংখ্যবার তাকে কল করা হয়, তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি সেটির পাল্টা জবাব দেননি।

    যদিও মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, নির্দিষ্ট মামলায় শাহ আলী থানার এসআই তুহিন ও তাপসকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জড়িত থাকার বিষয় প্রমাণ পাওয়া তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

    এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, আইজিপি থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত আমাদের প্রায় ২ লাখ দশ হাজার জনের পুলিশ বাহিনী। ২-৪ জন দুষ্টু লোকজন যে নেই কখনো অস্বীকার করি না। আমাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতার মানসিকতার লোক থাকতে পারে। তারা যখন অপরাধ করে সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা ডিটেক্ট করতে পারি। মানুষ যখন অভিযোগ করে, সেটা যখন প্রমাণিত হয় তখন আমরা আমাদের সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হই না। আমাদের সৌন্দর্য হচ্ছে, আমাদের সদস্যদের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিচলিত হয় না।

    তিনি আরও বলেন, বাহিনীর সদস্য হওয়ার পরেও যদি কেউ উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে, অথবা ফৌজদারি কোনো অপরাধের সাথে যুক্ত হয়- তখন সে পুলিশ না সাধারণ মানুষ এটি বিবেচনা করার কোনো সুযোগ নাই। আমরা তখন তাকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করি। যদি আমাদের বাহিনী সদস্যও হয় অবশ্যই সে একজন অপরাধী। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও ডিপার্টমেন্টাল সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফৌজদারি ব্যবস্থায় মামলা হবে, আসামি গ্রেপ্তার হবে ও বিচারের জন্য সোপর্দ হবে। সেই ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি এবং সেই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।

  • পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করে ধরা

    পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করে ধরা

    প্রথমে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন, এরপর সেখান থেকে থানা এলাকায় দায়িত্বরত বিভিন্ন কর্মকর্তার নম্বর নিয়ে পুলিশের এসপি অথবা অ্যাডিশনাল এসপি হয়ে কথা বলে পাঠান স্থানীয় বিকাশ নগদের এজেন্টদের কাছে। ওই কর্মকর্তার মোবাইল দিয়েই কথা বলেন দোকানির সঙ্গে, নেন তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর। এর কিছুক্ষণ পরই ফেলা হয় প্রতারণার জাল। এবার সরাসরি ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে দিয়ে পাঠানোর কথা বলে অফিশিয়াল কাজে’ বিভিন্ন নম্বরে কয়েক ধাপে হাতিয়ে নেন টাকা। এভাবে পুলিশকে প্রতারণার ‘হাতিয়ার’ বানিয়ে নওগাঁয় বসে চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়ে নিচ্ছিলেন লাখ লাখ টাকা।

    শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বাংড়ার মোহনপুর এলাকা থেকে ‘এসপি-এডিশনাল এসপি’ পরিচয়ে বিকাশ এজেন্টদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর উঠে এসেছে পুলিশকে হাতিয়ার বানিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতার গল্প।

    গ্রেপ্তার ওই প্রতারক হলেন মো. সাগর ওরফে রিমন। পড়ালেখা খুব বেশি দূর গড়ায়নি; তবে কণ্ঠ শুনে মনে হবে তিনি অনেক বড় অফিসার। আর তার সেই কণ্ঠের জালে ফেলেই পুরো প্রতারণার ছক।

    শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরের দামপাড়াস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ইউনিটের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. লিয়াকত আলী খান।

    এর আগে, এমন প্রতারণার শিকার হন চট্টগ্রাম নগরের কদমতলী এলাকার বিকাশ এজেন্ট মিনহাজ উদ্দিন। পরে গত ২৭ নভেম্বর সিএমপির সদরঘাট থানায় এজাহার দায়ের করলে অভিযানে নামে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ইউনিট।

    রিমন ওই এলাকার মো. হাসানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন গাড়িচালক। তার এলাকায় ভাড়ায় নেওয়া টেম্পু চালান।

    উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. লিয়াকত আলী খান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে টার্গেট করে এসপি-এডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে কল দিয়ে ওই এলাকার পুলিশ অফিসারের নম্বর চান। পরে তার নম্বরে কল দিয়ে ওই কর্মকর্তাকে বলেন তার আশপাশের বিকাশ এজেন্টের দোকানে যেতে। আর ওই পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে সেই এজেন্টের সঙ্গে কথা বলে তার নম্বর নিয়ে রাখেন এবং ওই বিকাশ এজেন্টকেও একইভাবে নিজেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় দেন। পরে কথিত এসপি-এডিশনাল এসপি ওই বিকাশ এজেন্টকে ফোন করে বিভিন্নভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়।’

    ‘চট্টগ্রামেও তেমনি পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে এক সার্জেন্টকে কল দিয়ে একটি দোকানে পাঠায়। সাার্জেন্ট ওই দোকানে যাওয়ার পর সেই দোকানদারের সঙ্গে এসপি-এডিশনাল এসপি পরিচয়ে দিয়ে ফোনে কথা বলে। পরে ওই সার্জেন্ট দোকান থেকে চলে এলে বিকাশ এজেন্টকে ৪ দফায় কল দিয়ে ৫১ হাজার ৫শ’ টাকা হাতিয়ে নেয়।’

    তিনি আরও বলেন, এসপি-এডিশনাল এসপি পরিচয় দেওয়া রিমন পেশায় একজন গাড়িচালক। তার এলাকায় ভাড়ায় চালিত টেম্পু চালায়। তথ্য-প্রযুক্তি সম্পর্কে তার কোনো জ্ঞান নেই। তবে সেই নিজের ভয়েস দিয়ে ভালোভাবে কথা বলতে পারে। শুধু সে একা নয়; তার সঙ্গে আর কয়েকজন জড়িত আছে। এরমধ্যে কেউ কল দেয়, কেউ টাকা ক্যাশ আউট করে।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে এ ধরনের প্রতারণার কাজ করে আসছে। এছাড়া ৪৮৩ জন পুলিশ অফিসারের নম্বর ব্যবহার করে সে এসব কাজগুলো করে আসছে। পুলিশের জন্য তার নিজের এলাকা রাজশাহী-নওগাঁয় করতে না পেরে সে এখন চট্টগ্রামকে টার্গেট করেছে। আর তার ধারণা ছিল, রাজশাহী বসে চট্টগ্রামে এমন প্রতারণা করলে তাকে কেউ ধরতে পারবে না।

    তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বিকাশ প্রতারণার ৩টি এবং মাদক সংক্রান্ত মামলার ২টি। এছাড়া তার চক্রের সঙ্গীয় কেউ জেলে আর কেউ বাইরে। প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ইউনিটের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. লিয়াকত আলী খান।

    প্রতারণার শিকার চট্টগ্রাম নগরের কদমতলী এলাকার বিকাশ এজেন্ট মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘দোকানে হঠাৎ একজন সার্জেন্ট আসেন। ওই সার্জেন্টের মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে একজন আমার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি নিজেকে এডিশনাল এসপি পরিচয় দেন এবং নম্বর নেন। পরে দোকানে আসা সার্জেন্ট চলে গেলে কিছুক্ষণ পর একটি নম্বর থেকে কল আসে। তখন তিনি আবারও এসপির পরিচয় দেন এবং বলেন কিছু টাকা পাঠাতে হবে একটা নম্বরে। আর টাকা সার্জেন্টের দিয়ে পাঠিয়ে দিবেন। কিন্তু এভাবে ধাপে ধাপে ৫১ হাজার ৫শ’ টাকা নিয়েছেন।’

  • রাজধানীতে পুলিশের টহল গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ, বিস্ফোরণে আহত ৩

    রাজধানীতে পুলিশের টহল গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ, বিস্ফোরণে আহত ৩

    রাজধানীতে পুলিশের টহল গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

    আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা হাউজবিল্ডিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কাজী মো. হাসানকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।

    এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ আলম। তিনি বলেন, ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি ছাত্রদলের সাবেক নেতা। তাকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

    তিনি জানান, বিস্ফোরণে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মাহবুব আলীসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

  • বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

    বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

    বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে ডিউটিরত অবস্থায় এক পুলিশ সদস্য (৩২) নিহত হয়েছেন। নিহত পুলিশ সদস্যের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। শনিবার ২৮ (অক্টোবর) বেলা ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে মারা যান তিনি।

    ঢামেকের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) মো. আলাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

    এর আগে রাজধানীর নয়াপল্টন, কাকরাইল ও নাইটিঙ্গেল মোড়ে দফায় দফায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশের ৪১ সদস্য আহত হয়েছেন।

    এদিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন দাবি করেছেন, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এছাড়া রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের গেটসহ একাধিক স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে।

  • রাজধানীর তিন প্রবেশমুখে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ, আমান-গয়েশ্বর আটক

    রাজধানীর তিন প্রবেশমুখে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ, আমান-গয়েশ্বর আটক

    সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর ধোলাইখাল, গাবতলী ও উত্তরায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার ১১টা থেকে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ-বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

    রাজধানীর ধোলাইখাল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে তাদের সরাতে যায় পুলিশ। এসময় নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। বেলা ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় সংঘর্ষ চলছিল। সংঘর্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আহত হয়েছেন। তাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ সাত আটজনকে আটক করা হয়েছে।

    এদিকে গাবতলী খালেক সিএনজি পাম্পে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান নিতে গেলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মাইক ও চেয়ার নিয়ে যায়। এসময় বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমানকে আটক করা হয়েছে। এখানে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।

    পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে বেলা ১১টার দিকে গাবতলীতে আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে জড়ো হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তখন বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

    এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে যান আমান উল্লাহ আমান। তখন পুলিশের এক কর্মকর্তা আমানকে নেতাকর্মী নিয়ে সেখান থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলেন। অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি নেই বলে জানান। এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তখন আওয়ামী লীগ এবং দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা চারপাশ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘিরে ফেলেন। তখনই দুই দলের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়।

    এরই একপর্যায়ে আমান উল্লাহ আমান অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন। প্রায় দু-তিন মিনিট তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছিলেন। তখন পুলিশ তাকে সেখান থেকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়।

    অন্যদিকে আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা জসিম উদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ চলছে। বিএনপিকে সড়ক অবরোধ ঠেকাতে পুলিশের পাশপাশি আছেন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এখানেও পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে।

    এর আগে বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে সতর্ক অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। প্রিজন ভ্যান, এপিসি, জলকামানসহ নানা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তারা।

  • চট্টগ্রামে জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, আটক ১২

    চট্টগ্রামে জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, আটক ১২

    চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের একটি গাড়ি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করেছে।

    শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে থানার চৌমুহনী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ মোড় এলাকা থেকে মিছিল শুরু করে। মিছিলটি চৌমুহনী মোড় এলাকায় এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জামায়াতের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এরপর সমাবেশ শেষে ফেরার পথে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে।

    চট্টগ্রাম নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, জামায়াত-শিবিরের হামলায় ডবলমুরিং জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনারসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরসা কমান্ডার নিহত

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরসা কমান্ডার নিহত

    কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হুসেন মাঝি নামে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার এক শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন। সোমবার (১০জুলাই) সকাল ৭টার দিকে উখিয়া ১৭ নং ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন ১৪ আমর্ড পুলিশের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) সৈয়দ হারুন অর রশীদ।

    এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি, ওয়াকিটকি, মোবাইলফোন ও মোবাইলের সিম জব্দ করা হয়। এখনো অভিযান চলমান বলে জানিয়েছে পুলিশ।